লাবণ্যময়ী লুবিয়ানা: ৫ (উৎসর্গ: মহুয়ামঞ্জুরী)

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৫/২০০৬ - ৬:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


লুবিয়ানার স্থায়ী টাউন মার্কেটের কথা আগেই লিখেছি। সেখানে পাওয়া যায় নানা সু্যভেনির আর স্লোভেনিয়াতে তৈরি হয় এরকম কারূপণ্য। কিন্তু রোববার নদীর পাড়ে আয়োজন করা হয় একটি 'সানডে মার্কেট'। বড় বড় সাদা ছাতাগুলোর নীচে বসে এ্যান্টিক সামগ্রীর স্টল। কি পাওয়া যায় না সেখানে? তবে মার্কেটটা নদীর ওপর পাড়ে বসে যেখানে সার দিয়ে ক্যাফে, বার আর রেস্টুরেন্টগুলো সাজানো। তবে এপার থেকে কি আর তা চোখে না পড়ে? ছোট্ট নদী লুবিয়ানিকা। শপিং নয় শুধু জিনিসগুলো আর আয়োজন দেখতে রোববার সকালে হাজির হয়ে গেলাম নদীর পাড়ে।

'প্রেসেরেন স্কোয়ার' থেকে ট্রিপল ব্রিজ দিয়ে নদী পার হতেই হাতের ডানে শুরুহলো স্টলের সারি। তবে প্রথমেই চোখ কাড়লো এক কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা রেড-ইন্ডিয়ান। আদিবাসী বাঁশি বাজাচ্ছে, সাথে বাজছে অন্যসব যন্ত্রানুষঙ্গের সিডি। আমেরিকার রেড-ইন্ডিয়ান এখানে কেন? জানি না। আরো একজন রেড-ইন্ডিয়ানকে দেখলাম পসরা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। একেক স্টলে একেক রকমের জিনিস। লন্ডনে এ্যান্টিকসের কিছু মার্কেট বসে সপ্তাহান্তে(পোর্টেবেলো মার্কেটের ওপর আমার একটি পোস্ট আছে)। কিন্তু লুবিয়ানার মার্কেটে যত বাহারি ও পুরনো পণ্য দেখলাম সে তুলনায় লন্ডনের সেসব মার্কেট শিশু। অস্ট্রিয়ান-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের সময়কার বা সেই ডিজাইনের বিভিন্ন তৈজস-পত্র, ঘর সাজানোর সামগ্রী, মূর্তি, অলংকার পাওয়া যায় কোনো কোনো স্টলে। আর একশ' দু'শ বছরের পুরনো জিনিস আছে প্রায় সব দোকানে। পুরনো একটি ক্যামেরা দেখলাম এক স্টলে। সুন্দর সুন্দর স্থানীয় ডিজাইনের ফার্নিচারও পাওয়া যায়। বেশ কিছু চিত্রকর্মেরও স্টল আছে। আছে ছোট ছোট ভাষ্কর্য।

প্রচুর ক্রেতায় গিজগিজ করছে এলাকাটা। এদের সবাই টু্যরিস্ট নয় বোঝা যায়। স্থানীয় অনেকেই এসেছেন টুক-টাক কিনতে। ক্যাফেতে অলস আড্ডাও চলছে। গোটা তিনেক বাচ্চা নিয়ে এক তরুণী মা'ও প্র্যাম ঠেলে ঘুরছেন হাসিমুখে। এসব টুকরো টুকরো চিত্র। দেখি আর বন্দী করি ক্যামেরায় আর হৃদয়ে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।