কুত্তা হইতে সাবধান: একটি নাটকের গল্পবীজ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৪/২০০৬ - ৮:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হঠাৎ জানতে পারেন তার বাসার দারোয়ানের কাজের গাফিলতি। বাসার কাজের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে সে। দায়িত্ব পালনের চেয়ে নারী নির্যাতনের দিকে এই অত্যধিক মনোযোগের অপরাধে দারোয়ান চাকরিটি হারায়। কাজের মেয়েকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে পেরেছেন বলে তিনি মনে মনে খুশি। কাজের মেয়ে সিদ্ধান্তটি বেগম সাহেব বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত পেছাতে বলে।

কিন্তু বিদেশ ফেরত শ্যালকের সাথে পরামর্শ করে গৃহকর্তা ঠিক করেন দারোয়ানের বদলে বাড়ি পাহারার জন্য কেনা হবে কুকুর। যেই কথা সেই কাজ। কুকুর কিনে আনা হয়। গেটের বাইরে নোটিশ টাঙ্গানো হয় 'কুত্তা হইতে সাবধান'।

গভীর রাতে আসে চোর। কুত্তা হইতে সাবধান নোটিশটিকে তারা পাত্তাই দেয়নি তারা। যদিও নোটিশে লেখা ছিল। কোনো কুমতলবে বাড়িতে ঢুকলে ও কুকুরে কামড়ে দিলে কেউ দায়ি থাকবে না। কিন্তু দেশি দারোয়ানের বদলে বিদেশি কুকুর খুব একটা সিকিউরিটি দিতে পারে নি। নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল কুকুর।

তবে চোরের হাত থেকে রক্ষা পায় কাজের মেয়েটির কারণে। দারোয়ান চলে যাওয়ায় তার মন খারাপ। রাত জেগে তার কথাই ভাবছিল। ভাবছিল সে বোধহয় ফিরে এসেছে। কিন্তু চোরকে দেখে সে চিৎকার করে ওঠে। তারপর চোরের বিষয় নিয়ে আবার শালা দুলাভাই আলোচনায় বসে। আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় বের হয়ে আসে।

কিন্তু বাড়িতে ফিরে আসেন গৃহকর্তী। গেটে এতবড় নোটিশ এবং তার নেমপ্লেট চোখের আড়াল হয়ে যাওয়া নিয়ে গজ গজ করতে করতে ঘরে ঢোকেন। শালা দুলাভাইয়ের গত সপ্তাহের নেয়া সব সিদ্ধান্ত তিনি পাল্টে ফেলেন। ফিরিয়ে আনেন আগের দারোয়ানকে। বিকল্প ধারার সিদ্ধান্ত কোনো কাজে আসলো না বলে মনে কষ্ট পান বিদেশ ফেরত শ্যালক। কাজের মেয়েটা (যাকে জনগনের প্রতীক বলে তারা মনে করেছিলেন) খুশি মনে কাজ করছে। লনে বসে কুকুরটার মর্যাদা কমে যাওয়ায় দু:খ করছিলেন শালা দুলাভাই। এমন সময় কুকুরটা কামড়ে দেয় মালিককে। কেন কুকুরটাকে পাহারা দেয়া হচ্ছে না এজন্য দারোয়ানের আবার চাকরি যায়।

দারোয়ান তখন বলে সাইনবোর্ডটা টাঙ্গায়া দিয়া যাই।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।