দেশের বাইরে আসার পর প্রথম যে জিনিসটা জাকি কিনেছে সেটা হল একটা চেয়ার। তবে চেয়ার না বলে সেটাকে একটা মোটামুটি পালঙ্ক বলা চলে। দুইশ ডলার দিয়ে যেখানে একজন ব্যাচেলর দরিদ্র গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টের প্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র কিনে ফেলা যায়, সেখানে কেউ যদি আড়াইশ ডলার খরচ করে একটা চেয়ার কিনে ফেলে তাহলে তাকে আরামপ্রিয় বললে আরামপ্রিও শব্দটা আর ভবিষ্যতে যথাযথভাবে ব্যবহার করা যাবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে হয়। সে চেয়ার কেনাও একটা ইতিহাস বটে, শহরের সব ফার্নিচারের দোকানের মোটামুটি সব চেয়ার পশ্চাদ্দেশ দিয়ে পরখ করতে মোটামুটি এক সপ্তাহ লেগে যায় ওর। শেষ পর্যন্ত এক দোকানের আড়াইশ ডলারের একটা চেয়ার ওর পশ্চাদ্দেশের রসনা বিলাসে সমর্থ হয়। ওকে যারা আমার মত হাড়ে হাড়ে চেনে, তারাই শুধু জানে, একমাত্র আরামের জন্যেই ওর পক্ষে এতটা কষ্ট করা সম্ভব। ওর হলের রুমমেটদের কাছে শোনা, ও নাকি রাতে বিছানার পাশে একটা পাত্র রেখে ঘুমায়, রাতের বেলা নিম্নচাপের মোকাবেলা করার জন্যে, সামান্য নিম্নচাপের মোকাবেলার জন্য যদি রাতের ঘুম মাটি করতে হয় তাহলে নাকি মানব জন্ম বৃথা।
দেশে থাকতে ওর এই অলসতার অত্যাচার সহ্য করেছি আমরা যারা, পাস করার পর আমি ছাড়া মোটামুটি সবাই মুক্তি পেয়েছে। আন্ডারগ্র্যাডের শেষ দুই বছর সকাল আটটা নয়টা দশটা আর এগারোটার ক্লাসে ওর প্রক্সি দিতে দিতে আমরা দুই-তিনজন মোটামুটি বিখ্যাত হয়ে উঠি। বিখ্যাত হয়ে যে আসলে জীবনে কোন লাভ নেই বরং ক্ষতি, সেটা প্রথম আর শেষবারের মত তখনই টের পাই। শেষ পর্যন্ত ওর প্রক্সি দিতে দিতে আমাদের কয়েকজনের পরিচিতি এমন দাঁড়াল যে, আমাদের দরকারে আর আমাদের প্রক্সিও কেউ দিতে পারত না। এক শিক্ষক মহোদয় তো এসেই আমাদের দিকে তাকিয়ে দন্ত বিকশিত হাঁসি দিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, আজকে কারও প্রক্সি দিতে হবে কিনা।
তো পাশ করার পরও সেই তথাকথিত বন্ধুত্বের অত্যাচার যে সহ্য করতে হবে সে কথা কেউ বোধহয় দূঃস্বপ্নেও ভাবি নাই আমরা কেউই। কিন্তু আমিই ভাগ্যবিধাতা আর ইয়ার দোস্তদের নির্মম হাস্যরসের শিকার হলাম। আমি বাইরে আসার ছয়মাসের মধ্যেই সকল অলসতার পশ্চাদ্দেশে কষে লাথি মেরে কিভাবে কিভাবে যেন আমার ইউনিভার্সিটিতেই একটা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ যোগাড় করে ফেলল। যেই শালা ঘুমের জন্যে লাঞ্চের আগে কোন ক্লাস করত না, সেই শালাই কিভাবে মোবাইল কোম্পানীর আটটা-দশটা আর নো উইকেন্ডের চাকরির মধ্যে থেকেও একটা টপ র্যাাঙ্ক ইউনির প্রফেসরকে বোকা বানিয়ে ফেলে সেটা কিছুতেই আমার মাথায় ঢোকে না। প্রফেসর জাতটার জন্যে কোনকালেই আমার তেমন কোন শ্রদ্ধা ছিল না, কিন্তু এই ঘটনার পর যেটুক অবশিষ্ট ছিল সেটুকু করুণায় রূপান্তরিত হল। মনে মনে আশা করছিলাম, হয়ত একবছরের মোবাইল কোম্পানীর চাকরীর স্টীমরোলারে মোটামুটি সাইজ হয়ে আসবে হয়ত। কিন্তু, আমাকে যখন ওর সাথে একটা চেয়ার কেনার জন্যে এক সপ্তাহ পুরা ঘুরে দেশ থেকে আনা একমাত্র স্যান্ডেলটার সোলকে হাফসোল বানাতে হল; এত বড় চেয়ার যে বাসের দরজা দিয়ে পার্টস পুর্টস খুলেও ঢুকানো যায় না, সেই চেয়ার যখন ওর সাথে পালাক্রমে মাথায় করে বয়ে নিয়ে বাসায় পৌছে দিতে হল তখন আমি শুধু বুঝতে পারলাম, আমার খবর আছে।
খবর শুধু এরকম গতর খাটানির উপর দিয়ে গেলেও অতটা সমস্যা ছিল না। সমস্যা হয়ে গেল যখন ও সকালের ঘুমের জন্যে প্রফেসরের সাথে মিটিং মিস করা শুরু করল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওর প্রফেসরের সাথে আমার দুইটা কোর্স করার সুবাদে ভাল একটা সম্পর্ক ছিল, আর সেই সুবাদে ও আসার আগে বেচারা প্রফেসর ওর ব্যপারে আমার কাছে অনেক কিছুই জানতে চায়। জাকি শালাকে পুরোপুরি ডুবিয়ে দেয়ার প্ল্যান নিয়ে গিয়েছিলাম যদিও, কিন্তু শেষমেষ অভ্যাসবশত মিথ্যাটাই বের হয়ে যায়, কে না জানে প্রফেসরের কাছে সবসময় মিথ্যা আর উকিলের কাছে বরাবর সত্যি বলতে হয়। সমস্যা হয়ে গেল ও একটা করে মিটিং মিস করে আর ওর প্রফেসর আমাকে ডেকে পাঠায়, বলে তুমি বললা ছেলে ভাল, রেস্পন্সিবল, কিন্তু সে তো প্রায়ই মিটিং মিস করে, জিজ্ঞেস করলে বলে ঘুম থেকে উঠতে পারে না, তাতেও তার কোন বিকার নেই। তোমার ইনফর্মেশান রিলায়েবল ভেবেছিলাম আমি। আমি শুনি আর আমতা আমতা গাঁইগুঁই করি। মনে মনে গালি দেই আর ভাগ্যকে দোষারোপ করি।
ও যখন আসে এখানে তখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই লিভিং রুমটা খালি ছিল। ভাবলাম ঝামেলা না করে আমার এখানেই উঠাই, মাসের খরচটা কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু এত যন্ত্রণা হবে এটা মাথায়ও ছিল না। আগে উইকএন্ডে রান্না করতাম, সেই রান্নায় এক সপ্তাহ চলে যেত। কিন্তু শালা আসার পর খাবার দুইদিনে শেষ হয়ে যায়, আর রান্নার ব্যাপারেও তার চরম আলস্য, বাধ্য হয়ে যে দু-একদিন রান্না করে তাও পোড়া ডিমভাজি আর আলুভর্তা দিয়ে চালিয়ে দেয়। আমার মেজাজ দিন দিন চরম খারাপ হচ্ছে। ওকে দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। এর মধ্যে চালু হয়েছে ওর নতুন বিলাসিতা। সে একটা ক্যামেরা কিনেছে। এটা হচ্ছে একটা নতুন ফ্যাশান, বিদেশে আসলেই আগে একটা ডিএসএলআর কিনে ফেলবে মানুষ আর তারপর সেই ক্যামেরা নিয়ে উল্টাপাল্টা ছবি তুলে নিজেকে ফটোগ্রাফার হিসেবে জাহির করার চেষ্টা, তাতেও আমার আপত্তি থাকার কথা না কিন্তু, মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল যখন শুনলাম আমি নাকি এখন তার এক্সপেরিমান্টাল মডেল। সে নাকি ফটোগ্রাফির সব জঁনরার মধ্যে পোট্রেটটাতেও সিরিয়াস হতে চাচ্ছে, আর হাতের কাছে আমার চেয়ে ভাল মডেল আর সে পাচ্ছে না। আমি এককথায় ওকে না করে দিলাম, কিন্তু আলস্য আর ঘ্যানঘ্যানানিতে জাকির ধারেকাছে কাউকে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আমাকে ওর ফটোগ্রাফিক এক্সপেরিমেন্টের নির্মম শিকারে পরিণত হতে হয়। এদিকে কষ্ট করে আমি পোজ দেই আর ওদিকে সে সেসব ছবি ফেসবুকে আপ্লোড করে বাহবা কুড়ায়। দিনে দিনে ওর উপর আমার মেজাজ গরম হতেই থাকে।
সে ওদিকে তার চেয়ারটায় বসে থাকে, দোল খায়, মাঝে মাঝে ঘুমায়, ফেসবুকে ছবি আপ্লোড করে, মাঝে মাঝে ক্যামেরা দিয়ে আমার খোমার ছবি তোলে, ফটোশপে ঘষাঘষি করে, মাঝে মাঝে মিটিংএ যায়, প্রায়ই মিটিং মিস করে আর আমার রান্না করা খাবার শেষ করে। মাঝে মাঝে তার প্রফেসর আমাকে ডেকে ওর ব্যাপারে আলাপ করে, আমার জন্যেই যে সে এরকম একটা ইরেস্পন্সিবল ছাত্র পেয়েছে সেটা আমাকে সপ্তাহে অন্তত একবার শোনাতে ভোলে না।
এভাবেই চলছিল। এর মধ্যে একদিন শুনি ওর প্রফেসর নাকি ওকে আর ফান্ডিং দিবে না। আচ্ছা ভাল কথা, এভাবে মিটিং এর পর মিটিং মিস করলে কে আর ফান্ডিং কন্টিনিউ করবে? যাই হোক তাতে আমার এত মাথাব্যাথার কোন কারণ ছিল না। কিন্তু জাকির সাথে সব পেইনের সাথে আমি কিভাবে যেন বারবার জড়িয়ে পড়ছি শুধু। এখন আমাকে বলে আমার সাথে ও আর দুই-তিনমাস থাকতে চায়, অন্য ভার্সিটি অন্য প্রফেসর খুঁজবে সে এই কয়দিন, এই কয়দিন সে কোন ভাড়া দিতে পারবে না, আর আমার সাথেই খাবে। কোন একটা ব্যবস্থা হয়ে গেলে নাকি আমার পাওনা সুদে-আসলে মিটিয়ে দেবে।
মেজাজ খারাপ হয় চূড়ান্ত, কিন্তু মানুষটা আমি খারাপ না বোধহয়, এত অত্যাচারের পরেও না করতে পারি না। আল্টিমেটাম দিয়ে দেই, তিনমাস, এর বেশী সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব না তাছাড়া একজনকে বসে বসে খাওয়ানোটাও আমার সাধ্যে কুলাবে না। ওদিকে ওর ভাবান্তর দেখি না। আগের মতই চেয়ারে বসে থাকে, দোল খায়, মাঝে মাঝে ঘুমায়, ফেসবুকে ছবি আপ্লোড করে, মাঝে মাঝে ক্যামেরা দিয়ে আমার খোমার ছবি তোলে, ফটোশপে ঘষাঘষি করে শুধু আর মিটিংএ যাওয়া লাগে না। সারাদিন কম্পিউটার টেপাটেপি করে। কিছু জিজ্ঞেস করলে বলে, আমার চিন্তা করতে হবে না, ওর নাকি চিন্তা আছে, আমি যেন নিজের চর্কায় তেল দেই। তিনমাসের মধ্যে নাকি ব্যবস্থা কিছু একটা হয়ে যাবে।
আমি বিশ্বাস করি না যদিও। কিন্তু তেমন কিছু বলি না। কিন্তু ওকে দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এর মধ্যে একটা জিনিস শুধু চলতে থাকে, প্রতিদিন আমার ছবিতোলা, ও নাকি ছবিতোলায় খুব এক্সপার্ট হয়ে গেছে। আমি বুঝিনা, ছবি তোলার মধ্যে এত এক্সপার্ট হওয়ার কি আছে। ক্যামেরার শাটারে চাপ দিলেই তো ছবি ওঠে, সেটা নিয়ে এত লাফালাফির কি আছে এটা আমি বুঝিনা। আর আমার মত আধাখ্যাচড়া চেহারার কারও ছবি উঠিয়ে যে ফটোগ্রাফার হতে চায় তার ফটোগ্রাফির নলেজ নিয়ে আমার সন্দেহ থেকেই যায়। আমি শুধু চুপচাপ অপেক্ষা করে থাকি, কবে শেষ হবে তিনমাস। আমি নিতুন রুমমেটের ও খোঁজ করতে থাকি। ওকেই শুধু দেখি সেই এক ভাবলেশহীন ভাবে একঘেয়ে সময় কাটিয়ে যায়।
এভাবে তিনমাস প্রায় শেষ হয়ে আসে। একদিন সকালে মেইল পাই জাকির প্রফেসরের কাছ থেকে, আমি যেন তাকে একটু জানাই আমি কখন ফ্রি আছি। সে আমার সাথে একটা মিটিংএ বসতে চায়। আমি একটা সময় জানিয়ে দেই।
পরেরদিন ওর প্রফেসরের রুমে গেলাম সময়মত। গিয়ে দেখি ওই ব্যাটাও বসে আছে। কাহিনী কিছুই বুঝলাম না আমি। ওকে তো তিনমাস আগেই বের করে দিয়েছে প্রফেসর। কোনভাবেই মেলাতে পারিনা। দেখি দুজনের মুখই হাসি হাসি। আমাকে বসতে বলে। বসে পড়ে অপেক্ষা করি কি বলবে শোনার জন্যে। ও ব্যাটা আবার কি কারসাজি করে প্রফেসরকে পটিয়ে ফেলল ভেবে পাইনা, আবার কতদিন ওর অত্যাচার সহ্য করতে হবে, ভেবেই মেজাজটা তিরিক্ষি হয়ে যায়। কিন্তু প্রফেসরের সামনে হাসি হাসি মুখ করে বসে থাকি।
প্রফেসর এবার মুখ খোলে, বলে 'গিনিপিগ কি জানো?' বলে জবাবের অপেক্ষা করে না। বলে, 'গিনিপিগ কিন্তু অনেক এক্সপেরিমেন্টের জন্যে খুবই জরুরী এটা জানো?' অবশ্যই জানি, মনে মনে বলি, কিন্তু এর সাথে আমার কি সম্পর্ক, শালার এত ত্যানা প্যাঁচানোর মানে কি? আমি কম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট তুমি কম্পিউটার সাইন্সের প্রফেসর, তুমি গিনিপিগ নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাও কেন? তারপর বলে, 'তুমি কি বুঝতে পারছ যে তুমি আমাদের একটা এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ ছিলা? এবং আমরা আমাদের এক্সপেরিমেন্টে সাকসেসফুল! গিনিপিগ হিসেবে তোমারও কংগ্রাচুলেশান প্রাপ্য, কি বল জাকি?' জাকি কিছু বলে না, শুধু গা জ্বালানো একটা হাসি দেয়। আমি একটা হাসি হাসি মুখ করে বসে থাকি।
'তুমি কি জানতে আমরা কি নিয়ে কাজ করছিলাম? আমাদের প্রজেক্ট ছিল মানুষের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশান থেকে তার মানসিক অবস্থার একটা কোরিলেশান খুঁজে বের করা, একটা উদাহরণ দেই দেখ, তুমি এখন হাসি হাসি মুখে বসে আছ, কিন্তু তোমার কিন্তু মেজাজ বেশ খারাপ আমাদের উপরে। একটা নরমাল ফেসিয়াল এক্সপ্রেশান থেকে তোমার মানসিক অবস্থা বের করার অ্যালগরিদম কিন্তু এখন ভুল একটা রেসাল্ট দেবে তোমার হাসিমুখ দেখে', আমি হা করে বসে থাকি, জাকি ওদিকে গা জালানো হাসি দিয়ে বসে আছে, আর প্রফেসর বকে যায়, 'এক বছর আগে জাকি যখন আমাকে মেইল করে ওর মেইলের প্রথম লাইন কি ছিল জান? ওর মেইলের প্রথম লাইন ছিল, আমি খুবই অলস একজন মানুষ আমার কাছের সবাই আমাকে খুবই অলস মানুষ হিসাবে জানে, আমিও সেটা অস্বীকার করি না, কিন্তু আমি আমার আলস্যটাকে ব্যাবহার করতে চাই'।
আমি হ্যা হ্যা করি। 'তারপর সে আমাকে একটা অদ্ভূত রিসার্চ প্রপোজাল দিল। তোমাকে নিয়ে। আমাকে বলল, ওর আলস্যের কারণে নাকি ওর বন্ধুরা মানে তোমার সবাই ওর ওপর চরম ক্ষ্যাপা, ও ওর লেইজিনেসকে ব্যবহার করতে চায়, পুরো প্ল্যানটা আমাকে খুলে বলে, খুব ইন্টারেস্টিং লাগে আমার কাছে। ওর ইচ্ছা মানুষের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশানের সাথে মেন্টাল অবস্থার যোগসূত্র খোঁজার জন্যে নরমাল প্যারামিটারের বাইরেও কিছু প্যারামিটার নিয়ে কাজ করা। নরমাল অ্যালগরিদম হয়ত তোমার হাসিমুখ দেখেই বলে দেবে তুমি বেশ আনন্দে আছ, কিন্তু আমদের অ্যালগরিদম আরওকিছু প্যারামিটার বের করেছে, যেটা একেবারে পার্ফেক্টলি কাজ দেবে। এই কয়মাসে আমরা তোমার ধীরে ধীরে চেঞ্জ হওয়া ফেসিয়াল এক্সপ্রেশানের ওপরেই কাজ করেছি, রেজাল্ট যা পেয়েছি অসাম, সিমপ্লি অসাম', বলতে বলতে মনিটরে বেশ কয়েকটা গ্রাফ দেখাতে থাকে, আমি দেখে অবাক হয়ে যাই, আসলেই অসাম, অসাম।
আবার বলে প্রফেসর, 'প্রথমে ভেবেছিলাম পাগলামি, এরকম কোন প্রস্তাব আগে কখনও পাই নাই আমি, আমারও খুব বেশী ভরসা ছিল না, একটা জুয়া খেলেছিলাম জাকিকে নিয়ে, বাট হি ইজ অ্যান অসাম লেইজি ম্যান'। জাকি দাঁত কেলিয়ে হাসতে থাকে। আমাকে থ্যাঙ্কস দেয় ওরা।
আমি বের হয়ে যাই, খুঁজতে থাকি, আমার এক্সপার্টাইজ কিসে?
মন্তব্য
খুব ভাল লাগল
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খুব ভাল হইছে, আরোও চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসাম! অসাম!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে মজা পেলাম।
_________________
[খোমাখাতা]
আমার অভিজ্ঞতার গল্প না, স্রেফ একটা গল্প
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসাম সালা!!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধইন্যবাদ নজু ভাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ফাটিয়ে দিয়েছেন গুরু। রিয়েলি অছাম। ওই জাকির শালার সাথে আমারও এক সময় অছাম মিল ছিল। কিন্তু আমার সুখের দিন হারিয়ে গেছে
হেহে আর সুখ, সুখ হইল কচুপাতার পানি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গল্পটা পড়তে যে ভালো লাগছে এটা লিখতে আলসেমি লাগতেছে ভাই ত্যানা প্যাঁচানো টার্মটা কি আপনার খুব প্রিয়?
খিয়াল করি নাই আগে, এখন দেখলাম মনে হয় প্রিয় আছে, আমি আসলে ত্যানা প্যাঁচানী দেখতে পারি নাতো
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তোমার এক্সপার্টাইজ হল লেখায়!.........
ধুরো ভাই, লেখায় এক্সপার্টাইজ থাকলে তো লেইখা ফাডায়ালাইতাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চমৎকার এক্সপেরিমেন্ট
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনি তো দেখি আমার জীবন কাহিনি লিখে ফেললেন (টুইস্ট বাদে) !!
ইয়া মাবুদ - জাকির সাথে আমার এত মিল?
যাই হোক - লেখা পারফেক্ট এক্সপোজারের হইছে - পড়ে মজা লাগল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লিখলাম আমার জীবন কাহিনী নিয়ে (টুইস্ট বাদেই ) হয়ে গেল আপনার জীবন কাহিনী??
ধইন্যবাদ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তাড়াতাড়ি ওই প্রফেসার সাহেবের ঠিকানা দিন, পিএইচডির জন্য একটা অ্যাপ্লি ঠুকে দিই। মাথায় একটা 'অসাম' আইডিয়া আছে!
আর হ্যাঁ, এই লেখাটা, সিমপ্লি অসাম!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই। অসাম আইডিয়া থাকলে প্রফেসর আসলে ব্যাপার না, যেকোন প্রফেসরই লুফে নেবে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দারুন হয়েছে লেখা। কিন্তু ইভানা যে এদিকে সব খুলে বসে আছে, তার কী হল?
সাফি ভাই, আর ইভানার ব্যবস্থা অনিরে করতে দেন, ডিসটার্ব দিয়েন না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এহহেরে আপনি নিজেই না দায়িত্ব নিয়া হলে গেলেন, আমারে হুমকি দিলেন যে মুখ খুললেই আমার উপ্রে বইসা পড়বেন! এখন উল্টা কথা কন কেন ? আমিতো বরং চিন্তায় আছিলাম হলে ইভানার সাথে টাইম পাসের পর ভয় আইলো কেমতে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হলে গিয়া তো দেখি ইভানাও নাই অনিও নাই। পরে না শুনলাম ইভানারে ধৈরা নিয়া গেছে আমাগো কামালী ভাইয়ের সাথে। এর পর আর কি দুই এক বাঙ্গালি ভাই এর বাড়িত দাওয়াত দুয়াত খেয়ে আইসা পরলাম
হায় হায় ভাই কি কন? কাহিনী তো ঘুরায়ে দিলেন! ঝামেলায় পইড়া গেলাম। আপ্নে যেহেতু গেছিলেন ফেরা - ০৬ টা আপনি দিয়া দেন, দেখা সাক্ষাৎ হইলে খাওয়ায়ে দিমুনে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আরে নারে, পুলাপান তো আসলে জানেনা যে কামালী ভাই কই আবার হেলাল শুনছে যে ইভানার বাড্ডে, তাই হেরা ভাবছে দুইয়ে দুইয়ে ৫। কিন্তু আসল কাহিনী তো জানেন শুধু আপনে
আমার মাথায় একসময় একটা প্ল্যান ছিল। একটা কাহিনী পাঁচ-সাতজন মিলে লেখবে। মনে করেন আমি পাঁচ পৃষ্ঠা লিখে দিলাম, আমি কি চিন্তা করে লিখছি আপনি জানবেন না, পরে আপনি আরও পাঁচ পৃষ্ঠা লিখবেন কিন্তু আমার কাহিনীর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করবে না। এভাবে আবার একসময় আমার টার্ন আসবে। শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায় এটা দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। আমি হয়ত প্রেমের গল্প ভেবে লিখছি আপনি টাইনা হরর এ নিয়ে গেলেন, এরপরে রাতঃস্মরণীয়দা টেনে রগরএ নিয়ে গেলেন, এরপর উদাস ভাই সেইটারে মসলা দিয়ে জগাখিচুরি বানায় দিল, এরপর অনু ভাই এসে কোন লিঙ্ক ছাড়াই গল্পের পাত্র-পাত্রীরে সবাইরে নিয়ে উত্তর মেরুতে চলে গেল, ফাহিম ভাই এসে উত্তর মেরুতে কিছু ফটোগ্রাফি করল, রোমেল ভাই একটা চান্স পেয়ে সেটাকে শেষের কবিতা বানায়ে ফেলল আর শেষ পর্যন্ত হিমু ভাইয়ের হাত ঘুরে যখন আমার হাতে আসবে তখন আর চেনার কোন উপায় থাকবে না। এইভাবে চলতে থাকবে মেগাসিরিয়াল
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আর সেই সব আমি খালি পড়ব আর চিপা চুপা দিয়া মন্তব্য করব
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এইসব চইলত ন, নিক পাইছেন, এবার ধুমায়ে লেখা দেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
জটিল এক্সপেরিমেন্ট।
আপনি "ফেরা" এর পরের পর্ব ছাড়তে আলসেমি না করেন।
। ফেরা নিয়ে মাথার ভিতর এক্সপেরিমেন্ট চলতেছে। আশা করি চলে আসবে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এরকম টুইস্টওয়ালা অভিজ্ঞতা আপনার! দারুন তো।
আপনার এক্সপারটাইজ হল লেখা।
ভাইরে অভিজ্ঞতা না স্রেফ একটা গল্প। তবে গল্পের প্রথমাংশের সাথে আমার লাইফস্টাইলের মিল আছে বেশ খানিকটা, বেশ দাম দিয়েই একটা চেয়ারও কিনেছিলাম, টুইস্টটা নাই আরকি। প্রফের সাথে প্রতিদিন চাপাবাজি করে দিনযাপন করতেছি আলস্য আমার এক্সপার্টাইজ না আর হ্যা ফ্রেশ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
awesome shala....
কে এইডা শফি নাকি? ইইই এর?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বেশ জম্পেশ হয়েছে গল্পখানা কবি
অনেক অনেক ফ্রেশ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পড়তে পড়তে আমিই বেকুব হয়ে যাচ্ছিলাম......... অনেক মজা পাইলাম......
অনেক অনেক ধন্যবাদ আফরিন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসাধারন, অসাধারন এবং অসাধারন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ হিমেল
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ হিমেল
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন