ওদের দুজনেরই আর কোন দিকে খেয়াল নেই তখন। নিজেদের অনাবৃত শরীরের দিকে তাকাতেও ভুলে গেছে। দুজনেরই মনে রাজ্যের কৌতূহল। ইভানা প্রচন্ড ভয় পেতে থাকে। ওর মনে হয় অনি বোধহয় স্যামদের দলের কেউ। ওর মনে পড়ে যায় সেই মেয়েটা আর চিঠিগুলোতে লাল কালি দিয়ে আঁকা সেই সাঁপের ফণার ছবির কথা। অনি অনাবৃত শরীর ঢেকে রেখেছিল কম্বল দিয়ে। একটান দিয়ে ওটা সরিয়ে দেয় ইভানা। উল্টেপাল্টে দেখে কোথাও ওই রকম কোন উল্কি আঁকা আছে কিনা।
আবার জিজ্ঞেস করে অনিকে, প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে, 'কোথায় পেয়েছ তুমি এটা? কোথায় পেয়েছ?'
অনি কিছুক্ষণ চুপ থাকে, নিজেকে কিছুটা সামলে নেয়। ইভানার দিকে তাকায়, চোখে চোখ রাখে, শক্ত করে হাতটা ধরে রাখে, বলে
- আমাকে পড়তে বলেছে ওরা, কারা আমি ঠিক জানিনা, কিন্তু একটা পার্সেল পাঠিয়েছিল আমার ঠিকানায়। বলেছে এটা না পড়লে নাকি আমার অনেক বড় ক্ষতি হবে। কিন্তু তুমি কিভাবে পেলে এটা।
- সে অনেক কাহিনী, সারাদিনেও শেষ হবে না। কিন্তু আগে তোমার ব্যাপার বলতো। আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না।
অনি কিছু বলে না। বিছানার পাশেই ওর টেবিলটা। অনেকগুলো বই খাতা আর ল্যাপটপটা এলোমেলো করে রাখা। টেবিল আর রুমের অগোছালো অবস্থা এতক্ষণ খেয়াল করেনি ইভানা। টেবিলের ড্রয়ার খুলে একটা ডায়রী বের করে ইভানার হাতে দেয় অনি, বলে, 'এটা পড়'।
বেশ মোটাসোটা একটা ডায়রী। উল্টেপাল্টে দেখে ওটা। প্রথমদিকের কয়েকপাতায় গোটা গোটা করে ইংরেজীতে অনেককিছু লেখা। হাতের লেখা বেশ মুগ্ধ করার মত। পাতা উল্টিয়ে লেখার একেবারে শুরুতে চলে আসে, পড়তে শুরু করে।
এখানে আসার পর প্রথম সকাল। ডর্মিটরির রুমে বসে আছি। বাইরে এখনও অন্ধকার। এত সকালে ওঠা আমার অভ্যাস না, কিন্তু নতুন জায়গায় আমার ঘুম হয় না। সারারাতই জাগাজাগা ঘুমিয়েছি। সাতসকালে উঠে ডায়রী লিখতে কেন বসলাম, আমি নিজেও জানি না। লেখালেখি ঠিক আমার কাজ নয়, লেখালেখি আমার আসেও না। অবশ্য ডায়রী লেখার উদ্দেশ্য যদি লেখালেখি বলি তাহলে, খুবই ভুল বলা হবে। লেখালেখিতে আমার কোন আগ্রহ নেই, আমি আসলে লিখে যেতে চাই। কার জন্যে লিখছি আমি জানি না, ঠিক কী লিখব তাও জানিনা, কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, এই লেখা কেউ তো একসময় পড়বেই, আমি থাকি বা নাই থাকি!
আমার বাইরে আসাটা হুট করে। দেশ ছেড়ে আসার তেমন কোন ইচ্ছা ছিল না। অনেকের জীবনে যেমন স্বপ্ন থাকে আমেরিকা, কানাডা বা কোন সাদাদের দেশে সেটেল করার, নিজের ময়লা আর নোংরা দেশ ছেড়ে এসে জাতে ওঠার ওরকম কোন ইচ্ছে আমার কখনই ছিল না, এখনও নেই। দেশে যতদিন ছিলাম, ভালই তো ছিলাম। আমি আসলে পালিয়ে এসেছি, পালিয়ে এসেছি সবার কাছ থেকে।
নাহ কোন অপরাধ আমি করিনি। আর সেরকম কোন অপরাধ করার সাহসও আমার নেই, ছিলনা কখনও। মাঝে মাঝে মনে হত শুধু একেবারে সব শেষ করে দিতে, সবাইকে শেষ করে দিতে। কিন্তু অতটা সাহসে কুলায়নি, আমার মত কারও সাহসে অতটা কুলায় না। আমি যে দশজনের মধ্যে একেবারে নয়জনের মত। দশমজন হওয়ার সাহস আমার কখনও ছিল না, কখনও হবে না। সেটা হতে পারলে আমাকে আর পালিয়ে আসতে হয় না। সেটা হতে পারলে, আমাকে আজ হাজার মেইল দূরে বসে ডায়রী লিখতে হয় না।
সবকিছু গোছানো হয়ে গিয়েছিল একসময়। আমি মিডিওকার মানুষ, ঝামেলাহীন মানুষ। একটা মিডিওকার ইউনি থেকে পাশ করলাম, মিডিওকার রেজাল্ট, আমার স্বপ্নগুলোও ছিল মিডিওকার। আমার মত ভাঙ্গা পরিবারের মানুষের স্বপ্নেরা খুব বেশী বাড়েনা। সেই তুলনায় বেশ ভাল একটা চাকরী হয়ে গেল পাশ করতে না করতে। আমার মত মিডিওকার কেউ, নিজেকে সফল বলতে চাইলে এর চেয়ে বেশী কিছু চায়না। আমার দরকারও ছিল না। ততদিনে নিজে বাসা নিয়েছি। বাবা যদিও টাকা পয়সা দিতে চায় এখনও, কিন্তু আমার আর মন টানেনা। আমি ভালই ছিলাম নিজের মত।
এরকম আরও অনেক কিছুই লেখা। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাচ্ছে না ইভানা। ধৈর্য কম ওর, পড়ার মাঝে মাঝে অনির দিকে তাকাচ্ছে। অস্থির হয়ে কয়েকপাতা সামনে চলে যায়, পড়তে থাকে আবার,
তো চলছিল এরকম, একরকম ভালই, সেই ফোনকলটা পাওয়ার আগ পর্যন্ত। সেদিন ছিল বুধবার। অফিস থেকে বাসায় এসেছি মাত্র, খাওয়া দাওয়া করে নিজের রুমে একটু ঘুমের মত এসেছি। এই সময়টাতে বাসায় কেউ থাকে না। বাসায় কেউ থাকলেও এ সময়টাতে আমি একাই থাকি। আমি আসলে বেশীরভাগ সময় একাই থাকি। মানুষের সাথে কথা বার্তায় আমি ঠিক স্বচ্ছন্দ নই আসলে, নিজের মত সময় কাটাতেই ভাল লাগে। বন্ধু বলতেও তেমন কেউ নেই আমার। তাও কথা-বার্তা বলেতে একজনের সাথেই একটু আধটু কথা হয়, সাঈদ, আমার স্কুলফ্রেন্ড।
ফোনকলটা ছিল অদ্ভূত। ওপাশ থেকে কথা বলছিল অদ্ভূত এক যান্ত্রিক কন্ঠ। কথা বলছিল মানে শুধু নিজের মতই বলে যাচ্ছিল। এদিক থেকে আমি শুধু হ্যালো হ্যালো করছিলাম, কিন্তু ওপাশ থেকে আমাকে শুনছিল বলে মনে হলনা। টানা বলে যেতে লাগল শুধু, 'গো অ্যাওয়ে ম্যান, লিভ ইওর কান্ট্রি, ইউ আর নট সেফ হিয়ার'। কিছুক্ষণ শুনে কেটে দিলাম। ভাবলাম কেউ ফাযলামি করছে হয়ত। ইনকামিং লিস্ট চেক করে আরও অবাক হলাম, নাম্বার লিস্টে দেখাচ্ছে, 'আউট অব সার্ভিস এরিয়া'। আসলে তেমন কোন পাত্তা দিলাম না ওইদিন। কোন উর্বর মস্তিষ্কের ফাযলামি বলে উড়িয়ে দিলাম।
কিন্তু সেটা ছিল কেবল শুরু। কলটা প্রতিদিন আসতে শুরু করল। প্রথম প্রথম কাউকে বলিনি, আমি নিজেই আসলে পাত্তা দেইনি। কিন্তু ব্যাপারটা সহ্যের বাইরে চলে গেল একসময়। দিনের মধ্যে দুই-তিনবার কল আসতে থাকল। বাধ্য হয়ে পুলিশকে জানালাম। কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ, এসব ছোটখাট ব্যাপার ওরা গোণায়ও ধরে না। বাধ্য হয়ে সিম চেঞ্জ করলাম, অন্য অপারেটরের নাম্বার নিলাম, কিন্তু ফোন আসা বন্ধ হল না, বরং যত দিন যেতে থাকল বাড়তেই থাকল ফোন আসার পরিমাণ।
শুধু তাই না, আরও ঝামেলা শুরু হল অনেক। চাকরীতে তখন আমার বেশ ভাল অবস্থা। কাজ কারবার করছি, ভালোও লাগছে। বসের সাথে সম্পর্ক ভাল। আসলে আমার মত মানুষের সাথে কারও লাগে না, কারও সাথে আমার হয়ত আলগা খাতির থাকে না, কিন্তু আমি কারও সাথেও নাই, পাঁচেও নাই। কথায় বলে বোবার শত্রু নেই। এতদিন সেটাকে সত্যই মানতাম, কিন্তু সে সত্য বেশীদিন আমার কপালে সইল না। কী কারণে জানি না, একদিনের নোটিসে চাকরী চলে গেল আমার। কিছু জানলাম না, কিছু বলা হল না আমাকে, শুধু জানলাম চাকরী নেই ব্যাস।
বুঝতে পারছিলাম কোথাও ঝামেলা হচ্ছে। কেউ কি গেম খেলছে আমাকে নিয়ে? আমার মত মানুষকে নিয়ে কে গেম খেলবে? আমি তো মাঠে খেলতেই নামি হার স্বীকার করে নিয়ে, আমার সাথে খেলে খেলার মজা তো পাবে না। আসলে কী হচ্ছে আমাকে নিয়ে?
শেয়ার করার মত ছিল এক সাঈদ। ওকেই সব বলতাম। ওর সাথেই আলোচনা করতাম, এক ওর ওপরই ভরসা ছিল আমার। আর আপন বলতে ছিল একমাত্র বাবা, কিন্তু তার সাথে সেই মা মারা যাবার পর থেকে সম্পর্কের সুতা কোথায় যেন কেটে গেছে। কথায় নাকি বলে, 'মা মরে গেলে বাপ তাঐ'। তাই শেষ পর্যন্ত সাঈদই ছিল ভরসা।
সাঈদ শুধু বলত, 'দোস্ত আম্রিকা চইলা যা, দেশে আর কে আছে তোর!'। আমারও ততদিনে মন উঠে গেছে। একটা মেয়েকে পছন্দ করতাম। প্রেম ছিল বলব না, আমার মত ছেলেদের প্রেম হয় না, একপক্ষীয় ছিল। শুধু আশা করে ছিলাম, ও বোধহয় সব বোঝে। হয়ত বুঝতও, আমার মত সহজ সরল কারও চোখের ভাষা একটা মেয়ে বুঝবে না, এটা আমার বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ও হয়ত বুঝতে চাইতই না, আমার মত একজনের চোখের ভাষা বুঝে কী হবে? তারপরও আশা ছিল। ও মাঝে সাঝে ফোন দিত, আমি সাহস করে খুব আগাতে পারিনি, শুধু সাহস করে অপেক্ষা করতাম ওর ফোনের জন্যে। কিন্তু টিকল না ও আমার ভাগ্যে, আমার ভাগ্যে তখন কিছুই টিকত না।
শেষ পর্যন্ত ডিসিশান নিয়েই ফেললাম, ছেড়ে যাব দেশ। ছেড়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় ছিল না, চাকরী চলে গেলে বাসা ছেড়ে আবার বাবার হোটেলে উঠতে হল। আর শেষের দিকে আমার শুধু মনে হত, কেউ আমার দিকে সারাক্ষণ চোখ রাখছে, সারাক্ষণ কেউ আমার পিছে তাড়া করছে। আর দিনের মধ্যে হাজার বার সেই যান্ত্রিক কণ্ঠের ফোনকল।
তারপরের কাহিনী খুব দ্রুত, এদিকে যেমন কিছুই হচ্ছিল না, আরেকদিকে যা করছিলাম শুধু হয়েই যাচ্ছিল। আমার শুধু মনে হচ্ছিল কেউ আমার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। একেবারে ছোটবেলা থেকে যা কিছু আমার অবলম্বন ছিল কিভাবে যেন সব উধাও হয়ে গেল এক এক করে। শেষ পর্যন্ত জিআরই দিয়ে ফেললাম, টোফেল দিলাম, অ্যাপ্লাই করলাম নীচের দিকের কিছু য়্যুনিভার্সিটিতে। তখন আমার জীবনে কোন স্বপ্ন নেই আর, কোন রকমে দেশ থেকে বের হওয়া কেবল লক্ষ্য, এক এক সময় মনে হত আশে পাশের সব কিছু শেষ করে দেব, জীবনের প্রতি ততদিনে ঘেন্না ধরে গেছে। আশে পাশের পরিচিত কিছু দেখলেই আগুন ধরে যেত শরীরে। হয়ত আত্নহত্যাই করতাম, কিন্তু নিজেকে একটা বেনিফিট অব ডাউট দিচ্ছি। মরতে চাইলে এত তাড়াহুড়ার কিছু তো নেই।
এরপরের গল্প খুব সহজ। বাইরে আসার সবকিছু কল্পনার চেয়ে দ্রুত হয়ে গেল। এত তাড়াতাড়ি হবার কথা নয়। আমার মত কারও এত তাড়াতাড়ি আর সহজভাবে হয় না। আমার ধীরে ধীরে বিশ্বাস দৃঢ় হচ্ছিল, কেউ অবশ্যই আমার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে, খুব স্থূল্ভাবে। যে কোন কারণেও হোক সে চাচ্ছে আমি দেশ ছেড়ে বাইরে চলে যাই। কিন্তু কেন চাচ্ছে? আই হ্যাভ নো আইডিয়া, আই অ্যাম জাস্ট গিভিং মাইসেলফ আ ড্যাম বেনিফিট অব ডাউট।
কিন্তু জীবন বদলায় না। এখানেও সেই একঘেয়ে জীবন, ভাল লাগার মত কিছু ঘটে না। আগের মতই ঘরের ভেতর বন্দী থাকি। কিন্তু সেই দেশের মতই অনুভূতি। মনে হয় কেউ যেন সারাক্ষণ আমার দিকে লক্ষ্য রাখছে। কাজ বলতে ক্লাসে যাই, রুমে এসে বসে থাকি, আর ডায়নিংএ খেতে যাই। দেশে তেমন কোন যোগাযোগ হয় না, মাঝে মাঝে কেবল সাঈদের সাথে কথা হয় ইয়াহু বা জিটকে। সাঈদ ছাড়া আমার খবর আর কেউ জানেনা বোধহয়।
কিন্তু আমার এই ধারণা বেশীদিন টেকে না, শান্তি বোধহয় আমার কপালে নেই। দেশের হয়রানির কথা চিন্তা করে সেলফোন নেইনি এখনে। আর নিয়েই বা কি হবে? ফোনে কথা বলার মত কেউ অবশ্য নেইও আমার। তাই শুধু শুধু ঝামেলা করিনি। কিন্তু ঝামেলা আমার পিছু ছাড়েনা। রুম থেকে খুব একটা বের হই না আমি, বের হওয়া বলতে কেবল ডায়নিংএ যাই, তাও হয়ত দিনে একবার। কিন্তু মনে হচ্ছে, একটা মেয়ে আমাকে ফলো করছে কয়েকদিন ধরে। প্রথমে ভেবেছিলাম কাকতালীয় ব্যাপার, কিন্তু চিন্তা করে দেখলাম, এখন আমার জীবনে আসলে কোন কিছুই কাকতালীয় নয়, সব কিছুই কেউ একজন নিয়ন্ত্রণ করছে। তার প্রমাণও পেলাম। মেয়েটা আমার ঠিক সামনের রুমেই থাকে, জানালার ফাঁক দিয়ে চোখ রাখে আমার রুমের দিকে। আমি বের হলেই আমার পেছন পেছন আসতে থাকে। ডায়নিংএ আমার থেকে একটু দূরে চুপচাপ বসে থাকে, কখনও নিজের মত খায়, কিন্তু আমাকে যে আড়চোখে দেখে আমি ঠিক টের পাই।
মেয়েটা অদ্ভূত সুন্দর। খুব ভাবতে ইচ্ছে করত, মেয়েটা আমার প্রেমে পড়েছে। কিন্তু এরকম একটা মেয়ে আমার প্রেমে পড়বে কেন? গ্রীক দেবী আমি দেখিনি, কিন্তু ওকে দেখে মনে হয় ওরা কি ওর চেয়ে বেশী সুন্দর ছিল? আমি কখনও ওর চোখের দিকে তাকাতে সাহস করিনি। কিন্তু ওর মুখ দেখলেই মনে হয়, অনেক কথা বলার আছে ওর। ও আসলে কী চায় আমার কাছে?
কাল একটা অদ্ভূত পার্সেল পেয়েছি আমি। আমাকে এখানে কে পার্সেল করতে পারে? আমার এখানকার ঠিকানা তো তেমন কেউ জানে না! পার্সেল খুলে অবাক হয়ে গেলাম। পার্সেল পাঠিয়েছে সাঈদ, সাথে ছোট্ট একটা চিঠি আর একটা মাদুলি। চিঠিতে লিখেছে,
"দোস্ত, তোর অনেক বিপদ, কী বিপদ আমি ঠিক জানি না, বললেও তুই বিশ্বাস করবি না। একটা তাবিজ পাঠাচ্ছি আমি, ওটা শুধু পরে থাকিস, তোর কিচ্ছু হবে না, ভাল থাকিস, সাঈদ।"
চিঠিটা পাওয়ার পর থেকে সাঈদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি, কিন্তু ওকে কিছুতেই পাচ্ছি না। ওর যে ফোন নাম্বারে ফোন দিতাম সেটাও বন্ধ পাচ্ছি। কাল থেকে কমপক্ষে একশবার ডায়াল করেছি। অনলাইনেও পাচ্ছি না ওকে। স্রেফ যেন উধাও হয়ে গেছে ও।
একটানে পড়া শেষ করল ইভানা। এতক্ষণ একটা কথাও বলেনি। উত্তেজনায় ওর গা কাঁপছে রীতিমত। অনি ওকে বাহুবন্ধনে নিয়ে একটু উষ্ণ করার চেষ্টা করে। ইভানাও কোন কথা বলে না কিছুক্ষণ। অনির কাঁধে মাথা রেখে চুপচাপ শুয়ে থাকে কিছুক্ষণ। এরপর আস্তে আস্তে ওর কাহিনী বলতে থাকে অনিকে। অনি শুধু শক্ত করে ধরে রাখে ওকে, যেন ও ধরে রাখলেই সব বিপদ থেকে বেঁচে যাবে ইভানা।
ইভানা লক্ষ্মী মেয়ের মত চুপচাপ শুয়ে থাকে ওর বুকে মাথা রেখে, একটু আগের দুষ্টু মেয়েটাই এখন খুব বেশী বিষণ্ণ। এভাবে কেটে যায় বেশ কিছুটা সময়। নিজেদের উষ্ণতায় চুপচাপ উষ্ণ হয় কিছুক্ষণ, কারও যেন কিচ্ছু বলার নেই। ইভানাকে দেখানোর জন্যে বিছানার নীচ থেকে সাঈদের পাঠানোটা চিঠিটা বের করে।
ওরা দুজনই অবাক হয়ে শুধু লক্ষ্য করে, অনি যে চিঠিটার কথা বলেছিল, ওখানে কোন লেখা নেই, একেবারে ফাঁকা। শুধু চিঠির উল্টাদিকে ছয়টি বৃত্ত আঁকা, গাঢ় লাল রঙ্গে, বৃত্তের ভেতরে ছয়টি নাম। হঠাৎ কিছু একটা হয়ে যায়। মাদুলির ভেতর থেকে সাদা ধোঁয়ার মত কিছু একটা বেরিয়ে আসে, পুরো ঘর সেই ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়, প্রচণ্ড নেশাধরানো সুগন্ধ সেই ধোঁয়াতে। ওদের প্রচণ্ড ঘুম পেয়ে যায়। ওদের মনে হয় একটা অসীম অন্ধকার গর্তে তলিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। নিজেদেরকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে চায়, কিন্তু হাতের বাঁধন আলগা হয়ে আসে। গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় ওরা দু'জন। একটু আগেও হয়ত ওরা জানত না, আর কখনও ঘুমানো হবে না ওদের।
শামনুন
ফায়ার অ্যালার্মের উচ্চ কম্পাঙ্কের কান ঝালাপালা করা শব্দ। ফায়ারব্রিগেড আসতে সময় লাগে না। লোদিয়ান রেসিডেন্স হলের সামনে ফায়ার ব্রিগেডের কয়েকটা গাড়ি এসে থামে। হলের সামনে অনেক লোকের ভীড়। ছাত্রছাত্রীরা সব নীচে নেমে এসেছে। এমনিতে পুরো ভবনের কোথাও আগুন দেখা যাচ্ছে না। বোঝাই যাচ্ছে, কোন রুমের ভেতরের আগুনের জন্যেই এই অ্যালার্ম।
ফায়ারওয়ার্কাররা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে, রুম থেকে রুমে, সব রুম চেক করতে হবে। একটা ঘরের জানালা থেকে গাঢ় সাদা রঙের ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বেশ কয়েকজন কর্মী ওদিকে ছুটে যায়। ওদের পেছন পেছন বেশ পরিপাটি পোষাক পড়া বড় বড় দাড়িওয়ালা একটা ছেলেও ঢুকে পড়ে। এত গ্যাঞ্জামে কেউ ওকে ওভাবে খেয়াল করেনি।
রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা। উপায় নেই কোন, দরজা ভাংতে হয়। নাহলে ভেতরে যারা আছে তাদেরকে বাঁচানো যাবে না। দরজা ভাংতেই তীব্র সাদা ধোঁয়া দরজা দিয়ে বের হতে থাকে। অদ্ভূত নেশা ধরানো সেই গন্ধ। এরকম ধোঁয়ায় যে কেউ শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মারা যাবে, অক্সিজেনের অভাবে। কিন্তু ফায়ারওয়ার্কার্সদের মাস্ক পরা আছে। সমস্যা হয় না ওদের। কিন্তু ভেতরে কিছুই দেখা যায় না। সমস্ত রুম ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, কোথাও আগুনে কোন উৎস নেই। কিন্তু সব দরজা জানালা খুলে দেয়া স্বত্ত্বেও ধোঁয়া কমে না।
এদিকে সেই দাঁড়িওয়ালা ছেলেটাও রুমের ভেতর ঢুকে পড়ে, কিন্তু ওর দেখতে কোন সমস্যা হয় না। একটা ছুঁড়ি বের করে, ওদের গলা থেকে মাদুলি দুটো কেটে ফেলে পকেটে ঢুকিয়ে নেয়। তারপর আস্তে করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
ধোঁয়া তখন কিছুটা কমে এসেছে। রুমের ভেতর দুজনকে পাওয়া গেছে। ওদের কোন পালস পাওয়া যায় না, খুব দ্রুত পুলিশ আসে, প্যারামেডিক আসে, ওদেরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সিটি পুলিশ কিছুক্ষণ আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে। এটা কোন ডেলিবারেট ক্রাইম কিনা, এই সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটাকে একটা স্রেফ দুর্ঘটনাই মনে করে ওরা। এর সাথে কোন গভীর কন্সপিরেন্সি খুঁজে পায় না।
এদিকে লম্বা দাড়িওয়ালা ছেলেটা লাশ দাবী করার জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসে। কাগজপত্রে দেখা যায়, মিস্টার শামনুন হাসনাইনের ছোট ভাই, মিস্টার তানভীর হাসনাইন। আর ইভানা জান্থিস, এখন কাগজপত্রে ইভানা হাসনাইন। এখানে আমেরিকায় শামনুন হাসনাইন হচ্ছে ওদের সবচেয়ে কাছের আত্নীয়। পুলিশ কিছু কাগজপত্র চেক করে, ভেরিফাই করে, তারপর লাশ হস্তান্তর করে দেয়।
শামনুন করিৎকর্মা ছেলে। ঘন্টাদুয়েকের মধ্যে কফিনের ব্যাবস্থা করে ফেলে। সন্ধ্যার দিকে একটা ট্রাকে করে কফিন দুটো নিয়ে বের হয়ে পড়ে। ট্রাকের ট্যাঙ্ক ফুল করে নেয়। ওখানে ম্যালেনা অপেক্ষা করছিল। ওকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গ্যাস পেডালে পা রাখে। সামনে প্রায় চোদ্দশ মাইলের মত রাস্তা পাড়ি দিতে হবে। গন্তব্য ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ছোট্ট শহর কেলোনা।
কিছুক্ষণ ধীর গতিতে ছুটে চলে ট্রাক। কিচুক্ষণ চলার পর ইউএস রাউট ৩৯৫ এ উঠে পড়ে গ্যাস পেডালে চাপ বেড়ে যায়। গাড়ি ক্রুইজে দিয়ে পেডাল থেকে পা সরিয়ে একটু রিল্যাক্স হয়ে বসে। পকেট থেকে মাদুলিদুটো বের করে জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে ডায়াল করে,
- হ্যালো শামনুন স্পিকিং, সাঈদ নাকি এটা?
- হ্যালো হ, শামনুন। কি অবস্থা? কাজের কি খবর?
- অল ফাইন, দোস্ত। এখন তোমার কাজ শুরু কর। বাই ডুড। টেক কেয়ার।
সামনে অনেক পথ। সিডি প্লেয়ারে একটা সিডি ঢুকিয়ে দেয়, বব মার্লে যাদুকরী কন্ঠে গাইতে থাকে, 'নো ওম্যান নো ক্রাই', আর শামনুন বাম হাত স্টিয়ারিং এ স্থির রেখে ডান হাত ম্যালেনার দিকে এগিয়ে দেয়। ম্যালেনার চোখে দুষ্টুমিভরা হাসি। সেই হাসি শামনুনের চোখ এড়ায় না। (চলবে)
মন্তব্য
চমৎকার। কিন্তু ফুশ করে শেষ হয়ে গেলো, আরেকটু বড় করলেই পারতেন।
আমার দোষ না, খেলা দেখতে দেখতে লিখে ফেললাম পর্বটা, খেলাটা যে ফুস করে শেষ হয়ে গেল! আমি কি করব? আর ভাই সাহিত্যিক কই??
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একটু দেরি হতে পারে। কিছু জায়গা নিজের কাছে পছন্দ হচ্ছে না। গিট্টু লাগায়ে বসে আসি, কবে গিট্টু খুলবে এই আশায় । প্রথমে ভেবেছিলাম তাড়াতাড়ি শেষ করে এই বই মেলায় বই বের করবো। এখন মনে হচ্ছে, তাড়াহুড়া করবনা একদমই, যখন লিখতে ইচ্ছা হবে, নিজের লেখা নিজের পছন্দ হবে তখনই আগাবো। যত সময় লাগে লাগুক। তবে আপনার ফেরা বেশ সুন্দর আগাচ্ছে। আশা করি বই মেলার আগেই শেষ করতে পারবেন এবং বই পাবো।
আমিও আপনার প্ল্যান নিছি যখন লিখতে ইচ্ছা করবে লিখব। বই বের করার ইচ্ছা তো আছে । তবে এই মেলায় হয়ত হবে না, মেলায় নিজে অ্যাটেন করতে না পারলে আর কী দিয়ে কি? আর আমি আসলে অত চিন্তা ভাবনা করে লিখি না, যা মনে আসে লিখে যাই। দুই মলাটে বাঁধানোর চিন্তার আগে পুরা পান্ডুলিপি তিন-চার মাস ফেলে রাখব, তারপর যদি নিজের কাছে জাতের মনে হয় তাহলে আগাব, না হলে আবার ঘষামাজা । ঘষামাজা করেন, অপেক্ষায় আছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এত দিনে ফেরা ফিরল! সেই কবের থেকে অপেক্ষায় ছিলাম, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়েন ভাইডি।
ধইন্যবাদ ন। দেখি, খুব বেশী ঝোলাবো না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাইদ তো দেখি অন্যপাটির সাথে
কালে কালে আরও কতকিছু দেখবেন, কাহিনী তো কেবল শুরু
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাই বুঝলাম বাংলাদেশী পুলিশ ছোটোখাটো বিষয়ে মাথা ঘামায় না।।কিন্তু তারা ৯১১ কেও বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাচ্ছে কেন??
~উপন্যাসটা পুরাই জমজমাট~
বাংলাদেশ পুলিশ ৯১১ থিকা কল পাইলো কখন??
ধইন্যাপাতা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এত দেরি করলে ক্যামনে হবে? আমার স্মৃতি শক্তি খুবই দুর্বল, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই।
আমি নিজেই ভুলে গেছিলাম অনেক কিছু পরে প্রিন্টাউট নিয়ে রিভাইস দিয়ে লিখলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তাইলে বোঝেন, আমাকেও ২টা পর্ব রিভাইস দেওয়াইলেন।
রিভাইস দেওয়া মানসিক স্বাস্স্থ্যের জন্য ভাল
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
জমজমাট ... দ্রুত পরের পর্ব চাই ...
এই পর্ব বেশী দেরি হবে না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কাহানি আচ্ছা হুয়া...পরের পর্ব দিতে দেরী মাত কারনা; আপ বহুত আইলসা হো গায়া !!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এইটা কোন ভাষা ভাই? হিন্দী নাকি উর্দু? আইলসা হই নাই বাহে, ফান্দে পড়ছি। ধইন্যাপাতা ধইন্যাপাতা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চমৎকার। । খুব খুব খুব ভালো ভাবে এগুচ্ছে কাহিনিটা। আর আপনি আগ্রহটাকেও ধরে রাখতে পারেছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। তবে ঐ যে বলছিলেন না যে যখন ভালো লাগবে তখনই লিখবেন। কিন্তু ভাইজান আমরাও তো পড়ার জন্য বসে থাকি।
ধন্যবাদ তাপসদা। আসলে লিখে তো ফেলতেই চাই, সবচেয়ে ভাল হত এক বসায় লিখে ফেলতে পারলে। কিন্তু এত সৌভাগ্য নিয়ে কি আর মানুষ জন্মায়?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পর্বটা একটু দেরীতে আসলোনাকি! ভাল লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়...।
হ্যা, একটু দেরিই হয়ে গেল। একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে আসলে। অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পুলাপান দুইটারে মাইরা ফেললেন। যাকগা চট জলদি পরের পর্ব দেন, এত রয়েসয়ে পড়তে কষ্ট লাগে।
হুম দেয়া উচিৎ আসলে ... দেরী করার জন্যে অনেক পাঠক হারাচ্ছি এটাও বুঝতেছি ... কিন্তু কিছু করার নাই রে ভাই ... দৌড়ের উপ্রে আছি ... দৌড় কবে শেষ হবে সেটাও বুঝতেছি না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ও ভাই ৭ কই????????????????????????????????????????/
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
যান, লেখা শেষ করেই মন্তব্যের জবাব দিলাম। আপ্নারা আছেন বলেই লেখা হচ্ছে, আপ্নারা আছেন বলেই সারারাত জেগে লেখার এনার্জি পাচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ কল্যানদা। আশা করি বিরক্তিকর হলেও শেষ পর্যন্ত থাকবে। সেটুক বিশ্বাস আপনার ওপর এসে গেছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন