'নো ফ্রিলস' বাজেট এয়ারলাইন্স ইজি জেটে এই প্রথম চড়লাম। কিন্তু যেরকম ভেবেছিলাম এয়ারলাইন্সটি মোটেও সেরকম নয়। নতুন ঝকঝকে এয়ারবাস-319 চালাচ্ছে তারা। তবে উড়োজাহাজের ভেতরে আসন পরিকল্পনায় বেশি যাত্রী ধরানোর বিষয়টি তারা মাথায় রেখেছে। সুতরাং লেগরুম খুবই কম। তাছাড়া দু' ঘন্টার যাত্রাপথে কোনো পানাহারের ব্যবস্থা নেই। নেই বলাটা ঠিক হলো না, আছে তবে তা নগদ অর্থের বিনিময়ে। তাড়াহুড়ো করে নাস্তা না করেই বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি তাই আমি এক প্যাকেট বাদাম আর একটি 1664 বিয়ার নিলাম। স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবিয়ানায় নামার আগে পাইলটের পরামর্শ অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটাও ঘুরিয়ে নিলাম।
জানালার বাইরে তখন আল্পসের পাহাড়ের সারি। প্লেনের নীচে মেঘ আর মেঘের নীচে বরফে ঢাকা পাহাড়। অদভূত সুন্দর লাগছিল দেখতে। বছর তিনেক পুরনো ক্যামেরা ক্লিক করে কয়েকটা ছবিও তুললাম পাহাড়ের। কিন্তু চোখে দেখা সৌন্দর্য তাতে ধরা পড়লো না। চলন্ত প্লেনের সাথে তাল মিলিয়ে ঠিক পছন্দমাফিক দৃশ্যগুলোও বন্দী করতে পারলাম না। তাও কিছু ছবি দিলাম। অন্তত: পাঠকরাও দেখতে পাবেন কিছুটা। শহরের কাছাকাছি পাহাড়গুলোর একদম চূড়াতেও বাড়ি আছে। আছে পিচঢালা রাস্তা। বুদ্ধিমান হওয়ার সুবাদে আর প্রযুক্তির বদৌলতে পৃথিবীর তাবৎ সম্পদের ওপর মানুষের একছত্র এই দখলদারিত্ব দেখে কষ্টই পেলাম। প্রকৃতিকে আরো বেশি মনোহর মনে হতো এভাবে যদি মানুষের কুড়ালের কোপ যেখানে সেখানে না পড়তো। আর পাহাড় জঙ্গল তছনছ করে তারা শুধু বাড়ি না বানাতো।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন