হাঁটার জন্য জুতা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: সোম, ১০/০৪/২০০৬ - ৮:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জুতার পেছনে অনেক টাকা খরচ করার দরকার নেই। লম্বায় ও পাশে ঠিক মাপের জুতা পরুন। যে জুতার মধ্যে আঘাত (শক) সহ্য করার মত সোল বা ইনসোল আছে। জুতায় আপনার পায়ের আঙুলের জন্য যেন বেশ জায়গা থাকে। "সাধারণ নিয়ম" হচ্ছে সবচে লম্বা পায়ের আঙুল ও এবং জুতার মধ্যে ফাঁক হবে বুড়া আঙুলের চওড়ার সমান। আপনার পায়ের আঙুলের উপরে বা পাশে যেন কোন চাপ না লাগে। যখন আপনি হাঁটেন তখন আপনার গোড়ালি যেন জুতার মধ্যে ঠিকমত আটকে থাকে।

ভালো সোলের ভালো জুতা পরুন। লেদার সোলের জুতা যেগুলোর হিল আলাদা সেগুলো আঘাত সহ্য (শক এবজর্ব) করতে পারে না। নতুন এথলেটিক ও ক্যাজুয়াল জুতাও এইরকম। ফিতা বা ভেলক্রো সহ জুতা সহজেই টাইট করা যায় এবং অন্য জুতার চেয়ে ভালো সাপোর্ট দেয়। যদি জুতার ফিতা বাঁধতে আপনার অসুবিধা হয় তবে ভেলক্রো বা ইলাস্টিকঅলা জুতা কিনতে পারেন।

ইনসোল খোলা যায় এমন জুতা অনেকেই পছন্দ করেন। এতে ইনসোল বদলে আরো বেশি শক-এবজর্বিং সোল লাগানো যায়। জুতার দোকানে বা খেলাধূলার জিনিসপত্রের স্টোরে ইনসোল পাওয়া যায়। ইনসোল কিনতে দোকানে যাওয়ার সময় আপনার জুতা সাথে করে নিয়ে যান। ইনসোল লাগানোর পর জুতা পরে দেখুন ভেতরে পায়ের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে কি না এবং এটা আরামদায়ক কি না। বিভিন্ন সাইজের ইনসোল পাওয়া যায় এবং এগুলো কাঁচি দিয়ে কেঁটে ঠিক করা যায়। যদি আপনার পায়ের আঙুলের জন্য বাড়তি জায়গা লাগে তবে থ্রি-কোয়ার্টার ইনসোল কিনে দেখুন। এগুলো পায়ের আঙুল পর্যন্ত হয়। যদি আপনার জুতার ভেতরে কিছু পরতে প্রেসক্্রাইব করা হয়ে থাকে তবে ইনসোলের ব্যাপারে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন।

সম্ভাব্য অসুবিধাগুলো

যদি হাঁটতে গিয়ে আপনার পায়ে ব্যথা লাগে তবে সম্ভবত: শরীর গরম করার জন্য আপনি যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন না। হাঁটা শুরু করার আগে পায়ের ঘন্টার কিছু ব্যায়াম করুন। ধীর গতিতে অন্তত: 5 মিনিট ধরে আপনার হাঁটা শুরু করুন। আপনার পা এবং আঙুলগুলো রিল্যাক্স রাখুন।

আরেকটা সাধারণ সমসা হচ্ছে হাঁটুতে ব্যথা। দ্রুত হাঁটলে হাঁটুর জোড়াতে চাপ পড়ে। আপনার গতি কমানো এবং হার্ট রেইট বজায় রাখার জন্য আপনার হাতের ব্যায়াম শুরু করুন )। হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য গা গরম করার সময় হাঁটু শক্তিশালী করা ও হাঁটার-জন্য-প্রস্তুতির ব্যায়াম করুন।

কাফে ক্র্যাম্প হলে এবং হাঁটুর ব্যথায় হাঁটার আগে ও পরে এ্যাকিলিস স্ট্রেচ কাজে লাগতে পারে। যদি আপনার পায়ে রক্ত চলাচলে কোন অসুবিধা থাকে বা হাঁটার সময় আপনার কাফগুলোতে ক্র্যাম্প বা ব্যথা হয় তবে দ্রুত হাঁটার মাঝে মাঝে ধীরে হাঁটুন। যেটুকু গতি আপনি সহ্য করতে পারেন। গতি কমান। ব্যথা বেড়ে আপনাকে থামিয়ে দেয়ার আগে রক্ত চলাচল ঠিক হতে দিন। এসব ব্যায়ামের ফলে হাঁটার সময় আপনার ক্র্যাম্পিং বা ব্যথা কম হবে। যদি এসব পরামর্শে কাজ না হয় তবে আপনার ডাক্তার বা ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে কথা বলুন।

শরীরের ভঙ্গি ঠিক রাখুন। আপনার কাঁধকে রিল্যাক্সড রাখুন যাতে ঘাড় ও পিঠের উপরের অংশে অসুবিধা কম হয়।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।