পুষ্প-তান্নুদের বাসায় সবাই এক হচ্ছি ঈদ উপলক্ষে। দুধের স্বাদ নিশ্চয়ই ফিরনিতে মিটবে। বিদেশের ঈদ নিয়ে ভাসমানের আক্ষেপে নড়েচড়ে বসলাম, ভাসমানের গলায় এত কষ্ট কেন? ঈদ-তো সবসময় একরকম ছিল না জীবনে। সময়ের সাথে সাথে এর উপযোগ বদলে যায়। আমার জীবনে তো বদলেছে অবশ্যই। ছোটবেলার নতুন পাজামা-পাঞ্জাবির সত্দর পেরিয়ে এসে কৈশোরে নতুন বাংলা সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে হলে ঢুঁ মারা আর রাতে বিটিভির আনন্দমেলার জন্য অপেক্ষা। আরো বড় হয়ে দুপুরে ঘুম আর টানা তিনদিনের ছুটিতে গোটা দুয়েক ঈদসংখ্যা হজম। চাকরি-বাকরি পাওয়ার পর শুরু হলো ঈদের লম্বা বন্ধে ঢাকার বাইরে দল-বল নিয়ে বেড়াতে যাওয়া।
প্রবাসে ঈদ উদযাপন নিশ্চয়ই ভিন্নরকম হয়। নির্ভর করে কে কোন পরিবেশে আছে তার উপর। সকালে নামাজে যাওয়ার জন্য কেউ হাঁকাহাঁকি করবে না-দেশে থাকতে বড় হওয়ার পর এই নিশ্চয়তাই খুঁজতাম। এখন তো নিরূপদ্রব। তবে পাঞ্জাবি পরার একটা উপলক্ষ পাওয়া যায়। সমকামী যাতে মনে না হয় সেজন্য বিদেশে অনেক চেষ্টা করতে হয়। আজ ঈদের সুযোগে কোলাকুলিটাও হবে। আর মিলিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে এই উৎসবের অজুহাতে তার আনন্দও কম কী? সবাইকে ঈদের অনাবিল শুভেচ্ছা। আপনাদের সবার জন্য !@@@!র্1।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন