নতুন ধারাবাহিক শুরু করলাম। আমাদের দেশের অনেকেই বিদেশে আসেন। পড়ালেখা করেন। তারপর দেশে ফিরে গিয়ে পাওয়া জ্ঞান ঢেলে দেন কাজে-কর্মে। কিন্তু ফল সেই কদু। কারণ পড়ালেখার ফাঁকে একটি দেশের শত বছরের পদ্ধতিকে চেনা হয়না তাদের। সে বড় কষ্টের কাজ। জাপানিরা পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে স্পাইয়িং করে। নিরাপত্তা বা অস্ত্র নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। তারা স্পাইয়িং করে বাণিজ্য বিষয়ে। উন্নত দেশগুলো এই কমার্শিয়াল স্পাইয়িং ঠেকাতে একবার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু আইন দিয়ে এসব কাজ কি আর করা যায়? বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে জাপানিজরা। সেখান থেকে তারা তথ্য, নতুন পণ্যের ডিজাইন এগুলো পাচার করে দেয় জাপানে। আর জাপানের অতি পরিশ্রমী, করিৎকর্মা লোকজন সবার আগে সেসব পণ্য নিয়ে আসে বাজারে। নতুন পণ্য বাজারে আনার প্রতিযোগিতায় জাপান এগিয়ে থাকলেও এর অধিকাংশ পণ্যই তারা আবিষ্কার করেনি। এখন অবশ্য জাপান কিছু কিছু আবিষ্কার করছে। 'চোরেরও তো ইচ্ছে হয় তার ঘরে চোর আসুক'।
জাপানের মত কমার্শিয়াল স্পাইয়িং করার সুযোগ আমার নেই। তবে উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন পদ্ধতির কার্যকারিতা দেখলে আমার মনে পড়ে বাংলাদেশের কথা। এই ধারণাগুলো যদি দেশের নীতি-নির্ধারকরা একটু মন দিয়ে বুঝতেন। কত সহজেই না ভালো ভালো পদক্ষেপ নেয়া যায়। আর মানুষ, রাষ্ট্র, সমাজ ও উন্নতিকে কত ভিন্নভাবেই না দেখে উন্নত দেশগুলো। উন্নত দেশ তো আর এমনি এমনি হয় না। উন্নত মানুষ লাগে। মানুষকে উন্নত করার জন্য উন্নত শিক্ষা পদ্ধতি লাগে। উন্নত পরিবেশ তৈরি করা লাগে। উন্নত চিন্তার সুযোগ তৈরি করে দিতে হয়। সেসব উন্নত চিন্তার প্রকাশ্য কথাগুলোই আমি বলতে চাই এই ধারাবাহিকে। কেউ যদি পড়েন, তবে তার মনে হয়তো একটা আইডিয়া স্থায়ী হয়ে যাবে। বিষয়টাকে অন্যভাবে দেখা শুরু করবেন তিনি।
এতো আমার আশা-কল্পনা। আশা আছে আপনারাও াপনাদের দেখা নানা খুঁটিনাটি তথ্য যোগ করবেন। কিন্তু আসলে এসব কথা বলে কি কোনো উপকার হবে? ডটকম প্রজন্মের সদস্যেরা পড়লে এসব কি কাজে আসবে দেশের? সচেতনতা তৈরিতে কি উপকার হবে? আপনাদের মত কি?
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন