ফেরা - ০৫

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/১১/২০১১ - ৯:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মাদুলি

ডাইনিংএ মেয়েটার সাথে প্রায় প্রতিদিন দেখা হয়। এটা একটা আশ্চর্য ব্যপার। ওর খেতে যাওয়ার সময়ের কোন ঠিক নেই। খাওয়া দাওয়ায় ওর বরাবরই অনিয়ম। দেশে থাকতে তাও বাসার সবার সাথে বসে সবার সাথে খাওয়া হত, তাই কিছুটা হলেও একটা সময়সূচী ছিল। কিন্তু এখন তো সেরকম কোন বালাই নেই। কোনদিন ডিনার করে সন্ধ্যা ছয়টায় তো কোনদিন রাত বারটায়। কিন্তু ডাইনিং এ যাওয়ার তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে মেয়েটা হাজির। কোন কথা বলে না মেয়েটা। একটু নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসে থাকে শুধু।

অনি অবশ্য নির্লিপ্ত থাকার চেষ্টা করে। বরাবরই সব কিছুতে নির্লিপ্ত থাকাতা ওর স্বভাব। চাইলেই কোনকিছু নিয়ে খুব উত্তেজিত হতে পারে না। কোন কিছুতে অতিরিক্ত আগ্রহী হতে পারে না। কোন কিছু নিয়ে পাগলামী করতে পারে না। এক্ষেত্রেও তেমন কোন ব্যতিক্রম হয় না। মেয়েটা এসে বসে থাকে, ওর দিকে একটু চোখ তুলে তাকায় হয়ত। ও ওদিকে গা করে না। নিজের মত খেতে থাকে। ভদ্রতার হাসিও ফিরিয়ে দেয় না। এসব দেশে রাস্তাঘাতে অপরিচিত মানুষের সাথে দেখা হলেও মানুষ হাই-হ্যালো দেয়, সেখানে মেয়েটার সাথে ওর প্রতিদিন দেখা হচ্ছে একই রেসিডেন্সে থাকেছে, কিন্তু ওর কোন বিকার নেই।

অনি না হয়ে অন্য কেউ হলে মেয়েটার সাথে কথা বলার জন্যে ছুতো খুঁজত এমনিতেই। বন্ধুদের আড্ডায় এরকম মেয়েরাই বরাবর উঠে আসে। আর ওদের বর্ণনা দেয়ার জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দ বোধহয়, 'দোস্ত সেইরকম'। কিন্তু অনি এসবে অভ্যস্ত নয়। বন্ধু বলতে আসলে কী বোঝায় ওর মনে হয় সেরকম কোন ধারণাই নেই ওর। ওর বোধহয় কোন বন্ধুই নেই, যারা আছে তাদেরকে বড়জোর পরিচিত বলা চলে। মানুষের সাথে কথাবার্তা ও রীতিমত এড়িয়ে চলে। এখানে বাংলাদেশীরা প্রায় সবাই নিজেদের মত বাসা ভাড়া করে থাকে, অফ ক্যাম্পাস হাউজিং এ, কিন্তু ও আছে ক্যাম্পাসের রেসিডেন্সে, যাতে কারও সাথে খুব বেশী দেখা সাক্ষাত না হয়। এমনিতে ক্লাস, ল্যাব আর খাওয়া ছাড়া রুম থেকেও খুব একটা বের হয় না।

লোদিয়ান রেসিডেন্স হলে প্রায় একহাজারের মত ছাত্র-ছাত্রী, তাদের কারও সাথে এই একমাসে ওর কোন কথাই হয়নি বলতে গেলে। সে হিসেবে ওকে কিছুটা ভাগ্যবানও বলা যায়। ওর রুমমেট হিসেবে যাকে অ্যালোকেট করা হয়েছিল, সে নাকি আর আসেনি। ও আছে ওর নিজের মত। নিজের রুমে ওর নিজস্ব জগৎ। দেশের সাথেও খুব একটা যোগাযোগ নেই ওর। মা নেই ওর, অনেক ছোটবেলায়ই মারা গেছেন। তখন ও ক্লাস ফোরে পড়ে। ওর বাবা তখন আরেকটা বিয়ে করেন, ওর মায়ের মৃত্যুর অল্পকয়েকদিনের মধ্যেই। খুব খারাপ ছিলেন না ওর নতুন মা, ওর সাথে যে খারাপ ব্যবহার করতেন তাও না। কিন্তু ওই মহিলাকে ও কখনই মেনে নিতে পারেনি মা হিসেবে। তখন থেকে ও একা।

রুম থেকে বের হত না। স্কুল থেকে এসেই নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে থাকত সারাদিন। ওকে কেউ ঘাটাত না। ভয়ঙ্কর রাগ ছিল ওর। ওর বাবাও ওকে ভয় পেতেন বোধহয়। সারাদিন রুমে বসে নিজের মনে কথা বলত। কথা বলত শুধু একজনের সাথেই। ওর মা। আসল মা। তখন থেকে ওর কাছে জীবন অর্থহীন। প্রতিদিন এভাবে ও একাকী বড় হয়। ও জানেনা জীবনের মানে কী? একা থাকতে থাকতে অদ্ভূত সব চিন্তা ভাবনা মাথায় খেলা করে ওর। জীবনের খাতায় প্রতিদিন একটা করে অর্থহীন সকাল, বিকাল আর দুপুর যোগ করে কি লাভ হচ্ছে?

কিন্তু এই মেয়েটা কি ওর জীবনে কোন ওলট পালট করে দিচ্ছে? নির্লিপ্ত থাকতে থাকতেও মেয়েটার দিকে কি দু-একবার ও চোখ তুলে তাকায় না? কি চায় মেয়েটা? মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করে। ওর মত একজনের কাছে কিসের জন্যে মেয়েটা বসে থাকে প্রতিদিন? এভাবে তো ওর দিকে কখনও কেউ তাকায়নি! এরকম একটা মেয়ের তো হেসেখেলে বেরানোর কথা এখন, সবার জীবন তো আর ওর মত নয়। এরকম একটা মেয়ে খুঁজলে হাজারে একটা পাওয়া যায় না। অন্য কেউ হলে শুধু এরকম একটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে একজীবন পার করে দিতে পারত। চামড়ার রঙ্গে মেয়েটাকে ইউরোপিয়ান বলেই মনে হয় ওর। এখানকার মেয়েদের চামড়া এত মসৃন নয়, বরং অনেকটা ফ্যাকাসে সাদা, জোর করে ট্যান করে একটু বাদামী হত চায় তাই এখানকার মেয়েরা। কিন্তু এই মেয়েটা একেবারে অন্যরকম। গ্রীক পুরাণের কোন দেবী বলে ভ্রম হয় ওর।

নারীর রূপে মুনি-ঋষিদেরও ধ্যান ভাঙ্গে। অনিতো মুনি-ঋষি নয়, অনির মনেও ওলট পালট হয়। ডিনারে যাওয়ার পরে যেন অপেক্ষা করে থাকে। অপেক্ষা বৃথা হয় না। কিন্তু কিছু বলে উঠতে পারে না, চুপচাপ খেতে থাকে, দু-একবার সাহস করে চোখ তুলে তাকায়, হাসার চেষ্টা করে।

*** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** ***

এদিকে চার-পাঁচদিন পরপর সকালে একটা করে নোট পায় ইভানা ওর মেইল বক্সে। ওকে বলে দেয়া হয়েছে, নোটে যেভাবে বলা থাকবে সেভাবে কাজ করতে হবে। তা না হলে, মনে পরে যায় ওই মেয়েটার দেখানো গলায় পোঁচের কথা আর ভয়ানক অপার্থিব সেই খিলখিল হাসি।

এখানে এসেছে প্রায় পঁচিশ দিন হয়ে গেছে। প্রতিদিন সকালটা শুরু হয় প্রচণ্ড উৎকন্ঠায়। কী লেখা থাকবে নোটে? কী বিপদ অপেক্ষা করছে ওর জন্যে? ওর থাকার ব্যবস্থা হয়েছে ক্যাম্পাসের লোদিয়ান রেসিডেন্ট হলে। এখানকার একটা রুমে দুজন করে থাকে। দোতালার একটা রুমে ওর থাকার ব্যবস্থা। ওর রুমমেট আরেকটা হাসিখুশি চাইনীজ মেয়ে। কিন্তু ওর সাথে তেমন কথা হয় না ওর। প্রচণ্ড টেনশানে দিন কাটে ওর। এই কয়েকদিনে প্রায় দু কেজি ওজন কমে গেছে ওর। এখন ওর সারাদিন একটাই কাজ ওর রুমের বিপরীত দিকের রুমে একটা সাউথ এশিয়ান ছেলে থাকে, ওকে চোখে চোখে রাখা। ছেলেটার সম্পর্কে প্রতিদিনিই কিছু না কিছু রিপোর্ট করতে হয় ওকে ই-মেইলে। সেই অনুযায়ী পরের দিনের নোট আসে।

প্রত্যেকটা নোটই লেখা থাকে প্রাচীন গ্রীকে। একরকম মোটা লাল কাগজের ওপর রুপালি রঙের কলম দিয়ে গোটা গোটা করে লেখা থাকে। কাগজে থাকে অদ্ভূত নেশা ধরানো একটা গন্ধ, অনেকটা ধুপের গন্ধের মত। লাল কাগজটার ডান দিকের কোনায় একটা সাপের ফণার ছবি খোদাই করা। ফিলোলজির ছাত্রী হিসেবে প্রাচীন গ্রীকের ওপর ভালোই দখল আছে ওর, তারপরেও এক ধাক্কায় পুরো মেসেজ উদ্ধার করতে পারে না ও। কিছু রেফারেন্স বই ঘাটাঘাটি করে অর্থ বের করতে হয় মেসেজগুলার। মেয়ে হিসেবে ইভানা বেশ গোছানো, একটা ডায়রীতে লিখে রাখে ওর করা অনুবাদ্গুলো। প্রত্যেকটা অনুবাদের নীচে নিজের অনুভূতির কথা লেখা থাকে। ওর কয়েকদিন ধরে শুধু মনে হচ্ছে, বেশীদিন বাঁচবে হয়ত ও। কোন ভয়ানক কিছুতে জড়িয়ে পড়েছে ও। ও লিখে রেখে যেতে চায় সবকিছু।

নোট ১। সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১১
তোমার রুমের ঠিক উল্টাদিকে অনি নামের একটা ছেলে থাকে। ওকে ফলো করতে হবে তোমাকে। ও সারাদিন কি করে, কোথায় যায়, এটার খোঁজ রাখতে হবে তোমাকে। আপাতত ওর সাথে কোন রকম কথাবার্তায় যাবে না। শুধু দূর থেকে লক্ষ্য করবে। আর সেটার রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে হবে

এ। কোন ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করোনা, বা পুলিশকে জানিওনা। কোন লাভ হবে না, মাঝখান থেকে শুধু জীবনটা হারাবে।

আমার কথাঃ
কিছুই ভাল লাগছেনা আমার। মনে হচ্ছে ভয়ানক কিছুর সাথে জড়িয়ে গেছি আমি। দেশ থেকে অচেনা একটা লোকের কথায় এভাবে হুট করে চলে আসাটা কি ঠিক হল আমার? বাবা-মা যারা আমাকে বিশ-বাইশ বছর ধরে আগলে রেখেছিল, কয়েকটা ছবি দেখে সব ভুলে গেলাম আমি? বাবা সবসময় বলত খুব বোকা আমি। মানতে চাইতাম না, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমি বোধহয় আসলেই খুব বোকা। আমার সমস্যা হল আমি মানুষের সাথে কথা বলতে পারি না খুব বেশী। যে যা বলে এক কথায় বিশ্বাস করে নেই। এখানে আসার পর থেকেও কারও সাথেই তেমন কথা হয়নি। আমার সমস্যাগুলো কাউকে বলতেও পারছিনা কেন? কারও সাথে শেয়ার করতে পারছিনা কেন?

এত কিছু ভাবার সময় নেই আসলে আমার। আমাকে যা করতে বলা হয়েছে করতে হবে। আমার উল্টাদিকের রুমে একটা ছেলে থাকে। নোটে লেখা দেখলাম, নাম অনি। কোন দেশী নাম? চেহারা দেখে মনে হয় সাউথ এশিয়ান, ইন্ডিয়ান হতে পারে? অবশ্য ওখানকার দেশগুলোর সবার চেহারায় অনেক মিল, সবগুলো দেশের নামও তো জানিনা। স্যামও তো মনে হয় এরকমই ছিল, ওরা কি একই দেশের তাহলে? চাইলে কথা বলতে পারতাম হয়ত, কিন্তু বলা বারণ। ওদের কথার বাইরে যেতে চাইনা আমি।

ছেলেটা কি আমার মতই? ওকেও কি ওরা কোনভাবে নিয়ন্ত্রন করছে? ছেলেটাও তো আমার সাথে কথা বলে না একদম। প্রায় প্রতিদিন তো ওর খুব কাছে গিয়েই বসি আমি, ওরও কি কথা বলা বারণ? এত নিশ্চুপ ছেলে আমি কখনও দেখিনি। এত ভদ্র ছেলে হতে পারে আমার ধারণা ছিল না। এ পর্যন্ত একবারও আমার বুকের দিকে তাকায় নি। ইন্ডিয়ান একটা ছেলের হিসেবে এ আচরণ তো অসম্ভব। কিন্তু আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় মাঝে মাঝে, একবার তাকিয়ে দেখলে ক্ষতি কি? তাকাতে নিশ্চয় ওরা নিষেধ করেনি! ছেলেটার চোখ দেখলে মনে হয় রাজ্যের কথা জমা হয়েছে ওর চোখে। ওরও কি অনেক কিছু বলার আছে?

সারাদিন নিজের রুমেই থাকে ছেলেটা। ক্যাম্পাসেও খুব একটা যায় না দেখি। ওর রুমটাতে ও একাই থাকে। কারও সাথে কথা বলে না তেমন দরকার কথা ছাড়া। চেষ্টা করেও তাই খুব বেশী জানতে পারছি না ওর ব্যপারে। এই কয়দিনে কি ওর জন্যে একটু হলেও সফট কর্ণার জন্ম নিয়েছে আমার? বারবার মনে হচ্ছে ও কি আমার মতই কেউ? ও কি চোখ রাখছে আমার ওপর? নাকি ও ওদের কেউ একজন? হাজারটা প্রশ্ন আমার মনে। কিন্তু কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারছি না। কিন্তু ছেলেটাকে দেখে ওদের মত মনে হয় না। মাথা নীচু করে চুপচাপ হেটে যায়। পৃতিবীর কোন কিছুতে যেন ওর কিছু যায় আসে না। কোন নিয়ম নেই ছেলেটার, দিনে একবেলা খায় বোধহয়। তাও আবার অনিয়মিত। সেটা ওর স্বাস্থ্য দেখেই বোঝা যায়। একেবারে হাড় জিরজিরে।

প্রায় তিনদিন হয়ে গেল নোট পেয়েছি। প্রতিদিন রাতে ওদের মেইল করে জানাই। নতুন কিছুই পাচ্ছি না। একই একঘেয়ে রুটিন ছেলেটার। সারাদিন নিজের রুমে বসে কি করে ও? মাঝে মাঝে মনে হয় গিয়ে নক করি, ওর সাথে বন্ধুত্ব করি, সব কিছু বলে দেই ওকে। কিন্তু কিছুই বলা হয় না। কিছুই করা হয় না। প্রতিদিন সকালে প্রচণ্ড উৎকন্ঠা নিয়ে চেক করি মেইল বক্স। রাতে হাজারটা দুঃস্বপ্ন দেখি।

নোট ২। সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১১
গুড জব। কাজ ভাল হচ্ছে। ওকে আরও কাছে থেকে খেয়াল কর। কয়েকদিন পরে ওর সাথে তোমার বন্ধুত্ব করতে হবে। কিন্তু এখনই নয়। যেভাবে চলছে চালিয়ে যাও। আর পড়াশোনাটা চালিয়ে যাও ভালমত। প্রাচীন গ্রীকে তোমার দখল ভাল, কিন্তু আমরা চাই তুমি আরও ভাল দখন নাও গ্রীকে। পরবর্তী মেসেজ গুলোর ভাষা আরও কঠিন হবে। তোমাকে রেফারেন্স ছাড়াই চিঠিগুলো বুঝতে হবে। সামনে অনেক পথ।

আমার কথাঃ
চারদিন পরে পেলাম নতুন মেসেজ। অনুবাদ করতে বেশ কষ্ট হল এবার। ভাষা আগেরবারের চেয়েও কঠিন। এরকম কঠিন ভাষায় মেসেজ দেয়ার কোন যৌক্তিকতা বুঝতে পারছি না মোটেই। আবার মেসজে বলেছে আমাকে আরও ভাল পারতে হবে গ্রীক। আমার ভাষা দিয়ে ওরা কি করবে? তারপরেও আমি ওদের কথামত চলার চেষ্টা করছি। নিজের ইচ্ছা বলে কিছু বাকি রাখিনি আমি। লাইব্রেরী থেকে বেশ কয়েকটা বই ইস্যু করেছি। পড়াশোনা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এভাবে কি পড়াশোনা হয়?

ছেলেটার দিকেও নজর রাখছি। নজর রাখা বলতে সারাদিন ওর দরজার দিকে চোখ রাখা। ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্যে কয়েকবার বের হয়েছিল শুধু। সারাদিন একবারও খেতে যায়নি। কিভাবে এত না খেয়ে থাকতে পারে ছেলেটা। মরে যাবে তো না খেয়ে খেয়ে! ওর ওপর চোখ রাখতে রাখতে আমারও ঠিকমত খাওয়া হয় না। তারপরেও বেশী ক্ষিদে পেলে ডায়নিং এ গিয়ে খেয়ে আসি। ও বের হয় না।

প্রথম দিকে আমার দিকে একবারেই তাকাত না। কিন্তু কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকায়। আমার মতই ওর চোখেও বোধহয় রাজ্যের প্রশ্ন। কখনও হাসে না ও। কয়েকদিনে দেখছি খাওয়ার জন্যে দিনে দুই-তিনবার ডায়নিং এ আসছে। আগে তো একবারও আসত না ঠিকমত। এর কারণ কী? আমি আসি বলে? আমাকে দেখতে চায়? আমার প্রতি কি ওর মধ্যেও জন্ম নিয়েছে সফট কর্নার? এখন খেতে এসে থাকেও আগের চেয়ে বেশী সময়। মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকায়। আমি তাকালে চোখ ফিরিয়ে নেয়। আমি না তাকালে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। আমি বুঝতে পারি। আমার খারাপ লাগে না, বরং বেশ ভালই লাগে। আমি তাই এমন ভান করি যে আমি কিছুই দেখছি না। আমিও নিজের মত খেতে থাকি।

ভাবছি ওকে সবকিছু বলে দেব আমি। ওর প্রতি খুব দুর্বল হয়ে গেছি। আচ্ছা ওর দেশ কোথায়? ও যদি আমার মতই বিপদে থাকে তাহলে আমরা কি একসাথে পরিকল্পনা করে ওর দেশে পালিয়ে যেতে পারিনা? কিন্তু আমার শুধু ভয় ও যদি ওদের দিলের কেউ হয়? ওদের যদি বলে দেয় আমার পরিকল্পনা!

নোট ৩ । সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১১
তুমি কি ওর প্রেমে পড়ছ? নাহ প্রেমে পরা যাবে না। তাতে তোমারই সমস্যা হবে। তোমার হাতে অনেক কাজ। ছেলেটার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোল। ওর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা কর। কিন্তু খবরদার প্রেমে পড়বে না। এক সপ্তাহ সময় তোমার।

আমার কথাঃ
নোটের সাথে একটা মাদুলির মত জিনিস। ওটা পরে থাকতে বলেছে ওরা। এতে নাকি আমি সব বিপদ থেকে রক্ষা পাব। ছেলেটার সাথে কথা বলতে হবে তাহলে আমার। আমি তো তাই চাইছিলাম। কিন্তু কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে যে ওরা। ওর প্রেমে পড়া চলবে না, ওর প্রতি দুর্বল হওয়া চলবে না। আমি দুর্বল হলে ওদের কি সমস্যা? এমনিতেই আমার মাথা কম কাজ করে, আর এরকম জটিল অবস্থায় বোধহয় খুব বুদ্ধিমান মানুষের মাথাও ওলট পালট হয়ে যেত। যাই হোক আমি ডিসিশান নিয়েছি আজকালের মধ্যেই কথা বল্ব ওর সাথে। ওর সাথে মিশতে হবে আমাকে। এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে ওরা। আজ মঙ্গলবার, অপেক্ষা করে আছি পরের মঙ্গলবারের জন্যে। কে জানে কি আছে আমার ভাগ্যে?

বুদ্ধি করে কথা বলার কোন ছুতো বের করতে হবে আমাকে। কোথায় কথা বলব? সরাসরি ওর রুমেই চলে যাব, একেবারে সোজা গিয়ে নক করব। কোন বিশ্বাসযোগ্য গল্প বানাতে হবে আমাকে ওর সাথে কথা বলার জন্যে। এমনিতে আমি মিথ্যা বলতে পারিনা তেমন, ধরা খেয়ে যাই। কিন্তু ওর কাছে কিছুতেই ধরা পড়া চলবে না। ওরা ঠিক বুঝে ফেলবে, আমি কিছু ওলট পালট ঘটিয়েছি। নাহলে আমি যে ওর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছি কিভাবে বুঝতে পারল ওরা?

*** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** *** ***

বরাবর রাত জাগার অভ্যাস। রাত জেগে ঘুমাতে যায় সকালের দিকে। ঘুম ভাংতে ভাংতে বারোটা-একটা বেঁজে যায় প্রতিদিনই। তাও ক্লাস থাকলে সকালে উঠতে হয় ক্লাসের আগে আগে। কিন্তু বুধবারে কোন ক্লাস থাকে না অনির। আজকের দিনটা তাই আরামের। ইচ্ছামত ঘুমায়। ওর সাথে কারও তেমন যোগাযোগ না থাকায় কেউ ওর ঘুম ভাঙ্গায় না। ফোন আসে না কোন সাধারণত, বা কেউ দরজা নক করে না।

কিন্তু আজ দশটার দিকে দরজায় নক হয়। খুব আস্তে। তখনও ঘুমাচ্ছিল ও। নকের শব্দে ঘুম একটু হালকা হয়ে যায়। শুনতে পায় আস্তে আস্তে কেউ নক করছে। মনে করে অন্য কোথাও থেকে আসছে শব্দটা। মনে হয় এই বিশ দিনে ওর কাছে তো কেউ আসেনি। কারও আসার কথা নয়। কিন্তু নক থামে না, একটু থেমে থেমে আবার নক হয়। উঠে গিয়ে দরজা খোলে গায়ে কোনমতে একটা শার্ট জড়িয়ে। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, দরজায় দাঁড়িয়ে আছে সেই গ্রীক পুরাণের দেবী।

এভাবে ওকে কখনও দেখেনি। মেয়েদের দিকে সরাসরি তাকাতে পারে না অনি। কিন্তু চোখ ফেরাতে পারে না এখন। এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। এরকম পোষাকে ওকে এই প্রথম দেখছে। বাড়াবাড়ি রকমের উত্তেজক পোষাক পড়েছে মেয়েটি। বুক আঁকড়ে ধরা টি-শার্ট, কোনভাবে আটকে রেখেছে যেন দুটো ছটফটে জীবকে। বেড়িয়ে আসার জন্যে যেন গর্জন করছে ওরা। টি-শার্ট অনেক চেষ্টা করেও মেয়েটার নাভি পর্যন্ত পৌছায়নি। এত কাছ থেকে কোন মেয়েকে এভাবে দেখেনি কখনও ও। ছোট্ট একটা স্কার্টে লম্বা পায়ের সামান্য অংশই ঢাকতে পেরেছে মেয়েটি, চোখ আটকে যায় ওখানে। এরকম পোষাক এসব দেশে যদিও হরহামেশাই দেখে রাস্তাঘাটে। কিন্তু মাত্র এক হাত দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি ওর সব কিছু ওলট পালট করে দেয়।

- তুমি কি অনি?

চমকে উঠে চোখ ফিরিয়ে নেয় মেয়েটার ফর্সা উরু থেকে। অপ্রস্তুত হয় বেশ খানিকটা। মেয়েদের সাথে কথা বলায় কখনোই সাচ্ছন্দ বোধ করে না ও। আসলে কারও সাথে কথা বলতেই ওর ভাল লাগে না। কিন্তু এখন ও বলার জন্যে ছটফট করছে।

- আমি ইভানা, তোমার রুমের উল্টাদিকেই আমার রুম। আমাদের তো প্রতিদিন দেখা হয় ডায়নিং এ, প্রতিদিন ভাবি কথা বলব। বলা হয় না। তুমিও কিছু বলনা। আজকে ভাবলাম পরিচয়টা করেই ফেলি, হাজার হলেও তুমি আমার প্রতিবেশী, চেনা পরিচয় থাকা দরকার। কি বল?

এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেলে মেয়েটা। মনে মনে অবাক হয় অনি। হঠাৎ এতদিন পরে একেবারে রুমে চলে আসল মেয়েটা! কথা তো ডায়নিংএ দেখা হলেও বলতে পারত। বুঝে উঠতে পারে না। তবে মনে মনে খুব খুশীই হয়। নিজেকে সামলে নিয়ে ভেতরে আসতে বলে মেয়েটাকে। ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে মেয়েটা বলে,

- ঘুমাচ্ছিলে তুমি? ডিস্টার্ব করলাম তোমাকে তাই না? পরে আসব আমি?

যদিও ওর পরে আসার তেমন কোন ইচ্ছা নেই। ওর এখনই অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করছে। কোন রকম অপ্রস্তুত ভাব নেই ওর মধ্যে। যেন অনেক দিনের পরিচিত কারও রুমে ঢুকছে। একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে। সারা ঘরে একবার চোখ বুলায়। চোখে পড়ার মত তেমন কিছু নেই রুমে। একেবারে অগোছালো, ব্যাচেলর কারও রুম যেমন হওয়ার কথা। আরেকটা বিছানা খালি পরে আছে।
- তুমি একা থাক কিভাবে রুমে? তোমার রুমমেট কোথায়?

- আসার কথা ছিল একজনের কিন্তু আসেনি। আমি ডিটেইলস জানি না আসলে। তোমার কথা বল।

গল্প করায় অভ্যস্ত নয় অনি। কথার পিঠে কথা সাজাতে পারে না। আর এখন তো ইভানাকে দেখে ওর একেবারে ওলট পালট অবস্থা। চোখ ফেরাতে পারছে না ওর থেকে। প্রাণপনে চাইছে মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে। কিন্তু অবাধ্য দৃষ্টি বারবার আটকে যাচ্ছে পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকা ইভানার নগ্ন পায়ের দিকে।

ওদিকে ইভানাও টের পায় অনির অস্থিরতা। বেশ উপভোগ করতে থাকে ব্যাপারটা। ও নিজেও জানেনা ওর মোটিভ কি আসলে। প্ল্যান করে এসেছে যেভাবে খুব ভালই কাজ করছে মনে হচ্ছে প্ল্যান। সিডাকশন এত ভাল কাজ করবে ইভানার কোন ধারণাই ছিল না। ওর মনে পরে যায় ব্যাসিক ইন্সটিঙ্কটের শ্যারন স্টোনের চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় সেই মাস্টারপীস শটের কথা। হঠাৎ করে এই দৃশ্যে ও শ্যারন স্টোনের চেয়েও কনফিডেন্ট। ও নিজেও বুঝতে পারে না ওর ভেতরে এই পরিবর্তনের কারণ কি? শ্যারনের মত হাসি হাসি মুখ করে বসে থাকে, পা পরিবর্তন করে। অনির দৃষ্টি আটকে থাকে। কথা বলার দরকার মনে করে না কোন।

- কি দেখছ?

বলতে বলতে হেসে ফেলে ইভানা। ওর নিজের আচরণ নিজের কাছেই অনেকটা মাতালের মত মনে হয়। এরকম তো ছিল না ও। কাল থেকে কোন কিছু হয়েছে ওর। নিজের কথা নিজেই চিন্তা করে। মাদুলিটা পরার পর থেকেই সব কিছু যেন বদলে গেছে। সব কিছুই সহজ লাগছে এখন ওর কাছে।

অনি অপ্রস্তুত হয়, বলে, "কিছুনা"। কিছু বলে না ইভানা, একটু হাসে। চেয়ার থেকে উঠে আসে। অনির পাশে এসে বসে। ওর খাটের ওপর উঠে বসে। অগোছালো বিছানার ওপর থেকে ব্ল্যাঙ্কেটটা টেনে নেয়। পায়ের উপর দিয়ে বলে, "এইযে ঢেকে দিলাম, এবার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বল, আজ আমরা সারাদিন গল্প করব, কেমন?" বলেই ফিক করে হেসে দেয়। এত কথা জমা ছিল মেয়েটার ভেতরে? কথা যেন থামতেই চায় না মেয়েটার। অনি কিছু বলার পায় না। শুধু আস্তে করে বলে, "আচ্ছা"।

কিন্তু ওদের কথা আগায় না। ওদের শরীরের রক্ত গরম হয়ে উঠছে। যে ছেলে কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাতে সাহস পেত না, সে আস্তে করে ইভানার পাশে গিয়ে ব্ল্যাঙ্কেটে গিয়ে ঢোকে। ইভানার চোখেও ও দেখতে পাচ্ছে রাজ্যের প্রশয় আর দুষ্টুমিভরা হাসি। ইভানাই এগিয়ে আসে। বাম হাতটা অনির কাঁধে রাখে ও। সারা শরীরে এক অদ্ভূত শিহরণ খেলে যায়। ও কিছু করে না, সাহস পায় না। শুধু হৃৎপিন্ডের ধুপধুপ শব্দ শুনতে পায়। ইভানাও বোধহয় টের পায় শব্দ। ও হেসে ফেলে, বলে, "তুমি নার্ভাস?" বোকার মত হাসি দিয়ে সম্মতি জানায় অনি। ওর বুকে কান রেখে কিছুক্ষণ ওর হৃৎপিন্ডের শব্দ শোনে। এরপর দুষ্টুমি ভরা হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বলে, "তুমি শুনবে আমার হৃৎপিন্ডের শব্দ? এইতো এখানে কান রাখ", নিজের বুকের দিকে দেখিয়ে দেয়। "জামা খুলতে হবে? নাকি এমনি শুনতে পাবে?" বলে খিলখিল করে হাসে, আবার বলে, "ভেবেছিলাম তুমি ভদ্র ছেলে, এখন তো দেখি পুরো দস্যি, আমাকে পুরো ডাকাতি করছ"। বলে অপেক্ষা করে না, টি-শার্ট একটানে খুলে ফেলে। ওর দিকে পেছন ফেরে। কিছু দেখার অবকাশ পায়না অনি। "খুলে দাও", বলে অন্তর্বাসের হুক খুলে দিতে বলে ওকে। হাত কাঁপতে থাকে ওর। ওর পিঠের কাছে হুক ধরে টানাটানি করে, অনভ্যস্ত আর নার্ভাস হাত খুলতে পারে না। "কিচ্ছু পারনা তুমি", বলে নিজেই খুলে ফেলে, মুক্ত করে দেয়। পেছন দিক থেকে জাপটে ধরে ওকে অনি। দুরন্ত জীবদুটো ওর হাতের উষ্ণতায় একেবারে চুপ করে বসে থাকে যেন। ইভানাও একটু চুপচাপ হয়ে যায়, লজ্জা পায় একটু। পেছন ফিরেই থাকে। আস্তে করে ব্ল্যাঙ্কেট টেনে নেয় নিজেদের শরীরের ওপর। অনির হাত থেমে থাকে না। ভূগোলে অনাগ্রহী অনি হঠাৎ করে ইভানার ভূগোলে প্রচণ্ড আগ্রহী হয়ে ওঠে। আস্তে আস্তে নীচে নামতে নামতে পা গলে বেরিয়ে যায় ইভানার কোমর জাপটে থাকা স্কার্ট আর স্কার্টের নীচের শেষ বস্ত্রখণ্ড। ইভানাও অস্থির হয়ে ওঠে। লজ্জা ভেঙ্গে ফেলে দেয় গায়ের ওপরে এতক্ষণে অপ্রয়োজনীয় হয়ে ওঠা ব্ল্যাঙ্কেটটাকে। একটানে খুলে ফেলে অনির শার্ট।

কিন্তু এতক্ষনে যতটুকু উত্তেজিত হয়েছে তার চেয়ে দশগুণ বেশী উত্তেজিত হয়ে পড়ে হঠাৎ অনির গলার দিকে তাকিয়ে। অনির গলায় পরা আছে একেবারে ওর মতই একটা মাদুলি। অনির অতকিছু ভাবার সময় নেই। ততক্ষণে অনি নিজের শেষ বস্ত্রখণ্ডটাও খুলে ফেলেছে। ইভানার অবাক মুখের দিকে তাকিয়ে প্রচণ্ড লজ্জা পেয়ে যায়। কম্বল দিয়ে ঢেকে ফেলে নিজেকে। ইভানার অত কিছু খেয়াল নেই। ও শুধু অনির মাদুলিটা হাত দিয়ে ধরে বলে, "এটা কি? এটা তুমি কোথায় পেয়েছ?" অনিরও চোখ পরে ইভানার গলার দিকে। অবাক হয়ে দেখে ওর মতই একটা অদ্ভূত মাদুলি পড়ে আছে ইভানা।
[/justify]

ফেরা - ০১
ফেরা - ০২
ফেরা - ০৩
ফেরা - ০৪


মন্তব্য

দ্যা রিডার এর ছবি

চলুক ... পড়ছি হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রথম পাতায় লেখার অংশটি খুব বড়। লিংকগুলো লেখার ভিতর ঢুকিয়ে প্রথম প্যারাকে একটুকরো করে দেবো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই :)। পরের পর্বগুলো এভাবেই পোস্ট করব।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কল্যাণF এর ছবি

হাততালি এতদিনে হরর গল্প মনে হচ্ছে কবি দাদা দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

শয়তানী হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তাপস শর্মা  এর ছবি

দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

শয়তানী হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাফি এর ছবি

ওরে এসব কি হচ্ছে? বাসা ছেড়ে হলে যেয়ে উঠব নাকি তাহলে?

কল্যাণF এর ছবি

হলে একবার যায়া দেখেন সাফি জুনিয়ারের মা আপনার কি অবস্থা করে। এতে অবশ্য আমাদের আম পাঠকের লাভ হবে, কারণ মানসিক কষ্ট ও শারীরিক বেদনায় আপনি নিশ্চয় একটা পোস্ট দিবেন দেঁতো হাসি শয়তানী হাসি

সাফি এর ছবি

হ্যাতারে যে খবর দিবো আমি হ্যার উপ্রে বৈসা পরুম

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাই ডরাইছি। আমি খবর দেওনের মধ্যে নাই। আইসা পরেন হলে। কাউকে পেয়ে যাবেন যে বলবে আইসা পড়ো বেইবে... দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হায় হায় কন কি সাফি ভাই! ভাবী সচলে ঢোকে না???

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাফি এর ছবি

নিয়মিত না, বৈলাই তো এখনও মনের সুখে লুল ফেল্তে পার্তেসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বাঘের বাচ্চা

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নূপুরকান্তি এর ছবি

আজকের পর্বটায় একটু চোখ বুলিয়ে নিয়েই আর পড়লামনা।
ফিরে গিয়ে আগের পর্বগুলো একটানে শেষ করে ফের এসে এই পর্ব পড়েছি।
বুঝতেই পারছেন, টানটান ব্যাপারটা ভালোমতোই আনতে পেরেছেন।
সত্যি খুব জমিয়ে লিখছেন।চালিয়ে যান।
পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রচি এর ছবি

ভালো লাগতেসে।।আজ ল্যাব এ এসে টানা ৫ পর্ব পড়ে ফেললাম...।।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

sd এর ছবি

মূন যে বহুত কিছু কইবার চায়!

ভাইরে......হলে এইসব হয়!......বাহ বাহ!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাই দাড়ান, ভাবীরে লিঙ্ক দিতাছি। মনের বারোটা বাজায়ে দিবেনে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আহারে দাদা, লেখাটা যদি আর ১৫টা বছর আগেও লিখতেন। আমি নিঘঘাত আম্রিকা যাইতামই হোস্টেল এ থাকতে। জবর হচ্ছে।। চলতে থাকুক।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দাদা পনের বছর আগে কি আর এতকিছু হইত? যুগ বদলাইছে না!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

হেইডাই। আমগো সুময় আসলে শ্যাষ। জয় হোক নতুনদের। চলতে থাকুক তাদের অগ্রযাত্রা। গল্পটার এপিসোডগুলো তাড়াতাড়ি দেয়ার জন্য আপনাকে এক বস্তা ধইন্যাপাতা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনাকেও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাব্বানী এর ছবি

আগে ১ম পর্ব পড়েছিলাম, আজকে বাকিগুলো একসাথে পড়লাম...খুব জমেছে, চালিয়ে যান সাথে আছি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রাব্বানী ভাই হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

পড়েছি আগেই, মন্তব্য করিনি। মনে হচ্ছিলো মন্তব্য করলেই ধরবেন, সাহিত্যিক কই বলে। তাই সাহিত্যিক পরের পর্ব ছেড়ে তারপর আপনার লেখায় মন্তব্য করছি দেঁতো হাসি । কাহিনী জটিল আগাচ্ছে। কিন্তু এইরকম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ইভানা মাদুলি নিয়ে পড়লো কেন? ওরে আরেকটু পরে মাদুলিটা দেখাতে পারলেন না? মনে করেন, অনি তার সব জামাকাপর খুললেও গলায় খালি একটা মাফলার পড়ে আছে (পড়তেই পারে, হয়তো ঠাণ্ডা লেগেছে)। খালি মাফলার তা থাকলেই তো আর ঝামেলাটা হতো না। মাদুলিও দেখত না, আর কাহিনী যা আগাচ্ছিল ওইভাবে এগিয়ে যেত লইজ্জা লাগে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হেহে ঠিকই কইছেন, মন্তব্য করলেই সাহিত্যিক নিয়ে ধরতাম, অপেক্ষা করে ছিলাম আসলেই।
মাফলার পড়লেও সমস্যা হয়ে যাইত ভাই, শেষ মুহূর্তে যেয়ে দেখত প্রোটেকশান নাই দেঁতো হাসি এর চেয়ে আগে ভাগে মাদুলি দেখে থেমে যাওয়া ভাল না! আর পরের ঘটনা এমন কীই বা ঘটত, ওসব ঘটনা তো গুপ্তদা অনেক আগেই বলে গেছেন দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

উচ্ছলা এর ছবি

চরমস্ তো!
রহস্য এমনিতেই ভালো লাগে। তবে একটু আধটু 'ইয়ে' ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে এখন বেশি ভালো হয়েছে।

পরের পর্ব কাল/পরশু দিলে আপনাকে দই খাওয়াব। চিনিপাতা দই। সুপ্রিম কোয়ালিটি। আমি দই বানাতে শিখেছি সম্প্রতি হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

তাহলে আপনি 'ইয়ে' ইনগ্রেডিয়েন্টস ভালো পান? খাইছে
আসলে এটাতো ইয়ে না, কাহিনীর প্রয়োজনে আসলে নগ্নতাও যেমন অশ্লীলতা নয়, তেমনি কাহিনীর প্রয়োজনে 'ইয়ে'ও 'ইয়ে' নয় দেঁতো হাসি
কাল পরশু দিতে পারব কিনা কে জানে, ডেডলাইন একটু বাড়ানো যায় না? আচ্ছা দই পাঠাবেন কিভাবে? ডিএইচএলে কি দই পাঠানো যায়?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

এহহে এডা একটা কাম করলেন মিয়া এমন জায়গায় কেউ ইন্টারমিসন দেয়।। জলদি পরের পর্ব দেন মিয়া।।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি
চা খাইয়া আসি খাইছে

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ন এর ছবি

ফেরা এখনো ফিরছেনা! কবে ফিরবে? অপেক্ষায় আছিত..

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

একটু সময় লাগবে এবার, একটু ব্যস্ত আছি মন খারাপ তবে আসবে তো অবশ্যই। ধন্যবাদ হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রচি এর ছবি

পরের পর্ব তো এখনও এলো না ভাইয়া......।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এইতো দিয়ে দিলাম, আশা করি সকালের মধ্যে পেয়ে যাবেন হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।