ডিম সিদ্ধের চেয়ে সহজ বোধহয় আর কিছু হয় না। সিদ্ধ করা মানে পানি দিয়ে জ্বাল দেয়া। ব্যাস। তারপর আছে ডিমের পোচ, অমলেট, ডিম-ভাজা, স্ক্র্যাম্বলড এগ। এগুলো খুবই সোজা এবং দ্রুত ক্ষুধা মেটানোর জন্য যুৎসই খাবার। নাস্তায় খাওয়া যায় বা যেখানে পরিপূর্ণ রান্নার সুবন্দোবস্ত নাই সেখানে খাওয়ার জন্য ডিমের এসব পদগুলো প্রাণরক্ষাকারী। তারপরও আমি পোচ থেকেই শুরু করছি। মা-বোনের আদরে বড় হওয়া বাঙালি দুলালরা বাড়ির রান্নাঘরের সাথে কোনোই যোগাযোগ রাখেন না। সুতরাং কারো না কারো জন্য প্রাথমিক পাঠও কাজে লাগবে নিশ্চয়ই।
পোচটা সবাই জানেন। রেস্টুরেন্টে প্রচুর দেখা হয়ে যায়। একটি গরম তাওয়ায় একটু তেল দিয়ে তাতে ডিম ভেঙে দিলেই হলো। গরম তেলে ডিমের সাদা অংশটা শক্ত হয়ে যাবে আর ঠিক মাঝ বরাবর সূর্যের মত জ্বলে থাকবে কুসুম। কুসুম ফেটে গড়িয়ে যাওয়াটা যাদের অপছন্দ বা যারা নরোম কুসুম পছন্দ করেন না তারা পোচটা উল্টে দিয়ে দুদিকই শক্ত করে নেন।
কিন্তু তেলসহ পোচটা এখন অনেকেই অপছন্দ করেন বাড়তি তেলের জন্য। স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য তাই বিকল্প হচ্ছে পানি পোচ। কিন্তু তেলে পোচ করার মত গরম পানিতে ডিম ভেঙ্গে ছেড়ে দিলে ছেৎরে যাবে। এর একটা বেশ মজার পদ্ধতি আছে।
পানিপোচ:
একটি সসপ্যানে অর্ধেকটা পানি নিয়ে ফুটান। এবার কাঠের বা স্টিলের একটা হাতা পানিতে ডুবিয়ে পাত্রের গা ঘেঁষে পানিকে পাঁক দিতে থাকেন। দেখবেন পানি গোল হয়ে পাঁক খাচ্ছে এবং মাঝখানে তৈরি হয়েছে গর্ত। এবার ডিমটা ভেঙে এই গর্তের মধ্যে ছেড়ে দিন। ডিমের সাদা অংশ জমে গেলে ছিদ্র ওয়ালা হাতা দিয়ে ডিমটা তুলে ফেলুন। পানি ঝরিয়ে টোস্টে দিয়ে খান। সুস্বাদু পানি পোচ!
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন