একদিকে আমাদের চামড়া মোটা, আমাদের ভেতরে খুব সহজে কিছু ঢোকে না। আবার ঢুকলেও কীভাবে যেন আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই, আমরা খুব দ্রুত ভুলে যেতে ভালবাসি। আমাদের চাই প্রতিদিন ব্র্যান্ড নিউ খবর, তাও ছাপার অক্ষরে হালকা বা ঝাপসা খবরে আমাদের চলে না, আমাদের চাই একেবারে ভিডিও। সেই কবেকার কথা! জানুয়ারীর প্রথম দিকের কথা! তিনমাস হয়ে গেল। এত আগের কথা কি আমাদের মনে আছে? মনে থাকে? মনে না থাকলে চলুন আমরা আবার একটু দেখে আসি সেই ভিডিওটা,
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএক কর্তৃক হত্যা বা নির্যাতন কোন নতুন ঘটনা ছিল না। কিন্তু খবরের কাগজের খবর কিংবা লেখার অক্ষর আর এখন আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে ঢোকে না। চোখে না দেখলে আমাদের মাথায় এখন কিছু ঢোকে না। এই ভিডিওটা বের হওয়া বোধহয় খুব দরকার ছিল।
সেই ঘটনার পরে আমরা জানলাম, আমাদের সরকারের চিন্তত হবার মত আরও অনেক বড় বড় ইস্যু আছে, এসব ছোটখাট ঘটনায় সরকার বিচলিত হয় না। আমাদের সরকার এত দূর্বল নয়। কিন্তু আমরা দূর্বল জনগণ, আমরা মাঝে মাঝে বেশ বিচলিত হই।
২১ জানুয়ারী, ২০১২, হিমু ভাই সচলায়তনে লিখলেন, একটা প্রস্তাবনা দিলেন, ভারত বনধ। সহজ কথায় বলতে গেলে ভারতীয় সব পণ্য এবং সেবা বর্জন করা একটা নির্দিষ্ট দিনের জন্যে। প্রস্তাব নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছে, যারা সব জায়গায় প্যাঁচ খোঁজেন, ত্যানা প্যাঁচান, তারা ত্যানা পেঁচিয়েছেন, কিন্তু তারপরও আমরা অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছিলাম ১ মার্চের ভারত বনধ।
প্রশ্ন ছিল, আসলে কতটুকু লাভ হয়েছিল সেদিনের ভারত বনধের জন্যে? কতটুকু মেসেজ আমরা পৌছাতে পেরেছিলাম? অর্থনৈতিকভাবে ভারতকে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ করা গেছে সেটা হিসাবসাপেক্ষ, কিন্তু সেই ১ মার্চের ভারত বনধের ঘোষণায়, ভারতীয় টেলিসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল একটা বিশাল বোনাস অফার দিয়ে দেয়। শুধু একটা ঘোষণা দিয়ে এয়ারটেলের মত কোম্পানীকে ভয় পাওয়ানো গেছে, এটা একেবারে ফেলে দেয়ার মত ব্যপার নয় কিন্তু।
কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এতকিছু, সেই সীমান্ত হত্যা কি বন্ধ হল? ঠিক তার চারদিন পরেই আমরা জানলাম, বিডিনিউজের খবর অনুযায়ী,
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নির্যাতনে আহত হয়েছে আরো এক বাংলাদেশি।
হিমু ভাই আবারও ডাক দিলেন ভারত বনধ-এর, ১৫ মার্চ, ২০১২। আরও ব্যপকভাবে পালিত হল সেদিনের ভারত বনধ। কিন্তু টনক নড়ে না বিএসএফের, টনক নড়ে না আমাদের সরকার যন্ত্রের। সীমান্তে একই ঘটনা ঘটতে থাকে, বারবার।
বিডিনিউজের ২৮ মার্চ, ২০১২ এর খবর অনুযায়ী, বিএসএফের পিটুনিতে বেনাপোলের পুটখালি সীমান্তে মারা যায় আরেক বাংলাদেশি।
বেনাপোলের পুটখালি সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে গেছে বিএসএফ। নিহত মো. শাহাদাত (৩২) যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
আবারও ডাক দেয়া হয় ভারত বনধের, এবার ১৪ আর ১৫ এপ্রিল, পরপর দু'দিন। উদ্দেশ্য, আরও ব্যাপকভাবে ভারতীয় সেবা ও পণ্য বর্জন। সেই বনধের প্রস্তুতি নিতে নিতেই, আবার শোনা যায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, বিডিনিউজের খবর অনুযায়ী, ০৪ এপ্রিল, ২০১২, চাপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়, স্থানীয়দের দাবী অনুযায়ী বিএসএফের গুলিতেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে, যে জন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে দায়ী করেছে স্থানীয়রা। তবে বিএসএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ......... রুহুলের শরীরের উপরাংশে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে।
তারপর, ০৬ এপ্রিল, ভারত থেকে আসার সময় পাসপোর্টধারী এক বাংলাদেশিকে নির্যাতন করার কারণে বিএসএফ ক্ষমা চেয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
কিন্তু এসব ক্ষমা প্রার্থনা নাটক বলেই মনে হয়, যখন ১৩ এপ্রিল আবার শুনি, ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার কৈজুড়ি সীমান্ত এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার এক বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফ পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আসছে শুভ নববর্ষ। এইতো ১৪ই এপ্রিল। আমরা হয়ত লাল-সাদা পাঞ্জাবি-শাড়ি পরব, পান্তা ইলিশ নিয়ে মাতামাতি করব, রমনার বটমূল আমাদের 'অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা'য় মুখরিত হবে। আমরা শুভেচ্ছা পাঠাব আমাদের প্রিয়জনদেরকে, গ্রামীণ, অ্যাকটেল বা এয়ারটেলে। আমাদের লাল শাড়ি-পাঞ্জাবির সাথেই হয়ত পহেলা বৈশাখ লাল রঙ্গেই পালন করবে দিনাজপুর, বেনাপোল বা চাপাইনবাবগঞ্জের কোন কিশোর কৃষক অথবা জীবনযুদ্ধে যুদ্ধরত কোন যোদ্ধা ভাই। কে জানে, কোন সীমান্তে কোন মায়ের নববর্ষের শুভেচ্ছা নিয়ে আসবে হয়ত প্রিয় সন্তানের রক্তমাখা লাল জামাটি।
আসুন, আমরা আরও একটা ভিডিও প্রকাশের অপেক্ষা না করি। ভারতের সেবা ও পণ্য ছাড়া আমরা ১ মার্চ চলতে পেরেছি, ১৫ মার্চ চলতে পেরেছি, ১৪ আর ১৫ এপ্রিলও চলতে পারব। আমাদের শক্তিশালী সরকারযন্ত্র বিচলিত না হতে পারে, আসুন আমরা দেখিয়ে দেই, আমরা এত শক্তিশালী নই। আমরা এরকম খবরে বিচলিত হই, আমরা দুর্বল মনের মানুষ, আমরা আমাদের সীমান্তের কিশোর ভাইটির রক্তমাখা জামাটি আমাদের নববর্ষের আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে দেই না।
আসুন আমরা কিছু কর্মপন্থা ঠিক করি, ১৪-১৫ এপ্রিল, ২০১২ এর ভারত বনধ-এর জন্য
[১] আমরা আমাদের প্রিয়জনকে নববর্ষের শুভেচ্ছা পাঠাব অবশ্যই। কিন্তু এয়ারটেল যত লোভনীয় অফারই দিক না কেন, আমরা এয়ারটেল বর্জন করব, অন্যকে বর্জনে উৎসাহিত করব, দরকার হলে কেবলমাত্র এয়ারটেল আছে এরকম কাউকে শুভেচ্ছা পাঠাবোই না, এবং কেন পাঠাচ্ছি না সেই বিষয়টা পরিষ্কার করব। মনে রাখতে হবে, এয়ারটেল একটি বিশাল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, এয়ারটেলকে একটু চাপ দেয়া গেলেও, সে চাপ জায়গামত পৌছে যাবে।
[২] ত্যানা প্যাঁচাবো না। এরকম হতেই পারে, আপনি সকালে অফিস যাবেন টাটা বাসে চড়ে। এটার কোন সম্ভাব্য বিকল্প আপনার নাও থাকতে পারে। সেরকম ক্ষেত্রে ওই বিশেষ সেবাটি বাদে অন্য সেবা বা পণ্যগুলো বর্জন চালিয়ে যান। কিন্তু সেটার ধুয়ো তুলে বা সেটার ছুতো দিয়ে ত্যানা পেঁচাবেন না, বা কোথায় কতটাকা কার লাভ হচ্ছে বা ক্ষতি হচ্ছে, এসব হিসাব দেখিয়ে অন্যকে নিরুৎসাহিত করবেন না। আপনার সাধ্যমত বর্জন করুন, অন্যকে উৎসাহিত করুন, আপনার ক্ষমতার ভেতরে থাকলে বাধ্য করুন।
[৩] সবাই ভারত বনধ-এর খবর নিজেদের পরিচিত অনলাইন এবং অফলাইন গণ্ডিতে শেয়ার করুন। যত লোক জানবে, আয়োজনের উদ্দেশ্য তত বেশি সফল হবে।
[৪] সচলায়তনে বেশ কয়েকজন লেখক, পাঠক বেশ চমৎকার কিছু পোস্টার ডিজাইন করেছেন। সেই পোস্টারগুলো ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার বা কাভার ফটো হিসেবে ব্যবহার করুণ এবং বন্ধু বা পরিচিতজনকেও উৎসাহিত করুন।
[৫] নববর্ষের শুভেচ্ছা পাঠানোর সাথে সাথে, সীমান্তের বিপদসীমায় থাকা লোকগুলোর কথাও ভাবুন। সম্ভব হলে শুভেচ্ছাবাণীর সাথে ভারত-বনধ-এর কর্মসূচীর ব্যাপারে একটা ধারণা দিন। মনে রাখবেন, প্রচারেই প্রসার।
[৬] বাসায় যারা হিন্দি সিরিয়াল বা কোলকাতার নাটক সিনেমা দেখেন সম্ভব হলে তাদের বাধ্য করুন। সম্ভব না হলে বোঝানোর চেষ্টা করুন। একই সাথে ইউটিউব বা অন্যকোন উৎস থেকেও হিন্দি সিনেমা বা গান দেখা থেকে নিজেও বিরত থাকুন।
[৭] এই থ্রেডে মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার পরামর্শ যোগ করুন। আলোচনা করুন।
মন্তব্য
সাথে আছি। ভুলি নাই।
সঙ্গে আছি!
আছি , , থাকব
facebook
সঙ্গে আছি।
আছি আছি
প্রচেষ্টার সাথে আছি। একদিন দুই দিনের এই ভারতীয় পন্যের বর্জন কে আমরা নিয়মিত প্রাকটিস করতে পারি। কোনো কিছু কেনার আগে দেখে নিন পন্যটি কোথায় তৈরী। যদি সেটি বাংলাদেশের না হয় তবে তার বিকল্প দেশের তৈরী কি আছে সেটি দেখে নিন। একটু সময় দিলেই আমরা আমাদের নিজেদের পণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে পারি।
এই উদ্যোগের জন্যে সবাই কে অনেক ধন্যবাদ।
ছড়িয়ে যাক
সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো।
সীমান্তের মানুষগুলোর আসছে বছরটা যেন শুভ হয়, তাই হোক এবারের নববর্ষের ব্রত।
আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা! পুরো সচলায়তন পরিবারকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
১৪-১৫ এপ্রিল ভারত বনধ কর্মসূচির সর্বাত্মক সফলতা কামনা করছি।
সাথে আছি। এবং লেখাটি শ্যায়ার করে দিলাম।
আমাদের সীমান্তবর্তী মানুষেরাও যাতে নিশ্চিন্তে নববর্ষ পালন করতে পারেন, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা পালন করি আমাদের এবারের নববর্ষ। কেউ কি এরকম কোন থিম এ একটা পোস্টার ডীজাইন করে সেটা শেয়ার করার জন্যে পাব্লিক করবেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাথে আছি, থাকব
ভারতকে বর্জন করে যদি নিজ দেশকে রক্ষা করা যায় তবে তাই করব
সাথে ছিলাম, আছি, থাকব।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
গড!
কি ভয়াবহ!!
যাদের দেখার, তারা এগুলো দেখেও কিভাবে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে পারে!!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যারা দেখার, তার হয়ত এগুলো দেখেন না, অথবা দেখতে চান না। কেন যেন মনে হচ্ছে, এই ভিডিওটা প্রকাশ হওয়ার পর সীমান্ত হত্যার ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে গেছে, আমার পর্যবেক্ষণের ভুল নাকি আসলে বেড়ে গেছে। বেড়ে গেলে কী কারণে বাড়ছে? আর সরকার নিজেদের কাল বেড়াল সাদা বেড়াল নিয়ে মনে হয় এত বেশি ব্যস্ত, সীমান্তে দু-একটা গরুচোর মরলে তাদের কিছু যায় আসে না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আজ ভোরে আরেকজনকে খুন করেছে বিএসএফ।
ভারত বনধ তাহলে তিনদিন করা হোক।।
একটা জিনিস জানতে চাই, খোঁজাখুঁজি করেও খুব বেশি তথ্য পেলামনা, সীমান্তে বিজিবি কি করছে? যদি এই পার থেকে অবৈধভাবে কেউ গরু চোরাচালান করছে তো তারা কেনো ধরতে বা আটকাতে পারছেনা? আর সীমান্তের চোরাচালান হয় সম্পূর্ণ সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ভাগ দিয়েই, তো ভাগ-বাটোয়ারা সমস্যা হলে অনেকেই সহজ উপায়ে কাওকে সরিয়ে দেয়ার এই পথটা বেছে নেয়, কিন্তু দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কি করছে এই ক্ষেত্রে জানতে মন চায়।
এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিএসএফ সীমান্ত পিলার অতিক্রম করে বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ছে, এটা তো সামরিক আগ্রাসনের পর্যায়ে পড়ে, তো এখানে বিজিবি কেনো পদক্ষেপ নিবেনা?? খালি পতাকা বৈঠক করে কি হবে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বিজিবি কী করে দেখেন!
http://bsfchronicle.blogspot.de/2012/03/blog-post_05.html
http://bsfchronicle.blogspot.de/2011/11/indian-handed-over-to-bsf.html
http://bsfchronicle.blogspot.de/2011/03/blog-post_17.html
http://bsfchronicle.blogspot.de/2011/01/blog-post_18.html
এর মধ্যে একটা খবর চোখে পড়েছিলো, চোরাকারবারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে বিএসএফ এর সহযোগিতায় চোরাকারবারীরা বিজিবি'র একজন সদস্যকে ধরে নিয়ে যায়। পরে সেই বিজিবি সদস্যকে আহতাবস্থায় ফেরত দেয়া হয়। খবরের লিংকটা পেলাম না খুঁজে।
আমার মতে বিজিবি এইসব পতাকা বৈঠক-ফৈঠক না করে বিএসএফ এর হারামিপনার জবাবে দুই চাইরটা ভারতীয় চোরাকারবারীরে ধরে পুটকিতে দোনলা বন্দুক ঢুকিয়ে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করলেই দেখবেন পরদিন থেকে সীমান্ত ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। য্যায়সা কুকুর, এ্যায়সা মুগুর।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও কিন্তু সেটাই বললাম, আমার রাগ লাগে যখন দেখি বিএসএফ আমাদের সীমান্তের ভেতরে ঢোকে, স্বাধীন দেশে অন্য আর একটি দেশের আধা-সামরিক বাহিনী কোনভাবেই অনুমতি ছাড়া ঢুকতে পারেনা| তাহলে সেটা সামরিক আগ্রাসন এর পর্যায়েই পড়ে, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ হলে তো যুদ্ধ লেগে যেতো।
আর সীমান্ত অতিক্রম করলে বিজিবি ফায়ার তো করতেই পারে, অন্তত সতর্কসুচক ফায়ার করেও তো দেখতে পারে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ঘটনায় আপনাদের প্রতিক্রিয়া জানতে খুব ইচ্ছে করছে।
আপনি কি জীবনে এই প্রথম সচলায়তন পড়ছেন?
আমার কিন্তু আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে ইচ্ছা করছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কেন কি হয়েছে? বাংলাদেশের গরু চোরাকারবারিরা কি মমতাকে তুলে নিয়ে এসেছে?
কিসের মধ্যে কি! ফতেহপুরের ঘটনার সাথে বি,এস,এফ র খুনকে মেলানোর চেষটা করছেন কি?
সাথে আছি।
সাথে আছি।
নতুন মন্তব্য করুন