কৌশিক প্রতিদিন ভালবাসার অমৃত খাচ্ছেন। সে সম্পর্কে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। পড়ে আসুন। দাম্পত্য প্রেমের মিঠে উদাহরণ। পড়েই অনেকে দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন। আফসোস, কৌশিক কনসালটেনিস ফি-টা পাবেন না।
সে যাক, কৌশিকই যে শুধু ভালবাসার অমৃত খান তা নন। এরকম আরো অনেক স্বামীরাই ভালবাসার চাটনি মাখিয়ে ভাত খাচ্ছেন। আমরা কৌশিকের নিরুপদ্রব দাম্পত্যজীবন অবশ্যই কামনা করবো। কিন্তু তা নিয়ে রসিকতা করতে ছাড়বো কেন?
কৌশিকের পোস্ট পড়ে মনে পড়লো আমার একটি স্মৃতি। অনেকদিন বাদে বাংলা একাডেমির মেলায় দেখা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বান্ধবীর সাথে। সুতরাং কুশল বিনিময় ও দাওয়াত। বাসায় গেলাম রাতের খাবার খেতে। বান্ধবীর রান্না শেষ হয়নি তখনও। তো তার বরের অতি উৎসাহে টেবিলে বসে গেলাম।
প্রথম পদ এলো সব্জি ভাজি। বাকীগুলো আসছে। সব্জি ভাজি মুখে দিয়েই রেখে দিলাম। বান্ধবী শেষ পদটি রান্নাঘর থেকে এনে যখন টেবিলে বসলো তখন জোর আপত্তি তুললো, "সব্জি খাও, সব্জি খাও। কেবল মাংস খেলে হবে? একটু স্বাস্থ্য সচেতন হও।"
ওরা দু'জনই স্বাস্থ্য সচেতন। সব্জিটা ওদের বাসায় একটু বেশিই খাওয়া হয়। কিন্তু আমিও সব্জি পছন্দ করি। আমি জবাব দিলাম, "সব্জি খেতে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু তুমি তো পাকা রাঁধুনি হয়ে উঠোনি, তোমার সব্জিভাজিতে বালি কিচ কিচ করছে।"
ও সাথে সাথে কপট রাগ দেখিয়ে বললো, "এই বাজে কথা বলবে না। ওই যে ও খাচ্ছে"। বলে ওর বরকে দেখালো।
ওর বর তখন রসিয়ে সব্জি খাচ্ছে। আমার বান্ধবীও তখন কিছুটা সব্জি মুখে দিলো। আর সন্দেহে মুখটা তার কুঁচকে গেলো। ওর বরকে জিজ্ঞেস করলো, " এই তুমি খাচ্ছো। তুমি কিছু টের পাচ্ছো না"।
ওর বর বললো, " তুমি যাই রাঁধো তাই তো আমার কাছে অমৃত লাগে। আজ দু বছর ধরে খেয়ে যাচ্ছি।"
বান্ধবীটি দৌড়ে রান্নাঘরে গেলো তারপর ফেরত এসে বললো সব্জি আমি ভালো করেই ধুয়ে রান্না করেছি কিন্তু আজকে ও নতুন লবণ এনেছে। ওটা ভর্তি বালি। বলেই ও সব্জির প্লেটটা সরিয়ে ফেললো। বললো, "বালি খেতে হবে না থাক।"
বান্ধবীর বরকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, "অমৃততো খাইনি কখনো। স্বর্গে যাওয়ার আশাও করি না। তো অমৃতের রেসিপিতে কি বালিও থাকে?"
হঠাৎ ডাইনিং টেবিলে আমার উপর বৃষ্টি হয়ে গেলো। আমি ভিজে জবজবে। তাকিয়ে দেখি বান্ধবীর হাতে পানির খালি জগ।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন