রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা থেকেই এই নতুন ধারণার জন্ম। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার চলছে দেশে। রাষ্ট্রপতি নিজে তত্ত্বাবধায় সরকার প্রধান হয়েছেন এমনই সবাই ধারণা করছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নিজেই এই নতুন ব্যাখ্যা দিলেন। বিতর্ক শুরু হলো সারা দেশে। পরদিনই বঙ্গভবন থেকে একটা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। সেই ব্যাখ্যায় কিছুই স্পষ্ট হয় না। কারণ রাষ্ট্রপতির লিখিত বক্তৃতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এই বক্তৃতার আগের দিন রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। সবাই আগে থেকেই মার্চপাস্টের আওয়াজ পাচ্ছিলেন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে তা নিশ্চিত হওয়া গেল।
এখন রাষ্ট্রপতির সরকার বলে তসপ্র কি আগাম কোনো ইঙ্গিত দিলেন তাহলে? তবে কি তিনমাসের জন্য আসা তার তত্ত্বাবধায়ক সরকার দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে? রাষ্ট্রপতি শাসনের নামে? সে পথেই এগুচ্ছেন তিনি?
14 দলের মুখপাত্র আব্দুল জলিলের ভাষায় সে সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়। আব্দুল জলিল ইমপিচমেন্টের কথা তুলেছেন। অভিশংসন। রাষ্ট্রপতি যখন আস্থা হারান তখন অভিশংসিত হওয়ার কথা আসে। তবে কি দেশে রাষ্ট্রপতির শাসন আসছে? সেনা-প্রহরায় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন দখল নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতার। আবারও কি সংবিধানকে স্থগিত করা হবে?
14 দল অবরোধের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে এ অজুহাতেই কি এই নতুন পথে ধাবিত হবে দেশ। আবার কি নেমে আসছে অন্ধকার।
মন খারাপ করা আশংকার মেঘ। আপনাদের কার কী মনে হচ্ছে? বাঁচবে তো দেশ?
নাকি এক যুবরাজ আর কয়েক হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে আবার অন্ধকারের দিকে যাত্রা?
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন