এ ব্লগে অনেকেই মনে করেন ইসলাম শুধু তারাই বাপ-চাচার সূত্রে পেয়েছেন। অন্যদের এতে কোনো অধিকার নেই। আবার অনেকে মনে করেন জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যে কথা বলে সে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধেই কথা বলে। যে ইসলামী শাসনের পক্ষে শেস্নাগান দেয় না সে ইসলামের শত্রু। তাদের এরকম হাজার মতামত দেখতে পাবেন ব্লগের পাতায়। তাই নিয়ে তারা আবার মাঝে মাঝে নেত্য শুরু করে, কে ইসলামের শত্রু, কে কাফির হয়ে গেল, কে নাসত্দিক হয়ে গেল, কার ঘাড়ে লানত পড়বে ইত্যাদি। সভ্যতা মানুষের অগ্রগতিতে ধর্মের অবদান কতটুকু, প্রয়োজন কতটুকু এ সম্বন্ধে তাদের বাচালতা, মাদ্রাসা-পড়া খোঁড়া-যুক্তি দেখলেই তাদের বুদ্ধির দৌড় খোলাসা হয়ে যায়। কিন্তু নতুন শিং-ওঠা বাছুরের মত তাদের আবার গুঁতোগুঁতির ভীষণ স্বভাব। ধৈর্য ধর বাছারা, গায়ে চর্বি জমতে দে।তাদের চোখ-কান বন্ধই থাকে, তবু বলি, ইসলাম আমরাও বাপ-চাচার সূত্রে পেয়েছি। যারা মুসলমানের ঘরে জন্মেছি তারা নুনু-কাটা কাল থেকে ইসলামের সাথে আছি। টুপি-তসবিহ-জায়নামাজ-কোরান-হাদিস নাড়া-চাড়া করেই বড় হয়েছি। যারা মুসলমানের ঘরে জন্ম নেইনি তারাও বই-পত্রে ইসলাম পড়েছি, পাড়া-প্রতিবেশির উৎসবে-উদযাপনে ইসলাম দেখেছি। আমি পেয়েছি জন্মসূত্রে। তবে নামাজের পর টুপিটা মাথা থেকে খুলে রাখতেই দেখেছি। গাধা মার্কা উচ্ছনে যাওয়া চাচাতো/মামাতো-ভাইদেরকে মাদ্রাসায় যেতে দেখেছি। আমাদের যেতে হয়নি। আমরা স্কুল-কলেজের হাওয়া-বাতাসে বড় হয়েছি। মিলাদ পড়ানোর পর মসজিদের মৌলবীর হাতে পঞ্চাশ টাকার নোট আমরা দিয়েছি, কোরবানির পর গরুর চামড়াটা। বাপ-চাচার সূত্রে পাওয়া জমি-জিরেত নিয়ে আমরা আর লাঠালাঠি করি না। অনেকেই করে। তাদের দৃষ্টি-ভঙ্গি নিয়ে জীবন-যাপনও আমরা করি না। অনেকেই করে। আমাদের এই উত্তরণে বাপ-চাচারাও খুশি। তারাও এমন চাইতেন। বাপ-চাচার ধর্মকে আমরাও রেখেছি। যতটুকু দরকার ততটুকু। এটা আমাদের সচেতন সিদ্ধান্ত। মাদ্রাসায় পড়ি নাই বলে ধর্মটা আপনাদের কাছে বন্ধক দেই নাই। কোরান_খতম, তারাবিহ, জানাজায়, বিয়ে-শাদি, আকিকায় আপনাদেরকে ডাকা হবে। ওয়াজেও চাঁদা দিব। তাই বলে, দিন-রাত চেঁচামেচি করে ফয়দা হবে না। তসবিহটা তোলা আছে। টুপিটাও ভাঁজ করা আছে। কাউরে ধর্ম বন্ধক দেই নাই। জমিতে যাই না বলে আমার বাপ-দাদার জমি অন্যরেও দিয়া দেই নাই।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন