আমরা সবাই জানি, শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক আছে । শরীরের ওপর এই সম্পর্কের বিশাল প্রভাব রয়েছে।শারীরিক অনেক অসুবিধায় মনকে নিয়ন্ত্রণ করেই অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। ধরা যাক অসুখ বা কোনো ধরনের ব্যথার কথা। মনের অবস্থা অসুখ বা ব্যথা-বেদনার ওপর প্রভাব ফেলে। শরীরের সাথে সাথে মনটাও যদি খারাপ থাকে তবে পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সবচে খারাপ হচ্ছে, মনের খারাপ অবস্থা শরীরের খারাপ অবস্থার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। যেমন, মনমরা ভাব থেকে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থেকে মাংসপেশী শক্ত হয়ে যেতে পারে। এরকম আরো কত কি। এভাবে একটা কষ্টের সাথে আরেকটা কষ্ট চক্রকারে সংযুক্ত। এই চাকাকে বলা যায় কষ্টের চাকা। এই চাকাকে ভাঙতে না পারলে অসুখ বা শরীরের ব্যথা-বেদনা ইত্যাদি ধীরে ধীরে আরো বাড়তে থাকবে।
মনের শক্তির সাহায্যে স্ট্রেস, মনমরা ভাব (ডিপ্রেশন), বা ব্যথা ম্যানেজ করা যায়। মনের শক্তি প্রয়োগ করেও আপনি এই অসুবিধা মোকাবেলা করতে পারেন। মনের শক্তি সম্পর্কে আগে নিজের মনেই আস্থা থাকতে হবে। একটি ছোট্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়। নিজে একা করতে পারেন। বা কয়েকজনকে বসিয়ে আপনি নির্দেশ দিয়ে তাদের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
প্রথমে চোখ বন্ধ করে মনকে স্থির করতে হবে। অন্য চিন্তা যাতে মনকে বিক্ষিপ্ত না করতে পারে। মনে মনে একটা পাকা, রসে টসটস লেবুর কথা চিন্তা করুন। ... ... আপনি এর লেবু লেবু গন্ধ পাচ্ছেন ... ... ভাবুন যে আপনি লেবুটিতে কামড় দিচ্ছেন... ... কামড় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে টক রস ছিটকে আপনার মুখ ভরে গেলো... ... আপনার থুতনি দিয়ে রস গড়িয়ে পড়ছে। রসটুকু চুষে খান।
কল্পনা করার জন্য সময় নিন বা অন্যদেরকে সময় দিন। তারপর যা ঘটেছে তা খেয়াল করুন। কারো হয়তো মুখে লালা আসতে পারে। শুধু লেবুর কথা চিন্তা করায় অনেকের মুখে লালা এসে যায়। এর জন্য বাস্তবে চোখের সামনে লেবু থাকার দরকার নেই। মনের চিন্তা যে শরীরের ওপর কাজ করে - এটা হচ্ছে তার একটা সহজ উদাহরণ। খুব একটা চেষ্টা ছাড়াই আমরা মনের চিন্তা দিয়ে শারীরিক ইন্দ্রিয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ভেবে দেখুন, যদি আরেকটু চর্চা করি বা আরো বেশি চেষ্টা করলে আরো কত কিছু করা সম্ভব!
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন