দ্যা ভিঞ্চি কোড বই হিসেবে খুব জনপ্রিয় হয়েছিলো। সময় ছিলো না বলে বইটা কিনেও পড়তে পারিনি। সিনেমা দেখতে গেলাম সেটি পুষিয়ে নিতে। ছবিটা তত জনপ্রিয় হয়নি। তবু বৃষ্টির দিনে, উইকডে-তেও হল একেবারে ভর্তি ছিলো।
যেহেতু বই পড়া ছিলো না, সেহেতু আমাকে মনোযোগ নিয়েই দেখতে হয়েছে ।তবে কাহিনী বুঝতে ততোটা অসুবিধা হয়নি। হয়তো বইয়ে যে বিস্তারিত বর্ণনা আছে তা এখানে অনেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু ছবি বুঝতে তা কোনো সমস্যা তৈরি করেনি।
উপরে যে লাশ পরে থাকার দৃশ্য দেখছেন এই খুনের মধ্য দিয়েই কাহিনীর শুরু। সুতরাং মার্ডার থ্রিলার হিসেবে ছবিটি খারাপ মনে হয়নি। তবে মার্ডারটির প্রেক্ষাপটই হচ্ছে আসল বিষয়। খ্রিস্টান ধর্মের একটি বিরোধকে রং চড়িয়ে প্রেক্ষাপটটা তৈরি করা হয়েছে। মানুষের বিশেষ করে খ্রিস্টধর্মী মানুষের আগ্রহ তাই বেশি ছিল ছবিটির প্রতি। কিন্তু পরিচালক ধর্মের সেই বিরোধকে তার ছবির কেন্দ্রবিন্দু করেননি। সুতরাং ছবি দেখে এ আশায় যাওয়া দর্শকদের আশাপূরণ হচ্ছে না।
আমি ফিকশন হিসেবেই দেখতে গিয়েছিলাম। এবং থ্রিলারটি বেশ টানটান উত্তেজনারই মনে হয়েছে আমার কাছে। গল্পে ওচিত্রনাট্যে ষড়যন্ত্র ও রহস্যের বিষয়টিতো ছিলোই। সিনোমটোগ্রাফি ও অভিনয়েও ফুটে উঠেছে একরকম বিপদ, আশংকা, ধর্মীয় শক্তির উন্মত্ততা। প্রথমেই তাই জমে যায় ছবিটি।
বেশ কিছু ঐতিহাসিক দৃশও সংক্ষিপ্ত আকারে দেখানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ছবিটির খরচও হয়েছে বুঝা যায়। কাহিনীর মোড় পরিবর্তনগুলো খুব ইন্টারেস্টিং ছিলো। কিন্তু অন্যান্য থ্রিলারের তুলনায় একেবারে অভিনব কিছু নয়।
কিন্তু অন্য অনেকে যেমন ছবিটিকে বেশ খারাপ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন, আমি তা বলবো না। আমার সময়টা ভালোই কেটেছে। ধর্ম ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র নিয়ে আরো অনেক ছবিই তৈরি হতে পারে।
শিয়াদের ইমাম, ইসমাইলিয়াদের অর্থের নেপথ্য কাহিনী, নবী মুহাম্মদের বংশধরদের হত্যা করার বিষয়টি নিয়েও এরকম দ্যা বিষাদ সিন্ধু কোড বানানো সম্ভব।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন