স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া-দাওয়া বলতে একথা বুঝায় না যে, আপনি আপনার প্রিয় খাবারগুলো আর খেতে পারবেন না বা আপনাকে "ডায়েট" করতে হবে বা "স্পেশাল" খাবার কিনতে হবে। বরং এর মানে হচ্ছে শরীরের জন্য ভালো খাবার বাছাই করতে শেখা এবং পরিমাণ মত খাওয়া। খাওয়া-দাওয়া আমাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুধু শক্তি (ক্যালরি) আর পুষ্টির জন্য খাবার খাওয়া হয় না, এর পেছনে আরো নানা কারণ রয়েছে। স্বাদ, গন্ধ, রং, এবং খাবার দেখতে কেমন এটাও গুরুত্বপূর্ণ। দাম, পাওয়া কতটা সহজ ও জীবন যাপনের স্টাইলের উপরও আমাদের খাবারের পছন্দ নির্ভর করে।
মেহমানদারি করার জন্য আমরা একসাথে খাবার খাই। খাবার আমাদের অনেকের জন্য আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুতরাং খাবার বাছাই করার জন্য এবং এসব বাছাইয়ের কথা বন্ধুদের জানানোর জন্য বেশ দক্ষতার দরকার হয়।
স্বাস্থ্যসম্মত, সুষম খাবার আপনাকে আরো সুস্থ ও ফিট জীবন কাটাতে সাহায্য করে। সুষম খাবার খেলে আপনার শরীর পুরনো অসুখের ক্ষতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। ঠিকমত স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া-দাওয়া করতে পারলে, অনেক অসুখের ঝুঁকি কমানো যায়। যেমন, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস, মোটা হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, এবং দাঁতের ক্ষয়।
স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া-দাওয়ার একটা সহজ গাইডলাইন নীচে দেয়া হলো:
1 মজা করে খাবার খান
2 বিভিন্ন ধরনের খাবার খান
3 প্রচুর স্টার্চ এবং ফাইবার (অাঁশযুক্ত) আছে এমন খাবার খান
4 প্রচুর ফল এবং শাকসব্জি খান
5 বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না
6 চিনি দেয়া ড্রিংক বা খাবার বেশি খাবেন না
7 যথেষ্ট ভিটামিন ও মিনারেল আছে এমন খাবার খান
8 এলকোহল পান করলে মাত্রা বুঝে পান করবেন
9 সঠিক পরিমাণের খাবার খান যাতে স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় থাকে
যদি কোনো বড় অসুখ বা অপারেশন থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন তবে ডাক্তার হয়তো আপনার বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধরনের খাবার খেতে বলতে পারেন। এসব খাবার সাধারণ "স্বাস্থ্যসম্মত" খাবারের চেয়ে আলাদা হতে পারে। এ নিয়ে যদি কোনো কিছু জানার থাকে তবে আপনার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বলুন।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন