প্রত্যেকটা ওষুধের কমপক্ষে দু'টা নাম আছে। একটা জেনেরিক নাম এবং একটা ব্র্যান্ড নাম। জেনেরিক নাম হচ্ছে সায়েন্টিফিক লিটারেচারে ( বা ওষুধের গবেষণা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে) ওষুধটার যে নাম ব্যবহার করা হয়। ব্র্যান্ড নাম হচ্ছে কোনো একটা ওষুধের জন্য কোনো একটা কোম্পানির নিজস্ব নাম। যখন কোনো একটা কোম্পানি নতুন কোনো ওষুধ তৈরি করে তখন তাকে 17 বছর ধরে একা ওষুধটা তৈরি করার অনুমতি দেয়া হয়। এই সময়ে তারা এই ওষুধ তৈরি করতে তাদের যে খরচ হয়েছিল তা তুলে ফেলতে পারবে। এই 17 বছর পার হওয়ার পর অন্যান্য কোম্পানিগুলো ঐ ওষুধের সমমানের (একই ধরনের রাসায়নিক গঠনের) ওষুধ বাজারে ছাড়তে পারে। এইসব জেনেরিক ওষুধগুলো আসল ব্র্যান্ড নামের ওষুধগুলোর মত নিরাপদ ও সমান কাজ দেয় কিন্তু দেখা যায় এগুলোর দাম অর্ধেক বা আরো বেশি কম। ওষুধের খরচ কম করার জন্য জিপি বা কন্সালটেন্টদেরকে যতটা সম্ভব জেনেরিক ওষুধ ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ দেয়া হয়ে থাকে। কখনও কখনও ঠিক ওষুধটা ওটিসি (ওভার-দি-কাউন্টার) থেকে কিনলে প্রেসক্রিপশন দিয়ে কেনার চেয়ে কম দাম পড়ে। কম দামে পাওয়ার মানে এটা ওষুধটার মান খারাপ বা কম নয়। কিভাবে এবং কখন ওষুধটা খেতে হবে এ বিষয়ে আগে যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তা মেনে চলাই উচিত।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন