কী কারণে যেন সব বাঙালি যুবকই প্রথম রাতেই বেড়ালটা মারতে চায়। মুরুব্বিরাও সেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। বেড়াল কোনটা এটা কেউ চিনিয়ে দেন না। কোন রাতটা প্রথম তাও কেউ বলেন না। মারার জন্য কী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে সে পরামর্শও দেন না। সবচে বড় কথা রাতের বেলা বেড়ালটা পাবেন কই?
প্রশ্ন করতে পারেন, বইটাতো হাতে নিয়ে বুঝা যাচ্ছে কৌতুকের বই। এতে কি আর বেড়াল মারার পদ্ধতি বর্ণনা থাকবে। মশকরা করেন?
আসলে আমাদের উদ্দেশ্য মহত্। বেড়াল ধরা থেকে বেড়ালকে কব্জায় আনার সব পদ্ধতি আমরা আয়ত্তে আনতে চাই। কিন্তু প্রাণীহত্যার বিপক্ষে আমরা। সুতরাং বুঝতে পারছেন মারা ছাড়া আর সব কাজে বাঙালি যুবকভাইদের সাথে আমরা আছি।
বাকী থাকলো বেড়াল চেনা আর মোক্ষম রাতটা ধরা। এইজন্য হচ্ছে আমাদের এই কৌতুকের আয়োজন। বিবাহ আর প্রেম সবকিছুকেই আমরা দেখতে চাই রসের ভেতর দিয়ে। তাই বেড়াল মারায় আগ্রহীদের জন্য সেই শিশুকালের মুগ্ধ দৃষ্টি, টাংকিবাজি থেকে শুরু বিবাহ পরবর্তী পরস্ত্রীকাতরতা পর্যন্ত সময়কে আমরা ধরতে চাই কৌতুকে।
বিবাহের দিনে বন্ধু-বান্ধবীর কাছ থেকে এটাই হোক আপনার বড় উপহার। লাইফস্কিলে দক্ষ হয়ে উঠুন আপনি।
কৌতুকের নামে এই লাইফ ম্যানুয়ালে কী পাবেন আপনি?
১। ফ্রয়েডিয় শিশু বেলা।
২। টাংকিবাজির কৈশোরকাল।
৩। যৌবন কেন আসিলো?
৪। দাদা পায়ে পড়ি রে...
৫। আমি কাপ তুমি চা
৬। বুকটা ফাইটা যায়
৭। পাশের বাড়ির ভাবীসাব
সুপ্রিয় সহব্লগার,
তাহলে শুরু হয়ে যাক।
মন খারাপ থাকলে এখানে এসে আধপাতা কৌতুক নামিয়ে যান। একটু রসালো করে, ক্ষীরটা বেশি করে দেবেন। অন্তত: এ৪ এর আধা পাতা যেন হয়। নাহলে একসাথে ইচকি-পিচকি কয়েকটা ঝেড়ে দিন।
জানা কৌতুক, অনুবাদ করা কৌতুক; কিছুতেই সমস্যা নেই। শুধু নিজের ভাষার রস লাগাতে ভুলবেন না। তবে পিঁপড়া হতে সাবধান।
চলে আসুন আপাজান।
চলে আসুন ভাইজান।
(কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ হীরক লস্কর)
মন্তব্য
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
বাহ! এইটাকে প্রথম পাতায় দিতেন!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দিব পরে। খসড়া সংশোধন করে নেই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি দিলাম একটা। বেড়াল মারার আহ্বানে সাড়া দিয়া।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
একটা দারুন লেখা আজকেই পেলাম। কিন্তু আফসোস, লেখক সচলাতয়নে নেই।
প্রজন্ম ফোরামে প্রকাশিত লেখাটির লিংক
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সেরম একটা জিনিস হয়েছে!
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
অমিত আহমেদ, শামীম ও ঝরাপাতা অশেষ ধন্যবাদ।
লেখাটা প্রথম পৃষ্ঠায় পাঠানো যায় এখন। কিন্তু যাচ্ছে না কেন?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি একটু সাপোর্ট দিয়ে গেলাম যাতে বড় বাবুদের নজর এড়িয়ে না যায়।
...........
যত বড় হোক সে ইন্দ্রধনু দূর আকাশে আঁকা
আমি ভালবাসি মোর ধরনীর প্রজাপতির পাখা
পড়লাম লেখাটা প্রজন্ম ফোরামে। চমত্কার রসিয়ে লেখা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নতুন মন্তব্য করুন