নাজমুলের পর নাঈমুল। দু'জনের মধ্যে মিল যেমন আছে পার্থক্যও আছে অনেক। বড় পার্থক্য একজন এখন কারাগারে এবং অন্যজন দাপটের সাথে সরকার ও জনগণকে নিজের দৈনিকে রচনা লিখে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
তবে দু'জনের যে মিলটি এ লেখার বিষয়বস্তু তা হচ্ছে দুজনই সেনাপ্রধানকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চান। নাজমুল হুদা রাষ্ট্রপতি পদটাই সেনাবাহিনীকে দিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। আর নাঈমুল আপাতত: বর্তমান সেনাপ্রধানকে কেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি বানানো উচিত তার সপক্ষে প্রথম রচনা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন।
রচনা পড়ে বুঝা যায় বড় পেরেশানিতে আছেন নাঈমুল ইসলাম খান। তার আহাজারির কারণ হচ্ছে, এই সরকার যদি নির্বাচন করে ২০০৮-এ চলে যায়, তাহলে সংস্কারের কি হবে, দুর্নীতি দমনের কি হবে - এ নিয়ে তিনি খূবই উদ্বিগ্ন।
নাঈমুল জেনারেল মইনকে রাষ্ট্রপ্রধান বানাতে নাছোড়বান্দা। তিনি লেখেন:
জেনারেল মইন উ আহমদ যদি রাষ্ট্রপতি হতে কিছুতেই রাজি না হন, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সহজ উত্তরণ এবং সংস্কার প্রয়াসে বড় সফলতা পাওয়া দুরূহ হতে পারে। চলমান সংস্কারে পূর্ণ বিশ্বাসী ও সকল মহলে গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর রাষ্ট্রপ্রধানের সন্ধানে আমাদের বিশেষ যত্নবান হতে হবে।
রাষ্ট্রপতি হতে একেবারেই রাজি না এমন লোককে এত সাধাসাধির কী কারণ তা নাঈমুল পরিষ্কার করে বলেন না কোথাও। কী কী কারণে নাঈমুলের ধারণা হলো সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতির জন্য অপরিহার্য তা আমাদের জানা হয় না। নাঈমুল অনেক আশায় বুক বেঁধে তার রচনায় লিখেছেন:
তিনি যদি আগামী সংসদ নির্বাচনের এবং সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর একজন অরাজনৈতিক রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। বরং তাহলে বর্তমান সংস্কার আন্দোলন সফল করার এবং নতুন ধারার গণতন্ত্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে। এটা এখন পরিস্থিতির দাবি।
(মোটা অংশটুকু আমার করা। আমার মনে পড়ে যায়, নাঈমুল নতুনধারা নামে একটি পত্রিকা করার জন্য অফিস ভাড়া নিয়েছিলেন। পত্রিকাটি আলোর মুখ দেখেনি - মালিকের সাথে নাঈমুলের আর্থিক লেনদেন নিয়ে সমস্যার কারণে। এখন কি তিনি একইধারায় সরকারেরও স্বপ্ন দেখছেন?)
নাঈমুল অনুমান করছেন যে,আগামী সংসদ নির্বাচনে বর্তমান বৃহত্ রাজনৈতিক দলদু'টির একটিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সুতরাং দেশে গঠিত হবে দুর্বল কোয়ালিশন সরকার। নাঈমুল আহ্লাদের ভঙ্গিতে উল্লেখ করেছেন যে "এই দুর্বল সরকার গঠিত হওয়ার একটা উপকারী ও সহায়ক সামর্থের দিক আছে। "
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কঠিন ও নতুন ফতোয়া! এই জায়গায় প্রশ্ন না তুলেই বুঝা যায় নাঈমুল একটি দুর্বল রাজনৈতিক শক্তি অন্য আরেকটি সবল শক্তির জন্য সহায়ক হবে কল্পনা করে খূশিতে গদ গদ হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু গণতন্ত্রমনা মানুষ হিসেবে আমাদের বুঝতে খূবই কষ্ট হয় যে কেন নাঈমুল দেশের ভবিষ্যত রাজনৈতিক শক্তি, দল বা সরকারকে দুর্বল দেখতে চান? আমাদের মনে পড়ে কিছূদিন আগে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নাঈমুলের আমাদের সময়কে সামরিক গোয়েন্দা শাখার পত্রিকা হিসেবে অভিহিত করেছেন। শেখ হাসিনার কথাটি আমরা একটা রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবেই দেখতে চাই, তবু আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে, নাঈমুলের নিজের পত্রিকায় লেখা সব রচনাই কি তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্বল করে তার প্রিয় সেই গোপন সবল শক্তির তাবেদারে পরিণত করার একটা সুক্ষ্ম কৌশল?
মইন উ আহমেদকে কি এই একই কৌশলের কারণে নাঈমুল রাষ্ট্রপতি পদে আসীন দেখতে চান। তবে কি মইন উ আহমেদ হচ্ছেন নাঈমুলের সেই সবল শক্তির প্রতীক? দুর্বল রাজনৈতিক সরকার নাঈমুল কামনা করেন কি মইন উ আহমেদের সহায়ক শক্তি হওয়ার জন্য?
এতদিন শুনলাম, দেশের বর্তমান সরকার চেষ্টা করছেন গণতন্ত্রকে শক্তিশালি করতে, রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যক্তির প্রভাবমুক্ত করতে, পরিবারের ক্ষমতা খর্ব করতে। এই সবকিছুর শেষে জনাব নাঈমুল আপনার সব সমীকরণের শেষ মাথায় এসে চেয়ার দখল করে নেন একজন ব্যক্তি, একজন মইন উ আহমেদ? তাহলে কি এইসব সংস্কার, এইসব দুর্নীতি বিরোধী অভিযান - এর সবকিছূই লোকদেখানো, চোখে ধুলি দেয়া কায়-কারবার?
এই হতাশাসহ কি তবে আমাদেরকে ২০০৮-এর নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে - জনগণ গণেশ উল্টে ফেলুক এমন অসম্ভব ফরিয়াদ নিয়ে? এ ছাড়া কি আর পথ খোলা থাকছে না? জনাব নাঈমুলের এই কৌশলী আকাঙ্খার রচনায় যেসব ইঙ্গিত মূর্ত হয়ে ওঠে তাতে মনে হয় দীর্ঘ সুড়ঙ্গের শেষে রয়েছে আরো নতুন নতুন সুড়ঙ্গ। এটা কি তবে অনন্ত অন্ধকারে যাত্রার ছক, জনাব নাঈমুল?
মন্তব্য
সীমানা ও অসম্ভব যাত্রা নাম দিয়ে চিহ্নিত করা ছবি দু'টি ইশতিয়াক জিকোর তোলা ও তার বিনানুমতিতে ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
কাহিনী আর কিছু নয় , বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে নাঈমুল এর ভূমিকা অনস্বীকার্য আর সেই সুফল একা প্রথম আলোর মতি খাবেন তা হয় কি করে । তাই নাঈমুল এবার কোমর বেধে নেমেছেন । কে বেশী................ , মতি না নাঈমুল ?? মতিকে টপকাতেই কি নাঈমুলের এ ভূমিকা নাকি আরো ২+২+.... করে হিসেব মিলাতে হবে ?? কে জানে !! রাহা
হায় হায়,রাহাকে এখনও সচল করা হয় নি?লজ্জায় পড়ে যাচ্ছি তো।
মতিয়ুর রহমানের কথা এখানে আসলো কিভাবে বুঝতে পারলাম না । লেখাটা নাঈমুলের সাম্প্রতিক একটা লেখা নিয়ে । মতিয়ুর রহমান কি এজাতীয় কিছু সম্প্রতিকালে বলেছেন ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
শুধু মতি নয়, অনেকেই তাদের ভুমিকা ভুলে বসে আছেন। মারাত্মক দিকে যদি এই শাসনকাল মোড় না নেয় তবে এরা সবাই একসময় মাথার চূল ছিঁড়বেন নিজেদের এই ভূল সিদ্ধান্তের জন্য। এই সরকার মিডিয়া-বাণিজ্যে মালিক-সম্পাদকদের ছাড় দিয়ে একরকম সুযোগ নিচ্ছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দায়টা মিডিয়ার উপর এসেই বর্তাবে। হয়তো মাহফুজ আনাম, একা এর থেকে অব্যাহতি পাবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নাইমুলের পত্রিকা আমার কাছে ইনকিলাব বা জনকন্ঠের কাতারেই পড়ে। অতএব সেদিকে যাই না। আর সেই নাইমুলের মন্তব্য নিয়ে smcর মত শক্তিমান লেখকেরা আর্টিকেল লেখে!
আমাকে শক্তিমান লেখক বলায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আমার এই লেখা হয়তো শ' দুয়েক পাঠক পড়েন। নাঈমুলের লেখা পড়েন অন্তত: ৬ লাখ লোক।
তবে নাঈমুল এ লেখার বিষয়বস্তু হয়েছেন ঘটনাচক্রে। লিখতে বসেছিলাম এ সরকার চলে গেলে যখন নতুন রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসবে তখন দুর্নীতির মামলা,বিভিন্ন জরুরি বিধিমালা, এগুলোর কি হবে এ নিয়ে। তখন নাঈমুলের লেখা চোখে পড়লো। পড়ে মনে হলো, নাঈমুলের লেখাটি দিয়ে একধরনের বাজার যাচাই হচ্ছে। তাই এই লেখা।
তবে অতিথি, আপনার মন্তব্যটি মনে দাগ কেটে আছে, থাকবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এটার দরকার আছে।
লেখা যখন একটা প্ল্যাটফর্মে চলে আসে তখন কে লিখলো সেটা দেখার বিষয় থাকে না... smc-র মত শক্তিমান লেখককে তখন কলম তুলতেই হয়!
লেখাটা ভাল লেগেছে।
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
বিগ সি,এই লেখাটি নাঈমুল ভাইকে ইমেইল করে দিন।
দেখা যাক কি রিপ্লাই দেন।
আসল কথা হচ্ছে পুরোটাই আমার কাছে ষড়যন্ত্রের অংশ মনে হচ্ছে।সেনা প্রধান কাউকে দিয়ে বলাচ্ছেন।
আর এদেশে বশংবদ জোগাঢ় করা খুবই সহজ।
সেই মোশতাক থেকে শুরু করে অধূনা মঈন সাহেব..কত্তো দেখলাম।
আরিফের একধরনের আস্থা আছে নাঈমুল ইসলাম খানের প্রতি। অসম্ভব কিছু না। কোনো জবাব পাবো না জেনেও আরিফের মন্তব্যে প্রাণিত হয়ে লেখাটা পাঠালাম তার ঠিকানায়। তাকে পড়ার সুযোগ দেয়া উচিত মনে হলো।
"আসল কথা হচ্ছে পুরোটাই আমার কাছে ষড়যন্ত্রের অংশ মনে হচ্ছে।সেনা প্রধান কাউকে দিয়ে বলাচ্ছেন।"
হুম, আরিফের এই মন্তব্যটা হয়তো যারা এই লেখা পড়বেন তাদের সবার মাথায়ই আসবে। কতো ষড়যন্ত্র হয় আমাদের দেশে? কেন এত ষড়যন্ত্র?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নাঈমুল ভাইকে আমি অনেক সময় গালাগালি করে মেইল দিয়েও উত্তর পেয়েছি।
অন্তত:এই সম্পাদক নিজের ইমেইলটা নিজে চেক করেন।
উত্তর দিন আর না দিন,লেখাটা যে পড়বেন,এটা আমি নিশ্চিত।
এটাই খারাপ কিসের?
এত দেরী কেন, দাদা? আমার হাত চুলকাচ্ছিল এই খবরটা পড়বার পরে কিছু লিখতে। একটাই কারণে বিরত থাকলাম... এটা নিয়ে SMC লিখবেন। বহুক্ষণ বসে থেকে থেকে ঘুমিয়েও গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ। শেখ হাসিনাকে আমি আর গালি দিচ্ছি না। মহিলা কথা বেশি বললেও একেবারে না জেনে, না বুঝে বলে না। বাচনভঙ্গী খারাপ হলেও উদ্দেশ্য সঠিক।
অভি, লিখে ফেলা উচিত ছিল। একই বিষয়ে দু'জন লিখলে দু' ধরনের চিত্র পাওয়া যায়।
অনলাইনে পত্রিকা আসার পর প্রতিক্রিয়া লিখতে শুরু করেছিলাম। অন্য পত্রিকা পড়তে গিয়ে দেরি হয়ে গেল।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
তা ঠিক, তবে কীভাবে যেন জানতাম আপনিও আমার কথাগুলোই লিখবেন। অন্তত এই ইস্যুতে তরঙ্গ মিলে যায়।
নাঈমুল সাহেবের মুলে কি্ঞ্চিৎ জৈবসার ঢালা দরকার- যদি শেকড় শক্ত হয়, এই আশায়।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অথবা বিষয়টা হয়তো সে কারণেই ঘটছে। অতিরিক্ত সার ঢালা হয়েছে হয়তো।
সিমেন্ট কম দিলেই যে ভবন ভেঙে পড়ে তা নয়, সিমেন্ট বেশি দিলেও ভেঙে পড়ে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নাঈমুলকে আবার সাংবাদিকতার প্রথমপাঠ দিতে হবে
'সেনাবন্দনা সাংবাদিককে সাংঘাতিকে পরিণত করে'
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
মিডিয়া যদি এস্টাবলিশমেন্টের মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ায় তবে আর সরকারি প্রেসনোটের দরকার কি? রাষ্ট্রের পঞ্চমস্তম্ভ তো প্রথম স্তম্ভ হয়ে যায়।
তবে সেনা নয়, নাঈমুল বর্তমান সেনাপ্রধান ব্যক্তি মইন উ আহমেদকে রাষ্ট্রপ্রধান বানাতে চান। নাজমুল হুদা কিন্তু সেনাপ্রধানের কথা বলেছেন। খূব খিয়াল....
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এইটা একটা ভাল পয়েন্ট ধরেছেন ,, খেয়াল করিনাই
তবে, এখন সেনাবাহিনীতে একটা ক্যু হয়ে যদি মঈন মিয়া ধরা খায়, তখন দেখা যাবে নাঈমুল এয়ারলাইনস কোনদিকে ঘুরে যায়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আসলে 'পর্যবেক্ষণ' কাল চলছে। বসে বসে দেখুন কে সুবিধাভোগী। কে তৈলমর্দনকারী। কে পালে হাওয়া তোলে। আর নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন। শেষ জীবনে প্রবন্ধ লিখবেন সুবিধাভোগী তৈল মর্দনকারীদের আচরণ সম্পর্কে। এ ছাড়া কী-ই বা করার আছে আমাদের।
আমাদের মিডিয়াগুলো তো আমাদের মন্তব্য ছাপাচ্ছে না। ইন্টারনেট আর কজন পড়ে?
আজকের কাগজের নাঈমুল এখন পত্রিকার সম্পাদক!
(কথাগুলো আমাকে একজন বলেছে আমি তার হয়ে লিখে দিলাম)
-রেনেসা
নাঈমুল ইসলাম খানের কথা বাদই দেই।
দৈনিক "আমাদের সময়" আর "আমার দেশ" এ যে গায়েবি খবরগুলো আসছে, সেইগুলো পড়ে এমনিতেই বোঝা যায় - এ দুটো এবং আরো কিছু পত্রিকার উপরে এখন "সরকারি খবর উপদেষ্টা" নামের কোন অদৃশ্য ব্যক্তি বা শক্তি ভর করে আছে।
নাঈমুল ইসলাম খানের উপর আস্থা আছে এরকম কাছের মানুষদের জন্যে বলি, নীতিবোধ থেকে বিচ্যুতি খুব সহজ একটা ব্যাপার।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নাঈমুল ইসলাম ক'দিন আগে অফিস বদলালেন। আরো বড়ো অফিসে উঠেছেন। সবই বড়ো হুজুরের দয়া!!!
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
ইত্তেফাক, আমাদের সময় ইত্যাদি পত্রিকা পড়লে আজকাল মনে খুব আনন্দ পাই।
গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে, "পোলাপানের মুতে আছার খাওয়া ঠিক না" । এই পত্রিকা গুলা মাঝে মধ্যেই খাচ্ছে তা।
ইত্তেফাক শাহরিয়ার কবির আর প্রণব মুখার্জীকে নিয়ে যেই উপন্যাস লিখেছিল ।
সাপ্তাহিক ২০০০ এর কাছে শাহরিয়ার কবির এর সাক্ষাৎকারে তাতে পানি তো পড়েছেই, মানী লোকদেরও জামা কাপড় নিয়ে টানা টানি।
অনাবিল আনন্দ পাই এইসব পড়লে।
----------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তা, ভালো একটা খবর দিলেন।
সাপ্তাহিক ২০০০ পড়তে হয় এখনি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নতুন মন্তব্য করুন