দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর। কিন্তু প্রভুদের সাজানো প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা আজো সাজিয়ে নিতে পারিনি স্বাধীন দেশের প্রয়োজনমত। নিজেদের এই ব্যর্থতা আমরা চাপিয়ে দেই 'ঔপনিবেশিকতা'র কাঁধে। তবে একথায় কোনো মিথ্যে নেই যে বাংলাদেশের পুলিশ তার হৃদয়টি পেয়েছে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে। শুধু হৃদয় নয়, তার হাতের লাঠি, তার হাতের বন্দুক এসবই ঔপনিবেশিকতার ধারাবাহিকতা।
কি পার্থক্য এই দুই ধারার মধ্যে? স্বাধীন দেশে জনগণই দেশের মালিক। পুলিশ হচ্ছে তাদেরই ট্যাক্সের টাকায় বেতন পাওয়া কর্মচারী। সমাজে, দেশে, জনপদে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের হাতে। তো আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তারা নির্বিচারে জনগণের টাকায় কেনা বুলেট তাদের বুকে ছুঁড়তে পারে না। এই জনগন ঔপনিবেশিক দেশের পরাধীন জনগণ নয়। এই জনগণ পুলিশের প্রকৃত প্রভু। পুলিশকে বরং বুঝতে হবে জনগণের অসুবিধা ও শৃঙখলা বিনষ্টের মূল কারণ। আর সমাধান করতে হবে তাই।
পুলিশের প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বেয়নেটের ব্যবহার না শিখিয়ে শেখাতে হবে কিভাবে জনগণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হয় তা।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন