লাবণ্যময়ী লুবিয়ানা-৮ (উৎসর্গ: হাসান)

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৮:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রথম দিনেই দুটি মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম। একটি ছিল সিটি মিউজিয়াম, যার কথা আগে লিখেছি। সিটি মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে কিছুটা হেঁটে গিয়ে মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট। বাকী সবগুলো মিউজিয়ামই কাছাকাছি। কিন্তু সব মিউজিয়াম দেখতে গেলে শহরের আর কিছুই দেখা হবে না আশংকায় অন্য কোথাও ঢুঁ মারিনি। মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে গিয়ে ওদের স্থায়ী প্রদর্শনীটার চেয়েও ভালো লাগলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ফটোগ্রাফ প্রদর্শনী।

মূল দরজা দিয়ে ঢুকতেই প্রদর্শনীটা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একশ' বছর পূর্তি উপলক্ষে ওদের বিখ্যাত সব ছবির প্রদর্শনী। শরাবাত গুলার দুই বয়সের দুটি বড় বড় ছবি রাখা হয়েছে দু'পাশে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের দু'টি বিখ্যাত ছবির কারণে শরাবাত গুলা নামটি অনেকেরই পরিচিত। সে দু'টি ছবি ছাড়াও আরো অনেক বিখ্যাত ছবি দেখলাম। কিছু ছবির সাথে আছে অমর কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা। লাল বোরকা পরিহিতা রমণীর মাথায় খাঁচা বন্দী দু'টি পাখির সেই বিখ্যাত ছবিটাও সেখানে দেখলাম। ফটোগ্রাফ প্রদর্শনীটা ফ্রি ছিল। তারপর আমরা টিকেট কেটে ঢুকলাম মিউজিয়ামে। মিউজিয়াম ভবনের একপাশ সাজানো হয়েছে সস্নোভেনিয়ার চিত্রকরদের ছবি দিয়ে। অন্য পাশে ইউরোপের অন্যান্য দেশের সামপ্রতিক সময়ের খ্যাত কিছু চিত্রকরের ছবি। তেমন বিখ্যাত কারো ছবি নেই। পেইন্টিংগুলোও খুব বেশি ভালো লাগেনি আমার কাছে। তবে মিউজিয়ামের ভেতরের ডিসপ্লে ও কক্ষগুলোর পরিকল্পনা, তোরণের মত দরজাগুলো বেশ দৃষ্টি মনোহর। মিউজিয়ামের মেঝে কাঠ দিয়ে এমনভাবে বানানো যে যত পা টিপেই হাঁটুন না কেন শব্দ হবেই। একধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শেষ পর্যন্ত মিউজিয়ামটির কোনো পেইন্টিং নয় বরং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ফটোগ্রাফ প্রদর্শনীর স্মৃতিটাই বুকে নিয়ে ফিরলাম।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।