পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতার যে অজুহাত দেন তা হচ্ছে অল্প বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধার অভাব ও দীর্ঘসময় ছুটিবিহীন দায়িত্ব পালনের একঘেঁয়েমি।
কোনো সন্দেহ নেই এই অভিযোগের অনেকটাই সত্য। তবে বাংলাদেশের অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। যেহেতু পুলিশের হাতে রয়েছে বাড়তি ক্ষমতা এবং সে ক্ষমতা প্রদর্শন করে জনগণকে হ্যস্ত-ন্যস্ত করা যায় সেহেতু পুলিশের অদক্ষতা চোখে পড়ে বেশি।
পুলিশকে আজকাল লাগানো হয় অনেক কাজে। অপরাধদমনের মূল কাজ থেকে সরিয়ে নিয়ে তাদেরকে দেয়া হয় অনেক বাড়তি দায়িত্ব। তারা পাহারাদারের কাজ করছে, প্রটোকল দিচ্ছে, দাঙ্গা ঠেকাতে কাজ করছে, রাস্তা-ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে; এই কাজগুলোর প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে পুলিশবাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়নি যথা অনুপাতে।
পুলিশ লাইনে যারা গেছেন তারা জানেন পুলিশেরা কিরকম জীবন -যাপন করেন। পরিবারের সানি্নধ্যহীন একধরনের কষ্টের জীবন, যেখানে 12 ঘন্টার বেশি সময় দায়িত্ব পালন করতে হয়। বেতন এত কম যে পরিবারকে রাখতে হয় শহর থেকে দূরে নিজ গ্রামে। পোশাক বা অন্যান্য অনেক আনুষাঙ্গিক উপাদান কেনার মত যথেষ্ট টাকাও দেয়া হয় না। এ সমস্ত কারণে পুলিশের মন-মানসিকতা থাকে অনেক নিম্নপযায়ে। এরকম অবস্থানের মানুষ বা পেশাজীবির কাছ থেকে উচ্চমানের মূল্যবোধ আশা করা বাতুলতা।
পুলিশের মরালকে উঁচু করার জন্য তাদের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা ইত্যাদির দিকে সুনজর দিতে হবে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন