এক শো-তে অনেক সিনেমা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ১৫/০২/২০০৬ - ৩:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


যেদিন অনেক বেশিকিছু করা হয়ে যায় সেদিনের সবকিছুর স্মৃতি খুব একটা তাজা থাকে না। আজ অনেকগুলো আলাদা আলাদা কাজ করলাম। দিন শেষে দেখি, একদিনে কয়েক শো সিনেমা দেখলে যেমন কোনোটার গল্প মনে থাকে না সেই অবস্থা।

সকালে এক সলিসিটর ফার্মে গিয়েছিলাম ওদের একটি ভিডিও দেখে অনুবাদ করে দিতে। ভিডিও দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ। দিনে দুপুরে এক বঙ্গ সন্তান ডাকাতি করেছে এক দোকানে। নিজের মোবাইলে আবার সেটি ভিডিও করে রেখেছে। দোকানদারও বঙ্গ সন্তান। তবে লন্ডনে পড়তে আসা বাঙালি তরুণ। একঘন্টা ধরে তাকে চড় থাপপড় মেরেছে মাস্তান ছেলেটি, সিগারেট চুরি করেছে, গালাগাল করেছে। তবে নিজে আনন্দ পাওয়ার জন্য যে রেকর্ড করেছে সেই রেকর্ডই তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। সকালে এই রেকর্ড দেখে গেলাম কিংস কলেজ।

মার্গারেট দেখামাত্র থিসিসের ড্রাফট ধরিয়ে দিলো। আগামী দু'মাস আবার সব কাগজপত্র খুলে বসতে হবে চূড়ান্তকপি তৈরি করার জন্য। তবে কালকের মত আর খারাপ লাগছে না। মনে হচ্ছে পারা যাবে। গি্লনের লেখা চিঠিটা বার দুয়েক পড়লাম। এখন ওর সমালোচনাগুলো ওতো খারাপ লাগছে না। টেবিলে সময় নিয়ে বসলে হয়ে যাবে আশা করি। পরিশ্রম করা লাগবে, এই যা।

ইউনিভার্সিটিতে ক্লাশ নেয়ার সময় ভেবেছিলাম একটি ডিভিডি দেখাবো। দেখি লাইব্রেরিতে সেটি নেই। আমি নিজে বিবিসি'র শপ থেকে কিনে এনে দিয়েছি। দেখাতে চাচ্ছিলাম সি-অটারের সংখ্যা কেনো আমেরিকায় কমে গিয়েছিলো এবং কিভাবে আবার তা বাড়ানো হয়েছে। ডিভিডি না পাওয়ায় বই থেকে কেসস্টাডি ফটোকপি করে দিলাম।

বাসায় ফিরে দেখি। উপসালা ইউনিভার্সিটির চিঠি। মাহফুজ পাঠিয়েছে, শুভেচ্ছা জানি েয় একটি কার্ড। খুব কম মানুষের ছোট বেলার ইচ্ছা পূরণ হয়। মাহফুজ ব্যারিস্টার হতে চেয়েছিলো ওর বড়চাচার মত। তা হয়তো হয়নি, কিন্তু আইন পড়াচ্ছে উপসালায়। সুতরাং ঠিক লাইনেই তো আছে। সুইডেন যাওয়ার দাওয়াত দিয়ে রেখেছে মাহফুজ। যাবো এবছর এপ্রিলে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।