• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

একদিনের লন্ডন

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৬/২০০৭ - ৪:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সঙ্গীতের জন্য কি আমি একটানা তিনদিন সময় দিতে পারবো? জল-কাদার মাঝে তাঁবু গেড়ে থাকতে পারবো? এত ভালাবাসা আমার হয় না। এ নাকি পরিকল্পনা করতে হবে আবার বছরখানেক আগে। এতকিছু আমার হবে না। তবু গ্লাস্টনবারি ফেস্টিভ্যাল আজ যখন শেষ হয়ে যাচ্ছে তখন মনে হলো, নাহ্- এবারও যাওয়া হলো না। তবে গতবার যেমন মনে হয়েছিল আগামীবার যেতেই হবে, এবার আর তা মনে হলো না। নিজের পছন্দ-অপছন্দগুলোকে আরো ভালো চিনতে পারছি, তবে?

প্রবাস হলেও, যে জায়গায় আমরা দীর্ঘদিন থাকি, সেখানকার সবকিছু খুঁটিয়ে দেখা হয় না।যেমন করে পর্যটকরা দেখে। ইং, সুরভির চাইনিজ বন্ধু, ইউএসএ থেকে বেড়াতে এসেছিলো বলে লন্ডনের বিশেষ কিছু জায়গায় আবার ঘুরলাম। খেয়াল করলাম লন্ডন শহরটায় ঘুরতে একঘেঁয়ে লাগে না।বৈচিত্র এর অলি-গলি আর দালানে দালানে। তবে ওরা যখন থিয়েটার দেখতে ঢুকলো, আমি গেলাম না। মন হাতড়ে হাউন্ড অব দ্যা বাস্কারভিলস্ দেখার কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম না।

ঘন্টা দুই বরং আমি সমারসেট হাউসের পানির ধারার সামনে বসে কাটিয়ে দিলাম। হাতে একটা বই ছিলো। কিন্তু তিন চার পাতার বেশি পড়িনি।ডাচেস থিয়েটার থেকে সমারসেট হাউসে আসার পথে পড়ে ইন্ডিয়া হাউস। নেহরুর মূর্তি আছে ওখানে। তার পাশে অনেক আগে এক রাতে জিম মরিসনের নামে একটা ফলক দেখেছিলাম। আজকে আবার খুঁজতে গিয়ে ভুল ভাঙলো। সেই ফলক নেই, বরং সমাধির মতো করে এপিটাফ দাঁড় করানো। মেট্রোপলিটান পুলিশের ডি.সি. জিম মরিসনের জন্য। পপ শিল্পী জিম মরিসন ভেবেছিলাম আমি প্রথমবার। দেখাকেও আবার দেখতে হয়, প্রথম বারের দেখায় ভুল থাকতে পারে।

সমারসেট হাউসের সামনেটায় বিরাট জায়গা জুড়ে আঙ্গিনা ফুঁড়ে পানির ধারা বের হয়। বিশেষ ওয়াটার ফাউন্টেন, সময়ের সাথে পানির ধারাগুলো নাচানাচিও করে মাঝে মধ্যে।অনেকগুলো বাচ্চা পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি করছিলো। বই পড়া বাদ দিয়ে তাই দেখলাম অনেকক্ষণ। সব চেতনাকে সমূলে নাড়া দিতে পারে ক্ষুধা। কলা, সমাজবিজ্ঞানের উপরেই আমি রাখি জীববিজ্ঞানকে। সমারসেট হাউসের চায়ের দোকানের মাখনভাজা ফ্ল্যাপ-জ্যাক দিয়ে আপাত: চাপা দিলাম।কিন্তু তারপর আবিষ্কার করলাম একটা চমত্কার সিঁড়ি।কিংস কলেজের লাগোয়া সমারসেট হাউস। কতো এসেছি। কিন্তু কখনও দেখা হয়নি।আমাদের আশ-পাশের কতকিছু আমাদের দৃষ্টি কাড়তে পারে না। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ক্যামেরার চেয়েও দামি চোখটাকেও আমরা কত কম কাজে লাগাই।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।