এককালে এখানে রেস হতো।
লম্বা-লম্বা আরবি ঘোড়াগুলোর উপরে রোগা-পটকা জকিদের হট-হুরর শব্দের সাথে দর্শকদের চিল-চিতকার প্লাস সভ্য মানুষের মৃদু করতালি; খোলামকুচির মতো উড়তে থাকা ব্যাংকনোট আর কাঁচাটাকার ঝনঝনানি- সব মিলে ঘোর লাগা এক অদ্ভুত উতসব।
তাই তো,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কালজয়ী ৭ই মার্চের ভাষণ কোথায় দিয়েছিল- প্রশ্নের উত্তরে বুড়ো-বাচ্চা চেঁচিয়ে বলে, 'রেসকোর্স ময়দানে- এখন যার নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান; এরশাদের গলফকোর্স ভেঙে সেখানে এখন জ্বলে শিখা চিরন্তণ।
রাস্তার ঠিক উল্টো দিকেই রমনা পার্ক।
ঠেঁসে বাঁধা ময়দার বস্তার মতো ফাঁটো-ফাঁটো ঢাকা শহরের শরীরে, ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকা কয়েকটুকরো সবুজের মধ্যে- অন্যতম।
গুগল আর্থে ঢাকার এই এলাকা দেখে অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জিভ কার্পেট হয়ে নাল গড়ায় বাট, তারাও জানে এখান থেকে জায়গা বের করতে কয়েক পুরুষ লেগে যাবে।
তার চেয়ে বালি-টালি ফেলে সিস্টেমে- শীতলক্ষা,তুরাগ বা বালু নদীর পার দখল করে কাজ করা সহজ।
কিন্তু, কোনভাবে যদি খালি রমনা থেকে একটু জায়গা দখল করা যেত!
তাহলেই তো আর....।
এই পর্যন্ত ভাবতে পারল মুকিত। আনমনা ছিল এতক্ষণ- এ জায়গাটায় এলে প্রায়ই এমন ঘোর লাগে তার।
আঙ্গুলের ভাঁজে সিগারেটের তাপ লাগতেই বাস্তবে ফিরে আসলো, ধ্যুত্তোরি!
আরও মনোযোগ দিয়া বিড়িডা টানা দরকার আছিল, এক-একটা শলা আজকাল ৯ টাকা কইরা কিনতে হয়। কইলজাতে লাগে, মনে হয় বেনসন না আস্তা ১০ টাকার নোট আগুনে পোড়াইয়া দিল- আস্তে করে বয়াম খুলে একটা সেন্টারফ্রেশ বের করে নিল নিজেই।
মোড়ক খুলে মুখে দিতেই, তিতার উপর মিস্টি প্রলেপ পড়লো।
এই সিগারেটের দোকানটা অনেকদিনের পরিচিত। মাঝে মাঝেই বাকীতে বিড়ি-টিড়ি নেয়া যায়।
বেশ কায়দা করে মানিব্যাগ বের করতে গিয়ে সেটা হাত থেকে পরেই গেল।
শালার...বাছা একটা গালি দিতে গিয়েও মুখ সামলে নিল।
নিজেকে সাবধান করল, এইটা অফিস পাড়া। মান ইজ্জত খেতা-বালিশ হইয়া যাইবো মুখ দিয়া খিস্তি বাইর হইলে।
মুভি দেইখা নানান হিরোর স্টাইল কপি করা বাতিক ছিল, নানান সিনেমায়- শাকিব খানরে দেখছে এমনে মানিব্যাগ বা্ইর করতে। কত ফিলিমে কত বার বাইর করল, কই একবারও তো মিস হয় নাই! তার বেলায় যত পেজগী।
তাও তো লাকটা ভাল রোজিনার সামনে হয় নাই, রক্ষা ছিল না।
এত হাসতে পারে মেয়েটা!
চট করে মানিব্যাগে চিঁপা-চাপা দেখে নেয় সে। একটা গোলাপী রঙা ৫০০ আর খুচরা বিশ-পঞ্চাশ আছে।
দুপুরেই তো লান্চে ছেড়িডার পিছনে অনেক টাকা গচ্চা যাইব,যাক।
সুইটি পাঈ, এক্সপেনসিভ বাট অন্যভাবে পোষায় যাবে।
ঘড়িটার দিকে নজর গেল, বাপরে, ১২টা বাইজা গেছে! নাহ! ট্যাকা থাক- খাতায় লিখে রাখার কথা বলে দ্রুত পা চালাল অফিসের দিকে।
০০০০০০০০০০০০
কলেজটা ধুম করে ছুটি।
কি জানি কি হইছে বসুন্ধরা ব্রাঞ্চে!!
বাংলা স্যার প্রাইভেট পড়ানোর নাম কইরা ছাত্রীদের সাথে রিলেশান করতো; একটা ছাত্রীর পর্ন ভিডিও আপলোড করে দিছে, তারপরে চিল্লাচিল্লি শুরু। সেইটা নিয়া মিটিং-আন্দোলন সব মিলিয়ে গ্যান্জামে তাদের বেইলীরোড ব্রাঞ্চেও ক্লাস গেল বন্ধ হয়ে গেল।
নেত্রীটাইপ ছাত্রীরা সমানে, সবার সিগনেচার নিতাছে মেমোরেন্ডাম বানানোর জন্য। এটার নাকি একটা হেস্ত-নেস্ত করা দরকার।
রোজের কাছেও এসেছিল, ভুয়া একটা সাইন করে দিছে সে।
মাই মাই, যদি কোন প্রব.-এ জড়ায়? দেন ড্যাড সমস্ত ফ্যাসিলিটিজ বন্ধ করে দিবে।
এম্নিতেই মুকিত ইস্যুটা লুকিয়ে রাখছে সে! কতদিন পারবে গড নোউস!!
এদিকে ড্রাইভার চাচাকে ঘুষ দিতে দিতে পকেট মানির প্রায় পুরোটাই ফিনিশ।
মম মনে হয় একটু একটু ডাউট রাখে বাট এখনো চার্জ করে নাই। কিন্তু, এভাবে কতদিন?
ইস, মুকিতটা যদি প্রেজেন্টেবল একটা জব করতো!তাহলেই তো.....।
সে মুকিতের অফিসটা চেনে, ঐ যে পরীবাগ ওভারব্রীজটার আগে একটা কনভেনশান সেন্টার আছে না? অ্যাবাকাস?
সেইটার থার্ড ফ্লোরে কি একটা রিয়াল এস্টেট কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ। পুওর স্যালারি পায়। নিজেই বলছে তারে- তারউপর বাড়িতে টাকা পাঠাতে গিয়ে মুকিতের হাত প্রায়ই খালি থাকে।
হেভি মান্জা মেরে অফিস করে; ট্রাউজার-কালারফুল শার্র্ট-মেচিং টাই-চকচকে শুজ। অলমোস্ট সিক্সফিট টাচ করা ফিগার প্লাস শেভন ফেস, বিট কারলি জেইলড হেয়ার- মিলিয়ে কুল চ্যাপ।
ঐদিন পিংকি জিগাইতেছিল, তোর বয়ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করাইয়া দে না একদিন। সো রাভিশিং!
রোজের তো মাথা খারাপ যে,ছেনালটার সাথে তার জানের ইন্ট্রোডিউস করায়! ভো-কাট্টা মাস্ট।
কিন্তু, মুকিতের সাথে তো লুকাইয়া দেখা করে, পিংকি কই দেখলো? বেইলি রোড? না কর্ণফুলি গার্ডেন?
নাহ্, আরও কশাস হতে হবে।এখন, সময় কাটায় কি করে?
দেখা হবে সেই দুপুর ২টায়।
মাত্র ১২টা বাজে। এত আগে রমনায় যাওয়াটা রিসকি। কে না কে দেখবে?
ওয়াটেভার, রমনা চাইনীজের সামনে ছাতার নিচে বসে থাকা ছাড়া অন্য কোন প্লান মাথায় আসতেছে না।
গত সপ্তাহে ছোটমামা একটা গ্যালাক্সি এস-৩ গিফট করছে; ওয়াট আ গেজেট। সেইটাতে প্রভা-সানি লিওন-চৈতি-ইভা রহমান-শখ-পড়শি ভিডিওগুলার সাথে বসুন্ধরা ব্রাঞ্চ এর টাটকা থ্রীজিপিটা লোড আছে; আজকেই সোমার কাছ থেকে ব্লু-টুথ দিয়া নিছে। দেখার জন্য হরমোন সিক্রিশান হচ্ছে মে বি! জাস্ট একটা কোক নিয়া এগুলা দেখতে দেখতে সময় চলে যাবে। নাহ, কোন জাংক ফুডের মধ্যে সে নাই।
হায়রে, ৩৫ হইল তার ওয়েস্ট, উপরে নীচে হলে ঠিক ছিল বাট মাঝে! ছোটবেলা থেকেই কুমড়া/ ময়দার বস্তা এইসব শুনে শুনে হয়রান সে।
খালি যদি একটু স্লিম হতে পারতো! বাট হাউ?
সব মমের দোষ। এত খাওয়াইতে পারে, ধুস!
০০০০০০০০
রমনা চাইনিজ।সারে সারে গাড়ি পার্ক করা।
এই সময়ে এত বাজিং করার মানুষ হয়ার ফ্রম?
রিগানের মেজাজটা পুরাই ফট্টি-নাইন, সকাল থেকে মাত্র একটা চম্পাসুপার নিতে পারছে।
গতরাত্রে ৬টা জিপি নেয়ার পর আর চম্পা নিতে ইচ্ছা করে নাই। ভাগ্যিস!
নাইলে সকাল থেকে স্রেফ স্টিক খেয়ে থাকতে হতো!
কোন কন্ট্রেলার না থাকায় ফয়েলে নিতে না নিতেই শেষ।
কন্ট্রোলার ছাড়া ইয়াবা (জ্যাক আদর করে বলে বাবা। জ্যাক মানে জাকির হইল রিগানের কাজিন, তার কাছ থেকেই বাবা খাওয়া শিখছে রিগান।) খাইতে হইলে R(গোলাপী ট্যাবলেটের মাঝখানে লেখা থাকে।) খাওয়াটাই ভাল।
সকালে কলেজে যাওয়ার সময় বই কিনার কথা বলে আম্মার কাছ থেকে ১০০০ টাকা নিয়া বের হইছে, মাঝখানে মগবাজার পেট্রল পাম্পে করোলা-100 থামাইয়া ১০ লিটার তেল বেচছে, সো মানি ইজ নো প্রব.।
কিন্তু, সিদ্ধেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের সামনে আজকে রেইড পড়ছে। তারপর থেকে জ্যাকরে নিয়া ঘুরতেছে তো ঘুরতেই আছে, জিনিস আর পাওয়া যায় না।
কাওরান বাজার, মালিবাগ, মধুবাগ, বনশ্রী সব জাগায় ঘুরা শেষ। আর না, গাড়িতেও বেশি তেল নাই।
জ্যাক কইল, লাস্ট ট্রাই রমনা পার্ক। এইখানে না পাইলে নাই।
তাই সই, চাইনিজের সামনে গাড়ি পার্ক করার সময় দেখলো- পাশের ফ্লাটের জহির চাচার এলিয়েনটা সেখানে আগেই রাখা।
দরজা খুলে পা ছড়িয়ে ড্রাইভার চাচা ঘুমাচ্ছে। রমনায় আগেও এসে দেখছে রিগান- চান্স পাইলেই এইখানে মানুষ বডি ফালাইয়া ঘুমায়।
ভুরু কুচকে চিন্তা করলো, চাচা এ্ইখানে কি করে?
তার বাপীর সাথে চাচার হেভী মাখামাখি, কলেজে না গিয়া রমনাতে আসছে জানলে বাপী কোরবাণী দিয়া দিবে।
জ্যাক তাড়া দিল, পার্ক কইরা ল বে, পিকনিক পার্টির কাছে থাকতে পারে, চল- ট্রাই মাইরা দেখি্ নাইলে সান্জু খাইয়া দিন পার করতে অইব।
মাথা নষ্ট!
খালি গান্জা খাইয়া দিন পার করা ইমপসিবল।
জ্যাকের পিছন পিছন যাইতে যাইতে দূর থেকে দেখল, ওফফ- বাঁইচা গেছে, চাচা না, চাচার কুমড়ার মতো মেয়েটা কোনার একটা ছাতার নিচে বইসা মোবাইলে কি জানি দেখে।
না দেখেও রিগান বুঝতে পারে, সিওর পর্ন দেখতেছে। এই ছেড়ির মাথায় খালি ওইগুলাই ঘুরে।
তার চেয়ে এক ইয়ার জুনিয়ার। ছেড়ির এস.এস.সি-র আগে আম্মার পিরাপিরিতে কয়দিন ম্যাথ দেখাইছিল রিগান, ওদের ফ্লাটে গিয়া। মাই গুডনেস, কি পরিমান সিডিউস যে করছিল, একমাত্র আল্লাই জানে।
যদি এরকম হাতীর মতো না হতো মে বি রিগান কিছু করেই ফেলতো!
পরক্ষনেই নিজের মত বদলালো, নোপ, নেভার।
সে নেশা করে ঠিকই বাট সেইটা তো গান গাওয়ার জনয! ইয়াবা খেলে অন্য রকম সুর তুলতে পারে সে গীটারে।
মেয়েদের ব্যাপারে সে পিওর আছে, থাকতেও চায়। স্টীল সে ভার্জিন- এইটা তার প্রাইড।
যাক গিয়া, আগে মালটা খুজে নিক, তারপর রোজের পেছনে শার্লক হয়ে আজকের দিন পার, জ্যাক মনে হয় ওয়টসন হতে রাজীই হবে।
তার ভাইটা ভাল, কিছুতেই না নাই।
০০০০০০০০
কালকে রাতে ফিরসে সফর থেকে মোবারক আলী।
এই সপ্তাহ পুরাটাই রেস্ট, সামনের সোমবারে জোট- এইসময় কাকরাইল মসজিদই আস্তানা।
এইবার মনে হয় আমীর হতে হবে।
কাজেই, বাড়ী যাওয়া তো আর হলো না এবারও। না গেল সে, এই ৫৮ বছরের জীবনের বেশিরভাগটাই তো নানান ফন্দী-ফিকির করে কাটিছে।
খোদা যা করে- ভালর জন্যিই করে। তিনি তওফিক না দিলে কিছুই হয় না- এই বিশ্বাসটা এখন তার মনে বটগাছের মতো শিকড় পাতিছে।
এই যে সে এককালে দিন-মজুরী, ক্ষেত চাষ, টাল্টু-বাল্টু কত কিছু করলো!
কই, সংসারের অভাব দূর করতে পারে নাই!
এখন, দ্বীনের লাইনে চলে আসছে, মানুষরে দাওয়াত করে- জামাত নিয়া জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়ায়। এক পয়সা রোজগার তো নাই বরং রাহা খরচের ব্যবস্থাও নিজেরই করতে হয়। অভাব তো নাই; মনে হইত আগে ইনকাম না হলে উপাস দিতে হবে বউ-পোলাপান নিয়া, এখন সে জানে- মুখ যিনি দিছেন খাবারের ব্যবস্থা তিনিই করবেন। সবই তার ইচ্চা। আগে তার উছিলায় সংসার চলত, এহন চলে বড় ছাওয়ালডার উছিলায়।
খাওয়া-খাইদ্য মূল বিষয় না, সবাইরে খোদার কথা জানানো অনেক বড় কাজ। এই কাজেই মনের মধ্যি শান্তি আসে তার।
বড় ছাওয়ালডা তার খুব আদরের। তার মতো মুখ্যু-সুখ্যু মানুষের ছাওয়াল পাস দিতি দিতি এহন চাকরি করতিছে! সবই আল্লাহর মেহেরবানি।
ছেলের অফিসঘর এই তো পার্কের উল্টা দিকে,রমনা থানা থেকে নাক বরাবর ১৫০ গজ।
দেখা করতে মন চাইতিছে খুব, কিন্তু বুঝে সে-তার সুন্নতী লেবাস-পুটলাপাটলী অফিসের সামনে পুলাডারে লজ্জা দেয়।
থাকুক, আসর ওয়াক্তে মুবাইল করলি মাগরিবের পর দেখা হবি।
পার্কে ঢুকেই ৫ টাকার বাদিম-বুট কিনে নিছে, এই তো যোহর পড়ে আসলো- বিকাল পর্যন্ত এখানেই শুয়ে থাকপে। বাতাস আসতিছে- গাছের ছ্যামাও অনেক; পক্ষীগুলান ডাইকে ডাইকে গিরামের কথা মনি করায় দিচ্ছে।
একটু পরেই, নাক ডাকতে লাগলো তার; কখন চোখ লেগে এসেছে নিজেও জানে না।
০০০০০০০০
পুরা পার্কটা রাউন্ড মারতে মারতে জ্যাক হয়রান, বাট পাইতে তারে হবেই।
সে যদি খুঁইজা না পায়- তাইলে বুঝতে হবে, আজকে ঢাকায় কেউ জিনিস পায় নাই। আজকে ৮ বছর ধরে সকাল-বিকাল ইয়াবা খায় সে। পড়ালেখা তো কবেই লাটে- তার উপর বাসা থেকে টাকা দেয় না; আগে চুরিটুরি করতো- এখন তাও করে না।
নতুন নতুন পোলাপাইনরে খাওয়া শিখাইয়া তাদের টাকায় ফ্রি খায়।
ব্যাপার না। এই সিস্টেমে কতো মানুষ মৌজ লয়!
কিছুদিন হইলো রিগানের উপর ভর করছে।
শিল্পী মানুষ- না খাইলে এরশাদ ভাইয়ের মতো গীটার বাজাইতে পারবো না: এরকম উল্টাসিধা বয়ানবাজি কইরা ফুল লাইনে নিয়া আসছে। আইজকা ভ্যারা উঠছে- এহন যদি না পায়!!
ছোট ভাইটার সামনে পুরাই বেইজ্জত হতে হবে।
রিগানের টাকায় দিনের পর দিন সে বাবা খাইতে পারতেছে তার মেইন রিজন হল, সে গুরু; চাইলেই যোগার করতে পারে।
কিন্তু, আজকে যে কি হল, শীট!
লাস্ট ভরসা পিকনিক পার্টি।
ঐ যে ব্যাগ-বাগেজ নিয়া ঘুরে বেড়ায় হিয়ার-দেয়ার আর যারে পায় তারেই মসজিদে যাইতে কয়! ছোটবেলায় বিকালে খেলার সময়, এরা হেভি ডিস্টার্ব দিতো।
বুশি বিয়ার্ড, লাং পান্জাবী একসাথে কয়েকজন মিলে সারাউন্ড করে কি কি জানি বলত বাংলা-আরবী মিশাইয়া, শেষে বলতো চলো মসজিদে।
খেলা বাদ দিয়া, যাও এখন।
এইরকম হুজ্জতে খেলতে গিয়া সবাই খেয়াল রাখতো।
তারপরে, জ্যাকের এক বন্ধু শিখাইছিলো যে, যিগাইলে কবি আমি হিন্দু, তাইলে দেখবি ছাইড়া দিবো।
এগো আস্তানা কাকরাইল মসজিদ, বছরে একবার টঙ্গীতে এজতেমা করে।
তারপরে বাবা খাওয়া শিখার পর জানলো যে, এগো সাথে মিশে অনেকেই বাবা কেরি করে বর্ডার এলাকা থেকে- এদের চেকিং হয় না। যাক, শেষ পর্যন্ত বুড়া একজনকে পাওয়া গেল। গাছের নীচে ঝিমাইতাছে।
একটু ওয়াচ করে তারপর নক করতে হবে।
০০০০০০০০
ঐ মিয়া R আছে? কি কথা কও না কেন? একটা সবুজ কালারের মুজিব দিমু-নগদ।
ঝিমুনি মাত্র এসছিল মোবারকের, হঠাত করে ঠাওর করতে পারলো না।
ধাতানি খেয়ে বুঝলো, সামনে দাঁড়ানো ছেলেটা তাকেই কিছু বলতেছে।
সহসা উত্তর দিতে পারল না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখল কতক্ষন।
তারপর বলল, বাবা আমারে বলতেছেন?
পুরাটা শোনার আগেই জ্যাক খুশিতে ইয়ো, তার কানে বাবা কথাটাই শুধু ঢুকছে - বিংগো, রিগানের দিকে আলেকজান্ডারের মতো একটা হাসি দিল।
তাইতো, আমি তো বাবাই চাইছি বাট চম্পা সুপার ধরাইয়া দিলে .... উ্য। ইংরেজি গালিডা মাথার উপর দিয়া গেলেও-
মোবারকের মনে হইল যে, ছেলে দুইটা কোন অপরাধের মধ্যে আছে, একটু নছিহত করা দরকার।
আহারে, ভদ্র ঘরের সন্তান। একজনের পরনে আবার কলেজ ড্রেস!
এদের সাথে শুদ্ধ উচ্চারণে গুছাইয়া বয়ান দিতে হবে। মনে মনে কথা সাজিয়ে নেয় মোবারক।
সুরা-কেরাত দিয়া কাজ হবে না।
একটু আগে ঘুমানোর সময় একটা কাউয়া কা- কা কইরা সেরাম বিরক্ত করতেছিল।
মনে মনে ঠিক করলো যে, কি ভাবে শুরু করবে। তার মাথায় কাকের কথাটাই আসলো-
বাবাজীরা, এই গাছটার দিকে দেখো।
দুইজনেই তাকাল- বড় একটা কাঠ গাছ। লম্বা কান্ড, তেমন ডালপালা নাই, স্ট্রেইট, মাথায় কিছু পাতা।
উপরের ডালে একটা কাক নিজেরে হাবীব মনে করতেছে।
কাকটা আলবিনো, দাঁড়কাক না কি?
কে জানে? বাট হেভি পার্টে আছে, ডিজেদের মতো নিজের সাউন্ড কোয়ালিটি নিয়া ডোন্ট-কেয়ার পজিশান।
দুজন বিরক্ত চোখে কিছুক্ষণ গাছ-কাক দেখে বুড়োর দিকে তাকালো। বুড়ো উঠে দাঁড়িয়েছে। কই নিয়া যাবে কে জানে?
তারপর মোবারক বললো, আসো আমার সাথে।
পাঁচ মিনিট হাটার পর, কাকরাইল মসজিদের ডান পাশের বড় ডাস্টবিনটার সামনে এসে দাড়াল।
ব্লাডি হেইল! শীট ম্যান!
এরকম পঁচা গন্ধ যে নাড়ি-ভুড়ি উল্টে বমি আসতে গেল।
কিন্তু, বাবা খেয়ে খাওয়া দাওয়া করলে পিনিক চেতে না- তাই তারা নাস্তাও খায় নি।
তাই বোধহয় বমি হলো না।
রিগান পকেট থেকে বের করে একটা গুদাং-গারাম ধরাল, যেই বিকট গন্ধ বিনটা থেকে বের হচ্ছে তা একটু কমে গেল।
জ্যাক পেশেন্স রাখল, বাবা নিতে এসে সেলারের নখরা সহ্য করার প্রাকটিস আছে।
পুলিশ-ফর্মার ফিয়ারে কোথায় কোথায় যে স্টক করে!দেখা যাক, এই মোল্লা কি টেকনিক দেখায়।
দেখো ঐখানে। মোবারক আবার শুরু করলো।
দুজনেই দেখলো, কাগজের ঠোঙ্গা, পচা ফল- টুকটাক নানান কিছিমের রাবিশ।
আর অনেকগুলা কাক।
আরেহ শীট, পোষা কাক নাকি? কাক দিয়া বাবার বিজনেস!কত কী যে দেখার আছে দুনিয়াতে, আজিব!
ভাল করে দেখো, কাউয়াগুলা কিন্তুক কামড়া-কামড়ি করতিছে না।
তিন জাতের কাউয়া আছে ঐখানে।
পুরা ধলা, বড় কালা কুচকুচা আর ছোট কালা কাউয়া যাগো গলায় সাদা মাফলার।
আজাইরা প্যাচাল বাদ দিয়া, বাবা দেন, টাকা নেন- প্যারা খাওয়ানের তো দরকার নাই।
রিগানের গলায় রাগ বাট জ্যাক পোক করল, রিলাক্স, ব্রো। মে বি ফর্মা আছে নিয়ারহয়ার, লেট আস ওইট- তাছাড়া শুনি কি কয়?
শ্রাগ করল রিগান, এখন দুজন মোবারকের সাথেই ডাস্টবিনের দিকে কনসেনট্রেইট করলো।
দেন মুগ্ধ হলো। ভিশান সেট হবার পর আমেজিং সিনারিও ফেস করল।
পুরা মিলিটারি ডিসিপ্লন, প্রথমে আলবিনোটা উড়ে গিয়ে খাবারের উপর বসার সাথে সাথেই জেট ব্লাকস সব নীচু একটা দেয়ালে চুপচাপ বসে আছে, আর মাফলার জড়ানো কাকগুলো দূরে নিশ্চল।
খাওয়া শেষ, আলবিনোটা গম্ভীরভাবে দু’চারবার পাকশাটের পর একটা হাইপারবোলা তৈরি করে একটু আগে দেখা গাছটাতে বসল,অমনি কালো কাকগুলো (গুনে দেখলো ৬টা)খাবারের উপর ঝাপাল। মাফলারগুলো (১২/১৫ টা) গিয়ে ঠাসাঠাসি করে ওয়ালটাতে বসলো।
কিছুক্ষন পর রিগানের চোখ কপালে উঠে গেল, মাই মাই পুরা ডিসকোভারি প্রোগ্রাম।
স্টীকের পিনিকটা ফিরা আসলো, খেয়াল নাই কোথায় কি করতাছিল, স্ট্রইন্জ!
ব্লাকস ফ্লাই করে গাছটাকে চক্কর দিতে থাকার সময় মাফলার কাকগুলা কামড়াকামড়ি করে খেতে লাগলো, সাডেনলি আলবিনোটা ফিরে আসতেই আবার ফারসট সিনারিও।
দুইবার দেখলো তারা, ঘোরের মতো চলে আসছে।
সান্জু খাইলে এমন হয়, সবসময় মনে হয় সারাউন্ডিংসের সেন্টর নিজেই।
কনসেনট্রেশান আসে, অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে অনেকদুর চলে যাওয়া যায়।
বুড়া মিয়ার কথা আবছা কানে আসতেছে, তোমরা ছুটু মানুষ'; দুনিয়াতে আইসাই দেখছো খালি সবাই টেকার ধান্দা করে।
আল্লার দুনিয়ার অনেক কিছু না দেখাইয়া খালি মানুষের বানাইন্না হাবিজাবি জিনিস চিনাইসে বাপ-মা।
এই কাউয়াগুলারে যে বানাইছে তিনিইতো তোমাদের বানাইছেন, ঠিক কি না?
দেহো ওরা আগে যেমন আছিল এহনো তেমনই আছে, নিয়মের মইধ্যে।
আমগো ফালাইন্যা জিনিস খায় কিন্তুক খাওয়ার পরে শোকর করে ঠিকই।
নতুন তালাশ নাই, ফিকিরও নাই।
কুংফু পান্ডা-২ দেখার পরে রিগান কয়দিন ট্রাই করছে যে, মানুষ ছাড়া আর কারো কথা বুঝা যায় কি না! বাট বাবা খাইয়া কোন কাজের কনটিনিউটি থাকে না। তাই দুএকদিন পরেই হাল ছেড়ে দিছিল।
এখন মনে হচ্ছে, সে স্পস্ট কাকগুলার কা-কা-কা সাউন্ডের মধ্যে কাওয়ালী শুনতে পাইতাছে, জোস।
বাবারে, তোমাগো দেহটা ঐ ডাস্টবিনের মতো।
তোমরা হইলা ওই কাউয়াগুলার লাহান।
ফুড়ুত-ফাড়ুত উড়াল দিয়া এইদিকে-ঐদিকে যাও, নিজের মনে ঘুরো-ঘারো, নানান চিন্তায় নিজের মইধ্যে ডুইবা থাকো, তারপর ঠিকই সময় সময় ওয়ালে গিয়া বসো। দেহটারে পাইয়া কত হাউ-কাউ তোমাগো, নিজেগো মইধ্যে কাইজা-ফাসাদ, কামড়া-কামড়ি-কত কিছু।
খাওন খুজতে আইলে অন্যগো লগে দেখা হয়, বাকী সময়ডা শইল নিয়া পইরা থাকলি তো হবি না।
ভাল কইরা খিয়াল করো বাপধন, কাউয়াগুলার মইধ্যে ডিপারেন্স আছে।
খালি কালাগুলারে দেখো, ওরা কাইজা করে না, মাফলারগুলি সারাদিন করে।
আর ঐ যে ধলাডা, ঐ ডারে গর করো। কিরম সিজিল!
একটু সময় খালি আসে এহানে, বাকীটা সময় গাছের আগায় বইয়া বন্দেগী করে।
দেহটা লইয়া ব্যস্ত হবার কিছু নাই বাজান, ওইডা মানে বাইচা থাকাডা হইল উছিলা, একটু সময় দিলেই হয়—ওরম একটা গাছ খুজো নিজের নিজের লাইগা।
যাও, নিজেরে তালাশ করো- কাউয়াগুলান যখন পারে তুমি তো আশরাফ, নিচ্চয় পারবা।
ধীর পায়ে মসজিদের দিকে এগুতে থাকা মোবারকের দিকে নিনির্মেষ চেয়ে থাকে দু’জনই।
তাদের চোখে ঘোর কাটেনি। শক্ত হয়ে ওঠা চোয়াল নিয়া পার্কের ভিতর ইতস্তত এগুতে থাকে তারা, চোখে-মুখে কিসের যেন প্রত্যয়?
০০০০০০০০
মুকিতের আসাটা টের পায়নি রোজ।
নতুন ক্লিপটাতে ঢুকে গেছে, ইস। এত্ত ক্রেজি?
মুকিত ৫টা গোলাপের একটা তোড়া এগিয়ে দিয়া বলল, মাই লভ, রোজিনা! তোমারে তো পুরাই জেনির মতো লাগতেছে, সুপার।
বুঝতে দিল না যে সে রোজের পারভারসানটা দেখছে বাট এইটার এডভান্টেজ আজকেই নিবে।
হঠাত প্যান্টটা টাইট মনে হল মুকিতের।
তরিঘরি করে সেলটা মেইন স্ক্রীনে এনেই এমব্রাসিং ভাবটা কাটানোর জন্য কপট রাগ দেখায় রোজ, ইস আমি কি ঐ বি ক্লাস আর্টিস্টের মতো মুটকি না কি! ওরম একটা ক্রীপল হাবি তো কেরিয়ারের জন্যই চুজেন, আর তোমারে না বলছি খেতের মতো আমাকে রোজিনা বলবা না, অ্যাম রোজ; জাস্ট লাইক দিজ- গোলাপগুলোতে চুমি দিতে দিতে বলল।
মুকিত মনে মনে হাসলো, ইয়াস! ফার্মের মুরগীর মতো নির্লোম সাদা হলেই জেনির মতো হওয়া যায়! তাওতো এইটারে অপু বিশ্বাস কওয়াটাই পারফেক্ট বাট মুখে বলল, ডার্লিং আমরা দু’জনে জসিম-রোজিনা জুটি,ফাটাফাটি।
শিউরে উঠলো রোজ, গুড গড! এত থাকতে জসিম! কেন?
উমম, বলব আজকে আমার ড্রীমের কথা বাট নট হিয়ার।মুকিতের আইজ রোজের বডিটা স্টেয়ার করার ফাকে বলা।
চোখের ইংগিতে বুঝলো রোজ, কোথাও যাওয়ার আগে লেডিস রুম ইউজ করে নিতে হবে, মে বি টুডে ইজ দি পারফেকট ডে টু লুজ শাইনেস প্লাস সফটনেস।
দুজনের লান্চ হলো; দেন, হাটতে হাটতে লেক এর উল্টা দিকে গেল ওরা।
নির্জনতা খুঁজছে।
অপরাধ বা খুব উচু দরের পূন্য ছাড়া মানুষ নির্জন প্লেস সার্চ করে না;কখনোই।
ওদের মনে কী?
দুপুর বেলা এইদিকটা খালি, একটা ঝোপের নীচে বসলো রোজ আর তার কোলে মাথা দিয়ে মুকিত শুয়ে একটা সিগারেট ধরাল।তার কাছে মনে হচ্চে যেন, সোয়ান ফোমের এ্যাড।ওয়েল গলফ বেস্ট বাট না পেলে ফুটবল সই, মুকিত এই নীতিতে বিলিভ করে।
বললা না, জসিম কেন?
ওহহো, তুমি তো আবার বাংলা মুভি দেখোনা, রেট্রো যুগের জসিম ভাই, পারফেক্ট সুপার হিরো। দেখলে বুঝতা!
ইমাজিন- বাবা মারা গেছে, ছোট দুটা ভাইবোন খিদায় কাদছে। ১৩/১৪ বছরের একটা ছেলে দোরে দোরে কাজ খুজছে। বুট পালিশ, হোটেল বয় তারপরে মোটর গ্যারেজে কাজ। ব্যাকগ্রাউন্ডে রুনা লায়লার গান (কেন যেন, বাচ্চাদের গানগুলো মেয়েরা গাইতো)।
চাকা ঘুরছে, সাইকেলের- গাড়ীর- মে বি সময়েরও। সাডেনলি, একটা প্রাইভেট কার হড়াশ করে থামলো, একটা গেট খুললো- চকচকে জুতো পরা একটা পা বের হলো, শরীরে সাদা স্যুট।
এইটাই জসিম ভাই।
বুঝলা ডার্লিং- আমার ফ্যামিলিতেও একই প্রব্লেম, অভাব।
এই কর্পোরেট যুগটা মানুষরে কেমন যে ইনসাল্ট করতেছে, টাই আবিস্কারের ইতিহাস জানা থাকলে বুঝতা। কোরবানির গরুর মতো ফিটফাট সাজাইয়া রাখে,যাতে ভাল দাম পায়।
আর অন্যরা ধোঁকা খায়, ভাবে আমরা কত সুখে আছি!
বাদ দাও জান, ওয়াই উ কাল মি রোজিনা?
ওয়েল, এই খানেই তো টুইস্ট জানেমান!
জসিম ভাইয়ের সংগ্রামী জীবনের একমাত্র ওয়েসিস হইল রোজিনা, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের মেয়ে জাস্ট লাইক উ।
লেট আস এনজয়।
দুইটা শরীর অনেক্ষন জড়িয়ে থাকলো- ভালবাসার উছিলায় অন্য কিছুর স্বাদ আচ্ছন্ন করে এদের।
মানুষ এমনই, প্রানিদের মধ্যে সবচেয়ে চালাক-নির্লজ্জ আর ভন্ড।
সীমা লঙ্ঘন করতে করতে তারা প্রকৃতির কোলে যথার্থই প্রকৃতির সন্তান হতে চাইছে আর বেশী বাকীও নেই।
বাট, তারা তো আর এডাম-হাভা নয় যে ডু নট ডিসটারব সা্ইন ছাড়াই যোষিত সংসর্গে যাবে!
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে প্রকৃতি সাহায্য করে হয়তোবা বাট মানুষকে সারমেয় হতে দেয় না, অতএব বাধা পড়লো।
জ্যাক উন্মাদের মতো সবুট লাথি মারছে, শেষ করে ফেলবে আজ- এত্ত সাহস।
বুড়োর কথায় ঘোরলাগা দৃষ্টি নিয়ে এলোমেলোভাবে হাঁটছিল তারা দুভাই।
লেকটার ঐপাশে বড় গাছটার নীচে কিছু ঝোপের মতো আছে- ব্লাডার খালি করতে এসে নারী-পুরুষের অসংলগ্ন কথাবার্তা কানে আসে তার।
চিতকার করে ভাইকে ডেকে আনে সে। দুজনেই দেখে তারা-
অফিস করা পালিশড আপিয়ারেনস এর দুটো পা এর সাথে একজোড়া নাদুস-নুদুস পায়ের জড়াজড়ি ঝোপের বাইরে; নড়তে দেখে সদ্য প্রাপ্ত নসিহত নৃশংস করে তোলে তাদের। উন্মাদের মতো ঝাঁপয়ে নির্দয়ের মতো মারতে শুরু করে দুজনেই। জ্যাক বুটপরা পায়ে একের পর এক লাথি চালায় ছেলেটার পাঁজড় লক্ষ্য করে।
কিন্তু, ছেলেটার কান্না আর বারে বারে ক্ষমা চাওয়তেও শান্ত হয় না সে।
কলেজ ড্রেস পরা একটা মেয়ের সাথে খোলা পার্কে এসব!
এবার পকেট থেকে নাইফ বের করল, এটা দিয়া নরমালি ফয়েল ক্লিয়ার করে বাট এখন দুনিয়া থেকে একটা গিধধর ক্লিয়ার করবে সে।
গাছটা তাকে খুজতেই হবে, এভাবেই পাবে মনে হয়।
রিগানকে চেঁচিয়ে বলে ছেলেটাকে ঠেসে ধরতে।
লীভ হিম, উ্য ক্রেজি বাস্টার্ড;হি ইজ মাই লভ!
গলাটা ছিটকে আসতেই রিগান চিনে ফেলল, দ্যাট হর্নি বিচ অব নেক্সট ডোর, শীট।
কিন্তু, মায়া জাগলো না, বাবা-সান্জুর নেশার সাথে বুড়া মিয়ার ফিলসফিকাল কনসেপ্ট মিশে তৈরি ককটেল হাইপার-একটিভ।
শেষ মুহূর্তে রিগান রোজের হিপে কষে লাথ মেরে সিন-আউট করে দিল।
মুকিত বাঁচতে পারলো না।
পাপী যখন রিলিজিয়াস পুডিং টেস্ট করে তখন বাস্তববুদ্ধি হারায়, ফ্যানাটিজম জন্ম নেয়।
খড়গ তোলা সবাই অসুর, মানুষ কি অধিকার রাখে জান নেবার?
০০০০০০০০
আছরের নামায পড়ার পর সবসময় রমনাটাকে দুইটা চক্কর দেয় মোবারক।
অনেকদিনের অভ্যাস তার।
হাঁটতে হাঁটতে মাগরিবের সময় হয়ে যায়।
যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের হন্তদন্ত হয়ে ছুটে চলা, বাচ্চাদের খেলাধূলা, যুবকদের ব্যায়াম, জোড়া-জোড়া হেটে চলা- সব কিছুর মধ্যেই জীবন দেখে সে।
জানে, এরাও একদিন বুঝতে শিখবে যে, জীবনে হেটে চলার ফাকে কোথাও কোথাও আলগা হওয়া চাই।
নিজেকে উছিলা বানিয়ে কারো কাজ এগিয়ে দেয়াটাই মানব-জীবনের উদ্দেশ্য।
দুপুরে ছেলে দুটোকে বেশ কড়কে দেয়া গেছে। নছিহতে মনে হয় ভালোই কাজ হইসে।
এখন ভাল লাগছে, কিন্তু সে কি অহংকার করছে? সে তো কিছু না, তার উছিলায় ঐ বাচ্চাদুটোকে সঠিক রাস্তা দেখালো মহান আল্লাহ।
মাফ করো মাবুদ, আমার অহংকার তুমি মুছে দাও।
একটা জায়গায় জটলা।
মোবারক ভাবছে, দেখবে নাকি কী হইসে?
একটা টোকাই বললো, হুজুর যাইয়েন না, ওইহানে এক ব্যাডারে মাইরা ফালায় থুইছে।
মোবারক ভাবের দেশের লোক, ঝামেলায় জড়ানোর ইচ্ছা নাই।
পাশ কাটিয়ে হাটতেই থাকলো, চোখ খুজছে নতুন কাউকে যাকে নসিহত করে দ্বীনের পথে আনা যায়।
সে জানে না,ভীরটা ঠেললেই একটা মানচিত্র দেখতে পেত সে, রমনার সবুজ গালিচায় লুটিয়ে থাকা তার সংসারের হৃদপিন্ডের লাল রং মিশে তৈরি ছবি, নির্মম বাট রিয়েলিসটিক।
০০০০০০০০
কাকটা সাক্ষী, সব দেখেছে, সেই দুপুর থেকেই।
স্থির হয়ে গাছের ডালে বসে আছে, অনেক্ষন; খেতেও যায় না, সংগীত চর্চাও বন্ধ।
সে স্তম্ভিত, মানুষের অকারন ব্যস্ততার বিরূদ্ধে করা তার অভিযোগের জবাব দিয়েছে স্রস্টা তাঁর নিজস্ব নিষ্ঠুর স্টাইলে!
আর দেখল রমনা পার্ক।
জড় হবার কারনে প্রতিবাদ করে না সে, বার বার রক্তস্নাত হয়ে নীরবে অপেক্ষা করে নতুন কোন ঘটনার,নতুন একটা দিনের।
কেউ একজন হাসে, শব্দ ছড়ায় সবখানে।
নছিহতের দায়িত্ব কি তিনি কাউকে দিয়েছেন?
জীবন যদি মরার পরে কিছু পাবার উছিলাই হয় তবে জড় কি করবে?
স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট
মন্তব্য
গপ্পে (আসলেই কি?)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সেইটা আমি-আপ্নি জানি- মুকিত ছুডু চাকরী করে- অয় কি এত শত জানে? আর, রেসকোর্স তো আসলে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর রমনা পার্কের আদি পিতা(?))।।।
ক্যান, গপ্প মনে হইলো না? পুরাডা এর ভিতরেই পইড়ালছেন? মাইরালছেরে।।।।।।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
আপনার লেখার স্টাইলটা পুরাই অন্য টাইপ। আজকেরটা ভাল্লাগছে
অন্যটাইপ!! আসলেই আমি কিমুন কইরা জেনু লিখি!! কলমরে কি জুরে একটা ধমক দিয়া দিম? পড়ার জইন্য ধন্যবাদ। আ্জকেরটা ভাল্লাগছে কথাটায় গত লেখাগুলো নিয়া আফসুস!!
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
নাহ কলমরে ধমক দিয়া কি কাম? লেইখা জান আপনে আপনার স্টাইলে। আগের গুলা খারাপ লাগছে এইকথা কখন কইলাম মিয়া??
দুই লাইন বেশি বুইজ্জালছি, মুনে হয়। আপ্নি কইলে আর কলমরে ধমক দিবাম না।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
গল্পটা আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। পড়তে একটু অসুবিধা হচ্ছিল কারণ ১ ইংরেজী শব্দের আধিক্য, ২ লাইন-প্যারা ভাল করে সাজানো নয়। কিছু ভুল বানান। কিন্তু সব মিলিয়ে ভাল গল্প।
পোস্ট কারার আগে ভাল করে সাজিয়ে বানানটা দেখে নেবেন। কিন্তু নিয়মিত লিখতে থাকুন।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বানান, প্যারা আর লাইন আবার এডিট করে দিছি। কিন্তু, ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে আমারো ভাল্লাগে না- এই কালের ট্যাশ পোলাপাইন এরকম বাংলিশেই কথা বলে- আমার কি দুষ? গল্প ভালু পাইছেন- জেনে ডিগবাজি দিতে ইচ্ছাকর্তাসে।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
স্বপ্নীল, মজার হচ্ছে আগে আগে আপনার গল্প পড়তে একটা অসুবিধা হত - ঠেকে ঠেকে যাচ্ছে, আবার ঝরঝর করে এগোচ্ছে, সোজা যাচ্ছে, আবার কি রকম গোল পাকিয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে সেটাই দস্তুর হয়ে গেছে। এই গল্প-ও এগিয়েছে সেই স্টাইল মেনেই। গল্পের শেষ লাইন-এ এসে যে প্রশ্নের মুখোমুখি পড়ুয়াকে দাঁড় করালেন সেটাই ত সমগ্র গল্পের উদ্দিষ্ট - বড় প্রশ্ন।
- একলহমা
একলহমা, মজার ব্যাপার হচ্ছে লেখা সম্বন্ধে আপনার মতামতগুলো সুচিন্তিত ও গঠনমূলক সমালোচনা কেন্দ্রিক হয়। এই স্টাইলটা আমার সেরাম লাগে। আর, আমি আসলে- গল্প মনে করে লিখি না- মূলত: দর্শন লিখি- সেটাকে কিছু ক্যারেক্টার দিয়া প্যাঁচাইয়া গল্পের মতো বানাইয়া দেই। জানেনই তো- চা য়ে দুধ-চিনি দিয়ে পানযোগ্য করতে হয়? কিন্তু গোল পাকালো কোথায়? আর- শেষের প্রশ্নটা টেকনিকালি ঘুরাইয়া করছি- জানেনই তো মৌলবাদিরা এখনো দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
ঐ যে, দুধ-চিনি গোলার সময় চামচ দিয়ে গোল গোল করে ঘুরান, সেই গোল পাকানোর কথাই বলছিলাম। যখন চামচ তুলে নেন তখন আর চুমুক দিতে অসুবিধা থাকে না।
- একলহমা
পিঁপড়া টিপড়া দেইখা চুমুক মাইরেন!! আর সাঁতার তো জানেনই তাই না? যাদের আমার পুকুরের সাথে পরিচিতি কম তারা সাঁতরাতে প্রবলেমে পরে যায়- নানান কিছিমের কৈফত দিতে হয়। কঞ্চেন দেহি- লেহালিখি কইরা আবার ইডিটিং নিয়া দিগদারি পুষায়?
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
গল্পটা অসাধারান লাগলো। চমৎকার আনকোরা স্টাইলে সময়ের বাস্তব উপস্থাপন, তার সাথে চিরকালীন দার্শনিকতা, দারুন!
আব্দুল্লাহ এ এম
স্টাইিলটা আনকোরা বলাতে খুবই প্রীত হলাম। আসলে- হুমায়ুন স্যার দেশের সাহিত্যের উপকারের পাশাপাশি একটা সর্বনাশ করে গেছেন- সবাই লিখতে বসে দেখবেন তার ছাঁয়া থেকে বেরুতে পারে না। আমি কি পারছি? আর আমার দর্শনের সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট মতামত?
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
গল্প ভাল লাগলো, এদানিংকার পোলাপান এভাবেই কথা বলে
ইসরাত
ঠিক বলছেন- আমি ইউনিভার্সিটি-কলেজে পড়াই। বাচ্চাদের (বিশেষ করে টিনেজারদের কালচারের পরিবর্তনের সূক্ষ্ন বাঁকগুলোও আমার চোখে ধরা পরে পরিষ্কার)। ওরা ইদানিং এভাবেই কথা বলে।
আর কোট করা লাইনদুটো আমার প্রিয় দর্শন। আমার কখনোই মনে হয় না- যে কারনেই হোক- তা ক্রাইম বা পানিশমেন্ট হোক- মানুষ কখনো মানুষের জান নেবার অধিকার রাখে না।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
লেখাটা ভাল লেগেছে। তবে ব্লগের জন্য একটু বড় মনে হয়েছে। পর্ব করে দিলে হয়ত কম সময়ে পড়া যেত।
আসলে, হাচল তো! ধারাবাহিক লেখার সাহস নাই- যা লিখি একবারেই দিয়ে দেই। একটু সময় নিয়ে না হয় পড়লেন।
আর এটা ব্লগের জন্য লেখা নয়। আমি কাগজ কলমে লিখে পরে টাইপ করে নিছি।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
আমার বলতে চাওয়া কথাগুলোই বলে দিয়েছেন পুতুল। খুবই উপভোগ করেছি লেখাটা। চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
ঠিক।
গল্প দারুণ লাগল। আপনার লেখার স্টাইল আসলেই সুন্দর।
ঠিক বলছি না? সব মানুষের এরকম স্বভাব না- কিন্তু সবার ভেতরেই টুকটাক এই বৈশিষ্ট্য গুলো আছে।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
প্রথমেই বলে নিই, চমৎকার লেগেছে গল্পটা।
এবার কিছু সমালোচনা।
১- আপনি বিভিন্ন চরিত্রের ভাবনা আর কথোপকথন চরিত্রগুলোর নিজের ব্যবহৃত ভাষায় প্রকাশ করতে চেয়েছেন বলে মনে হল। ব্যপারটা চমৎকার হতে পারত। কিন্তু সব জায়গায় সেই কন্টিনিউইটিটা থাকেনি। প্রমিত রূপ আর কথ্য রীতির মিশ্রণ ঘটেছে। আমি আলাদাভাবে পয়েন্ট করতে চাচ্ছি না, কারন সেটা আপনি রিভিশন করলেই বুঝবেন।
২- বানান ভুল আছে প্রচুর, বিরামচিহ্ন ব্যবহারে স্পেসিংএর ঝামেলা আছে কিছু, যেগুলো পড়তে গেলে চোখে লাগে।
৩- প্যারাগুলোর মধ্যে গ্যাপ দিয়ে লিখলে চোখের আরাম হয়। সেদিকটা আশা করি পরের লেখায় ভেবে দেখবেন।
এই ব্যপারগুলোতে মনোযোগ দিলে সম্ভবত চমৎকার একটা পালিশড গল্প দাঁড়িয়ে যাবে। আরও লিখুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
১। আসলে, আমি এখনো নিজেকে গল্পকার ভাবতে পারি না। একবার লিখে ফেললেই, চরিত্রগুলোর উপর থেকে মায়া উঠে যায়। তাই, রিভিশন দেয়া কঠিন। আর, লেখার সময় চরিত্রগুলো নিজেরাই কথা বলে- সেগুলো বোধহয় আমার আমির সাথে তালগোল পাঁকিয়ে ফেলে। আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক।
২। বানানের ব্যাপারে বলতে চাই- আমি অভ্য ব্যবহার করে লিখি; ফলে, খন্ড-ত এর জায়গায় ত ব্যবহার করতে হয় (আমি জানি না কিভাবে খন্ড-ত লিখতে হয়।), এছাড়াও, আমার র/ড়, ি/ী - এ কিছু ঝামেলা আছে।
৩। প্যারার কথাটা ১০০% । কিন্তু, এডিটর হিসেবে আমি গোল্লা।
চমতকার ভাবে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখার জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
পুরো গল্পটি এখনও পড়া হয়নি। তবে শুরু থেকে যতটা পড়েছি ভালই লেগেছে। বাকিটা অবশ্যই সময় করে পড়ে ফেলবো।
লিখতে থাকুন। আপনার লেখায় একটা স্বকীয়তা আছে।
গল্পটার ৯টা ভাগ আছে- মূল দর্শনটা ৬ আর ৯ নাম্বার অংশে লেখা। প্রথম ৫টা অংশ স্রেফ চরিত্রচিত্রণ; ৭,৮ নাম্বার অংশে ক্লাইমেক্স।
তাই, সেই হিসাবে পড়লেই সুবিধা হবে- সময় করে ৬,৯ অংশ দুটো পড়ে দেখতে পারেন।
উতসাহের জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
ফিনিশিং ভালো লাগল, লেখার মাঝে প্যারা আরেকটু বেশী আনা সম্ভব কি?
facebook
অদ্ভুত সুন্দর! আপনার এক্সপেরিমেন্টাল এই লেখা খারাপ লাগেনা, বরং গোগ্রাসে গিলি।
ভালো থাকুন খুব।
-নিয়াজ
এক্সপেরিমেন্টাল বলছেন? বোধহয়। আসলে, আমি ঘোরের মধ্যে লিখি- যখন যেমন ঘোর লাগে।
আর, আপনার
কথাটা জোশ। এরম করে কেউ বলে না তো- শুনলেই ভাল থাকতে ইচ্ছা করে।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: গোগ্রাসে গিলতে হলে- হাতের কাছে পানির গ্লাস রাখুন।
ডাক্তার নিজের প্রতি যত্ন নিন। (অনুবাদটা কি হইল?)
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
সম্ভব অণুদা, খুবই সম্ভব। আগে- পুরাই বেড়াসেড়া লাইগা যাইতো, একটু একটু করে গুছাইতেছে। পরের কোন লেখাতে আমার বিষয়টা ইয়াদ থাকবে। আপনি পুরা লেখা পড়ছেন? আমার সৈভাগ্য।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
চমৎকার লেগেছে পড়তে।
এটাই গল্পের সারকথা, কথাটা অনেকাংশে সত্যি এবং নির্মম। তবে দেশকাল ভেদে একই চরিত্রের কিনা বলতে পারছে না। কিন্তু ধর্মগুরু ও ধর্মভীরু এই দুই দলের মধ্যে গুরুরাই অধিকতর ফ্যানাটিক তাতে সন্দেহ নেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মস্তিষ্ক প্রক্ষালন তো সত্যজিত হীরক রাজার দেশে - তে দেখাইয়া দিছে ভাইডি! এরুম হীরক রাজা এই যুগেও দেশে-দেশে গাদা-গাদা। এরা কিন্তু, গাঁধা-গাঁধা।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে লেখা আপনার সব লেখাগুলোই অন্যরকম মাদকতা নিয়ে আনে। অন্তর্নিহিত দর্শন বাদ দিলেও গল্প হিসেবে চমৎকার জমাটি লেখা হয়েছে। বাবার নসিহতের শেষ ফলাফল ছেলের মৃত্যুটা একটা নাটকীয়তা দিয়েছে গল্পে। নেশাগ্রস্থ উচ্চবিত্ত তরুণেরা বহাল তবিয়তে কেটে পড়লো, আর পরিবার টেনে চলা মধ্যবিত্ত ছেলেটা রক্তস্নাত হয়ে পড়ে রইলো - বাস্তবটা বোধহয় এমনই!!
____________________________
নাটকীয়তা প্রয়োজন ছিল, তাই না? আর বাস্তবতা আসলেই এমনই। তবে, মধ্যবিত্ত ছেলেটাও তেমন সাধু না। দর্শন সম্পর্কে কোন মতামত?
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। কেন আটকে যাচ্ছিলেন, বললে- লেখার ইমপ্রুভমেন্টের সুযোগ থাকে।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
প্লট ভালো লাগছে, তবে পড়ার সময় আটকে যাচ্ছিলাম জায়গায় জায়গায়।
চরম!
নতুন মন্তব্য করুন