ব্যায়ামের সাইকেল থেকে সাইক্লিংয়ের সব সুফলগুলো পাওয়া যায় এবং ঘরের বাইরে যাওয়ার ঝামেলাগুলো থাকে না। যেসব লোকের জন্য রাস্তায় প্যাডেল মারা ও সাইকেল চালানোর মত নমনীয়তা, শক্তি বা ব্যালেন্স নাই তাদের জন্য ব্যায়ামের সাইকেল বেশি সুবিধাজনক। যাদের একটি হাত বা পা প্যারালাইজড তারা বিশেষ জিনিসপত্রের সাহায্য নিয়ে ব্যায়ামের সাইকেল দিয়ে ব্যায়াম করতে পারে। যারা খুব ঠান্ডা বা পাহাড়ি এলাকায় থাকেন তাদের জন্যও বাইরে সাইক্লিংয়ের চেয়ে ব্যায়ামের সাইকেল চালানো বেশি সুবিধাজনক।
ব্যায়ামের সাইকেল একটি ভালো বিকল্প ব্যায়াম। এটা আপনার হিপ, হাঁটু, এবং পায়ের উপর কোন অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। আপনি সহজেই ঠিক করতে পারেন কতটা কঠিন ব্যায়াম করবেন এবং আবহাওয়ার জন্য কোন অসুবিধা হয় না। যেদিন আপনি বাইরে ব্যায়াম করতে যেতে পারছেন না, বা হাঁটতে চাইছেন না, বা খুব বেশি কঠিন ব্যায়াম করতে চাইছেন না সেদিন আপনি এই সাইকেল ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যায়ামকে মজার করে তুলুন
ব্যায়ামের বাইক সম্পর্কে সবচে বড় অভিযোগ হলো এটা খুব বোরিং। যদি সাইকেলিং এর সময় টিভি দেখেন, পড়েন বা গান শোনেন তবে একঘেঁয়ে না হয়েই শরীর ফিট রাখা যাবে। একজন মহিলা এটাকে মজার করার জন্য ম্যাপে তার পছন্দের বেড়ানোর জায়গাগুলো বের করেন। তারপর তিনি যতদূর সাইকেল চালাতে পারলেন তা থেকে ম্যাপে তার অগ্রগতির চার্ট তৈরি করেন।
ব্যায়ামের সাইকেলের চেকলিস্ট
্#61553; ওঠা ও নামার সময় সাইকেলটা স্থির থাকে। রেসিসটেন্স সহজেই সেট করা যায় এবং শুন্যতেও সেট করা যায়। বসার সিট আরামদায়ক।
্#61553; প্যাডেল যখন একদম নীচে থাকে তখন হাঁটু যাতে পুরো সোজা করা যায় এমন করে সিটটা এডজাস্ট বা ঠিক করা যায়।
্#61553; বড় প্যাডেল ও ঢিলা প্যডেল স্ট্র্যাপের জন্য প্যাডেলিং-এর সময় পা একটু নাড়ানো যায়।
্#61553; সাইকেলের ফ্রেম এবং হাঁটু ও পায়ের ঘন্টার মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব আছে।
্#61553; হ্যান্ডেলবার বা হাতলের জন্য ঠিক ভঙ্গিতে বসা যায় এবং আরামের সাথে হাত রাখা যায়।
অনেকে প্রতিদিন তারা যেসব সোপ অপেরা বা নিউজ দেখে তার অর্ধেক সময়ের জন্য বাইসাইকেল চালানোর সময় ঠিক করে রাখে। বাইসাইকেল চড়ার উপর চমৎকার সুন্দর ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায়। এগুলো যে বাইসাইকেল চালাবে তার দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি। ক্লিপ লাগানো আছে এমন বুকর্যাক থাকলে সাইকেল চালাতে চালাতে বই পড়া সহজ হয়।
সাইকেল চালানোর জন্য পরামর্শ
সাইকেল চালানোর সময় হাঁটার চেয়ে আলাদা মাসল ব্যবহৃত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার পায়ের মাসল প্যাডেলিং-এ অভ্যস্ত না হচ্ছে ততক্ষণ হয়তো আপনি কয়েক মিনিটের জন্য সাইকেল চালাতে পারবেন। কোনো বাধা (রেসিসটেন্স) ছাড়া শুরু করুন। প্রত্যেক দুই সপ্তাহ পর পর একটু একটু করে রেসিসটেন্স বাড়ান। সাইকেল দিয়ে পাহাড়ে চড়তে যেরকম কষ্ট হয়, রেসিসটেন্স বাড়ালে একইরকম লাগে। যদি আপনি খুব বেশি রেসিসটেন্স ব্যবহার করেন তবে আপনার হাঁটুতে আঘাত পেতে পারেন, এবং ব্যায়ামের সুফল পাওয়ার আগেই আপনকে এটা করা বন্ধ করে দিতে হবে।
সুবিধাজনক গতিতে প্যাডেল করুন। শুরু করার জন্য বেশির ভাগ লোকের ক্ষেত্রে 50-60 রিভলিউশন পার মিনিট (আরপিএম) যথেষ্ট। কিছু কিছু বাইসাইকেলে আরপিএম গণনা করার ব্যবস্থা আছে। অথবা আপনি নিজেই গুণতে পারেন, মিনিটে কতবার আপনার ডানপা' নীচে নামে। যখন আপনি সাইকেল চালানোয় অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন তখন আপনি গতি বাড়াতে পারেন। তবে বেশি জোরে চালানো ভালো নয়। ঠিক তালের গান শুনলে একই গতিতে সহজে প্যাডেল করা যায়। অভিজ্ঞতা বাড়লে আপনি বুঝতে পারবেন গতি ও রেসিসটেন্স কিভাবে মেলাতে হবে।
ঠিক করুন যে, আপনি সুবিধাজনক গতিতে 20 থেকে 30 মিনিট প্যাডেল করবেন। একবার দ্রুতগতির তার পরের বার কম কষ্টের প্যাডেলিং করে ধীরে ধীরে আপনার সময় বাড়ান। আপনি অতিরিক্ত ব্যায়াম করছেন কি না তা বুঝার জন্য কথা পরীক্ষা, পরিশ্রমের বিষয়ে ধারণা, বা আপনার হার্ট রেইট ব্যবহার করুন। যদি একা থাকেন তবে প্যাডেল করার সময় গান গাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি দম আটকে যায়, তবে গতি কমান।
আপনার "বাইক ট্রিপের" সময় ও দূরত্বের একটি রেকর্ড রাখুন। আপনি কতটা করতে পারেন জেনে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।
খারাপ দিনগুলোতে, আপনার ব্যায়ামের অভ্যাস চালু রাখুন। কোন রেসিসটেন্স ছাড়া, কম আরপিএমে, বা অল্প সময়ের জন্য প্যাডেল করতে পারেন।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন