ড্রাগন সেতঃু
লুবিয়ানা ক্যাসেল ছাড়া লুবিয়ানা শহরের আরেকটি ল্যান্ডমার্ক হচ্ছে ড্রাগন ব্রিজ। সেতুটির চার কোণায় চারটি ড্রাগন যেন শহরটিকে পাহারা দিচ্ছে। আর্ট নভো স্টাইলের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয় 1901 সালে। ঠিক এইখানে আগে ছিল কাঠের একটি সেতু। যার নাম ছিল 'কসাইদের সেতু'। এখন আর সেতুতে মাংস কেনা-বেচা হয় না। টাউন হলের খুব কাছেই এই সেতুটি।
নতুন করে বানানোর পর সেতুটির নাম রাখা হয়েছিল সম্রাট ফ্র্যাঞ্জ জোসেফের নামে, কারণ টাকা এসেছিল ভিয়েনা থেকে। কিন্তু সম্রাটের নামের পরিবর্তে ড্রাগনের মূর্তিগুলোই মানুষের কাছে বেশি পরিচিতি পায়। নাম বদলে যেতে তাই সময় লাগে নি। কংক্রিট ও লোহা দিয়ে ইউরোপে যখন প্রথম সেতু তৈরি শুরু হলো সেই প্রথম দিককার সেতু এটি।
ড্রাগন তো লুবিয়ানার প্রতীক। ব্রোঞ্জের ড্রাগনমূর্তিগুলো তাই লুবিয়ানার অধিবাসীদের কাছে অনেক গুরুত্ববহ। তবে এই ছবিগুলো রাসেলকে উৎসর্গ করার কারণ হচ্ছে এর সাথে সংশ্লিষট উপকথাটি। শহরবাসীদের মধ্যে এরকম একটি উপকথা চালু আছে যে, যখন কোনো কুমারী মেয়ে সেতুটি পার হয় তখন ড্রাগনগুলো তাদের লেজ নাড়ে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন