প্রতারণারও রকমভেদ আছে। বড় প্রতারণার জন্য আছে বড় শাস্তি। ছোট প্রতারণার জন্য ছোট শাস্তি। অবশ্য প্রতারণা বা চারশ বিশ-গিরিকে খুব একটা বিশেষ অপরাধ ধরা হয় না। দোষে-গুণে মানুষ এই নীতিকে এসবকে ছোট-খাটো ত্রুটি বিচু্যতি হিসেবেই দেখা হয়।
কিন্তু কারো কারো প্রতারণা বড় বেশি চোখে বাজে। বড় হয়ে চোখে লাগে। যখন নেতারা প্রতারণা করেন। যখন দেশের কর্ণধাররা প্রতারণা করেন। যখন শিক্ষকেরা প্রতারণা করেন। যখন নৈতিকতা ও ধর্মের লেবাসে কেউ প্রতারণা করেন। এ ধরনের পদ ও পদবীর সুযোগে থাকা লোকদের প্রতারণাকে অনেক বড় মনে হয়। এসব প্রতারণার ব্যাপ্তি অনেক বলেই হয়তো।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হওয়া তিন নারী উপদেষ্টার মধ্যে হিজাবী একজনই। ডা: সুফিয়া রহমান। রাষ্ট্রপতির চিকিৎসাসূত্রে তিনি এখন উপদেষ্টা। শুরুতেই তাকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে যে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। অন্য দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে কেউ দেশের এরকম পদে বসতে পারেন না। ডা: সুফিয়া অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দারা তথ্য ঘেঁটে দেখেছে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।
ভিন্ন দেশের প্রতি তার আনুগত্য ও নাগরিকত্ব বিষয়ে তার সত্যিকার পরিচয় গোপন করে তিনি প্রতারণা করেছেন গোটা জাতিরসাথে। হিজাব পরাটা তিনি ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে করছেন বলে তার এই প্রতারণা মুসলমান বাঙালিদের কাছে আরো বড় হয়ে লাগবে। প্রতারকরা অনেক সময়ই ধর্মীয় লেবাসের আশ্রয় নেয় এই সন্দেহকে চাঙ্গা করে তুলবে। তার এই প্রতারণা অনেক বড় প্রতারণা।
(ডিসক্লেইমারঃ এই লেখার সাথে ব্লগে হিট সংখ্যা বাড়ানোর প্রতারণার পন্থা নিয়ে লেখা সুমন মাহবুবের পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই।)
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন