নিয়মিত ব্যায়াম করলে সবাই উপকার পায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শক্তি, কাজের ক্ষমতা এবং আত্ম-বিশ্বাস বাড়ে এবং দুশ্চিন্তা ও মনমরা ভাব কমে। ব্যায়ামের কারণে শরীরের ওজন ঠিক থাকে। ফলে শরীরের জোড়াগুলির উপর ওজনের চাপ কমে এবং রক্তচাপ, রক্তে শর্করা বা চিনি এবং চর্বির পরিমাণ ঠিক থাকে। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত পাতলা হয় বা রক্ত জমে (ক্লট) যাওয়া বন্ধ হয়। এ কারণে যাদের হার্টের অসুখ, সেরিব্রোভাসকুলার বা পেরিফিরাল ভাসকুলার অসুখ আছে তাদের জন্য ব্যায়াম বেশ উপকার দেয়।
এছাড়াও, যেসব লোকের আর্থরাইটিস আছে, শক্তিশালী মাসলের কারণে তাদের শরীরের জোড়াগুলো রক্ষা পায়। কারণ ব্যায়ামের কারণে তাদের জোড়াগুলোর স্থিতিশক্তি (স্ট্যাবিলিটি) এবং আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত ব্যায়ামে জোড়াগুলো পুষ্টি পায় এবং হাড় ও কার্টিলেজ ভালো থাকে। যাদের ফুসফুসের পুরনো অসুখ আছে তারা নিয়মিত ব্যায়াম থেকে সাহায্য পায়। ব্যায়ামের কারণে তাদের সহ্যক্ষমতা বাড়ে এবং শ্বাসকষ্ট কমে । নিয়মিত ব্যায়াম করার পরে বহু লোক যারা ক্লডিকেশনে (পায়ের একদম নীচের দিকে রক্তনালী অত্যন্ত চিকন হয়ে যাওয়ায় যে ব্যথা হয়) ভুগছেন তারা পায়ে কোন ব্যথা পাওয়া ছাড়াই হাঁটতে পারেন। কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলেটেশন প্রোগ্রামে যেসব লোকজন হার্টের অসুখ নিয়ে ব্যায়াম করেন তাদের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে ব্যায়ামের কারণে মানুষের বেঁচে থাকার আকাঙ্খাও বেড়ে যায়। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য ব্লাড সুগার, ওজন এবং কার্ডিওভাসকুলার জটিলতার ঝুঁকি কমাতে ব্যায়াম কাজে দেয়।
সুখবর হচ্ছে স্বাস্থ্যের এসব সুবিধা পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা গা-ঘামানো, কঠিন সব ব্যায়াম করতে হয় না। এমন কি কম সময়ের শারীরিক কাজকর্মও স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের উন্নতি করতে পারে, অসুখের ঝুঁকি কমাতে পারে এবং আপনার মনকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে।
কাজ না করা এবং অসুখের জন্য শরীরের যেসব কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ব্যায়াম সেসব আবার চালু করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে আবার সতেজ করে তুলে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন