লন্ডনের পথে
কমেডি অব এররস্ দেখে যখন বের হলাম তখন ফেরার সময় হয়ে গেছে। নাটক নিয়ে বলতে গেলে অনেক জায়গা লাগবে। ওরা বলে শেক্সপিয়রের নাটকের আসল রূপ দেখতে নাকি স্ট্র্যাটফোর্ড আসতে হয়। ছোট্ট নদী আভন পার হয়ে বাস যখন লন্ডনের দিকে রওয়ানা হলো তখন দেশের কৃতি লেখকদের কথা মনে হতে লাগলো। কপোতাক্ষ পাড়ের মাইকেল। কি বর্ণাঢ্য তার জীবন। সেখানে কি এরকম কিছু করা যায় না। সরকারের তো অনেক কাজ। জেলা সমিতি বা কোনো ট্রাস্ট এগিয়ে আসতে পারে। দুই বাংলা মিলিয়ে বাঙালির সংখ্যা তো বিশাল। এ যে শুধু সাহিত্য-সেবা তাতো নয়, এতো বিশাল পর্যটন বাণিজ্য। কিভাবে এ বাণিজ্য প্রসার করে ঐতিহ্য ধরে রাখতে হয় সে জ্ঞান যে আমাদের খুব কম তা বলা যাবে না। দেশের মাজারগুলোর মুতাওয়ালিস্নদের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেই হয়। গড়ে প্রতি বছর অর্ধ মিলিয়ন পর্যটক আসেন শেক্সপিয়ারের জন্মস্থানে বেড়াতে। তার মানে হচ্ছে ছোট্ট শহর স্ট্র্যাটফোর্ড শুধু শেক্সপিয়ার দিয়ে বছরে 25 থেকে 50 মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা করছে। শেক্সপিয়ার স্ট্র্যাটফোর্ডের অধিবাসীদের শুধু থিয়েটার শিল্পই দিয়ে যাননি দিয়ে গেছেন ব্যবসায়ী বুদ্ধিও।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন