এটা সম্ভবত: যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সবচে বেশি জরুরি দক্ষতা। আমরা বেশিরভাগ মানুষ কথা ভালো শোনার চেয়ে ভালো বলতে পারি। আরেকজন লোক কি বলছে বা কিরকম অনুভব করছে তা আমাদের আসলে শোনা উচিত। অন্যের কথা কথা শোনার বদলে বেশিরভাগ লোকজন আগেই জবাব তৈরি করে ফেলেন। ভালো করে অন্যের কথা শোনার ক্ষেত্রে কয়েকটা লেভেল রয়েছে।
1. শব্দগুলো শুনুন এবং গলার স্বর ও দেহের ভাষা খেয়াল করুন। কোনো সমস্যা থাকলে কখনও কখনও কথা বলতে শুরু করা বেশ কঠিন। অনেক সময় কথার মধ্যের শুধু শব্দগুলো শুনে বুঝা যায় না অপর মানুষটি কোনো সমস্যার মধ্যে আছে কিনা। তার গলার স্বর কি কাঁপছে? "সঠিক শব্দ" খুঁজে পেতে কি তার কষ্ট হচ্ছে? তার শরীরে কি টেনশন বুঝা যাচ্ছে? তাকে দেখে কি মনে হচ্ছে সে অন্য কিছু ভাবছে? যদি এসব লক্ষণ আপনি দেখতে পান তবে বুঝতে হবে সে যেটুকু কথা বলছে তার চেয়ে তার মনের মধ্যে আরা বেশি কথা রয়েছে।
2. অন্য মানুষের কথা শুনলে তাকে তা জানান। ঐ ব্যক্তিটিকে জানান যে, আপনি তার কথা শুনছেন। শুধু "উহ বা আহ্" বলেও এটা বুঝানো যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ জানতে চায় যে অন্যে তার কথা শুনছে, বা অন্তত: একজন কেউ কথাটা শুনুক তা চায়। কারণ কখনও কখনও সমব্যথী কারো সাথে কথা বলাটাই অনেক উপকারে আসে।
3. সমস্যাটির বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছেন তা জানান। ব্যক্তিটিকে জানান যে আপনি সমস্যাটার সারবস্তু এবং এরসাথে জড়িত আবেগের মাত্রা বুঝতে পেরেছেন। আপনি যা শুনেছেন তার মূলকথা নিজের মুখে আবার বলে তাকে এটা বুঝাতে পারেন। যেমন: "আপনি একটা ট্রিপের প্ল্যান করছেন।" অথবা আবেগটাকে গুরুত্ব দিয়ে আপনি জবাব দিতে পারেন: "এটা অবশ্যই কঠিন" বা "আপনার নিশ্চয়ই খুব কষ্ট লাগছে"। আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে জবাব দিলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। এ ধরনের জবাব আরো আবেগ-অনুভূতি বা চিন্তা-ভাবনার দরজা খুলে দেয়। বিষয়বস্তু বা আবেগের ভিত্তিতে জবাব যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। অন্য মানুষ কি বলেছে শুধু তা আবার বলার চেয়ে এরকম করে বলা ভালো।
4. আরো তথ্য জানতে চান। এটা বিশেষভাবে জরুরি যদি আপনি পুরোপুরি না বুঝেন কি বলা হয়েছে বা কি চাওয়া হচ্ছে। তথ্য চাওয়া ও পাওয়ার জন্য অনেকগুলো ভালো উপায় আছে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন