বন্ধু দোষে বিপদ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৩/২০০৭ - ১০:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ইংরেজকে জাত না বলে বজ্জাত বলতেই আমরা আরাম পাই। তা তাদের একটা চালু কথা আছে যার মর্মার্থ হচ্ছে, সঙ্গী দেখেই লোক চেনা যায়। ইংরেজ যখন বলেছে তখন এর অনেক গূঢ়ার্থ থাকতেই পারে। তবে অনেকের মত আমারও মনে হয় এর মানে হচ্ছে একজন মানুষের বন্ধু-বান্ধব দেখেই বুঝা যায় ব্যক্তিটার চরিত্র কেমন হবে।

এক বন্ধু দেখে অন্য বন্ধু চেনার এই বিষয়টাকে নিশ্চয়ই আমল দেননি আমাদের যুবরাজ (এক পত্রিকায় দেখলাম তাকে দুর্নীতির যুবরাজ বলে শিরোনাম করেছে)। আমল দেননি অনুমান করছি একারণে যে অনেকেই নাকি তাকে সাবধান করেছিল যে, তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন একটি দুষ্টু লোক। এর সাথে জাবড়াজাবড়ি করাটা তার জন্য ভালো না। তিনি শোনেননি। তিনি বলেছেন মামুন তার পরীক্ষিত বন্ধু। ঈশপের নীতিবাক্য দিয়েই হয়তো তিনি বন্ধুর পরীক্ষা নিয়েছেন। বিপদেই বন্ধুর পরিচয়। সে বন্ধু দুর্নীতিবাজ হলেও বন্ধুত্বে নিখাদ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো বন্ধুত্ব নিয়ে এত কালি খরচ হয় নাই। তারেক-মামুনের বন্ধুত্ব তাই প্রবাদের স্থান নিয়েছে। সেই বন্ধু মামুন দীর্ঘদিন চোখের আড়ালে। সে কোথায় আছে কেমন আছে তারেক কিছুই জানেন না। ঘরের বন্দীদশায় থাকাটাও তার মত যুবরাজের জন্য মানায় না। বন্ধুর খোঁজে তাই তারেক তার পিছু পিছু হাজির হলেন দু:শাসনের বন্দীশালায়। তাতে হয়তো তার কলংক হবে, লোকে তার নিন্দা করবে, সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে তাকে লোকে আর মানতে চাইবে না।

কিন্তু লোক-নিন্দাই কি সবকিছু, সিংহাসনের লোভটা সবচে বড়ো? বন্ধুত্বের কোনো মূল্য নেই। দুর্জন শুধু অর্থের দুর্নীতিটাই বড় করে দেখে নিখাদ বন্ধুত্বের নীতিকে তারা মূল্য দিতে শিখলো না।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।