দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় দেশের অনেক কিছুই মিস করতাম - বৃষ্টি, রিকশা, টং দোকানের চা, রসগোল্লা, হাঁসের মাংস ভুনা, এমনকি ঢাকার বিখ্যাত জ্যাম; সবাই যেমন করে। এখন দুইমাসের ছুটিতে বাংলাদেশে বসে উল্টোটাও যে হচ্ছে না তা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবোনা। কিছুমিছু জিনিসের জন্যে মন কেমন কেমন করছে, একেবার "না হলেই না" এমনটা না হলেও "ওইখানে আছে এইখানে নাই কেন" টাইপ মৃদু দীর্ঘশ্বাস আনয়নকারক তো বটেই। তারই একটা নাতিদীর্ঘ ফিরিস্তি বানিয়ে আফসোসের কিস্তিমাত করবার জন্যে এই আয়োজন।
আইসক্রিম
আইসক্রিম জিনিসটা বরাবরই আমার প্রিয়। দেশে থাকতে গুলশান ধানমণ্ডি সবখানে ডেনমার্কের অ্যান্ডারসেন সাহেবের আইসক্রিমের দোকান দেখে কূপমণ্ডূক বাঙ্গালি ভাবতাম ড্যানিশরা বুঝি এই রসনায় বিশ্বের সেরা। গত এক বছর ইতালির আইসক্রিম খেয়ে আমি আজ (ডেনমার্কে না যেয়েও) উদাত্ত চিত্তে বলতে পারি "ইতালির আইসক্রিম আমি চাখিয়াছি, তাই পৃথিবীর..."। আহা কত রকম তার বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ, আর কতভাবেই না পরিবেশন - "কোন" অথবা ছোট-বড় কাপে - এক, দুই বা তিন স্কুপ। কতবার এমন হয়েছে হাতে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে (এবং চাটতে চাটতে) শহরের মাঝ থেকে কখন হোস্টেলে পৌঁছে গেছি টেরও পাইনি। অথবা আরাম করে বসে খেতে চাইলে সাদা কাঁচের বাটিতে করে লম্ব্বা হাতাওয়ালা একটা চামচ সহ। আমি যে ছোট্ট শহরে থাকতাম সেখানেই অসংখ্য আইসক্রিমের দোকান, এবং এই সামারে সবগুলোতেই লোকের ভিড়ে টেকা দায়। আর মিলানে গিয়ে দেখেছি লাঞ্চ ব্রেকে স্যুট-টাই পড়া সব লোকজন আইসক্রিমের দোকানে বিশাল লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। কত সব ব্র্যান্ডের আইসক্রিম খাওয়াই হয়নি এখনো, শুধু নুড়িই কুড়িয়ে গেলাম মনে হয়
আমি তাই ইতালির আইসক্রিম বড্ড মিস করি। আপনাদের জন্যে সাড়ে ছয় ইউরোর একখান স্যাম্পল দিলাম।
পিজা
মনে পড়ে দেশে কোন এক রমজানে পিজা হাটের আনলিমিটেড পিজা খাওয়ার অফারের ফাঁদে পড়ছিলাম। মোটের ওপর একদমই ভালো লাগেনি। পিজা জিনিসটার প্রতি সেই থেকে আমার চরম অ্যালার্জি, ভাবলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। আরো দু একবার পিজা হাটে খেয়ে সেই অনুভূতির অধোগতিই হয়েছিলো শুধু।
পিজার দেশ ইতালিতে গিয়ে ভুল ভাঙ্গলো; প্রথম পিজার টুকরাটা মুখে দিয়েই পিজা হাটকে কয়েক প্রস্থ গালাগালি করেছিলাম ঠিক মনে আছে। ডিপার্টমেন্টার পাশের দোকান "পিজা রিও" তেই প্রথম যাওয়া হয়েছিলো। ছোট্ট একটা দোকান, ওপেন কিচেনে সবার সামনেই পিজা বানাচ্ছে লম্বু এক লোক আর অর্ডার নিচ্ছে এক তরুণী। পরে অবশ্য জেনেছিলাম তারা দম্পতি, আর লম্বুই দোকানের মালিক। সেই থেকে শুরু - সময়ে অসময়ে, একা অথবা সবাই মিলে পিজা রিওতে খাওয়াটা মোটামুটি একটা অভ্যাসই হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। খেতে খেতেই পিজার ফ্লেভারগুলো চিনতে শুরু করলাম। জানলাম যে 'মার্গারিটা' হচ্ছে একদম বেসিক ফ্লেভারের পিজা - ব্রেড এর উপরে টমেটো, হাতে বানানো চিজ (যার ইতালিয়ান নাম হচ্ছে মোজারেল্লা) আর এক্সটা ভার্জিন (মানে একদম হাইয়েস্ট কোয়ালিটির) অলিভ অয়েল এর এক আনপুটডাউনেবল মিশেল। পোষাচ্ছে না? তাহলে এর উপর যোগ করতে পারেন টুনা ফিশ অথবা মাশরুম, অথবা হরেক রকম ভেজিটেবলস, অথবা চিকেন আর বিফ, অথবা এইগুলার সম্ভাব্য সমাবেশ। আর বাঙ্গালির ঝালপিয়াসী জিভকে খুশি করার জন্যে চেয়ে নিতে পারেন মরিচের সস। টুনা ফিশ+মাশরুম ফ্লেভারেরটা ছিলো আমাদের সবচেয়ে ফেভারিট, নিচে ওইটাই দেখতে পাচ্ছেন (এই ছবিটা এক বড় ভাইয়ের তোলা)।
এলাকা ভেদে আবার পিজার স্বাদ বদলে যায়। সমুদ্রের কাছের শহরে গেলে পাওয়া যায় সি-ফুড ফ্লেভারের পিজা। ফ্লোরেন্স ঘুরতে গিয়ে যে পিজা মার্গারিটা খেয়েছিলাম অসাধারণ সেই স্বাদ এই জীবনে ভুলবো না। তুরিনের পিজা নাকি আরও ভালো, আর নেপোলিতে না গেলে নাকি আসল ইতালিয়ান পিজার স্বাদই পাওয়া যায় না!
দেশে বসে আমি তাই পেপারে পিজা হাটের বিজ্ঞাপন দেখি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
পাহাড়
আল্পস যে ইতালির উত্তরে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে সেটা না জানার জন্যে আমার ভূগোল বিষয়ক জ্ঞানের অভাবকে চাইলে দায়ী করা গেলেও উল্টো ধন্যবাদই দেবো - ট্রেন থেকে নেমে শহরে পা রেখেই বিশাল এক সারপ্রাইজ পাবার জন্যে; ম্যাজেস্টিক সব পাহাড়ের চূড়া দিয়ে পুরো শহরটাই ঘেরা। ঘুম থেকে উঠে বিশাল পাহাড় দেখলে মন ভালো হয়ে যেত, সমুদ্রের সামনে গেলে যেমনটা হয়। নিচের ছবিটা আমার হোস্টেল এর বারান্দা থেকে তোলা, একটা আন্দাজ পাবেন হয়তো। ওই বরফঘেরা চূড়ার একদম ওপরেও উঠেছিলাম, কিন্তু সে অন্য কাহিনী।
অবশ্য মাস কয়েক যেতেই মাঝে মাঝে দমবন্ধ লাগা শুরু করলো, মনে হতো একটা জেলখানার মধ্যে আছি - যেদিকে তাকাই পাহাড়ের দেয়াল। কাছেপিঠের (দেড় ঘন্টার ট্রেন জার্নি) সমতল শহরে বেড়াতে গিয়ে চওড়া রাস্তা আর দিগন্ত দেখে হাঁপ ছেড়ে ওঠার মতো একটা অনুভূতি হতো। এর জন্যে অবশ্য আল্পসের কোন দোষ নেই, আজীবন সমতলে থাকা বাঙ্গালির অভ্যাসের ওপরেই দায়টা বর্তায়।
যাহোক, সেই অভ্যাসের দাস এখন আর নই। আল্পসকে তাই মিস করি।
লেখাটা বড় হয়ে যাওয়ায় এখানেই থামিয়ে দিতে হচ্ছে। ইতালির সুন্দরী ললনাদেরকেও খুব একটা কম মিস করিনা, তাদের নিয়ে কয়েক ছত্র বর্ণনার ইচ্ছাটাতেও তাই যতি টানছি। এই রোজা-রমজানে না হোক, ললনাদের সচিত্র বিবরণ পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে আশা রাখি
মন্তব্য
পোস্টটা ঝুলিয়ে রাখার জন্য ধূসর গোধূলির পক্ষ থেকে আমি ১ দিলাম।
আপনি জেলাটোর কথা বললেন না? আমি আইসক্রিমের বিরাট কিছু ভক্ত নই, কিন্তু জেলাটো খেতে ভালোই লাগে। পিৎজাতে পেপারোনি বোধ হয় সব চেয়ে জনপ্রিয় টপিং, আমার নিজের পছন্দ সাদা পিৎজা (পিৎজা বিয়াঙ্কা), মোৎজারেল্লা আর রিকোটা দিয়ে (সাথে আমেরিকায় টক হালাপেনিও দেয়)। চমৎকার জিনিস।
ইতালির কথা যেহেতু হচ্ছে, অতি অবশ্যই জেলাতোর কথাই বলছি। আপনার দেয়া উইকির আর্টিকেলটা চমৎকার - ইতালিয়ান আইসক্রিম (=জেলাতো) এর আসল চেহারাটা পাওয়া যায়। আমি "আইসক্রিম" এন্ট্রিটায় চোখ বুলিয়েছিলাম, তবে "জেলাতো" আলাদা করে থাকবে ভাবিনি।
পেপেরোনি কখনো খাইনি, তাই সেরম করে বলিওনি। তবে আমার অনিরামিশাষী ভারতীয় বন্ধুকে দেখেছি বেশির ভাগ সময় পেপেরোনি অর্ডার করতে, ইতালিয়ানদেরও। মাংসপ্রেমীদের ওইটাই পছন্দের।
রিকোটা শব্দটা পরিচিত লাগলো না।
"Life happens while we are busy planning it"
রিকোটা এক জাতের চিজ।
আচ্ছা। "রিকোত্তা" বলে বোধহয় ইতালিয়ানে। আসলে এদের যে কত রকমের চিজ আছে, গুনে বোধহয় শেষ করা যাবেন।
"Life happens while we are busy planning it"
দাদা বোধহয় আমেরিকায় থাকেন? কেন বলছি? এদিকটায় 'বসে-খাওয়ার-আইস্ক্রীম' আর পিত্ সার কারবারটা মূলত ইতালীয়ানদের। এসবটায় আইস্ক্রীম যা পাওয়া যায়, প্রায় সবটাই আদতে ফুলক্রীম জেলাটো মানে ডিম ছাড়া। পেপারোনিটাও আমেরিকান, যেখানে আমেরিকানরা বেশী যায় মানে রোম বা পিসায় এটা এই নামে পাওয়া যাবে। তবে তার বাইরের পিত্সাখানার মেনুতে এটাকে এই নামে নাও মিলতে পারে। তবে আপনি যদি একে একান্তই মিস করেন, তাহলে দোকানির কাছে পিত্সা আলা দিয়াবোলা (pizza alla diavola) অথবা সালামে পিকান্তে বা সালামে কালাব্রিয়া দেয়া পিত্সার ইচ্ছে প্রকাশ করেন, তবে যেটা পাতে দেয়া হবে, সেটা পেপেরোনির খুব কাছাকাছি যাবে। পেস্তো দেয়া পিত্সা আমারো বেশ পছন্দ, বিশেষ করে দুপুরের খাবারে, এসময় রান্না করা টমেটোটা আমার পোষায় না। তবে রোম বা ন্যাপলির বাইরের কোন পিত্সাখানায় গিয়ে আপনি যদি পিত্সা বিয়ান্কা খোঁজেন তাহলে আপনাকে ধরিয়ে দেয়া হবে অলিভ তেল, রোজমেরি আর শুকনো ডুমুর দেয়া কিছু একটা, যেটা অতটা সুখাদ্য কিছু নয়।
আইসক্রীমের ছবিটা দেখে আমি তো মুগ্ধ! পাহাড়েরটাও।
বর্ণনা পড়ে তো খেতে ইচ্ছা করতেছে খুবই।
পোস্ট ঝুলানোর জন্য আমিও তেবরো নিন্দা জানালাম। তাড়াতাড়ি সচিত্র ললনা পর্ব আসুক।
টাকা থাকলে ইতালিয়ান আইসক্রিম (মানে "জেলাতো") এর একটা ফ্র্যাঞ্চাইজ খুলতাম ঢাকাতে
ললনার পর্বকে ছলনাই ধরে নাও হে
"Life happens while we are busy planning it"
ঢাকায় "জেলাটো ক্লাব" আছে তো। অন্তত আমি যখন ঢাকায় ছিলাম তখন ছিল। ক্যান্টনমেন্টের পাশে শাহীন কলেজের সাথে লাগোয়া মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়। কখনো খাই নি অবশ্য। দেশে থাকতে রেইনবো, ডলচে ভিটা আর বাস্কিন এন্ড রবিনস পর্যন্তই ছিল দৌড়। আমি অবশ্য আইসক্রিমের তেমন ফ্যান নই। একটা হলেই চলে।
এখন ক্লাব জেলাটো বনানী ১১ তে চলে এসেছে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বনানী-১১'তে "সুমি'জ হট কেক"-এর পাশে যে "ক্লাব জেলাটো" দোকানটা আছে, ওখানেই তো 'জেলাটো আইসক্রীম' পাওয়া যায়। তবে এটা আসল ইতালিয়ান নাকি, তা অবশ্য জানা নাই।
ভেরিফাই করতে চাইলে রাজি আছি
"Life happens while we are busy planning it"
খাওয়াইলে সাথে যাইতে রাজি আছি
এই পর্বে কোনো মজা নাই, আইসক্রিম পিজা কোনোটাই আমার পছন্দের তালিকায় নাই... পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। আমি রোজা থাকি না। এখনি দিয়া দিতে পারেন... মাকরুহ হওনের চান্স নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনে না থাকলেও, আমি তো আছি!
"Life happens while we are busy planning it"
ললনার মূলো ঝুলিয়ে দেখি বিপাকেই পড়লাম
"Life happens while we are busy planning it"
হুঁম, ইতালীর আইস্ক্রীম, আইস্ক্রীম, পেট ভরে খেলেও আরেক স্কুপ নেয়া যায়।
...........................
Every Picture Tells a Story
পোস্টে দিক্কার। স্পয়লার অ্যালার্ট লাগায়া একটা সচিত্র পোসট মারি দ্যান দেখি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সবুরে মেওয়া ফলে
"Life happens while we are busy planning it"
ঢাকায় পিজা খেয়ে মজা পেয়েছি বনানী ১১ নাম্বার রোডের সাব সিটিতে। প্রায়ই যেতাম। এত বেশি পছন্দ করতাম যে বাইরে খেতে যাবার নাম করলেই আমার বউ জিজ্ঞেস করত, কই যাবা? সাব সিটিতে?
আর মজা লেগেছে বে লা ইটালিয়ার পিজা। অন্য কোথাও ভালো পিজা থেকে থাকলেও তার খবর জানি না। পিজার আমি অতিশয় ভক্ত। সেই কারণেই পিজা হাটের পিজা কোনোকালেই ভালো লাগে নি। ওদের পিজা কেমন যেন ভাজা পিঠার মতো হয়ে যায়।
মন্ট্রিয়ালে এসে এখন পর্যন্ত কোনো ভালো স্বাদের পিজা খেতে পাই নি। এরা বোধহয় মজারেলা চিজ ব্যবহার করে না। একবারই শুধু ডাউনটাউনে এক গভীর রাতে বাঙালি একজনের পিজার দোকানে খেয়ে খুবই আপ্লূত হয়েছিলাম।
ইতালিতে গিয়ে পিজা খাওয়ার স্বপ্নে থাকলাম।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমার এক বন্ধুও সেদিন বলছিলো বেল্লা ইটালিয়ার কথা, ঢাকার এক নম্বর পিজা নাকি ওখানেই আর দামটাও খুব বেশি না। দেখি যদি যাওয়া হয়। আপনার কথা মনে করে এক স্লাইস বেশি খেয়ে নেবো
কনকর্ডিয়া ইউনিতে পড়া আমার এক বন্ধুর পিজা খাওয়ার ছবি দেখছিলাম ফেসবুকে, দেখেই পছন্দ হয়নি। আপনার কথায় নিশ্চিত হইলাম।
ইতালিতে আমি যে শহরে থাকতাম সেখানেও এক বাঙ্গালি পিজার দোকান দিয়েছেন, ভালোই চলে।
"Life happens while we are busy planning it"
এটা যারা করেছে ওরা ইতালীতে থাকে
...........................
Every Picture Tells a Story
অস্বাভাবিক হলেও ইটালীয়ান আইনক্রীম, পিজা ইত্যাদি খোদ ইটালীর বদলে জার্মানীতে বসে খেয়েই মজা পাই বেশী।
তবে কাপুচিনো ইটালীতেই ভালো লাগে। উপরে দুধের ফেনা এরা এতো ভালো করে যে, বিস্কিট বা চিনি কোনটাই ডুবতে চায় না।
আপনার ছবি ও বর্ননা খুবই ভালো লেগেছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
রেস্টুরেন্টে খেলে কাপুচিনোই খাওয়া হতো, দামটা কম আর খেতেও মন্দ না। ১.২০ ইউরোতে শরীর-মন চাঙা।
যাক, বলছেন জার্মানিতে বসেও পিজা আর আইসক্রিম খেতে মন্দ লাগবে না! শুনে বড়ই আহলাদিত হলাম, পরের একটা বছর জার্মানিতেই কাটাতে হবে তো।
"Life happens while we are busy planning it"
আহা ... আইসক্রীম, পিজা আর পাহাড় তিনটাই আমার অনেক প্রিয়। এমন এক দেশেই আসছি খাওয়া-দাওয়া যাচ্ছেতাই; শুধু বার্গার খায়, ভিতরে শুধু চিজ। আর যেইদিকে তাকাবা সেইদিকে শুধু সবুজ মাঠ, এক্কেবারে সমতল। মাঠে গরু, ঘোড়াও থাকে।
এ কোন রুপকথার দেশ?!
চিজ জিনিসটা নেহায়েত খারাপ না, শুকনা না হয়ে যদি ভেজা হয় তাহলেতো কথাই নাই।
"Life happens while we are busy planning it"
আমি ঢাকায় থাকলে বেহেস্তও মিস করি না। যদিও আমি হেভী ক্ষ্যাত টাইপের মানুষ। পিজার বদলে আলুপুরি আর সেই ছোটবেলার এক টাকা দামের কাঠি আইসক্রীম আহা। কি স্বাদ। জিহবা পর্যন্ত কমলা রঙের হয়ে যেতো। লো মেইনটেনেন্স লো ফ্যাট।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমাদের সময় এক টাকায় "পাইপ" আইসক্রিম পাওয়া যেতো - লাল, সবুজ, কমলা। খেয়ে কার জিহবা কত কালারফুল হলো সেইটাই ছিলো কম্পিটিশান।
ঢাকা থেকে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে বলেই মনে হয় এই মিস করা টাইপ কথাবার্তা বলতেছি। ঢাকায় যখন এক্কেবারে ফেরত চলে আসবো তখন আপনার ডায়লগটা দিবো - " বেহেস্তও মিস করি না"!
"Life happens while we are busy planning it"
আইস্ক্রিম
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
আইসক্রিম ভাল্লাগেনা নাকি খাইতে মন চায়?!
"Life happens while we are busy planning it"
আইচকিরিম আর পিৎজা... আহা!...খাইতে মঞ্চায়!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
রোজা রমজানের দিনে এসব কী হচ্ছে!
কী যেন সচিত্র বিবরণ দিতে গিয়ে থেমে গেলেন, ওটা তাহলে ঈদের পরেই পাচ্ছি তো?
কী আর, টুকটাক খাদ্যালোচনা
ঈদের পরে যদি মনে করায় দেন তাইলে পাবেন আশা করি!
"Life happens while we are busy planning it"
দুটৈ পসন্দ হৈলো। বিশেষতঃ আইস্ক্রীম...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
নতুন মন্তব্য করুন