৪।
একটা শূন্য বাসস্টপ আর দাঁড়িয়ে থাকা একটা শিশু-ছাত্র। বাসস্টপের দৃশ্যটা চোখের সামনে একেবারে ফ্রিজ হয়ে আছে।অর্থাত্ সেই দৃশ্য বা দৃশ্যের অভ্যন্তরের চরিত্র বা বিষয়বস্তু কিছুই নড়াচড়া করছে না। যতই আঁতেল দর্শকের মত এই স্টিল ফটোগ্রাফির ফ্রেমে চোখ সেঁটে বসে থাকি না, ঘুম ঘুম চোখ আর ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে নুয়ে পড়া এই শিশু ছাত্রটি নোটিশের দিকে তাকাবে বলে মনে হয় না।
বরং আমাদের নিজেদেরই উদ্যোগ নিয়ে পড়ে নিতে হবে নোটিশটা। কথাগুলো অবশ্য ইংরেজিতে লেখা এবং নিজের ভাষায় অনুবাদ পাওয়ারও কোনো আশা এখন রিসাইকেল করতে হবে। তরুণ ব্রিটিশ মুসলিম যুবকদের মধ্যে আত্মঘাতি বোমাহামলার চল শুরু হওয়ার পর থেকে অনুবাদের বাজারও ধ্বসে গেছে।
হোম মিনিস্টার ঘোষণা দিয়েছেন কোনোরকম অনুবাদের পেছনে জনগণের ট্যাক্সের পাউন্ড ঢালবে না সরকার কারণ অনুবাদের কারণেই ইমিগ্র্যান্ট সোসাইটি ইন্টিগ্রেটেড হচ্ছে না ব্রিটিশ সমাজের সাথে।অগত্যা আপনাদের ভরসা শেষ পর্যন্ত এই গল্পলেখক।
উইথ প্লেজার পাঠককে নোটিশটার ফ্রি অনুবাদ দিতে আমারও বিশেষ আপত্তি নাই।
“বিকল্প পথে যাবে বাস, এই বাসস্টপ ব্যবহৃত হচ্ছে না।কাছাকাছি অন্য কোনো বাসস্টপ ব্যবহার করুন।”।
আমাদের আবু আলী এখনও বাস স্টপে এসে পৌঁছেনি।বাসস্টপে প্রায় তার মতনই আরেকটি মাত্র ছাত্র দাঁড়িয়ে আছে, সম্ভবত: বাসেরই অপেক্ষায়। তবে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য শিশুটার সাথে আবু আলীকে যে গুলিয়ে ফেলবে সে হয় অন্ধ। কারণ এর গায়ের পোষাক সাদা নয় কালো। মাথায় টুপিটাও কালো ও তূলনামূলকভাবে ছোট। ক্লিপ দিয়ে মাথার চুলের সাথে আটকে রাখা।
পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই ভোজবাজি ধইরা ফেলছেন এবং সাথে সাথে লাফ দিয়া বলতেছেন যে পারছি পারছি বুঝতে পারছি। প্রোটাগনিস্ট আবু আলীর চরিত্রের বিপরীতে এ্যান্টাগনিস্ট আরেকটা শিশু চরিত্র আইনা দাড়া করাইছেন লেখক। এই দু্ইয়ের দ্বন্দ্বের ভিতর দিয়া গল্পের মূল মেসেজটা থ্রো করতে চান তিনি। এইসব শিশু চরিত্র আসলে আইওয়াশ। একটু পরেই বুঝা যাবে লেখক প্রগতিশীল না প্রতিক্রিয়াশীল,মডার্ন না পোস্টমডার্ন; কোন শ্রেণীর পক্ষে তিনি কলম ধরছেন। আর এইটা চোখ বুইজা বলা যায়, পরের বাচ্চাটারে দূর থাইকা দেখতে মান্নার মতো লাগলেও আসলে সে ডিপজল।
লেখক হিসেবে আমিও স্বীকার করি পাঠকরে ভুদাই ভাবাটা আমার বদভ্যাসে দাড়ায়া গেছে। সব পাঠকই ভুদাই না কেউ কেউ ভুদাই।
দ্বিতীয় শিশুটারে আমি দাড় করাইছি বলতে পারেন হেগেলের ভাবশিষ্য হিসাবে একটা দ্বন্দ্বমুখর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য। দুই ধর্মের দুই শিশু। দুইরকম পোষাক। একজনের সাদা। আরেকজনের কালো। তাদের ঈশ্বর ও ধর্ম পৃথক। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাওয়ার বাস একই। সেই বাসটা বিকল, আজকে আর আসার কারণ নাই। এই জায়গা থাইকা গল্পটা দৌড়াইতে থাকবো এইরম একটা আশা মনে মনে আছে।
পরিস্থিতি বিশ্বাস করানোর জন্য বাসস্টপটারে রাখছি ফাঁকা। যুক্তি হিসাবে নোটিশটা টাঙাইয়া দিছি উপরে, শিশুদের দৃষ্টির উপরে। এইবার এই দুই শিশু ছাত্র কথা কইবো নিশ্চয়ই। কিন্তু আবু আলী তো এখনও আসে নাই।
বাসস্টপে এখন যে দাড়ায়া আছে তারও একটা নাম দেওয়া দরকার। এরে আমি ইহুদি দেখাইতে চাই। কিন্তু ইহুদিদের সম্পর্কে আমি বিশেষ জানি না। কিরকম হয় তাদের নাম ধাম কইতেও পারতাম না। তার স্কুল ড্রেসটারও বিশদ বর্ণনা দিবার পারি নাই এই একটা কারণে। বাস্তবতা না জানার এই ফাঁকটা ভইরা দেওনের জন্য আছে এক নয়া হাতিয়ার এর নাম যাদুবাস্তবতা। বাস্তবে-অবাস্তবে ভুলভাল প্যাঁচ লাগায়া দিয়াও আমি পার পায়া যাবো। কারণ বাস্তবে এরম ঘটবে কিনা সেই বিতর্ক তুইলা আমারে কেউ আটকাতে পারবে না। যাদুবাস্তবতার হাতে যাদু আছে।
সবই যখন আমরা আমরা, স্বীকার করতে অসুবিধা নাই ইহুদি বা মুসলিম এরম কোনো ছাত্র আমি আমার জীবনেও দেখি নাই। লন্ডন শহরে মদরাসার ছাত্র শামিয়ানা চিনে কিনা তাও আমি জানি না। তবে আবু আলী ঘর থাইকা বাইর হওনের সময় আজকের আকাশকে শামিয়ানার মত ময়লা কইয়া একটা উপমা তৈরি করছিলাম। আশা করি পাঠক এই ফাঁকি ধরতে পারে নাই।
এইখানে চইলা আসে মাঠ পর্যায়ে গবেষণার বিষয়। গল্প-উপন্যাস লেখাটাও যে গবেষণার বিষয় তা শুধু পশ্চিমা দেশের প্রকাশকরাই বুঝলো। একটা উপন্যাস লিখতে পাক্কা এক বছর তারা হাতে দেয়। এই বছরটার জন্য অগ্রিম টাকা-পয়সাও দেয় যাতে লেখকেরা বিয়ার-ওয়াইন পান করতে পারে। আমাদের মত গরীব সংস্কৃতির মাংস আনতে গরম মসলা ফুরায়া যাওয়া লেখকদের এত সমাদর নাই, সুতরাং কপি-পেস্ট ছাড়া উপায় কী।
রাশান, ফ্রেঞ্চ, স্পেনিশ বা জার্মান থেইকা বড় বড় লেখকদের গল্পের কাঠামোটা ধইরা নামায়া দাও। ৪৫% স্বাক্ষরতার দেশে গল্প লেখতাছো তুমি তো এমনেই রাজ্জাক। জীবনানন্দ থাইকা শামসুর রাহমান সব কিন্তু কইলাম ইংরেজির ছাত্র। (মাসকাওয়াথের মাইন্ড খাওয়ার কিছু নাই। ইংরেজির ছাত্র হিসেবে সে তো দেখলাম ইংরেজিতে একখান উপন্যাস লিখতাছে)। কিন্তু ইংরেজির ছাত্র ও শিক্ষক সেসব লেখকরা লেখালেখি করছেন সব বাংলায়।
কপি-পেস্টের ময়দান বাংলায় এখনও ফকফকা, তবে ইংরেজি অহন অনেকেই পড়বার পারে-অন্য কোনো ভাষা হইলে ধরা না পড়াটা নিশ্চিত হয়। হুমায়ূন আজাদ একবার এই নিয়া অনেক হট্টগোল করছিলেন। শনিবারের চিঠি খোদ বুদ্ধদেব বসু সম্পর্কে কী কইছিলো মনে আছে তো? “এতোদিন না জেনে শুনে বুদ্ধদেব বসুকে আমরা অনেক প্রশংসা করেছি কিন্তু ইদানীং ধরা পড়েছে তাঁর লেখার যেটুকু ভালো তা সবটুকুই ইংরেজি থেকে অনুবাদ মাত্র। তবে একথা স্বীকার করতেই হবে যে, বুদ্ধদেব বসু ভালো ইংরেজি জানেন”।
বস্তুত বয়স আর উচ্চতায় মিল থাকলেও আবু আলীর সাথে এই শিশুটির আর কোনো মিল নেই। এর নাম জালমান বেগিন, এ ইহুদি ধর্মের এবং পড়ে একটা ইহুদি ফেইথ স্কুলে। এর দুজন একই বাস ধরেই স্কুলে যায় প্রতিদিন। কিন্তু তাদের দৃষ্টি বিনিময় কখনও কথাবার্তার পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছায়নি। আজ বাস সংকটের কারনেই ওদের কথা হয়ে যায়। তারা যুগপত্ আবিষ্কার করে পোলের উপরের দিকের নোটিশটি। ভিন্ন বাসে স্কুলে যাওয়ার চেষ্টা করতে অনাগ্রহ দেখায় দুজনই। কিন্তু বাসায় ফিরে যেতেও দুই শিশুর কেউই ইচ্ছুক না। তখন আবু আলীই প্রস্তাবটা দেয় আর জালমান বিনা বাক্যে রাজি হয়ে যায়। তাদের ধর্ম পরিচয় তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। তাদের পোষাকের রং তাদেরকে আলাদা করে রাখতে পারে না। তারা ঠিক করে দূরে চার্চের যে বিরাট মাঠ সেখানে আড্ডা মেরেই তারা স্কুলের সময়টা পার করে দেবে।
মন্তব্য
এইক্ষনে কারিগরের মুল উদ্দেশ্য নিয়ে ও পাঠক প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকে ।
কারিগর কি গল্পবলা/লেখার কলকব্জা পাঠকের সামনে খুলে দেখাতে চান নাকি অন্য গল্পকারদের নাড়িভুড়ি হাড় ও মাংস আলাদা করে উপস্থাপন করতে চান?
যাদুবাস্তবতা কি? পরাবাস্তবই বা কি? রিয়েলিটি,সুর্যায়িলিটি,ম্যাটারিয়েলিটি এইসব লিটারেটি কি প্রায় ইললিটারেট পাঠককে আন্তরিক ভাবেই শিখাতে চান নাকি অন্য যারা এইসব আমদানীর ব্যাবসা করেন তাদের আড়তের গোপন খবর ফাঁস করে দিতে চান?
সন্দেহ জেগেই থাকে ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই পর্বে এসে একটু থমকে দাঁড়ালাম। বোঝার চেষ্টা করতেছি বিগ.সি কোথাকার জল কোথায় গড়াইতেছেন?
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
জমছেরে !!!
হেভী লাগছে পড়তে, বসিক!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বাস্তবতা না জানার এই ফাঁকটা ভইরা দেওনের জন্য আছে এক নয়া হাতিয়ার এর নাম যাদুবাস্তবতা। বাস্তবে-অবাস্তবে ভুলভাল প্যাঁচ লাগায়া দিয়াও আমি পার পায়া যাবো। কারণ বাস্তবে এরম ঘটবে কিনা সেই বিতর্ক তুইলা আমারে কেউ আটকাতে পারবে না। যাদুবাস্তবতার হাতে যাদু আছে।
হাসান মোরশেদ উপরের এই অংশ নিয়ে চিন্তিত মনে হচ্ছে। বিস্ময়ে তিনি এমনি বিঁধে আছেন। এখন সন্দেহ নিয়ে পড়েছেন। তিনি মূল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমার ধারণা এসএম৩-র গল্পালোচনা মূলক পোস্ট পড়ার পর তিনি আমার এই লেখা পাঠ করেছেন। তবে পাঠক হিসেবে তার ধারণাকে আমি অমূলক বলতে পারি না। আমার লেখা রচনায় নিশ্চয়ই সেরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পান।
ঝরাপাতা এই পর্বে এসে থমকেছেন। তা আমার লেখা পড়ে না হাসান মোরশেদের মন্তব্য পড়ে বুঝা কষ্টকর। গল্প পড়ে যদি হয় তবে বলতে চাই আপাতত: মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান তিনটা ধর্ম চলে আসছে প্লটে। থমকে যাওয়ার মতই অবস্থা।
শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমার কিন্তু পড়তে ভালো লাগতেছে না। ব্যাপারটা কেন সেটা বলি। একটা ছবি দেখতে বসছিলাম। ডিভিডিটা এমন ভাবে করা যাতে ছবির পাশাপাশি ছবি মেকিংটাও দেখানো হচ্ছিল। অনেকটা কলকব্জা সহ ছবি বলা যায়। এতে মুল গল্পটা ধরতে খুবই বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছিলাম।
এখানেও একই সমস্যা। আপনি নিশ্চয়ই প্রথমে গল্পটা লিখে নিয়েছেন পরে কলকব্জা বসিয়েছেন। সেভাবেই আমরা যদি গল্পটা পড়ে পুরোটা মাথায় নিয়ে বসতে পারতাম তাহলে বোঝা যেত।
যদিও উপযুক্ত আলোচনার পরই গল্পের সঠিক অংশটা জানা ভাল - আগে নয়; তবু কলকব্জা সহ গল্পটা আরো বোধগম্য হতো তখনই যখন পাঠক গল্পটা আগে ভাগে পড়ে এসেছে। অন্ত্যতঃ আমার ক্ষেত্রে এটাই হয়েছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সালাম এসএম৩। আমিও এই কথা বলতে চাই। পড়তে ভাল লাগতেছে না। কিন্তু বলতে পারি না। কিন্তু আপনি তো সচলের মা-বাপ, আপনার কাছে ব্যান করে দেয়ার অস্ত্র আছে আপনি তাই সাহস করে বলতে পারলেন। গল্পের মধ্যে কলকব্জা ছড়ায়ে ছিটায়ে দিলে পড়তে বিরক্ত লাগে। ডায়াল ছাড়া ঘড়ি একটা ফ্যাশন হইতে পারে। কিন্তু দুনিয়ায় সবাই তো আর ডায়াল ছাড়া ঘড়ি বানাইতে যাইবো না। তাছাড়া কলকব্জা যদি বাইরে দেখাই যায় তয় কারিগরের কেরামতি রইলো কই।
এইসব যে আমার ভাল লাগে না, কেন লাগে না, লাগতে অসুবিধা কই এর একটা আত্মানুসন্ধান হইলো এই কলকব্জাসহ গল্প। অবশ্যই কোনো লেখক গল্প থুইয়া অন্য কথা এত পাড়ে না। আমি একটু বেশিই কইছি। একজাজারেশন না করলে তো আপনারা এই গল্পের জন্যই হয়তো পোস্ট-মডার্ন রাইটার টাইটেল দিয়া দিতেন। তাই কলকব্জা একটু বেশি দিছি। পরের পর্বে একটু কম করে দেব। তার পরের পর্বে মিশায়া দেব যাতে ধরতে না পারেন, কোনটা কলকব্জা আর কোনটা গল্প। (আপনার হুমকিরে আমি কেয়ার করি না।)
এইবার আপনার মন্তব্যে আসি। ডিভিডি কোন ছবির দেখতেছিলেন। নাম কন। এর দশ মিনিট ইউটিউবে দেওন যায় না। দেখতাম।
না গল্পটা আমি আগে লেখি নাই। আমার গল্পের আসলে দুইটা পার্ট। একটা গল্প আর আরেকটা কলকব্জা। আপনি তো গল্প সমালোচনায়ও হাত পাকাইতাছেন তাই কইলাম। এই দুই ভাগ নিয়া আমি একসাথে আগাচ্ছি। গল্পটা নিয়া লেখক মনে মনে কী ভাবতেছে সেই গল্পটাও এখানে জুড়ে দেয়া হয়েছে। সাধারণত: লেখকরা সাহস কইরা এই অংশটা দেয় না। তাদের বাহাদুরি লোকে বুঝে ফেলবে। কিন্তু আমার অত হিসাব ভালো লাগে না। আমার পর্দা তোলা নাটকের মঞ্চ ভালো লাগে। তাই এইখানেও পর্দা তোলা।
তো গল্পটা কি আগে যাইতো না আর?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এইটা কি কইলেন বস!!! আমি একটু পট পট বেশী করি সে আগের ঘরে থেকেই জানেন। খালি কলসী বাজে বেশী সেতো পুরান কথা।
ব্যান করে দেয়ার অস্ত্র আসলে আমার হাতে নাই। আমি হইলাম অস্ত্র নির্মাতা। অস্ত্র নির্মাতারা অস্ত্রের ব্যবহারকারী না সেইটা তো সবার জানা।
কি যে কন? আগাবে না মানে? দুর্দান্ত গতিতে আগাক। আপনাদের এই এক্সপেরিমেন্ট গুলা যে কি এনজয় করি, কি বলব। মধু পাগলার মত মাথায় হাত বুলাই আর বউরে বলি, 'আমি কবে এত বড় হব রে মানু!'
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন