আপনি যা চান তার চেয়ে অন্যরকম কিছু ঘটাকেই সাইড এফেক্ট বা পাশর্্ব প্রতিক্রিয়া বলে। সাধরণত: এটা হচ্ছে চান না এরকম একটা প্রতিক্রিয়া। সাইড এফেক্টের উদাহরণ হলো পেটের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ঘুম ঘুম ভাব বা মাথা ঘোরা। আপনার ওষুধের সাধারণ সাইড এফেক্ট কি তা আপনার জানা জরুরি। মাঝে মাঝে কিছু লোকজন বলেন যে, সাইড এফেক্ট হতে পারে এজন্য তারা কোনো ওষুধ নিচ্ছেন না বা নিতে পারছেন না। এটা একটা যুক্তিসঙ্গত কথা। তারপরও, কোনো একটা ওষুধ বন্ধ করে দেয়ার আগে বা এটা নিতে অস্বীকার করার আগে আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার। নিজের সাথেও কিছু প্রশ্নের জবাব ঠিক করে নেয়া দরকার।
সাইড এফেক্টের চেয়ে ওষুধের উপকারিতা কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
ক্যান্সারের ভোগা লোকজন যে কেমোথেরাপি ব্যবহার করে সেটা একটা ভালো উদাহরণ। যদিও এসব ওষুধের সাইড এফেক্ট রয়েছে তবুও অনেক লোক জীবন বাঁচানোর গুণের জন্য এসব ওষুধ ব্যবহার করে। কোনো একটা ওষুধ খাবেন কি খাবেন না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। তবে বিষয়টাকে এভাবে বিবেচনা করা উচিত, "সাইড এফেক্ট থাকা সত্ত্বেও ওষুধটা খেলে আমি কি ভালো থাকবো?"
সাইড এফেক্টের ক্ষতি কমানোর বা এগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় আছে কি?
অনেক সময় আপনি কিভাবে ওষুধটা খাচ্ছেন, খাবারের সাথে না আলাদা, তার উপর এটা নির্ভর করে। এই প্রশ্নের ব্যাপারে উপদেশের জন্য আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টকে জিজ্ঞেস করুন।
সাইড এফেক্ট কম কিন্তু একই ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় এমন অন্য ওষুধ আছে কি?
একই ধরনের ফল দেয় এমন অনেক ওষুধ থাকে যা বিভিন্ন লোকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভাবে প্রতিক্রিয়া (রিএ্যাকশন) করে। দূর্ভাগ্যক্রমে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ওষুধটা খাচ্ছেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না আপনার ক্ষেত্রে ওষুধের প্রতিক্রিয়া কি হবে। এজন্য, নতুন ওষুধ শুরু করার ক্ষেত্রে, পুরো মাসের ওষুধ খাওয়ার আগে প্রথমে এক বা দুই সপ্তাহ প্রেসক্রিপশনটা মেনে দেখা উচিত। এতে, যদি ওষুধটা কাজ না করে তবে আপনার সময় ও টাকা কিছুই নষ্ট হবে না।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন