চেনা ইতিহাসকেই নতুন করে প্রতিষ্ঠা করলো ছাত্ররা। জানা সত্যকে নতুন করে জানালো। কী সেই ইতিহাস? কী সেই সত্য?
বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এই মাটির ছাত্ররাই এগিয়ে আসে সবার আগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। পত্রিকার পাতায় নাম এসেছে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জগন্নাথ, শেরেবাংলা, শাহজালাল, ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নিশ্চয়ই প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। ঢাকা শহরের সিটি কলেজ,ঢাকা কলেজের ছাত্রদের প্রতিবাদের কথাও এসেছে।
কিন্তু অনেকের মত একটি বিষয় আমার দৃষ্টি এড়ায়নি। সেটি হচ্ছে, প্রতিবাদের এই তালিকায় আমি কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখিনি। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম কোনো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই কি প্রতিবাদ করেননি তাহলে?
কেন?
তাহলে কি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দু'জাতের ছাত্র?
তবে কি ভিন্ন জাতের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন রকম শিক্ষা পায় ছাত্ররা?
এনজিও বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক বা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের নামও তো দেখিনি।
কাকে দায়ী করবো?
এসব বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার পেছনে তবে কি এরকম নির্জীব মানুষ তৈরির ষড়যন্ত্রও ছিল?
নাকি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা দেশের ভবিষ্যত নিয়ে থোড়াই কেয়ার করে?
যারা প্রতিবাদে প্রতিরোধে দেশের ইতিহাসকে সচল রাখলো সেসব তরুণ শিক্ষার্থীদের যদি ছাত্র বলি, তাহলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকেও কি একই সংজ্ঞায় ছাত্র বলা যাবে?
মন্তব্য
সবাইকে এত মোটা দাগে ফেলেন কেন রে ভাই? সরকারী প্রতিষ্ঠানের ছাত্র মানেই দেশপ্রেমী, আর বেসরকারী মানেই অদেশপ্রেমী? হিসাবটা চাইলেও এত সহজ না। হাজার হাজার স্টুডেন্ট এখন পড়ে সে সব প্রতিষ্ঠানে। এরকম সরল স্টেরিওটাইপ কারো ব্যাপারেই করা যায় না। আর সব আলালের দুলালও না, অনেক মধ্যবিত্তের পোলাপানও পড়ে এখন ওইসবে, বাবা-মা জীবনের সঞ্চয় খরচ করে পড়ায়। পাবলিকের গাড়ি পোড়ায় নাই বলেই তারা কাপুরুষ হয়ে যায় না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
শুধু গাড়ির কথা আসছে কেন? আর মধ্য/নিম্ন বিত্তের কথাও বলা হচ্ছে না। প্রশ্ন হল তারা কেন অন্যান্য সাধারন ছাত্রছাত্রীদের সাথে এককাতারে আসতে পারে না? আর সেই এককাতারে আসার পথ কিন্তু শুধুমাত্র গাড়ি পোড়ানোই নয়,আরও অনেক পথ আছে। কোন পথেই তাদেরকে কখনও দেখা যায় না। এইটাই মূল প্রশ্ন।
মানতে পারলাম না, আলি ভাই। এই আন্দোলনে হয়তো শরিক হয় নাই। কিন্তু অনেক ভালো activity আছে যেইটা হয় তো মিডিয়া ফলাও কইরা প্রচার করে না, কিন্তু ওদের পোলাপান করার চেষ্টা করে। সবাই হয়তো না কিন্তু কেউ কেউ। সেইটা বন্যার ত্রানের টাকা উঠানো বলেন, শীতের বস্ত্র কালেকশান বলেন অথবা বনায়ন প্রোগ্রাম বলেন, খোঁজ নিলে সব কিছুর বাস্তব গল্পই শুনবেন। এমন কি সিলেটের বনে বা প্রত্যন্ত টাঙ্গুয়ার হাওড়ে গিয়া সেইখানের দুষ্প্রাপ্য পশুপাখীর শুমারি বলেন, এমন কাজের ঘটনাও শুনছি। (শেষোক্তটার সুপারভাইজ করছে প্রাইভেটের এক জীববিজ্ঞানের প্রফেসর যারে হাল্কা চিনতাম।)
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সুবিনয়, বিনয় সহকারেই বলি, আপনার এই কথাগুলো ড. ইউনুসের মত শোনাচ্ছে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দারিদ্র্যমুক্তির মতো।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
SMC,
first'e koilen Ora kisu korey na.
kintu ora kisu korey othoba korar cheshta korey, tar example jokhon dilam, tokhon kon, beshi khudro hoiya gesey.
sorry bhai, khoma koira diyen Oder, there is no way of pleasing you...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
কোথায় বললাম্ ওরা কিছু করে নাই।
কপি করে এখানে একটু দিন তো।
কোথায় বা বল্লাম ক্ষুদ্র হয়ে গেছে।
আপনি দেখি আমার মুখে আপনার পছন্দমত কথা বসিয়ে দিতে চান।
কেন ভাই সুবিনয়।
পোস্টটা দয়া করে পড়ুন আরেকবার। পড়ে দেখুন, আপনি মনে মনে যা ভাবছেন তার কিছুই আমি লিখিনি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
দাগটা কি মোটা করে দিলাম, সুবিনয়? আপনারা না হয়, যুক্তির ইরেজার দিয়ে ঘষে ঘষে দেখিয়ে দিন যে আসলে দাগটা অনেকটা চিকণ। তেমন পার্থক্য নাই এই দুই ধরনের মাঝে। সবাই দেশের ছাত্রই।
আমি (হয়তো আমার সাথে আরো কেউ কেউ) বুকে আশা পাই....
মোটা বলেন, চিকণ বলেন আমি কিন্তু কোনো মন্তব্য করিনি সুবিনয়। শুধু প্রশ্ন করেছি। যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন মনে জাগা স্বাভাবিক। প্রশ্ন তো করতে হবে, নিশ্চিন্ত হতে চাই সুবিনয়।
নীচে বাকীদের আলোচনাগুলোও পড়ুন সুবিনয়।
সমাজ, দেশ ও মানুষের চিন্তা সময়ের সাথে বদলায়। আমরা মানুষের সাথে সেই সংযোগ হারিয়ে ফেলেই সম্ভবত: বুদ্ধিজীবি হই। আপন আপন সার্টিফিকেটের মাপ অনুযায়ী সুশীল বুদ্ধিজীবি।
তখন আমরা তত্ত্ব বুঝি, অর্থনীতি বুঝি, পুঁজিবাদ বুঝি, উন্নয়ন বুঝি, বিশ্বব্যাংক বুঝি, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বুঝি...শুধু জনগণ বুঝি না।
(আপনার মন্তব্যের জবাবে আবারও বলি আমি কোনো স্টেরিওটাইপ ক্লাসিফিকেশন করিনি, প্রশ্নটা তুলেছি মাত্র। অন্যদের আলোচনার জন্য। সে আলোচনায় আপনিও অংশ নিয়েছেন, ধন্যবাদ।)
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মনে হয় একটু মোটা দাগে ফেলে দেয়া হচ্ছে ,,
একটা সমস্যা হচ্ছে, প্রাইভেট ইউনি'র ক্ষেত্রে অনেক বাধ্যবাধকতা আছে ,,যেমন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ হয়ত ক্যাম্পাসের ভেতরে ছেলেমেয়েদের অত সহজে একত্র হয়ে আন্দোলন করতে দেবেনা ,,আর ক্যাম্পাস বলতে সেখানে যেহেতু কয়েকটা বিল্ডিংই বোঝায়, ছাত্রছাত্রীদের কন্ট্রোল করা সহজ ,,এখন প্রশ্ন আসতে পারে ইউনি কর্তৃপক্ষ কেন দেবেনা ,,,ইউজিসি'র খড়গ একটা আছে ,,আজকে নর্থসাউথের সামনে পাবলিকের গাড়ী ভাংচুর /গোলমাল হলে কাল সেজন্য নর্থসাউথকে যতটা জাবাবদিহি করতে হবে ঢাবিকে সেটা করতে হয়না ,,,এই সুবইধাটা পাবলিক ইউনিতে আছে
আরেকটা পয়েন্ট হলো ছাত্রহল ,,হলে কাছাকাছি থাকায় পোলাপান ইউনাইটেড থাকতে পারে ,,, ফোন করে করে জড়ো করা সম্ভব না
তবে বস্, পাবলিক প্রেইভেট লাইন টানা যায়না মনে হয় ,,, বুয়েট/মেডিকেলের পোলাপান কিন্তু অত সহজে এইসব আন্দোলনে আসেনা ,, তারা কিন্তু নিজেগো ইন্টারনাল ব্যাপারে আবার ভালই লাফঝাঁপ করে
তবে গতকাল এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ঢাকার কয়েকটা শপিংমলে ভাংচুর/লুটপাটও হইছে ,,
এটলিস্ট, বিশৃবিদ্যালয় ছাত্রদের এই গাড়ী পোড়ানোর কালচারটা বাদ দেয়া উচিত ,,
আন্দোলন আরো অনেক ক্রিয়েটিভ ভাবে করা যায়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ক্রিয়েটিভিটি সৃষ্টি আর দেখানোর মত সুযোগ তো রাখতে হবে, জ্বিনের বাদশা।
প্রতিপক্ষ ক্রিয়েটিভ হলে না আপনার প্রতিবাদ ক্রিয়েটিভ হবে।
ঘুষি বাগিয়ে আপনাকে তাড়িয়ে আসলে আপনি নিশ্চয়ই আপনার বিপক্ষকে কবিতা শুনিয়ে নিরস্ত করতে চাইবেন না।
প্রতিবাদের ধরণই বলে দেয় দেশে কোন ধরণের সরকার ক্ষমতায়। (ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার নিউটনের সূত্র এখানে প্রয়োগ করতে পারেন।)
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ঢাবিতে যা হয়েছে তার সূত্রপাত সামান্য একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে। এটা জাতীয় কোন ইস্যু নয়। আমি মনে করিনা এটা সামরিক বাহিনীর প্রতি অনাস্থার বহি:প্রকাশ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যারা থাকেন বা যারা সেখানে পড়াশুনা করেন বা করেছেন, তাদের মধ্যে একটা বিশেষ অনুভূতি কাজ করে। সেটি হল স্বাধীনতার অনুভূতি, অপরাজেয় অনুভূতি, উচ্ছলতার অনুভূতি। যে অনুভূতি অপমানিত হতে জানেনা, যে অনুভূতি কারো বশ্যতা মানতে চায়না। এটি আরো বেশি করে সত্যি তাদের জন্য যারা ক্যাম্পাসে থাকে। ক্যাম্পাসের বাইরের মানুষ এটা কখনোই বুঝবে না।
আন্দোলন যেটা হয়েছে তা ছাত্রদের ব্যক্তিত্বের প্রতি আঘাতের ফলস্বরূপ। আর্মি ক্যাম্প যখন হয় তখন কিন্তু ছাত্ররা কোন বিক্ষোভ করেনি। অন্য সবার মত তারাও স্বাগত জানিয়েছে সেনাসমর্থিত শাসন ব্যবস্থাকে। কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের উপর আঘাত মানবে কেন? তা সে আর্মি হোক বা পুলিশই হোক। ছাত্ররা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে গাড়ি ভাঙা কোন যৌক্তিক কিছু হতে পারে না। যারা ধনী লোকের গাড়ি ভাংলে কিছু হয়না বলে আত্নতৃপ্তির ঢেকুর তোলেন তারা নিজেরাও এটা বোঝেন।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যারা যায় তাদের বিশেষ কতগুলো উদ্দেশ্য থাকে বলে আমার মনে হয়। প্রথমত, তারা দ্রুত পড়ালেখা শেষ করতে চায়। দ্বিতীয়ত: তাদের মধ্যে একটা বিষয় কাজ করে তা হল যেকোন ভাবেই হোক একটা ডিগ্রী নিয়ে বা ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিদেশে পাড়ি জমানো। এদের থাকেনা কোন ক্যাম্পাস, কোন ডর্ম। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার তা হল অনেকগুলো টগবগে মানুষ যখন একসাথে হয়, আর তাতে যদি বিষ্ফোরণ হয় তার এফেক্ট বা আউটবার্স্ট হয় ভয়াবহ। প্রাইভেটে যেটা একেবারেই অনুপস্থিত। তারাও সুযোগ পেলে এধরনের আন্দোলনে শরিক হত বলে মনে হয়। কমপক্ষে তারা সমর্থন দেয় বলেই ধরে নেব।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রধানত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্ররা যতটা সময় দিয়েছে বা আন্দোলনের রসদ যুগিয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তো নয়-ই, বুয়েটের অবদানও কি খুব বেশী? কেন তা হয়নি এর উত্তর খুঁজলেই "দেশের সব ছাত্ররাই দেশের ছাত্র" কী-না তা বোঝা যাবে। দেশপ্রেম তো অনেক দূরের ব্যাপার।
আলোচনাটা ইনিশিয়েট করার জন্য বিগ সি কে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোমচৌ চমৎকার হাইপোথিসিস। তবে এটি অনেকাংশেই সঠিক যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে সরব সাহসী ততটা সাহসী না প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সকালবেলা হল থেকে মিছিল করতে করতে ক্লাশে আসে। মিছিলের ফাঁকে ফাঁকে সময় পেলে ক্লাশ করে।
আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই কাঁধে ক্যাম্পাসে যায়। যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তির চর্চা নেই তাই কারো ব্যানারে আন্দেলনের সুযোগ তারা পায়না। সেকারনে হয়তো রাজপথের ট্রেনিং পায়নি।
তবে অনেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটে এবং ব্লগে সমর্থন দিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি । এবিষয়টি্ও বিবেচনায় আসা উচিত।
---------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটির একটু দালালি করি, কারন আমি প্রাইভেট ইউনির ছাত্র ছিলাম।
কেন প্রাইভেট ইউনির ছাত্ররা আন্দোলনে শরিক হয় না -
১. প্রাইভেট ইউনিতে দুই ধরনের ছাত্র পড়াশুনা করে, এক যাদের বাপের অঢেল সম্পত্তি আছে আর অন্যপক্ষের হাতে প্রাইভেট ইউনিতে পড়ানোর মতো পয়সা আছে। দেশের কি এলো গেল প্রথমপক্ষে তাতে কিছুই যায় আসে না, আর দ্বিতীয়পক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পড়াশুনা করে বাপকে উদ্ধার করতে চায়।
২. পাবলিক ইউনিতে সমমনা অনেক ছাত্রছাত্রী একই সাথে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয়, যার ফলে যে দৃঢ় বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তা প্রতি সেমেস্টারে ক্লাসের বদলে যাওয়া ছাত্রে হয়ে ওঠে না।
৩. অনেকক্ষেত্রেই গ্রেড হারানোর ভয়ে প্রাইভেটের ছাত্ররা ক্লাস ব্যাং মারা থেকে বিরত থাকে।
৪. রাজনৈতিক নেতার পাবলিক ইউনিকে হাতিয়ার করতে ভোলেন না আর নিজের ছেলে পড়ে বলে রাজনীতির ছায়াও পড়তে দেন না।
৫. হোষ্টেল, ক্যাফে, ক্লাস, লাইব্রেরী - সব বলতে ওই দুটো বিল্ডিং। কিসের মিটিং, কিসের মিছিল!
৬. প্রাইভেটে পড়া ছাত্ররা সবসময়ই নিজের হীনমন্যতায় ভোগে, কি করবে পয়সার বিনিময়ে যে পড়তে এসেছে! টাকা বিনিময়ে সার্টিফিকেট কিনি - বলতে পারেন ১৭০০ ( ৮৭৬ + ৮২৪ ) পেয়েও প্রাইভেটে পড়েছি শুধু কম্পিউটারে পড়ার জন্য প্রাইভেটে ভর্তি হয়েছি তবুও কেন প্রাইভেট ইউনির স্টুডেন্ট র্মাকাটা পিঠে থেকেই গেল।
দেশের জন্য ভালবাসা সবারই আছে, কেউ প্রকাশ করতে পারে, কেউ পারে না।
--------------------------
My Workspace - Business Promotion Directory
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রের অবস্থান থেকে হাসানের বিশ্লেষন ১০০% ঠিক। তবে শোমচৌ এর কথার গূঢ়ার্থ মনে হয় অনেকেই বুঝতে পারেন নাই। আগে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিরোধ হতো তখন তার সাথে একাত্ম হতো, অন্তত মানসিকভাবে সমগ্র ছাত্রসমাজ । প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিকে এই দেশে যারা উৎসাহিত করেছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই সামগ্রীকতায় ফাটল ধরানো। এখনো পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই মেইনস্ট্রীম (কারণ বাংলাদেশ এখনো অত উন্নত হয়নি যে বৃটেনের মতো শুধু অ্যারিস্টোক্র্যাটদের নাগালে উচ্চ শিক্ষা থাকবে(। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো গড়ে উঠেছে এই মেইনস্ট্রীমের প্যারালাল একটা ছাত্রসমাজ তৈরী করার উদ্দেশ্যে যাদের মধ্যে ছাত্রজীবন থেকেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্যের মনোভাব গড়ে উঠবে। এই গেমপ্ল্যানের জন্য অবশ্যই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বা তাদের অভিভাবকেরা দায়ী নন। গ্লোবাল পলিটিক্সের একটা চাল। প্রান্তিক রাষ্ট্রে সামরিক বা সামরিক ধরনের সরকার টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের উৎসগুলো বন্ধ করা জরুরি। ট্রেড ইউনিয়নগুলো লুম্পেনাইজড করে শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ শ্রমিক আন্দোলনের প্রশ্নটি সরাসরি পেটের সাথে জড়িত। কিন্তু ক্যারিয়ারের টোপে ছাত্রসমাজকে হাতে রাখা যেতে পারে। আর সেইজন্য শিক্ষা সঙ্কোচন জরুরি। অত্যন্ত দু:খজনক হলেও সত্য, মধ্যবিত্ত অভিভাবকরা যে অবস্থান থেকে আজকে অনেকেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের রাজনীতি ততটা সুন্দর নয়।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এই আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকতো সুমন, যদি আপনি এই মন্তব্যে অংশগ্রহণ না করতেন। ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
হাসান, আপনার মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ। বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক উঠে এসেছে আপনার মন্তব্যে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি কিছুদিন।
আর এতো আমাদের বাংলাদেশ। চোখের সামনে গড়া ওঠা জিনিসগুলোর রসায়ন বুঝবো না?
একই ছাত্র দুই ইনস্টিটিউশনের অধীনে গেলে দুইরকম আচরণ করে, করছে।
আমার মূল প্রশ্নটা ছিল সেদিকেই আপনাদের মনোযোগ আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি তাহলে এই ষড়যন্ত্র মাথায় রেখেই সৃষ্ট?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোমোচৌ আপনি একটা সময়োপযোগী বিষয়কে সামনে এনেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কারণে এই আন্দোলনের সূত্রপাত, কোনো প্রাইভেট ভার্সিটিতে কি একই ব্যাপারে সমান প্রতিক্রিয়া হতো?
হতো না।
যে প্রশ্নটা উঠে এসেছে তা হলো, কেন প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্ররা পাবলিক ভার্সিটির ছাত্রদের মত নানা সময়ে নানা আন্দোলনে শরীক হয় না।
প্রধান সমস্যাটা কি?
এর উত্তর আমি যা বুঝি,তা হলো 'গোড়ায় গলদ'। প্রাইভেট ভার্সিটির বাংলাদেশীয় রূপটা ১০০ ভাগ ব্যবসা কেন্দ্রিক। শিক্ষা এখানে পণ্য। এটা একটা বাজার। সুতরাং বাজারে সবাই কেনা-বেচায় ব্যস্ত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব আর মানবীয় গুনাবলী বিকাশের দায়িত্ব বা ব্যবস্থা কোনোটাই এখানে নেই। তবু এখানে থেকে যারা ভালো করছেন, আমি বলবো সেটা তাদের নিজের প্রচেষ্ঠায়।
প্রাইভেট ভার্সিটিতে কখনো সেনা ক্যাম্প বসবে না, কারণ তার প্রয়োজন নেই। কারণ সিলেবাসের বাইরে পড়াশোনার বাইরে প্রতিটা ছাত্রের যে অন্য একটা জীবনের জন্ম, বিকাশ আর লালন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ঘটে সেটা প্রাইভেটে পাওয়া যাবে না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র ততক্ষণই ছাত্র থাকে যতক্ষণ সে সেই বিদ্যালয়ের বিল্ডিংটাতে থাকে।
কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাসে, হলে, মিছিলে,মিটিংয়ে একজন ছাত্র লালিত হয় চব্বিশ ঘন্টা।
হলগুলোতে যখন স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, লেনিন, মার্কস, তারকাভস্কি, বব ডিলান, তখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় জোড় ক্লাশনোট আর ইন্টারনেট, কম্পিউটার।
আমি বলছি না প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই এরকম। কিন্তু ব্যতিক্রমীরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোডাক্ট না, তারা নিজারাই নিজেদের প্রডিউসার। এই ক্রেডিট তাদের নিজস্ব। তারা ভাগ্যবান।
স্বাধীনচেতা- এই শব্দটা চার বছরের মধ্যে গ্যারান্টেড সার্টিফিকেটের বিনিময়ে ভুলিয়ে দেয়া হয় প্রাইভেটে।
পাবলিকে আমি ছাত্র হয়ে পড়ি, আড্ডা দেই, মিছিলে যাই, প্রেম করি, ঘুমাই, পাতলা ডালে ভাসি, গেট আটকাই, বক্তৃতা দেই, নাটক করি, খেলি, খেলা দেখি - ছাত্র হয়ে বাঁচি। প্রাইভেটে ক্লাশ আর পরীক্ষার বাইরে সে সুযোগ কই?
মোটা দাগ তো এটাই, চাইলেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জীবন দিতে পারি, কিন্তু আমি যদি হই প্রাইভেটের- সেটা কি সম্ভব?
ফাহা, আপনার মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। পড়তে পড়তে গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেল।
-----------------------
জানেনিতো, ইহা নিতান্তই নিজস্ব মতামত
ফার্মের মোরগের টার্মটা মনে পড়ে...
( রাজু, চেরী এবং বৌসহ অন্যান্যরা মাপ চাই, এরচেয়ে ভাল কোন উদাহারন মনে আসছেনা )
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ফার্মের মুরগি-ছানা টার্মটা আমরাই শুরু করি। ফার্মের মুরগি খাওয়ার চলটা যখন দেশে চালু হলো তখন থেকেই। এখন তো ফার্মের মুরগির জমাট বাজার। এখনও নেতিবাচক অর্থে টার্মটা চলে দেখে বিস্মিত হলাম।
বৌয়ের কাছে মাফ চাওয়া ভালো অভ্যাস নজমুল।
তবে আমার বউ তো উত্তর-দক্ষিণের প্রথম বছরের ছাত্রী। সংবাদগুলো পড়ে যখন আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করলাম তখন ওই বললো একটা পোস্ট দিতে।
দোষটা বোধহয় ছাত্রদের উপরে যায় না। প্রতিষ্ঠানের উপরেই যায়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এইটা কি বল্লেন বড় মিয়া? নেতিবাচক টার্ম ইতিবাচক হয় কেমনে? এমন রিভার্সের ব্যবস্থা থাকলেত ফখরু মইন আরামেই থাকত
বউ এর কাছে আপনেও কি মাপ চান নাকি? ভাল। তয় আমারা দুজনেই ১৬ টাকার শিক্ষার্থি! সে এখন পেশার খাতিরে প্রাইভেট ইউনিতে কাটায় দিন তাই মাপ চাওয়া...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নেতিবাচক টার্ম ইতিবাচক হয় কেমনে?
হায় হায় নজমুল, এই উত্তর-আধুনিকতার বাদ্যের মধ্যে আপনি এই প্রশ্ন করতে পারলেন?
আমার বউ বা তার প্রজন্মের লোকজন শুধু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় দেখছে তা না তারা ফার্মের মুরগিও খেয়েছে। দেশি মুরগি না পেয়ে খেয়েছে তা না, ভালোবেসেই খেয়েছে।
দেশি মুরগিতে মাংস কম। হাড্ডি খটাখট। মাংসও শক্ত।
ফার্মের মুরগি এখন ভোজন রসিকদের কাছে অনেক প্রিয়।
পজেটিভ নেগেটিভ তো বদলাইতেই পারে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদের একটি ঐতিহ্য আর পরিবেশ আছে, যা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বাংলাদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ক'বছর হলো? এর মধ্যে ক্ষুব্ধ, যূথবদ্ধ প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে আহসানউল্লাহ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের, নিজস্ব সমস্যা নিয়ে তারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কিছুদিন আগে।
ওপরমহলে কিন্তু ছাত্রসমাজকে একটা মোটা দাগ দিয়ে ভাগ করার ব্যাপারে উৎসাহ আছে বলেই মনে হয়। এবং একটি ভাগ অপর ভাগের প্রতি একটি গোপন বিদ্বেষ লালন করেন বলেও মাঝে মাঝে মনে হয়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আহসান উল্লাহ আর স্ট্যামফোর্ডের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ছিল একেবারেই বেতন ও পড়ালেখার মান বিষয়ক। এটা পেটের দায়ের সাথে তুল্য।
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করতে হয়। এই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্রদের অনেকেই ক্ষেতের ধান বেচে টিউশন ফি দেয়। এদের সাথে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমের ছাত্র-ছাত্রীদের একটা শ্রেণী পার্থক্যও আছে।
ঠিক জাতির চিন্তা-চেতনার ধারক হয়ে প্রতিরোধে সড়কে নামার মত ঘটনা এখনও বোধহয় তারা ঘটায় নি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নতুন করে মনে হয় কিছু বলার নাই, মুকিত ভাই, সুমন, হাসান ভাই এবং অন্য সবাই চমৎকার বিশ্লেষণ দিয়েছেন।
আমি আমার মত করে একটা পয়েন্ট যোগ করি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও কিন্তু এই সুবিধাবাদী শ্রেণীটা আছে ভালোরকমেই। পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলনে বন্ধুকে এগিয়ে দিয়ে নিজে পেছন থেকে কেটে পড়বে আবার পরবর্তী জীবনে গিয়ে ওই পরীক্ষা পেছানোদের মুন্ডুপাত করবে। সৌভাগ্যক্রমে এই সুবিধাবাদী শ্রেণীটা পাবলিক ইউনিতে সংখ্যালঘু। আর সমস্ত রিস্ক থেকে পিঠ বাঁচিয়ে চলা নীতি এদেরকে ওই সময়টায় প্রমিনেন্ট হতে দেয় না। পরবর্তীতে সুযোগ পেলেই এরা সুফীসাধু সেজে সুবিধা নিতে চেষ্টা করে।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ঠিক স্টুডেন্টদের দাবিয়ে রাখা থেকে উদ্ভূত - এটাকে অবশ্য আমার সঠিক বলে মনে হয় না। এই সময়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে এভাবে ব্যবহার করা হতে পারে; কিন্তু উদ্ভবের কাহিনী সম্ভবত ব্যবসায়িক। অবশ্য দুটো বিষয়ের মধ্যে লিংক থাকাই স্বাভাবিক, নাটকের পাত্রপাত্রীর সিংহভাগই এ দুই সেটের ইন্টারসেকশন থেকে বাছাই করা যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
(Office'er machine'e Bangla font install kora nai, so Roman horof'e lekha'r jonno maaf korben)
Bhalo-mondo onek comment'i ashchey. Poira bhalo laglo. Onekey shorojontro'r kothao likhsen. Amar kasey money hoise ei kothagula ektu hoileo romantikota-doshey dushto. Simple kori aro.
Ekta pola 7 years porashuna koira 25-26 bosor boyoshey degree niya bair hoiya dekhey bortoman office-adalot'e tar degree'r kono daam nai. Rasta'e rasta'e CV niya ghurey, ar nam hoy Bekar. Bap-ma ha-hutash korey, polapan frustrated hoy, keu keu nesha'r dikey jae. Onno dikey private'er porashuna 4 yrs'e shesh, pola 22-23 hoilei ekta job'e dhuika jaite parey, bap-ma'r shongshar dekhte parey, family'r kotha chinta kortey parey.
Private uni tai ashchilo ekta bikolpo hishabey. Competition jinish'ta shikkhangon'e ashlei kharap hoye jae na. Biplob shobaire diya hoy na, keu keu shudhu bhaat khaiya bachtey chae. Tader dikey doya korey apnera naak shitkaiyen na. Tader bap-ma'ra private uni'te ditey agrohi, karon tara chae, pola'ta paash koruk taratari, session jot, hall bondho'te na bhuguk, ekta chakri paak. Money hoitese apneder kasey eishob oti-bourgeois chawa pawa'r kono daam nai. Tai puran amol'er biplobi'der moto modhhobitto manush'er asha-ichha'r proti shudhu oboggya ar naak shitkano.
P.S. SMC, apner shathe bitorko korar beshi ichha nai.. velvet'e dhaka baaka sarcasm jinish'ta bhallagena.
P.P.S. Shumon bhai, Britain'e uchho shikkha aristocrat'der nagal'er baire theke onek agei esheche. 2003 shaal'er BBC report, UK'r 45% young polapan university'te porey. Labour shorkar eita'ke 50% nitey chae. Ebong UK'te 100'r uporey university asey.
1. http://news.bbc.co.uk/2/hi/uk_news/education/3111130.stm
2. http://www.ukeas.com.tw/rankings.htm
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সুবিনয় মুস্তফী, আপনার সাথে আরো বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার। নতুবা আমাদের মাঝে মতের পার্থক্যটা কী প্রকারের তা স্পষ্ট হবে না।
আশা করি ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য চালাচালি থেকে এই পারষ্পরিক জানাশোনাটা কিছুটা হলেও হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে হয়তো শিক্ষা, পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা,শিক্ষার নামে বাণিজ্য, শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, জীবিকা অর্জনের যোগ্যতার জন্য শিক্ষা ইত্যাকার বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে পারবো।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সুবিনয় মুস্তফী, অফিসের মেশিনে ফন্ট ইনস্টল করে নিন না। ভবিষ্যতে তো অফিসের মেশিন থেকে অনেক তর্ক জমবে মনে হচ্ছে। বিদঘুটে রোমান হরফকে মুখের ওপর না বলুন :)।
হাঁটুপানির জলদস্যু
(১) একটা বিষয় যেটা আলোচনায় চোখে পড়লো না সেটা হচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা। ২/৩০০ থেকে ২/৩০০০ ছাত্র নিয়ে কতটা আন্দোলন করা যায় সেটা বিবেচনার বিষয়। এই অল্প ছাত্র নিয়েও যে আন্দোলন হতে পারতো তা হয়না কারন:
ক) সেমিস্টার সিস্টেমের কারনে এক সময়ে সব ছাত্র ক্যাম্পাসে সমাবেত থাকে না।
খ) একই কারনে বড় কোন গ্রুপ গড়ে ওঠেনা। ছোট ছোট গ্রুপেই আলোচনা আটকা পড়ে থাকে।
গ)ছোট ক্যাম্পাস
(২) প্রাইভেটে এক সেমিস্টার গোল্লা যাওয়া মানে ৪০,০০০ টাকা গোল্লা যাওয়া।
(৩) একটা গ্রুপ আছে যারা দেশে কি হচ্ছে তার খবরই রাখে না। সংবাদপত্র মানেই তাদের কাছে ডেইলি স্টারের সাপলিমেন্ট রাইজিং স্টার।
(৪) ছোটখাট আরও কিছু কারন আছে, যেগুলো আলোচনায় আগেই এসেছে।
সুমন ভাইয়ের কথার সাথে আমি একমত নই। আমদের অভ্যেস হয়ে গেছে সবকিছুতে একটা বড় পরিকল্পনা খুঁজে পাওয়া, কিছু ঘটলেই একটা গূঢ় ব্যাখ্যা বের করা। প্রাইভেট ভার্সিটি দিয়ে ক্যামনে সামগ্রীকতায় ফাটল ধরানো যাবে শুনি? কোন হিসাবে সেটা সম্ভব? ছাত্রদের শতকরা ৮০ ভাগ বা তার উপরে পাবলিকে পড়বে এবং এ নাম্বার বদলানো সম্ভবনা কোন কালেই।
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
অমিত আহমেদ, সুমন চৌধুরীর মন্তব্যটাকে আপনি যে ব্যাখ্যা দিলেন তাতে বিস্মিত হলাম।
আপনি বাইরে থেকে দেখা যায় এমন ছোট ছোট লক্ষণগুলোই শুধু দেখেছেন।
সুমন চৌধুরী দেখেছেন কাঠামোটাকে, ভিত্তিটাকে; সমাজবিজ্ঞানীর বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে।
সাদা চোখে এগুলো একটু খাপছাড়া লাগে হয়তো। আপনারও লেগেছে, কিন্তু এই আলোচনায় সুমন চৌধুরীর মন্তব্যটা আমার বিবেচনায় সব কথার শেষ কথা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আচ্ছা এ বিষয়ে আমার ভাবনাটা তাহলে একটু বলি। যদি ধরি সামগ্রিহতায় ফাটল ধরানোই প্রাইভেট-পাবলিক ভেদাভেদের কাজ তবে সেটা সম্ভব না। মেইনস্ট্রিম হিসেবে পাবলিক আছে, সেটাই থাকবে। নাম্বারগেমে প্রাইভেট পাবলিককে ছাড়াতে পারবে না কখনই। দেশে প্রশ্নহীন আনুগত্য সৃষ্টির জন্য পাবলিকের প্যারালাল ফিজিবল সলুউশন না। পূরাণ সিস্টেমেই সেটা করা সম্ভব। কিভাবে? আমেরিকান সিস্টেম থেকে একটা উদাহরণ দেয়া যায় -- ছাত্রদেরকে দেনায় ডুবিয়ে রেখে।
যাই হোক,আমার ভাবনায় ভুল থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে পরিকল্পনা করে এটা করা হয়েছে বলে মনে হয়নি। বরং করার পর এমন প্যাটার্ন খুঁজে বের করা সহজ হয়েছে।
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
আরেকটা কথা বলা দরকার। প্রাইভেট থেকে আন্দোলন জমাট না বাঁধলেও প্রাইভেট সবসময়ই একত্মতা জানায়। দেখাযাবে প্রাইভেটের অনেক ছাত্রও রাজপথে আছে পাবলিকের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
আরেকটা ব্যাপার। ঠান্ডা সময়ে প্রাইভেট কিন্তু পাবলিকের চেয়ে বেশি একটিভ। বন্যা হোক, ভূমিধস হোক, কিংবা মঙ্গা হোক, প্রাইভেটই কিন্তু সবার আগে যায়।
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
সাত মসজিদ রোডে ফোর সিজন্স রেস্টুরেন্টের আশে পাশে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় নাকি দুটো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছিলো।
ঠিক বিষয়টা কি তা জানলে বুঝা যেত কী ধরনের অংশগ্রহণ ছিল সেটা এবং কতটা অংশগ্রহণ করেছে তারা।
তবে গুলশান, বনানী, মহাখালী, বসুন্ধরার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বোধহয় অংশগ্রহণ করেনি।
সরকার কি সেইসব বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবে?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
UODa, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস, নর্দানের ছাত্ররা আন্দোলন করেছে, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। বিডি নিউজে বিস্তারিত পাবেন।
এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে অভিনন্দন।
কিন্তু তারা কি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়দের মাঝে ব্যতিক্রম হিসেবে চিহ্নিত হবে? অন্য কোনো বিশেষ কারণ কি ছিল?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
বেসরকারী ও সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যে আলাদা বিষয় তা নিচের এই সংবাদে কিছু পরিষ্কার হয়।
শাহবাগের আজিজ মার্কেটের উপরে বাস করা ছাত্রদের পেটানোর বিষয়ে বিডিনিউজ২৪ এর সংবাদ অংশ:
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, তিনি থাকেন ভবনটির ৮ তলায়। সেখানে তার সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া আরও দু'জন থাকেন। বুধবার হল খালি করে দেওয়ার পর তার দুই রুমমেটের তিনজন বন্ধু এখানে এসে ওঠে।
তিনি বলেন, "সকাল সাড়ে ১০টায় সেনাবাহিনীর দুই সদস্য আমাদের দরজায় এসে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমরা দরজা খুলে দিলে জিজ্ঞেস করে এখানে কে কে থাকে, কোনও ছাত্র থাকে কি না? এরপর তারা আমাকে বাদ দিয়ে সবাইকে ধরে নিয়ে যায় চার তলায়। চারতলায় যাওয়ার আগে তারা আমার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া দুই রুমমেটকে ছেড়ে দেয়। ওই তিনজনকে তারা চারতলায় নিয়ে উপুড় করে বেধড়ক পিটায়। এখনও তারা হাটতেও পারছেন না। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট আর ঢাকা কলেজের যেসব ছাত্র পেয়েছে তাদের সবাইকেই বেধড়ক পিটিয়েছে। অন্তত ১০০ ছাত্রকে তারা অমানবিকভাবে পিটিয়েছে।"
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এ বিষয়ে কিছু পড়াশোনা করে আমার পূর্ব মতামত প্রত্যাহার করলাম। বদ্দার কথা যুক্তিসঙ্গত... একই থিওরি পশ্চিমাদেশ গুলোতেও কাজে লেগেছে।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন