স্যার, আপনাকে নিয়ে লিখবনা ভেবেছিলাম। সবাই তো লিখছে, নতুন করে আর কী লিখব? আপনার জন্যে ভালবাসা ছিল, শ্রদ্ধা ছিল, আপনার সহজ ভাষার যাদুকরী ক্ষমতায় মুগ্ধতা ছিল। আর এসব ছিল বলেই, আপনার প্রতি অনেক অভিযোগও ছিল, আক্ষেপ ছিল, মনে মনে অনেক দাবী ছিল। আপনি মারা গেলেন, এত আগে হয়ত না গেলেও চলত, হয়ত আমাদের আরও কিছু দিতে পারতেন, কে জানে! আপনি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হয়ত ছিলেন না, কিন্তু আপনার যতগুলো বই পড়েছি, এক লেখকের এতগুলো বই মনে হয় আর পড়িনি। আপনি আপনার মত করে লিখতেন বলেই হয়ত প্রিয় লেখক না হতে পারলেও কাছের লেখক হয়ে গিয়েছিলেন। আপনি মারা গেলেন যেদিন, খুব মন খারাপ হয়েছিল, ফেসবুকে লিখেছিলাম,
আমার শৈশব আর কৈশোরের হুমায়ূন কখনও মারা যাবেন না, লেখক হুমায়ূন কোনদিনও মরবেন না, মরবেন না নাট্যকার হুমায়ূন, মরবেন না শিল্পী হুমায়ূন; মানুষ হুমায়ূন মরতে পারেন। লেখক হিসেবে তার অসাধারণ ক্ষমতাই হয়ত আমার মত অনেককে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল তার শেষদিকের অহুমায়ূনীয় অনেক কার্যকলাপে। প্রিয় হুমায়ূন, আপনাকে বলতে চাই, আপনাকে অনেক অনেক ভালবেসে অনেক উঁচুতে বসিয়েছিলাম বলেই আপনার ওপর রাগ হত, রাগ হত আপনার হাত থেকে আরও একটি'নন্দিত নরকে' বা 'হোটেল গ্রেভার ইন' পাইনি বলে, রাগ হত আপনি আর 'শঙ্খনীল কারাগারে' অথবা 'কোথাও কেউ নেই' বানান না বলে, রাগ হত শৈশব আর কৈশোরের সেই জাদুময় সময়গুলো আর দিতেন না বলে। কিন্তু আমার মত এমন অপাংক্তেয় মানুষের রাগে বা অভিমানে কী বা এসে যায়। এত তাড়াতাড়ি না গেলেও তো পারতেন। আপনি কোথায় গেছেন সেটা হয়ত আমি জানিনা, কিন্তু আমার শৈশব আর কৈশোরের হুমায়ূন আমার খুব কাছেই থাকবেন, সারাজীবন।
কিন্তু স্যার, আপনার ভূত! আপনার ভূত আমার শৈশব আর কৈশোরের হুমায়ূনকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না স্যার। আপনি স্যার শোনেননি স্পাইডারম্যান সিনেমার ওই কথাটা- "With great power comes great responsibility"? কথাটা বলতে বলতে লিখতে লিখতে ক্লিশে হয়ে গেছে স্যার। আপনার গ্রেট পাওয়ার ছিল, সেই পাওয়ার নিয়ে আপনি আমাদের আবেগ নিয়ে খেলেছেন, আপনার ক্ষমতার ঝলক দেখিয়েছেন, কিন্তু রেস্পন্সিবিলিটি কি পালন করেছেন স্যার?
আমি এমন কেউ না, লেখালেখি বা অন্য কোন যোগ্যতায়ও আপনার ধারেকাছে নই। ভাবছেন স্যার, এরকম প্রশ্ন করার সাহস কোত্থেকে পাচ্ছি? আর আপনি তো মারা গেছেন, আপনাকে আর এসব প্রশ্ন করে কী লাভ? আপনি মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন স্যার। আপনার দায়িত্ব আপনি পালন নাই করতে পারেন, আপনি অনেক বারই বলেছেন, আপনি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে লেখেন না, লেখেন আপনার নিজের আনন্দের জন্যে, আপনার কোন দায়িত্ব নেই। ওকে স্যার, তাই সই, আপনাকে তাও ধন্যবাদ দিতাম, শুধু সেইসব নির্মল বিনোদনের জন্য, চমৎকার নাটক আর সিনেমাগুলোর জন্য। শেষদিকে অসব আর বানাতেন না হয়ত, 'শঙ্খনীল কারাগার' আর 'আগুনের পরশমণি'র স্রষ্টা যখন 'নয় নম্বর বিপদ সংকেত' বানান, তখন আমাদের মেজাজ খারাপ হতেই পারে, কিন্তু আপনি নিজের আনন্দের জন্যে বানিয়েছেন, তাতে আমাদের কী বলার আছে স্যার? কিচ্ছু বলার নেই, হয়ত দু-একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতাম এই যা।
কিন্তু স্যার, আর চুপ থাকতে পারলাম না। আপনি অলৌকিকত্ব প্রচার করা শুরু করলেন, অন্ধবিশ্বাস প্রচার করা শুরু করলেন! আপনার বইয়ের অনেক চরিত্রেই ছিল এরকম অলৌকিক অন্ধবিশ্বাস আর অলৌকিকতার প্রশ্রয়। সেটা আপনি চরিত্রের বৈচিত্রের কারণে আনতেই পারেন। সেই অধিকার আপনার আছে। কিন্তু আপনি যখন নিজেই নিজেকে এক অলৌকিকতার প্রত্যক্ষদর্শী বলা শুরু করলেন, আর চুপ থাকতে পারলাম না স্যার।
আজকে পত্রিকায় আপনার একটা ঘরোয়া সাক্ষাৎকার উঠে এসেছে স্যার। আপনি ঘরে কী বলছেন, তাতে স্যার আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না, আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই স্যার। কিন্তু আপনি যদি ঘরের কথা পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করে যান, সেটা নিয়ে কথা হবে স্যার। অনেকে বললেই হয়ত এড়িয়ে যেতাম, কিন্তু আপনি কি জানেন, এদেশে অগণিত লোক আপনাকে পীরের মত ভক্তি করে? আপনার এক একটা কথা কোটেশান হিসেবে ফেসবুক আর ব্লগের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে স্যার।
আপনি মারা গেছেন। কিন্তু আপনার পীর সাজার শখ আপনার ভক্তরা আজকে পূর্ণ করে দিচ্ছে স্যার। আমরা যখন বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে চাচ্ছি, তখন আপনি আপনার জীবনের অলৌকিক কাহিনীর গল্প ফেঁদে বসছেন? জ্বিন-ভূত আপনার সাথে কথা বলে, সে গল্প আপনি নিনিত-নূহাশকে শোনাতে পারেন, তাতে আমার কিচ্ছু বলার নেই, কিন্তু আপনি আগাগোড়া বিজ্ঞানের ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়ে অপবিজ্ঞানের প্রচার করে যাবেন? এটা আমরা মেনে নেব না স্যার।
আপনার ভূত আমাদের ওপর চেপে বসেছে। আপনার শেষের দিকের লেখাগুলোয় আপনি অনেকের প্রতিই সহানুভূতি দেখিয়েছেন। শেখ মুজিবের ভাষণে পাকিস্তান জিন্দাবাদ ঢুকিয়েছেন। আপনার ঘরোয়া সাক্ষাৎকারে আপনি যখন বলেন,
ইতিহাস কে লেখে জানো? যারা জয়লাভ করে, ইতিহাস সব সময় তারাই লিখে। বিজয়ের ইতিহাস লেখে। পরাজিতরা কখনো ইতিহাস লিখতে পারে না। পরাজিতরা কখনো ইতিহাস লেখার সুযোগ পায় নাই। এ সময়েই দেখো না, হিটলারের পক্ষে কোনো ইতিহাস লিখতে পেরেছে কেউ?
স্যার, আপনার এই কথার কি কোন গূঢ় অর্থ আছে স্যার? ইতিহাস শুধু বিজয়ীরা লেখে না স্যার। এটা একটা জনপ্রিয় উক্তি হতে পারে, কিন্তু আপনি যখন কথাটা বললেন, সেটা আপনার অগণিত অন্ধভক্ত ব্যবহার করতে পারে, এটা ভেবে বলেছিলেন স্যার? আজকে একজন এসে আপনার দোহাই দিয়ে বলবে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাকিস্তানীরা লিখলে অন্যরকম হত, তখন আপনি কী বলবেন স্যার? আপনার শহীদ বাবাকে কী জবাব দেবেন?
আপনি স্যার, কোন পক্ষে যেতে চাননি। আপনি সবার হতে চেয়েছেন। ওইযে বাদুরের গল্পটা শুনেছিলেন স্যার? যুদ্ধ শেষে পশু বা পাখি কেউই কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে দলে টানে না স্যার। আপনি কী বললেন? আপনি বললেন,
তবে আমার কাছে মানবিক সম্পর্ক রাজনীতির চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। যেমন আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, নারী পুরুষের ভালোবাসার কথা বলুন। বলুন প্রেম কী? সংজ্ঞা দিন।
আপনি রাজনীতি নিয়ে লেখেন না, কারণ তাতে আপনি কারও কারও কাছে অপ্রিয় হবেন, কারও বিরুদ্ধে লিখতে হবে, সেই শক্তি আপনার ছিল না স্যার। আপনি সত্তর আর আশির দশকে লেখক হয়ে উঠলেন, অথচ আপনার লেখায় স্বৈরাচার আসল না, মুজিব হত্যা আসল না, এরশাদ আর জিয়ার কথা আসল না, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কথা আসল না স্যার? অবশ্য তাতে আমার অভিযোগ করা সাজে না, আপনার ভাল লাগেনি লিখতে, আপনি আনন্দ পাননি তাই লেখেননি। কিন্তু শেষ বেলা এসে 'দেয়াল' লিখে কী আনন্দ পেলেন? আপনি প্রেমে-ভালোবাসার সংজ্ঞাই দিয়ে যেতেন, তাতেও আমরা কেউ আপত্তি করতাম না। কিন্তু আপনি অলৌকিকত্ব প্রচার শুরু করলেন কী উদ্দেশ্য নিয়ে স্যার? আপনার যে নাস্তিক নাম ছিল, মুরতাদ বলে কেউ কেউ গালি দিত, তাদেরও দলে টানতে চাইলেন স্যার? আমি জানিনা আপনার উদ্দেশ্য কী ছিল, কিন্তু প্রথম আলোর নিউজটার নিচে মন্তব্যগুলো পড়ে দেখেন স্যার, সেটা আপনার উদ্দেশ্য হয়ে থাকলে আপনি সফল হয়েছেন স্যার। ফেসবুকে অনেক শেয়ার টেয়ার দেখেছিলাম স্যার আপনি নাকি নাস্তিক হয়ে মরেছিলেন, কিন্তু আপনার ভূত এখন মুসলমানিত্ব পেয়ে গেছে স্যার, বিশ্বাস না হয় খবরের নীচের কমেন্টগুলো পড়ে দেখেন স্যার।
আপনার নামে লোকজন এখন বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করবে, আপনি রসায়নের অধ্যাপক হয়ে হাজার বছরের ক্লিশে হয়ে যাওয়া ক্রিয়েশানিজমের লজিক শুনিয়ে গেলেন স্যার? আমার কয়েক বন্ধুর সাথে আমার তর্কও হয়ে গেল, "তুই হুমায়ূন স্যারের চেয়ে বেশি জানিস?"। ফেসবুকে আজকে আপনার নামে অনেক অপবিজ্ঞানের শেয়ার দেখতে পাচ্ছি স্যার, কিছুদিন বিবর্তন নিয়ে কোনঠাসা অবস্থানে পড়ে যাওয়ায় আজকে আপনার কোটেশান তাদের কাছে একেবারে জার্নালের মর্যাদা পাচ্ছে স্যার। ধৃষ্টতা হলেও আপনাকে জানিয়ে রাখতে চাই স্যার, আপনি ক্রিয়েশানিজমের যে ক্লিশে লজিক ব্যবহার করেছে এসব লজিক অনেক আগেই বাতিল হয়ে গেছে, বিবর্তন এখন মহাকর্ষ আর কুলম্বস ল এর মতই সত্য। পৃথিবী গোলাকার, এটা যতটা সত্য, বিবর্তনবাদও ততটাই সত্য। খুব খারাপ লাগছে স্যার, এটা আপনাকে আমার বলতে হচ্ছে, কিন্তু স্যার যেটা সত্যি সেটা যে খারাপ লাগলেও বলতেই হবে।
স্যার আপনি জ্ঞানী মানুষ, আপনাকে সব কথা খুলে বলার প্রয়োজন নেই, তিলটা বললে আপনি তালটা বুঝে নিতে পারবেন। আপনি স্যার এযুগের পীর, আপনার স্যার অগণিত ভক্ত, আপনি জ্বিন দেখলে তারাও জ্বিন দেখে স্যার, আপনি গাছের সাথে কথা বললে তারাও গাছের সাথে কথা বলে, আপনি মনে মনে সালাম দিলে তারা উত্তর দিয়ে যায়, আপনি বিবর্তনকে মিথ্যা বললে তারাও মিথ্যা বলে। কিন্তু স্যার, আপনি মিথ্যা বললেই সব মিথ্যা হয়ে যায় না। আপনি অসাধারণ ক্ষমতা নিয়ে এসেছিলেন, অনেক কিছু দিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু আপনি আমাদের কিছু প্রেম-ভালোবাসার উপন্যাস আর নাটক-গল্পের সাথে দিয়ে গেলেন অলৌকিক বিশ্বাস, কুসংস্কার, বিজ্ঞান নিয়ে ভুল ধারণা।
আমার কেন যেন এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, এই সাক্ষাৎকার আপনি দিতে পারেন। স্যার আপনি তো মরে গেছেন, অনেক তো দিয়েছেন, আর না হয় নাই দিলেন। আর স্যার এটা যদি আপনার ভূত হয়ে থাকে তাহলে তাকেই বলছি "হুমায়ূনের ভূত! প্লিজ চলে যান।"
মন্তব্য
ইউজেনিক্সের পয়গম্বর হিটলারও এই কিসিমের কথাবার্তা বলতো।
যা বুঝলাম, প্রকৃতির ভারসাম্য আসলে মানুষের চেহারায়।
আজকের সেরা কাঠবলদোক্তি।
লেখাটা শুরু করার আগে ভাবছিলাম, প্রচুর কোট করব। পরে দেখলাম, তাইলে পুরা লেখাটাই কোট করতে হয়। আমার আসলেই বিশ্বাস হয় না, এত পড়ালেখা করা লোকের কথা এইগুলা, নাকি শুধুই ভণ্ডামি করার জন্যে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পড়েছি গতকাল। একমত, যে কোট করতে গেলে পুরা সাক্ষাৎকারই কোট করতে হবে। কিন্তু এই সাক্ষাৎকার যেহেতু আনঅফিসিয়াল ঘরোয়া আড্ডার তাই সন্দেহ হচ্ছে আলুর অনলাইন ডেস্কের মতো গাঁজা ঢুকানো হইছে নাকি।
সেটা জানার কোন উপায় থাকলে ভাল হত। আজকে প্রফের সাথে মিটিং আছে সকাল দশটায়, কিন্তু কালকে এতটাই মেজাজ খারাপ হল লেখাটা পড়ে, সব বাদ দিয়ে লিখলাম। এর মধ্যে ফেসবুকে দেখতে পাচ্ছি লোকজন নাইকন ক্যামেরার সৃষ্টিতত্ত্ব কোট করে করে প্রচার শুরু করেছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
প্রথমআলো সত্যিই যদি এই সাক্ষাত্কার নিয়ে থাকে সেই ২০১১ তে , এই সাক্ষাত্কার এর অডিও/ রেকর্ড ভার্সান পোস্ট করতে বলা যেতে পারে. এলো-মেলো মনে হয়েছে কথা গুলো..
----------------------------------------------
একাকী আমি
দরকার ছিল লেখাটার। লেখক হুমায়ূন কাউকেই তার পাঠক সমাজ থেকে দূর করে দিতে চান নি, ধর্মের অন্ধকার দিকগুলোর বিপক্ষে যেমন লেখেন নি তেমন ধর্মের পক্ষে সাফাইও গাইতেন না প্রথমে। তার বইতে প্রায়ই নাস্তিক এবং আস্তিক দুই চরিত্রই থাকত। কিন্তু পরের দিকে, শুরু করলেন বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে হাদিস আর নবীর জীবনের কথাবার্তা।
যুগে যুগে যেসব ধর্মপ্রচারক এসেছেন—তাঁরা কিন্তু একটা সামগ্রিক ধারণা রাখতেন জগৎ বিষয়ে। এমন হাস্যকর কথা অনেক অনেক দিন পরে শুনলাম। কি কি ধারণা তারা রাখত জানতে পারলে ভাল লাগত। যতসব।
পরিচিত একজন বলেছিলেন অনেক অনেক বছর আগে তাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হুমায়ূন আহমেদ আল্লাহ্য় বিশ্বাস করেন না, কিন্তু এই কথা প্রকাশ্যে বলবেন না এবং সাক্ষাৎকারেও ছাপাতে অনুমতি দিবেন না।
প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ, আপনার এক সময়ের সৃষ্টিগুলো অনেক অনেক ভালবাসি বলেই হয়ত অনুভব করি এই জিনিসগুলো=
facebook
এরকম হিপোক্রেসি অনেকের মধ্যেই আছে। জনপ্রিয়তা কমে যাবার ভয়। সেটুকু তাও মেনে নেয়া যায়। কিন্তু আজকের এটা? ধর্মের ভাষায় বলতে হয়, সাক্ষাৎ শয়তান। জ্ঞানপাপী কথাটা এদের জন্যেই প্রযোজ্য।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ছুটির সকালে ওই প্রাক্তন সাক্ষাতকারটি পড়ে প্রথমেই মনে হয়েছে নুহাশপল্লীতে একটা মাজার ব্যবসার গোড়াপত্তন করলো প্রথম আলো?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আরও কত কী যে হবে! শুধু লেখাটার নীচে কমেন্টগুলা পড়লেই বোঝা যায় কী হওয়া সম্ভব!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুমায়ুন আহমদকে আগে থেকেই ২য় শ্রেণীর ভাবতাম,এখন সেটাকে ৩য় শ্রেণীতে নামাতে হচ্ছে। কিভাবে একজন শিক্ষিত মানুষ এসব গাজাখুরি গল্প প্রচার করতে পারে??
শ্রেণীভুক্ত করতে চাইনি আসলেই হুমায়ুনকে। কিন্তু করতে বাধ্য করালেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গতকাল পড়েছিলাম সাক্ষাৎকারটা। পুরোটা পড়ে আমার একটা কথাই মনে হয়েছে, প্রথম আলো ২০১১ সনে সাক্ষাৎকারটা নিয়েছে, আজ কেন প্রকাশ করলো? তারা কি হুমায়ূন আহমেদের মারা যাবার জন্যে অপেক্ষ করছিল?
টুইটার
ব্যাপারটা আসলেই কনফিউজিং। হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার এক বছর লুকিয়ে রেখে প্রথম আলোর পেটের ভাত হজম হল কীভাবে? খুব খুশি হতাম, যদি জানতে পারতাম এটা প্রথম আলোর বানোয়াট। যদিও সাক্ষাৎকারটা হুমায়ূনের সাথে খুবই যায়, কিন্তু তারপরও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুমায়ূন আহমেদের মুরিদরা এতটাই আবেগী উগ্রবাদী যে প্রতিবাদ করে পার পাওয়া যায় না। আর আমার মাথায় ঢোকে না হুমায়ূন আহমেদ কী ভেবে এই কথা গুলো বলেছেন। ভালোলাগা গুলো তখনই বিস্বাদ হয়ে যায়।
তাও করছি প্রতিবাদ। যতটুকু কাজ হয় আরকি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার এই অংশটুকু আপত্তিকর লাগলো। "যারা জয়লাভ করে, ইতিহাস সব সময় তারাই লিখে" - এই কথাটা ইদানিং যে সকল মহামানবেরা ৭১ এ পোঙ্গামারা খেয়েছে তাদের মুখেই বেশী শোনা যায়। আর হিটলার যে একটা হারামি ছিল এইটা জানার জন্য কি জয়ী পক্ষ হতে হয়? হিটলারের জন্য আলু পত্রিকার ইহুদি নাছারা বিরোধী মুজাহিদদের আফসোস দেখি কিন্তু এইখানে সেটা শুনতে হবে ভাবি নাই।
আমার মনে হয়না, হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকলে এই সাক্ষাৎকার প্রকাশের অনুমুতি দিতেন। আলু পত্রিকার বেশ্যারা মৃত হুমায়ূনকে বেচা সবে মাত্র শুরু করেছে। আরও অনেক অনেকদূর যাবে।
সেরকম কোন ব্যাপার ছিল হয়ত। নাহলে প্রথম আলো এই লেখা নিয়ে এক বছর পেটের ভাত হজম করে গেছে, আমার বিশ্বাস হয় না!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে হুমায়ুন স্যার এইসব আজাইরা কথা আসলেই বলেছে কিনা। আর এখন সত্যি কোন সাংবাদিকের কথার উপর বিশ্বাস করি না। এরা এখন নতুন যুগের গুন্ডাবাহিনী। অনলাইন সাইট আরো বেশি গাঁজাখুরি। গাঁজা খেয়ে লিখতে বসে মনে যা আসে তাই।
হুমায়ূন আহমেদ মারা যাবার পর তাকে নিয়ে যত কথা হচ্ছে তাতে কেমন জানি দিন দিন আমার মন বিষিয়ে যাচ্ছে। আমি চাই না ভূত হুমায়ুন এইসব অপপ্রচার করুক।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
সাংবাদিক বিশ্বাস করেন না ঠিক আছে। কাউকেই বিশ্বাস না করলেই ভাল করবেন। বিশ্বাসের যুগ শেষ হয়ে গেছে, সব কথাই ভেরিফাই করার সুযোগ থাকছে। বিশ্বাস কেন করবেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সত্যি কি মিথ্যা জানি না.. তবে হুমায়ূন আহমেদ মারা যাবার পর মিডিয়ার অনেক ব্যাপারে যে ফিচার..গল্প (কল্প), ও নোংরামি .. দেখলে গা-জ্বলে। আর পাবলিকও.. মিডিয়া ভ্যানিলা কেক এর উপর গু লাগিয়ে যদি বলে .. মজাদার ক্রিম.. পাবলিক চেটে-পুটে খায়.. ফেসবুকে ঝড় তোলে.. আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। গু এর গন্ধটুকু ও তাদের নাকে ধরা দেয় না। খুবই যন্ত্রনাদায়ক।..
আলো লাগলো আপনার লেখাটা। আলোচনা থেকে আরো অনেক বিষয় ক্লিয়ার হবে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
পার্থক্য হল, যেগুলা নোংরামি, সেগুলা যে নোংরামি সেগুলা বুঝতে কষ্ট হয় না। সেগুলার লং টার্ম তেমন ইফেক্ট নাই, শাওন কে কে কী ভাবল তাতে কারও কিছু যায় আসে না। কিন্তু এটা নোংরামি না, এটার লংটার্ম ইফেক্ট আছে। শর্টটার্ম ইফেক্ট তো অল্রেডি শুরু হয়ে গেছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শেষ বয়েসে এসে আমার নানার ভিমরতি হয়েছিল, তার ধারণা ছিল আমরা সবাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছি. হুমায়ুনের মাথাও পুরা আউট হয়ে গেসিলো মনে হয়, মুততে গিয়েও মেয়েদের গলা শুনতেন.
মন্তব্য গুলা পড়তে পড়তে মনে হইল সোনাব্লগ এ আসি. প্রথম আলোর কমেন্ট গুলা কি মডারেশন পার করে আসে না ডাইরেক্ট ছাপা হয়? আলু তেও কি সোনাব্লগের লোক কাজ করে?
..................................................................
#Banshibir.
আমার মনে হয় না ওখানে মডারেশনের কোন বালাই আছে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হুমায়ূনের এটাকে ভীমরতি বললে তাঁকে বেনিফিট অব ডাউট দেয়া হয়ে যায়। হুমায়ূন জ্ঞানপাপী। সে মঙ্গলগ্রহের লজিক দেয়! এইটা হইল সবাইকে দলে টানার চেষ্টা। আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু মুস্লিম সবার জন্যে তাঁর বড়ি আছে। এমনকি লুল্পুরুষের জন্যেও, এজন্যে এস্তেঞ্জার সময় বেগানা নারীর গলা শোনে। সে যে এই কাজে কী পরিমাণ সফল সেটা শুধু লেখাটার নীচে কমেন্টগুলাতেই বোঝা যায়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বেনিফিট অফ ডাউট দেইনাই, তবে নাইকন ক্যামেরা দিয়া সৃষ্টিকর্তা প্রমান করে যেই লোক তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলাই যায়. বুড়া বয়েসে মানুষ সবসময় কন্ট্রোলে থাকেনা, বিশেষত চাটুকার পরিবেষ্টিত বিখ্যাত বুড়া লোক.
..................................................................
#Banshibir.
হ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
প্রতিটা লাইনে স্যার শব্দটা পড়তে পড়তে স্বাদু লেখাটা কেমন তিতা হয়ে উঠল।
ওটা হুমায়ূনের অন্ধভক্তদের জন্য। অনেকে মনে করতে পারে, তাঁকে যথাযথ সম্মান দেখানো হয়নি। শুধু হুমায়ূন স্যারের ভূতকেই স্যার বলিনি। ভূতদের এটিকেটটা ঠিক জানা নেই কিনা!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মাহিন
কালকে সাক্ষাৎকারটা পড়তে পড়তে প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছিলাম। হুমায়ুন আহমেদের মত বুদ্ধিমান লোক উইলিয়াম প্যালের বাতিল ঘড়ির কারিগর যুক্তি নিয়ে হাজির হবেন সেটা বিশ্বাস করা শক্ত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সে সবার জন্যে বড়ি রাখে আরকি। এটা তার স্বভাব। এই সাক্ষাৎকার তখন কেন ছাপা হয়নি, সেটা একটা প্রশ্ন যদিও। ভেরিফাই করার কোন উপায় আছে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই লোকটির লেখা অসংখ্য বইতে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের বিকৃতি রয়েছে। এমনিতেই তিনি হলুদ পাঞ্জাবির হাস্যকর অকর্মন্য চরিত্রটি দিয়ে বহু তরুনের মাথা খেয়েছেন, রুচি নষ্ট করেছেন। উপন্যাসগুলো পড়লে মনে হয় ছেলেদের কাজ উদাস ভাব নিয়ে কদমফুল হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো আর মেয়েদের কাজ চোখে কাজল মেখে রহস্য করা। রহস্য মিশিয়েছেন বিজ্ঞানের সাথে। জ্বীনভুত কুসংস্কারের সাথে বিজ্ঞান মিশিয়ে ব্যবসা করেছেন। একজন বিজ্ঞানের শিক্ষক হয়ে যেখানে উচিত ছিল রহস্যোঘাটন, সেখানে তিনি রহস্যীকরনে ব্রতী হয়েছেন। সচেতন পিতামাতাদের উচিত ইনার লেখা বইপত্র ছেলেমেয়েদের পড়তে না দেয়া।
এটা আবার বেশি বেশি হয়ে গেল। আমি ওনার প্রচুর বই পড়েছি এবং সত্যি পছন্দ করেছি, কিন্তু নিজের বিচার বোধ তো আর খুঁইয়ে বসিনি। তার লেখা পছন্দ করার মতো অনেক আছে।
যার যার রুচি অনুযায়ী পছন্দ/অপছন্দ করতেই পারে।
হিমুভিত্তিক গল্প গুলো দারুণ নিজের মেরিটেই। ওনার কল্পনাশক্তি অসাধারণ ছিলো। সেটা পড়লে কেউ মূর্খ বনে যাবে না, বলেন মূর্খেরা সেটা পড়ে নিজের মূর্খামী প্রকাশ করার জন্য এইসব ব্যবহার করবে। বয়ঃসন্ধিতে মানুষের কল্পনার ক্ষেত্র একটা দরকার হয়, হিমুর গল্প যদি সেটা তৈরী করতে সাহায্য করে, কোন দোষ দেখি না।
বাবা মায়েরা বাচ্চাদের বুদ্ধিমান মানুষ হিসাবে গড়ে তুলুক, সেটাই কাম্য।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
কল্পনাশক্তি এবং লেখার ক্ষমতা দুইটাই অসাধারণ ছিল তাতে কোন সন্দেহ নাই। এইগুলা দিয়ে ভাল কিছু করলে তার হাজার হাজার পাঠকের, নতুন প্রজন্মের, তরুন সমাজের চিন্তার জগতে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারতেন। আমাদের জন্য আপসুসের বিষয় হলো এইগুলা দিয়া তিনি সুক্ষভাবে সুডোসাইন্স অপবিজ্ঞানের চর্চা করে নিজের একাউন্টই বাড়াইসেন।
উনি তো উনার কাজ করেছেন, ভাল-মন্দ যাই হোক, আপনি কি করতেছেন তরুন সমাজের চিন্তার পরিবরতন আনতে ? সচলের একটা জিনিস খুব ভালো লাগে, সব ভদ্রলোকের একই কথা।
দেখি এই লেখাগুলা পইড়া পরিবর্তন কিছু হয় কিনা । আপনিও মাঝে মাঝে আইসা আপনের অবস্থার আপডেট দিয়েন । কতটুকু- কী পরিবর্তন, কতটুকু আগের মতন...
উনি বিনা পয়সায় অন্তত অপ-বিজ্ঞান ছড়ানোর চেষ্টা করছেন না। আপনার তাতেও এতো জ্বলে কে? আর সব ভদ্রলোকের এক কথা এখানে, আপনার তো কথা অন্য, তাইলে কি আপনে ভদ্রলোক না এইটা জানান দিলেন?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বড় বড় লেখকরা ফ্যান্টাসি লিখেছেন। কিন্তু ফ্যান্টাসি, ফ্যান্টাসি হিসেবেই লেখা হয়। রূপকথা মানুষ রূপকথা হিসাবেই পড়ে, হুমায়ূন বাস্তব জীবনে রূপকথা ঢুকিয়েছেন, সেটা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্যে দরকার হলে নিজের জীবনের রেফারেন্স টেনেছেন। একজন লেখকের অনেক কিছু নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করার স্বাধীনতা থাকতে পারে, কিন্তু হুমায়ূন যেটা করেছেন অনেক ক্ষেত্রেই সেটা শুধু সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা থাকেনি, হুমায়ূন কুসংস্কার, রহস্য এগুলোর অ্যাপোলোজিস্ট হয়েছেন। প্যাথেটিক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
২০১১ সনের সাক্ষাৎকার তখন না ছেপে এখন ছাপাটা সিম্পলি বোগাস লেগেছে।
এখন বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স দিবে লোকজন এই লেখাকে কোট করে। আফসোস।
ভালো। যারা নিজের জন্য যেমন পৃথিবী বানাবে, তারা সেইরকমই জীবন পাবে।
অন্ধের মতো চলে যদি অনেক লোকের আনন্দ হয় তাহলে তারা অন্ধের মতই চলবে, তারা যে দেশে বাস করে সেই দেশের প্রাপ্য হবে মূর্খ জনগোষ্ঠী আর বিপুল সমস্যা। তারপর তারা অন্ধের মত ওপরওয়ালা কে দায়ী করে আনন্দে চারটি ভাত খেয়ে রাতে ঘুমোতে যাবে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
দিবে না, অলরেডী দেয়া শুরু হয়ে গেছে, এবং তাতে প্রায় অর্ধশতাধিক লাইকও জুটেছে। সেখানে এখন বিবর্তন নিয়ে হাসাহাসি চলছে। এভাবে দাবী করা হচ্ছে, এইসব অল্পবিদ্যা ভয়ংকারী লোকজন দাবী করতে চায়, তারা হুমায়ূন স্যারের চেয়েও বেশি জানে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুমায়ূন সাহেব মনে হয় আরেকটু হলে বলেই ফেলেছিলেন, হিটলার ইহুদি-নিধন যজ্ঞ করে উচিত কাজটিই করেছিল। হুমায়ূন আহমেদ এর সাহিত্য আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে হয়না যতটা বেশী গুরুত্বের দাবী রাখে হুমায়ূন আজাদ এর সৃষ্টি। হুমায়ূন আহমেদ যে সময়ে তার নিজের আনন্দের জন্য লিখে চলেছিলেন, হুমায়ূন আজাদের কলমও লিখে চলেছিল '' আমার অবিশ্বাস'' '' ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল'' '' শুভব্রত ও তার সম্পর্কিত সুসমাচার'' '' আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম'' '' নারী/দ্বিতীয় লিঙ্গ'' এরকম অসংখ্য কাজগুলো। একজন বিজ্ঞানের শিক্ষক হয়ে হুমায়ূন আহমেদ তার লেখার মাধ্যমে পাঠককে বিজ্ঞানমুখী ও আধুনিক করতে অনুপ্রাণিত করার ইচ্ছাও দেখাননি। অন্যদিকে হুমায়ুন আজাদ একজন সাহিত্যের/ভাষা বিজ্ঞানের শিক্ষক হয়েও বিজ্ঞান নিয়ে, মহাকাশ নিয়ে, দর্শন নিয়ে লিখে গেছেন। আমার মত অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছেন বিজ্ঞানমুখীন হতে। যিনি নিয়মিত মৃত্যু হুমকি উপেক্ষা করে তাঁর দায়িত্ব মনে করে লিখে গেছেন প্রথা বিরোধিতার শ্লোগান। সেখানে হুমায়ূন আহমেদকে কখনোই দেখিনি শিশুদের জন্যও দেবীপ্রসাদের " যে গল্পের শেষ নেই '' ধাঁচের বিজ্ঞানের কোন বই লিখতে। উলটো তিনি লিখেন শত শত ভূতের-জ্বিনের গল্প। এই লোকের প্রতি সম্মানটুকু প্রতিদিন কেন জানি একটু একটু করে কমে যাচ্ছে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
পার্থক্যটা ওখানেই, আজাদ বিক্রী হতে চাননি, আর আহমেদ শুধু বিক্রীই হতে চেয়েছিলেন। এজন্যে তিনি রঙ বদলেছেন, অথবা বলা যায়, কোন রংই নেননি। বহুরূপী থেকেছেন, যখন যেভাবে দরকার রঙ মেখেছেন। আজাদের রঙ ছিল, আদর্শ ছিল, সেটা কেউ কিনলে কিনতে পারে, কিন্তু বিক্রয়মূল্যের সাথে তো আর আদর্শের রঙ পালটায় না, পার্থক্যটা ওখানেই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই লেখা থেকে যদি হুমায়ূন আহমেদের নাম রিপ্লেস করে অন্য কারো নাম দেওয়া হয়, তাহলে স্রেফ মনে হবে কোন একজন মানষিক রোগীর সাথে কেউ কথা বলছে। বিশেষ করে সাক্ষাৎকারের অলৌকিক অংশের বর্ণনা শুনে যে কারো মনে হওয়ার কথা বক্তা Schizophrenia তে ভুগছে।
আর কার কি মনে হয়েছে জানিনা। আমার এটাই মনে হয়েছে।
মরা মানুষটাকে দিয়ে যে যার মত ব্যবসা করছে।
-- সাদাচোখ।
সেই সুযোগটা জীবিত মানুষটাই করে দিয়ে গেছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমাদের দেশে অনেক বিখ্যাত মানুষ যথেষ্ঠ কষ্ট করে নিজের অবস্থান তৈরী করে, তারপরে নিজের অবস্থানটি সুরক্ষিত হওয়ার পরে অদ্ভুতভাবে এদের আচরণ পাল্টে যায়। এরা নিজেদের চারিদিকে ক্ষমতার অদৃশ্য একটি বলয় অনুভব করা শুরু করে। আর নিজের এই ক্ষমতায় পুলকিত হয়ে তারা শুরু করে নিজেদের পীর হিসেবে তৈরী করার অভিযান। নিজের শেষ বয়সে এসে এরা অনেকেই জনতার চোখে ক্ষমতাধর পীর হয়ে উঠেন, আর জনতা তাদের বচনগুলো অমৃতসম মনে করে গোগ্রাসে গিলতে থাকে। হুমায়ুন আহমেদ আমার অভিজ্ঞতায় তাদেরই একজন। একটা সময় তাকে শ্রদ্ধা করতাম তার অনবদ্য সরল সৃষ্টিগুলোর জন্য। কিন্তু তিনিও নিজেকে পীর বানানোর ব্রত নিয়ে এগিয়ে চললেন সামনের দিকে, কিন্তু পিছে রয়ে গেলো আমাদের মতো হাতে গোনা কিছু পাঠক। আমাদের কাছ থেকে তিনি দুরে চলে গেলেন, কিন্তু অসংখ্য মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠলেন প্রবাদপ্রতিম একজন সাহিত্যিক হিসেবে। তার চারপাশে জন্ম নিলো চাটুকার এর দল। তিনিও একসময় শুরু করলেন তার ক্ষমতার অপব্যবহার। শেষ বয়সে এসে তার কর্মগুলো এখন আমাকে বারবার "লালসালু" উপন্যাসের কথা মনে করিয়ে দেয়। যেদেশে পীর হওয়ার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয়না সেই দেশে হুমায়ুনের অনেক কিছু ছিলো। তার সেই অতিশক্তি ব্যবহার করে তিনি চলে যাওয়ার আগে শেষ আঘাতটি করে গেলেন। তার অনেক লেখাই ছিলো বিতর্কিত কিন্তু যারা তাকে পীর মনে করতো তিনি তাদের হাতে একে একে তুলে দিয়ে গেলেন বেশ কিছু মারনাস্ত্র। আর এই সুযোগে ঘাপটি মেরে থাকা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মান্ধ শক্তি জেগে উঠলো। এখন আর খুব বেশিদিন নেই, হয়তো "লালসালু" এর মতো আমরাও অচিরেই পীর হুমায়ুনের মাজার দেখতে পাবো।
যারা অজ্ঞ আসল ভয় তাদের নিয়ে কখনোই নয়, বরং যারা জ্ঞানী আসল ভয় তাদের নিয়ে যখন তারা তাদের জ্ঞানের অপব্যবহার শুরু করে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুম। অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস, চমৎকার মন্তব্যের জন্যে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অশিক্ষিত মানুষ সমাজের অভিশাপ হতে পারে, কিন্তু কুশিক্ষিত মানুষ সমাজের সর্বনাশ।
-অয়ন
বিজ্ঞানী লরেঞ্জ ক্রাউসের একটা কথা আমার খুব ভাল্লাগে, "I don't mind ignorance too much. It's the illusion of knowledge that obsessed me more"
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুমায়ুন আহমেদ বেচে থাকলেই ভালো ছিল। মরে গিয়ে আমাদের যে অনলাইন যন্ত্রনার মধ্যে রেখে গেল এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। শাওন ভালো কাজ করেছে। তার কবর নুহাশ পল্লীতে নিয়ে গেছে। আসলে তার কবর হওয়া উচিত ছিল কুতুব্দিয়া বা ভোলার কোন এক দ্বীপে। ঢাকার মধ্যে এই কবর থাকলে আর দেখতে হত না। ব্রেকিং নিউজ "হুমায়ুনের কবর দেখতে এইমাত্র ১০ জনের দল এসেছে, তাদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন হেন তেন"। আর পত্রিকার কথা নাই বা বললাম। যেই সাক্ষাতকার নিজেরাই অখাদ্য মনে করে ১ বছর ফেলে রেখে দিয়েছে।এখন সেই জিনিশ প্রকাশ করতে কোন দ্বিধা নাই। আল্লাহ জানে, পরের বই মেলায় কি যে হবে? প্রকাশকেরা হুমায়ুনের শেষ লেখা বলে কয়টা বই বাজারে বের করবে এইটাও দেখার বিষয়।
নূহাশবাগ দরবার শরীফ চালু হয়ে যায় কিনা ভাবছি। হুমায়ূনের কবরের ওপর হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে মতি ভাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খুব সম্ভবত ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইমের কথা বলেছেন। অথচ স্টিফেন হকিং কিন্তু বলেছেন:
অর্থাৎ গড ব্যাপারটা মেটাফরিকাল (সুত্র)। স্টিফেন হকিংকে সাধারণ ভাবে এথেইস্ট উইথ এ টাচ অফ স্পিরিচুয়ালিটি বলা যেতে পারে। কিন্তু তিনি কখনই ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইমে প্রকৃতির রহস্যকে সৃষ্টিকর্তার অবদান বলেন না। এটা ডঃ হুমায়ূনের মনগড়া।
ডঃ হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত চোখের এভোলিউশান নিয়ে পড়াশোনা করেন নাই। উইকিপিডিয়াতে বিস্তারিত বলা আছে।
স্কিজোফ্রোনিয়া অথবা হ্যালুসিনেশন। উনি অবশ্য নিজেই বলেছেন:
_____________________
Give Her Freedom!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আইন্সটাইন, হকিন্সের বলা গড আর ধার্মিকদের গড যে একনা এটা অনেকেই বোঝে না। এই কনফিউশান টা খুব প্যাথেটিক। আইন্সটাইন যখন বলেছিলেন, "Did God have a choice?" সেই গড যে আমাদের ধর্মের গড না এটা কে কাকে বোঝাবে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
লাভ নাই। যাবে না। কারণ ভূতে ভূত নাই, আছে সরিষা গাছে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হুম আসলেই লাভ নাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লেখাটার দরকার ছিল।
পীর হুমায়ূনের আগের কিছু লেখার জন্য যেটুকু ভালো লাগা অবশিষ্ট ছিল, সেটাও আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে ইদানীংকালের মাত্রাতিরিক্ত নাটক আর এইসব কথাবার্তার জন্য। যত গুণীই হোক না কেন, যত ভালো কাজই করে যাক না কেন, শেষে এসে শূন্য দিয়ে সবটা গুণ করে আস্ত একটা অর্শ্বডিম্ব পয়দা করে গেলেন এই পীরবাবা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুমায়ূন কে অলৌকিক তত্ত্ব প্রচার করার দায়ে অভিযুক্ত করা হল, ব্যাপার টা বেশ মজার। কারণ আমি বিশ্বাস করি, তিনি অলৌকিক বা লৌকিক কোন তত্ত্ব প্রচার করার মানুষ ছিলেন না । ভদ্রলোক লিখতেন তার মত করে, কাউকে কোন কিছু বিশ্বাস করাবার জন্য না। এটা শুধুই একটা সাক্ষাতকার। তার বেশি কিছু না। উনি নিজের কিছু অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন (এবং সেই অভিজ্ঞতার নিশ্চিত ব্যাখ্যা দেন নি, যেটা একজন বিজ্ঞানের মানুষের কাছ থেকে আশা করা যায় ), নিজের কিছু বিশ্বাস এর কথাও বলেছেন, এবং সেটার পিছনে লজিক দিয়েছেন। সেই লজিক এর এনটি লজিক থাকতে পারে, কিন্তু যে মানুষ মৃত, তাকে প্রশ্ন করাটা কতটা যুক্তি - যুক্ত, যখন প্রশ্ন কর্তা জানেন যে, তার প্রশ্ন এর উত্তর দেবার মত, বা তার অভিযোগ খণ্ডন করার মত কেউ নেই।
শান্ত, লেখাটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। এই জন্যই আমি কমেন্ট করলাম, এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে কমেন্ট করার জন্য প্রথম বারের মত এই ব্লগে কিছু একটা টাইপ করলাম !!
আমি জানি তুমি, ফেইনম্যান এর ভক্ত। তার একটা কথা দিয়েই শেষ করি " এক জন বিজ্ঞানীর কাছে, পরম সত্য, পরম মিথ্যা বলে কিছু নেই, তুমি শুধু সম্ভাবনার কথা বলতে পারো, তুমি শুধু অনিশ্চয়তার কথা বলতে পারো" - তোমার লেখার মধ্যে অনেক নিশ্চিত নির্দেশনা দেখতে পেলাম হুমায়ূন এর ব্যাপারে, তাই বললাম। যারা প্রথম আলো তে কমেন্ট করছে, তাদের ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই। নানা গুণী - নানা মত
প্রশ্ন করা যুক্তিযুক্ত কারণ এ প্রশ্ন দেখে অনেকের মনেই উদয় হবে। মানুষ কোনো প্রশ্ন ছাড়াই একজনকে পীর বানাচ্ছে,এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অবশ্যই প্রয়োজন।
অবশ্যই ব্যাপার টাকে প্রশ্ন - বিদ্ধ করা উচিৎ। এবং প্রশ্ন টা থাকা উচিৎ যারা বানাচ্ছে তাদের কাছে। হুমায়ূন এর কাছে প্রশ্ন করাটা কিভাবে যুক্তি - যুক্ত সেটা আমি বুঝতে পারছি না!
পোস্টলেখক সদ্যমৃত হুমায়ূনের কাছে প্রশ্ন করছেন, এটা আলঙ্কারিক প্রয়োগ। ভূপেন হাজারিকার শরৎবাবু খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছের মতো। ভূপেন হাজারিকা নিশ্চয়ই মৃত ও ভস্মীভূত শরৎচন্দ্র পড়বেন বলে গানটা লেখেননি। গানটা লিখেছেন তার শ্রোতাদের উদ্দেশ করেই। এই পোস্টটিও হুমায়ূনের কাছে খোলা চিঠির ঢঙে লেখা।
আশা করি বুঝতে পারবেন।
ভাইয়া , ভুপেনের গান আর এই ব্যাপার টা আমার কাছে এক নয়, এক ঢং এরও না। ভুপেন শরত বাবু কে উদ্দেশ্য করে, তার গল্পের চরিত্র টেনে, মেসেজটা মুলত আমাদের শ্রোতা দের দিয়েছিল। ওয়েল, এরকম অলঙ্করনের হাজার হাজার উদাহরণ আছে। এই লেখার উদ্দেশ্য যদি, হুমায়ূন এর যুক্তিহীন কথা বার্তা কে নির্দেশ করে, তার অন্তসার শূন্যতার মেসেজ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় (এবং আপনার কথামত আমি সেটাই ধরে নিচ্ছি, যদিও অনেকেই হয়ত ব্যাপারটা বুঝতে পারবে না), তাহলেও দুটো বিষয় এক নয় -
কারণ - লেখকের যুক্তি বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে, অভিযুক্ত মানুষটির যুক্তি খণ্ডন এর সুযোগ থাকা উচিৎ, যেটা এখানে নেই। আপনার কি মনে হয় না, কিছু মানুষ যদিও এই লেখা পড়ে কিছুটা উপলব্ধি করতে পারে, হুমায়ূন থাকলে আর তার যুক্তি শুনলে তাদের কিছু মানুষ আবার ঘুরে যেতে পারত !! খেলাটা এখানে একপেশে।
তাই বলে, তার কাজ নিয়ে সমালোচনা হবে না তা নয়, অবশ্যই হবে, কিন্তু এখানে যখন মূল উদ্দেশ্য তার কোন একটা কাজের নেতিবাচক প্রভাব কে নির্দেশ করা, তখন তার দিকে আঙ্গুল না তুলে, যারা প্রভাবিত তাদের দিকে আঙ্গুল তোলা উচিৎ, কারণ প্রভাবক এখানে অনুপস্থিত। মৃত পীর কে দোষ দিয়ে যতটা লাভ হবে, তার চাইতে অনেক বেশি লাভ জীবিত মুরিদদের ভুল ধরিয়ে দিলে। এবং আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই এই দুইটা কাজের ওয়ে দুই রকম।
চমৎকার যুক্তি। এই যুক্তি দেখিয়ে আমরা যে কোন মরণোত্তর সমালোচনা বন্ধ করে দিতে পারি। ডালটনের পরমাণুতত্ত্বের সমালোচনা, ভুল ধরা এবং ফলশ্রুতিতে নতুন মডেল প্রস্তাব করা সব বাতিল করে দিতে হবে। কারণ তার তত্ত্বের ভুলগুলোকে ডিফেন্ড করার জন্য ডাল্টন বেঁচে নেই, নতুন পরমাণু মডেল প্রস্তাব করা তাই এক তরফা ব্যাপার হয়ে গেলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হা হা হা সজল ভাই, আপনার খোঁচাটা বেশ মজার। ভাইরে, মরণোত্তর সমালোচনা না করলে তো সভ্যতাই আগাত না। আমি সমালোচনা বন্ধ করতে বলি নাই। আমি সমালোচনা টা আরও গঠনমূলক করার পক্ষে কথা বলছিলাম।
অবশ্যি সমালোচনা আরও গঠনমূলক করার সুযোগ ছিল। অনেক অনেক ছিল। প্রত্যেকটা বাক্য নিয়ে বিশ্লেষণ করা যেত। কিন্তু অতটা সময় পাইনি। প্রচণ্ড ব্যস্ত। কিন্তু এই লেখাটা লিখতে কাইন্ড অফ বাধ্য হলাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একবার বলেন আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য উনি বেঁচে নেই, আবার বলেন আরো গঠনমূলক সমালোচনা করা উচিত!
খোঁচা দেইনিতো ভাই, জাস্ট আপনার চিন্তাভাবনার প্যাটার্ন ফলো করলে কী ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছাই, সেটার একটা নমুনা দেখালাম। আরো গঠনমূলকের কোন উর্ধ্বসীমা কী আছে? বহুবছরের পুরনো বস্তাপঁচা একটা যুক্তি কিংবা হ্যালুসিনেশনের ঘটনাকে অলৌকিক বলে দাবী করলে সেটা বাতিল করার জন্যতো দিস্তার পর দিস্তা লিখার প্রয়োজন নেই। উইলিয়াম প্যালের ঘড়ির কারিগর যুক্তি যে বাতিল সেটা সামান্য ঘিলুওয়ালা যে কেউ জানে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমার কাছে অবশ্য "খেলা"টাকে একপেশে মনে হয়নি। মৃত হুমায়ূনের সাক্ষাৎকার যদি প্রকাশিত হতে পারে, সেই সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়াও প্রকাশিত হতে পারে। হুমায়ূন জীবিত থাকলেও এই লেখার প্রত্যুত্তরে পাল্টা যুক্তি দিতেন, সেই সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ। তার প্রতিক্রিয়ার অভাবে এই পোস্টের পাঠকও তার হয়ে যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন।
জীবিত মুরিদদের সমস্যা হচ্ছে, তারা অতিমাত্রায় ব্যক্তিনিষ্ঠ। তাই ব্যক্তিকে তার বক্তব্য থেকে বিযুক্ত রেখে জীবিত মুরিদদের মোকাবেলা করা মুশকিল। এই কথাগুলো হুমায়ূনের মুখ থেকে বেরোলে তার প্রভাবের মাত্রা অনেক বেশি হয় বলেই সম্ভবত পোস্টলেখক প্রতিক্রিয়া করেছেন। আপনি একটা ছোটো উদাহরণ দিতে পারেন কিন্তু, কীভাবে হুমায়ূনের দিকে আঙুল না তুলে এই সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মূর্খোচিত বক্তব্যের মোকাবেলা করা যায়।
হিমু ভাই, মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি আমার কমেন্টটা করেই, বাইরে গিয়ে একটা সিগারেট ধরায় চিন্তা করছিলাম, আপনি যদি আমাকে ওয়ে বলতে বলেন আমি কি বলব। এসে দেখি আপনি সেটাই বললেন !!
আপনার প্রথম কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত, মুরিদ তার অন্ধ ভক্তির ব্যাপারটাকে যুক্তি যুক্ত করার চেষ্টা চালাতে পারে, সে সুযোগ এখানে আছে। এবং তাদের কে আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহী করবার জন্য, পীরের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ ও বেশ ভালো একটা পন্থা, এটাও মানি।
কিন্তু, মূল সমস্যা টা কোথায় !! তারা আজ কে হুমায়ূন এর ভুল পেলে, পুরনো পীর ছেড়ে নতুন পীর ধরবে। তাদের কে আবার অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করা শুরু করবে। আমার কাছে এটাই সমস্যা।
যে মানুষ সুন্দর গল্প বলে, তার মানে এই নয় যে, তাকে আমি আমার নিজস্ব বিশ্বাস - অবিশ্বাস নিয়ন্ত্রণ এর অধিকার দিব। যে মানুষ সুন্দর ওয়াজ করে, তার মানে এই নয় যে, সে আমার, আমার দেশের ভালো - মন্দ সবার থেকে ভালো বোঝে। ঠিক এই কথাগুলি মানুষ কে বোঝাতে পারলে, বা বোঝানোর চেষ্টা করলে আরও ভালো হত বলে আমার বিশ্বাস। সেই আলোচনায় গল্পকার বা ওয়াজ এর লোকগুলি কে বিযুক্ত করা কঠিন, পুরো-পুরি বাদ দেবার কথাও আমি বলিনি, তবে, যুক্তিহীন কথাবার্তার থেকে, যদি যুক্তিহীন বিশ্বাসের দিকে যদি কলম চালানো হয়, আমার মনে হয় সেটা আরও বেশি কার্যকর হবে।
একটা উদাহরণ দেই, ছোট বেলায় আমি ভুতের গল্প বিশ্বাস করতাম, এখন করি না, তার কারণ এই না যে, আমি একদিন বুঝতে পেরেছি যে, ওসব গল্প মিথ্যা ছিল, গল্পকার মিথ্যা কথা বলত, কারণটা হচ্ছে, আমি বড় হয়ে আমার যুক্তি দিয়ে বুঝতে পারি, ভুত বলে কিছু নেই। এখন সত্যবাদী যুধিষ্ঠির ও আমাকে ভুতের গল্প বললে আমি বিশ্বাস করব না।
আমার কথাবার্তা গোছানো না হলে ক্ষমাপ্রার্থী।
আমরা বোধহয় একই পৃষ্ঠায় আছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই পোস্টলেখক একটা পয়েন্ট তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, সেটা হচ্ছে, হুমায়ূন একটা কিছু বললেই সেটা অভ্রান্ত বা রেফারেন্সের যোগ্য হয়ে যায় না।
মানুষ কিন্তু পীর বেছে নেয় নিজের চাহিদার মাপেই। সাঈদীর মতো যারা চিন্তা করে, তারাও কিন্তু সবসময় সাঈদীকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে ভরসা পায় না। কিন্তু একজন হুমায়ূন যখন সাঈদীর মতো কথা বলা শুরু করে, তখন ঐ লোকগুলির খুশির সীমা থাকে না। কারণ হুমায়ূন ভদ্রসমাজে প্রেজেন্টেবল। তারা তখন নিজের চিন্তার সাইনবোর্ডটার নিচে হুমায়ূনের খুঁটিটা লাগিয়ে লম্বা করে তুলে ধরে। সে কারণেই বক্তব্যের সাথে বক্তা, যদিও তিনি সদ্যমৃত, চলে আসেন।
হুমায়ূন মারা যাওয়ার পর তার শরীর শক্ত হতে না হতেই বাংলাদেশে কাঠবলদচাষী আলুপেপার সাথে সাথে তার কিছু বাছাই লেখা পুনর্প্রকাশ শুরু করেছে। সেই লেখায় হুমায়ূনের অতি ভ্রান্ত কিছু বক্তব্য আছে, যা শুধু মার্কার গুণে একটা বড় অডিয়েন্সের কাছে তুলে ধরার সুযোগ এরা পেয়েছে। পাখি যেমন স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বার্ড ফ্লুয়ের ভেক্টর, হুমায়ূনও তেমনই সেই ভ্রান্ত ধারণা আর বক্তব্যের ভেক্টর। তাকে যখন আলুপেপারের মতো ধান্দাবাজ গোষ্ঠী ব্যবহার করবে, তখন শুধু তার বেদনাদায়ক অনুপস্থিতির কথা ভেবে প্রতিবাদ না জানিয়ে চুপ করে থাকা কি উচিত হবে, বলুন?
হিমু ভাই, আমরা একই পৃষ্ঠায় আছি। আপনার কথা শুনে আমি পুরোপুরি কনভিন্সড হয়ে গিয়েছিলাম !! কিন্তু নিজের উপরে একটু সন্দেহ হল, "আমি কি এতই বলদ !! এটাই যদি ব্যাপার হয়ে থাকে, তবে এত কথা বলি কেন, ল্যাব এর কাজ বাদ দিয়ে। হটাত মনে পরল, কেন এই ব্লগে কমেন্ট দেয়া শুরু করলাম"
আপনি যে কথা বললেন, পুরোপুরি একমত, তবে আপনার কথার সাথে, লেখাটার কিছু জায়গায় পার্থক্য আছে। হুমায়ূন এর পীর সাজার শখ ছিল, তিনি অপবিজ্ঞানের প্রচার করছেন, তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন নি - এই অভিযোগ গুলোই বার বার উঠে এসেছে। উঠে এসেছে তাঁর সুবিধাবাদী চরিত্রের কথা। আপনার - আমার এবং লেখকের উদ্দেশ্য যদি একই হয়, সেই উদ্দেশ্যর সাথে এই কথাগুলি কেমন যেন বেমানান লাগে আমার কাছে। কেমন যেন বেক্তিগত আক্রমণ মনে হয়, যেখানে লেখাটার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ একটা গোষ্ঠী।
আমারও বুঝতে ভুল হতে পারে। সেটা হলে আপনার সময় নষ্ট করার জন্য একটা গালি দেবার অধিকার দেয়া যায় আপনাকে।
হুমায়ূন আহমেদ যে অপবিজ্ঞানকে (বরং, অবিজ্ঞানকে) অন্তত এই সাক্ষাৎকারে প্রোমোট করেছেন, সে ব্যাপারে লেখকের পর্যবেক্ষণের সাথে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আপনার যদি থাকে, আপনি জানাতে পারেন।
ওয়েল, ব্যাপারটা অবৈজ্ঞানিক আমিও মানি। বিজ্ঞান এটার ব্যাখ্যা দিতে পারে না। আলোচনা সেখানে থাকলে আমি হয়ত কিছুই বলতাম না। কারণ এই মানুষটাই আবার বার বার বিজ্ঞানের কথা বলেছে। এই মানুষ টাই সব কিছুকে লজিক দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছে। অবিজ্ঞান এর কথা বলার জন্য তাঁর চরিত্র নিয়ে যদি এখানে টান দেয়া হয়, তাঁর সুবিধাবাদী নীতি, তাঁর হলেও হতে পারে দুরভিসন্ধি উঠে আসে, তাকে জ্ঞানপাপী বলা হয় তাহলে বিজ্ঞানের কথা বলার জন্য অন্য কিছু টানা উচিৎ ছিল।
আপনি আমার সাথে একমত হবেন যদি, এই লেখাটার কমেন্ট গুলি পরেন। দেখেন সবাই তাকে নিয়ে কি তামাশা করতেছে ! তাকে গালাগালি করতেছে ! এবার আপনিই বলেন উদ্দেশ্য কতটুকু সফল হয়েছে !!
বিজ্ঞানের কথা বলার কিছু নাই অনিক। বিজ্ঞান হল বর্তমানের প্রতিষ্ঠিত সত্য। বিজ্ঞান কোন মতবাদ না। বার বার বিজ্ঞানের কথা বলা একজন মানুষ যখন বিজ্ঞানের মধ্যে অপবিজ্ঞান ঢুকায়, সমস্যাটা তখনই বেশি। দেলোয়ার হোসেন সাইদী বা সাইবাবা কেউ বিজ্ঞানের কিছু বললে অনেকেই উড়িয়ে দেবেন। কিন্তু হুমায়ূন বললে সেটাকে বিচার বিবেচনা করে উড়িয়ে দেয়ার মত মনের জোড় বা ইচ্ছা মানুষের কম আছে। লেখাটা সে জন্যে লেখা। রেপুটেশান তৈরি হয়ে গেলে সেটার সুযোগ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলাটা তাই আরও বড় অপরাধ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হাবিজাবি কথাবার্তা বললে তো লোকে তামাশা করবেই। হুমায়ূন তো তামাশার উর্ধ্বে কেউ না। ২০১২ সালে এসে যে লোককে মোতার মাঝখানে অশরীরী নারীকণ্ঠ এসে ডিস্টার্ব করে, তাকে নিয়ে তামাশা না করলে কাকে নিয়ে তামাশা করা হবে, বলেন?
অভিযোগের বিপক্ষে কোন কথা আছে কি? হুমায়ূনের সুবিধাবাদী চরিত্র অনেক ভাবেই বিশ্লেষণ করা যায়। কিন্তু সেটা এই লেখার মূল টোন না। কথা প্রসঙ্গে এসেছে।
ব্যক্তি আক্রমণ কথাটা খুব আপেক্ষিক হয়ে যায়। হুমায়ূনের কোন কিছু ভাল না লাগলে তার যে সমালোচনা সেটা ব্যক্তি আক্রমণ হবে যদি আমি তার ব্যক্তিগত জীবন টেনে আনি। শাওন বা গুলতেকিনকে টেনে আনি। তার লেখা, সাক্ষাৎকার আর কাজের মেরিটে হুমায়ূনের সমালোচনা কোন ভাবেই ব্যক্তি আক্রমণ বলা যায় কি?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তুমি বিশ্বাস কর, তিনি কোন তত্ত্ব প্রচার করা মানুষ ছিলেন না। বিশ্বাসে সমস্যা নেই। কিন্তু প্রচার তো হয়ে যাচ্ছে! বিশ্বাস করে বসে থেকে তো লাভ হচ্ছে না। শুধুই সাক্ষাৎকার মানে কী? এটা তো হুমায়ূনের কথা, অ্যাটলিস্ট যতক্ষন এটাকে ফেক প্রমাণ না করা যাচ্ছে।
আমার মতামত আর হুমায়ূনের মতামত, দুইটার গুরুত্ব সমান না। শেখ হাসিনা কী বলল, সেটা নিয়ে কিন্তু আমরা সমালোচনা করি, ওরকম হাজারটা গুরুত্বহীন কথা আমরা অহরহ বলি, কিন্তু হাসিনা বললেই সমালোচনা কেন? যে কোন লোকের ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে, কিন্তু সে যখন হুমায়ূনের মতন লোক হয় সেটা আর ব্যক্তিগত থাকে না। আজকে হুমায়ূন এসে যদি হিটলারের পক্ষে কথা বলে যায়, দশটা মানুষ সেটা কোট করে ফেসবুক ব্লগ ভরিয়ে তুলবে। কেউ কিছু বললে বলবে, "তুই হুমায়ূনের চেয়ে বেশি জানিস?"
উত্তর পাওয়ার জন্যে প্রশ্ন করিনি। প্রশ্ন করাটা স্যাটায়ারিস্টিক ছিল। জীবিত থাকলেও এমন না যে উনি আমার লেখার উত্তর দিতেন। ওর সাক্ষাৎকারে কয়টা অলৌকিক ব্যাপার আছে একটু গুনে দেখ। আমাদের দেশে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ বসে, জিন-ভূত নিয়ে ব্যবসা হয়, মাজার ব্যবসা হয়। তোমার কি মনে হয় না হুমায়ূনের এই সাক্ষাৎকার এইসব জিনিস অনেক বেশি উস্কে দিবে? হুমায়ূনের এই সাক্ষাৎকার অলরেদী মানুষ ব্যবহার করা শুর করে দিছে। তুমি শুধু সাক্ষাৎকারের নীচের মন্তব্যগুলা পড়ে দেখ। সেটা মানুষকে কী পরিমাণ অ্যাফেক্ট করছে দেখ।
সব কথাই হিমু ভাই বলে দিয়েছেন। তাই আর কথা না বাড়াই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাক্ষাৎকারটা বিশ্বাস করতে মন চাইছে না, কিন্তু যুক্তি বলছে বিশ্বাস করতে! হুমায়ূন আহমেদ এমন বলতে পারেন! কারণ দোদুল্যমানতা ছিল তার পরতে পরতে! যতদূর মনে পড়ে, তার সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক একটা বইতে তিনি খালেদা জিয়াকে ভোট দেয়ার কথা বলেছিলেন, অথচ ঐ সময়টাতে খালেদা জিয়া পুরোদমে যুদ্ধাপরাধীদের তোষণ করে চলছেন! আবার এই হুমায়ূন আহমেদই লেখেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসাধারণ উপন্যাস, নির্মাণ করেন আগুনের পরশমণির মত অসাধারণ চলচ্চিত্র! তাছাড়া, শেখ হাসিনার কাছ থেকে বাংলাদেশ মিশনের উপদেষ্টা পদও গ্রহণ করেন গদগদ হয়ে! হুমায়ুন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে গেটিসবার্গ স্পিচের চেয়েও মূল্যবান মনে করেন, অথচ ভাষণ সম্পর্কিত 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' তত্ত্ব অবলীলায় বিশ্বাস করেন! হুমায়ুন আহমেদ অনেক বড় বিজ্ঞানী হয়েও সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর গড়ে উঠা ঈশ্বরকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন বহুল প্রচারিত 'ঘড়ি তত্ত্ব' দিয়ে ! একজন লেখক হয়ে হুমায়ুন আযাদের (যাকে হুমায়ূন আহমেদ শ্রদ্ধা করতেন এবং নিজের সেরা বইগুলো মূল্যায়নের জন্য দিয়েছিলেন) ঘাতকদের পক্ষে সাফাই গান!
সুন্দর একটা সময়োপযোগী লেখা, শান্ত ভাই!
প্রমাণ করতে পারব না, আমার কথা। আমার স্পেকুলেশান আমি দিয়েছি। উনি কোনকিছুই বিশ্বাস করেন না। উনি সবার হয়ে থাকতে চান। সবার কাছে বিক্রয়যোগ্য থাকতে চান। এজন্যে মুজিবের ভাষণ নিয়ে গদগদ হয়ে লেখেন সাথে পাকিস্তান জিন্দাবাদ জুড়ে দেন। হুমায়ূনের লেভেলের একজন এসব না বুঝে করে, এই কথাটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই সময়ের প্রেক্ষিতে খুব গুরুত্বপূর্ন একটি লেখা।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মনে হচ্ছে ফারাবীর কোন সাক্ষাত্কার পড়লাম বুঝি । এইরকম চিন্তাধারা যদি বর্তমান বিজ্ঞাণের ছাত্রদের মাঝে আসে , তবে ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে লজ্জায় পড়তে হবে নিঃসন্দেহে ।
খুবই দুঃখজনক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাক্ষাৎকার টা পড়ে সময় নষ্ট করি নাই
---------------------
আমার ফ্লিকার
ভাল করছ। তবে মাঝে মাঝে সময় নষ্ট করা ভাল, আশে-পাশের লোকজন সম্পর্কে একটা ধারণা হবে। ভবিষ্যতে কখনও পীর হওয়ার ইচ্ছা হইলে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মিসিরালীর স্রষ্টা এমনভাবে বলবে এটা হজম করা কষ্টকর, তবে শেষের দিকে এসে হয়তো মৃত্যুভয়েই কিছুটা ধর্মান্ধ হয়ে উঠেছিলেন। আবার বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সৎ এটা অবাস্তব, তারা অসৎ সুতরাং এটা ম্যানিপ্যুলেটেইড হতেও পারে। তাছাড়া উনার যতগুলো ভিডিও সাক্ষাৎকার দেখেছি তার সাথে এটিকে মেলানো মুশকিল, উনি এই রকম বাক্য সংস্থাপনে কথা বলেন না।
যাই হোক, উনি ত্রুটিহীন কেউ নন। উনার স্পষ্টত ত্রুটি ছিল।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ শান্ত ভাই।
_____________________
Give Her Freedom!
হজম করতে কষ্ট হল বলেই লেখাটা। হুমায়ূন মারা গেছেন। ওনাকে নিয়ে এরকম লেখা লিখতে চাইনি, আসলেই চাইনি। কিন্তু বলা যায় বাধ্য হলাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লিখেছেন [সূত্র],
ধর্মান্ধতার পাশাপাশি মনে হচ্ছে সংস্কারাচ্ছন্নও হয়ে উঠেছিলেন।
_____________________
Give Her Freedom!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দুঃখিত, আমার কাছে কোন গুরুত্বপূর্ণ লেখাই মনে হলো না। হুমায়ুন আহমেদ-এর সাক্ষাৎকারটা আমার কাছে কোনরুপ আপত্তির কিছু মনে হয়নি। ভাল না লাগলে, সেটা ব্যক্তির রুচি ও পছন্দের ব্যাপার। আর রাজনীতিকে যে তুলে আনতে হবে একজন সময়ের লেখকের, তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সব কিছুর মূল হলো, মানুষে মানুষের সম্পর্ক। সে সম্পর্কটা সঠিকভাবে ডিফাইন করা গেলে, রাজনীতিটাকে সরাসরি স্পর্শ না করলে চলে। দু'দিন আগে ইউটিউবে হুমায়ুন আহমেদ-এর একটা নাটক দেখলাম, সেটাকে আমি অবশ্যই বলবো, প্রচলিত রাজনীতিকে অন্যভাবে ব্যঙ্গ করেছে। এমন আরো একটা নাটকের কথা বলতে পারি,যেখানে মন্ত্রী মহোদয়কেও ধোলাই দিয়েছেন। (কেউ যদি নাটক দু'টোর নাম জানতে চান, আমাকে খুঁজে বের করতে হবে আবার।) আমাদের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের মানুষদেরও ধোলাই দিয়ে টিভি নাটিক করেছেন "যমু্নার জল কত নীল"। হুমায়ুন আহমেদের সাক্ষাৎকারটা পড়ে আমার মনে হয়েছে, বিজ্ঞানে এখনো অনেক কিছু ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাহলে তো এমেরিকান টিভি চ্যানেলে একসময় দেখানো, Unsolved Mysteries মত সিরিজগুলোকে অস্বীকার করতে হবে,যেখানে হুমায়ুন আহমেদ-এর ঘটনার মত মারাত্মক ঘটনাগুলোকে প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্পেশালিষ্টদের বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হতো। দু'টি উদাহরণ দিচ্ছি। একজন লোককে নিয়ে আসা হলো, এবং দেখানো হলো, তিনি মৃত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। এই দাবীর কারণে, তার কাছে ১২ জন অপরিচিত লোককে হাজির করা হলো। তিনি তার মধ্যে ৯ জনের পরলোকগত কাছের মানুষের নামের আদ্যক্ষরসহ কিভাবে মারা গেলেন এবং কি বলছেন, তার বলে দিয়েছেন।
আরেকটা সত্য ঘটনা হলো, একজন মহিলা একদিন তার অফিসে এলেন। তার ডেস্কের পাশের রেডিও চলছিল। হঠাৎ এক তরুণীর নিখোঁজের কথা বলা হলো রেডিওতে। মহিলা সাথে সাথে চিৎকার করে উঠলেন। আমি তো তাকে চিনি। তাকেও তো মেরে ফেলেছে। অথচ ওই তরুণীকে তিনি জীবনে দেখেননি বা চিনেন না। মহিলা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে বললেন, আমি জানি, মেয়েটার মৃতদেহ কোথায় পাওয়া যাবে, মেয়েটাকে কোথায় মারা হয়েছে। সে পুলিশকে এক বনে নিয়ে যায়। এবং একটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দেখায় যে, এখানে তাকে টেনে হেঁচড়ে নেয়া শুরু করে এবং মেয়েটা তার জীবন ভিক্ষা করে। কিন্তু লোকটা তাকে টেনে নিয়ে যায় এবং মহিলাটা পুলিশের সাথে যেতে যেতে বলে এখানে লেকের ধারে মেয়েটাকে হত্যা করা হয়। এবং এই তো লেকে দেখো তার লাশ ভাসছে। পুলিশ এত নিখুঁত বর্ণনা পেয়ে মহিলাকে হত্যাকারী বলে আটক করে। কিন্তু ৩২ ঘন্টা পর তারা প্রকৃত হত্যাকারী খুঁজে পেলে মহিলাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই মহিলা থেকে কখনো কখনো এ ধরণের কেসের জন্য পুলিশকে সাহায্য নিতে দেখা যায়। এবার বুঝুন।
সত্যিকারভাবে বললে, আমি নাট্যকার সেলিম আল দীন থেকেও হুমায়ুন আহমেদ টাইপ একটা ঘটনা নিজে শুনেছি। আমার জীবনেও এমন একটা ঘটনা আছে, যার ব্যাখ্যা আমি পাইনি।
তাই সর্বশেষে বলবো, পোস্টের লেখকের হুমায়ুন আহমদ সম্পর্কে এত নেতিবাচক হওয়ার কারণটা আমার কাছে যথেষ্ট যৌক্তিক মনে হয়নি।
যেমন ধরুন, রসময় গুপ্তের লেখা। রাজনীতি নিয়ে কোনো হাঙ্গামা নেই। মানুষে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন উনি।
ব্যাখ্যাতীত হিসেবে যেসব ব্যাপার টিভিতে দেখানো হয়, সেগুলোর উদ্দেশ্য মনোরঞ্জন। আক্ষরিক অর্থে নেয়ার জন্যে নয়। টিভিতে টম অ্যান্ড জেরিও দেখানো হতো। আমরা কি বিশ্বাস করি, দুনিয়ার এক প্রান্তে টম নামের একটা বেড়াল জেরি নামের একটা ইঁদুরের সাথে রোজ রোজ ধরপাকড় খেলছে? আপনি নিশ্চিন্ত মনে আনসল্ভড মিস্ট্রিজকে অস্বীকার করতে পারেন। জুয়েল আইচ মঞ্চে মানুষকে কেটে দুই টুকরো করে আবার জোড়া লাগান, আপনি নিশ্চয়ই জুয়েল আইচকে দিয়ে নিজের সার্জারি করানোর কথা ভাবেন না, তাই না? প্রবীর ঘোষের "অলৌকিক নয়, লৌকিক" সিরিজের বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন। ব্যাখ্যা খুঁজে না পাওয়ার মধ্যে সাময়িক রোমাঞ্চের ছোঁয়া যেমন আছে, দীর্ঘমেয়াদী মূর্খতার ছোঁয়াও তেমনি আছে। কোনটার ওজন আপনার কাছে বেশি, সেটাই কথা।
টিভিতে যা দেখানো হয়েছে, তা মূল ব্যক্তি এমনকি ঘটনার সাথে জড়িতদের এনে দেখানো হয়েছে। বিজ্ঞান সব কিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারলে ক্যান্সারের একটা এনসার বের করতে পারতো। পৃথিবীর তাবৎ রহস্যের ব্যাখ্যা এখনো এসে জড়ো হয়নি। তার জন্য কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর যতটুকু রাজনীতি সম্পর্কে হুমায়ুন আহমেদ নাটকে বলেছেন, তা ব্যঙ্গাত্মকভাবে পরিবেশন করা। এটাকেই তিনি তার সঠিকভাবে উপস্থাপন বলে মনে করেছেন। ভাল থাকুন।
এরকম টিভি শো শয়ে শয়ে হয় রে ভাই। লোকজন কমপ্লেইন করে, ইউএফও থেকে এলিয়েনরা এসে তাদের তুলে নিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে। একটা সময় ছিলো এইসব "প্যারানরমাল অ্যাকটিভিটিজের"। পাবলিক এগুলো তখন খেতো। এখন খায় না তেমন। আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন গত দশ বছরে এ ধরনের কোনো সিরিয়াল দেখেছেন কি না। এখন লোকে খায় রিয়্যালিটি শো, আমেরিকান আইডল, বিগ ব্রাদার এইসব হাবিজাবি। ডব্লিউ ডব্লিউ এফে যে মারপিট চলে, তার সবটাই তো সাজানো নাটক, আপনি কি মনে করেন আসলেই শন মাইকেলের সাথে বিগ ড্যাডি কুল ডিজেলের মেয়েমানুষ নিয়ে মারপিট হতো? গ্রো আপ ভাই।
বিজ্ঞান সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারে না, তবুও লোকে যে কেন ক্যান্সার হলে ভূতের দুধ না খেয়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতে যায়, এটাই আশ্চর্যের ব্যাপার।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
গ্রো আপের কথা বলছেন, না জেনে গ্রো আপ কি হওয়া যায়? বিজ্ঞান সব কিছুর ব্যাখ্যা অবশ্যই দিতে পারে, কিন্তু তার জন্য অনন্ত সময়ের প্রয়োজন। মানুষের মস্তিষ্কের কতটুকুই বা আবিস্কৃত হয়েছে, যে বড় গলায় জোর করে বলবো, আমি গ্রো আপ হয়ে গেছি? এটা তো একটা প্রসেস। সারা জীবনে কেউ পুরো গ্রো আপ হতে পারে কি?
আমি আনসল্ভড মিষ্টিরির কথা অন্য কিছুর সাথে তুলনা করতে চাই না। কেননা, ওখানে এত এত ব্যতিক্রমী জিনিস দেখানো হয়েছে, যা প্রাত্যাহিক দিনগুলি থেকে নেয়া। সব একধরণের বিষয়বস্তুর মাঝে আবদ্ধ থাকেনি। তবে আপনার তথ্যগুলোকে গুরুত্ব দিয়েই ভাববো। ধন্যবাদ।
এখানে সেলিম আল দীন সম্পর্কে বলি। তিনি আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। এবং যে কথাগুলো আমাকে বলেছিলেন, তা ১৯৯৮-এ। তিনি আমাকে বলেছিলেন রাগ এবং জোরের সাথে, তোরা নাস্তিক হতে পারিস, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, ঠিকই জিবরাইল নবীজির কাছে এসেছিলেন। ঐ যে আম গাছটা দেখেছিস (তার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্ল্যাটের কাছে), ওর নীচে আমি একদিন কবি নজরুল ইসলাম-কে দেখেছি। স্যারের এই কথাটাকে আপনি বা আপনারা এখন কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
স্যারের শ্যালিকা হলো আমার ক্লাসমেট। তার ছোটমেয়েকে নিঃসন্তান সেলিম আল দীন নিজের মেয়ে বলে জানতেন। তার ছিল ব্লাড ক্যান্সার। এইজন্য স্যার দারুণ অস্বস্থি এবং মানসিক যন্ত্রণায় থাকতেন। স্যার মারা যাবার পর, আমি একদিন স্বপ্নে দেখলাম, একটা ঝাপসা হ্লুদ আলোর ঘরে একটা ছোট মেয়ে বসে আছে। আর স্যার বেশ বিমর্ষ হয়ে পায়চারির মত করছেন। স্বপ্ন থেকে জেগে ব্যাপারটা একটু চিন্তা করলাম। এর কিছুদিন আগে ফোনে স্যারের বৌ (যাকে আমরা আপা বলতাম, স্যারের শালীর কারণে)-এর সাথে কথা বললাম। তিনি আমাকে জানালেন, ছোট মেয়েটার শরীর ভাল যাচ্ছে না। আমি স্বপ্নের অর্থ বুঝে প্রমাদ গুণলাম। তার ক'দিন পরেই ছোট মেয়েটার মারা যাবার খবর পেলাম। এটা ছাড়াও হঠাৎ করে এমন একটা স্বপ্ন দেখলাম, যার অর্থ তখনই উদ্ধার করলাম, যখন আমার ৩৪ বছরের সুস্থ একজন কাছের আত্মীয়ের রেকটাল ক্যান্সার ধরা পড়লো। এমন স্বপ্ন আমার অবচেতন চিন্তার ফসল একেবারেই ছিল না। কেননা, আমরা কেউ বুয়েট থেকে পাশ করা সেই ৩৪ বছরের সফল হতে যাওয়া আর্কিটেক্টের মৃত্যুর ব্যাপারটা আদৌ ভাবিনি। অনেক কিছুই আনসল্ভড রয়ে গেছে ভাইয়া। জানুন, কিন্তু কোন কিছুতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টানলেই যে সেটা আপনার বা আমার গ্রো আপকে প্রমাণ করবে, তা কিন্তু নয়। মানুষ অবশ্যই সর্ব শক্তিমানের সর্ব শক্তির উৎস আবিষ্কার করবে। তার আগে সে স্বর্গ বা বেহেশ্ত খুঁজে পাওয়া তো দূরের কথা কেয়ামতের মুখোমুখি হবে না। এটা বোধ হয়, আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি। হা হা হা।।
জিব্রাইল যে কারনে নবীজির কাছে গেসিলেন নজরুল ইসলামও কি একই কারনে সেলিম আল দীনের কাছে গেসিলেন? খুইলা কন একটু।
..................................................................
#Banshibir.
এইভাবে সপ্তাহে সপ্তাহে নতুন এক পিস করে পরমার্থ এসে হাজির হলে বেশিদিন বাঁচবো না। সুমায় থাক্তে থাক্তে আমার জন্য দুইটা নামাজি হিজাবি পর্দানশীন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে দেখেঞ্ছে।
দুইটা হিজাবী পরমার্থ বা শামান সাত্ত্বিক যখন দু দু বার করে জ্বীন পরি ফেরেস্তা কিরামান কাতেবিনের কিচ্ছা হুনাইব তখন তো রাইন নদীতে ঝাঁপ দিবেন হিম্ভাই। বাদ্দেন। ক্বলবের জিকির কৈরা জীবন কাটাই দেন।
..................................................................
#Banshibir.
আমিও তা-ই চাই, তারা এইসব বেশি করে বলুক। কারণ হাঁটুপানির রাজ্যে শাস্তি শুধু একটাই ...
তার লগে একটা দলছুট জুড়ে দেন্না
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দলছুটরে ভালু পাই। পরমার্থ শামান সাত্ত্বিক শুধুই হুমায়ুন পাঠক এগুলি হইল গবেট, দলছুট গবেট আছিলনা মাথাডা এট্টু গরম আছিল এই আর কি
আহা লালা চা (দীর্ঘশ্বাস)!
..................................................................
#Banshibir.
"পরমার্থ" !!!! কই সেই মহাজ্ঞানী, আমি তো তাঁরে খুঁজি !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
না, অনন্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞান কিছু মৌলিক স্বতসিদ্ধের সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের, সেগুলো কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা যায়। আমি এককালে জুজুবুড়ির ভয়ে কাবু হয়ে চুপচাপ বিছানায় পড়ে থাকতাম, এখন আর জুজুবুড়িকে ভয় পাই না। এটা হচ্ছে প্রাপ্তমনস্ক হওয়ার একটা নমুনা। আমি যদি বলি, বিজ্ঞান অনন্ত সময় পার না হলে জুজুবুড়ির অনস্তিত্ব প্রমাণ বা অস্তিত্ব অপ্রমাণ করতে পারবে না, সেটা বেশ ভাবের কথা হয় বটে, কিন্তু তাতে আমার প্রাপ্তমনস্কতার পরিচয় মেলে না। সেরকম কিছু বলে বসলে লোকে বুঝতে পারবে আমি একটি প্রাপ্তবয়স্ক কাঠবলদ।
আপনি টিভির একটা শো-কে প্রামাণ্য বিচার করছেন, এটা তো খুবই হাস্যকর। সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান বা বায়োনিক উওম্যানের সাথে আনসল্ভড মিস্ট্রিজের কোনো পার্থক্য নেই, এটাই তো আপনি ধরতে নারাজ। আপনি আমাকে একটা ভিডিও ক্যামেরা দিন, আমি আপনাকে একটা আনসল্ভড মিস্ট্রি বানিয়ে দেখাই। একেবারে রক্ত মাংসের মানুষজন এনে এমন আধিভৌতিক অভিজ্ঞতার কথা শোনাবো যে আপনি টয়লেটে গেলে সাথে একজনকে নিয়ে দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখবেন।
সেলিম আল দীন গাঁজা বা মদ সেবন করেছিলেন হয়তো। তিনি জোরের সাথে একটা কিছু বললেই সেটা বাস্তব হয়ে যায় নাকি? সেলিম আল দীন কী বিশ্বাস করেন, সেটা তো কোনো প্রামাণ্য সূত্র হতে পারে না। আমার এক বন্ধু জীবনে প্রথম মদ খেয়ে আরেক বন্ধুর পায়ের পাতাকে বেজি কল্পনা করে কামড়ে ধরে মেঝেতে পড়ে ছিলো। তবে এটাকে সে পরবর্তীতে আনসল্ভড মিস্ট্রি হিসেবে চালিয়ে দিতে চায়নি।
আপনি আজকে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ফেলুন। দেখবেন তার তিন দিনের মাথায় একটা বড় বিপর্যয় ঘটে গেছে। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন, সেই দুঃস্বপ্নের (স্বপ্নদৃশ্য এখানে অবান্তর) সাথে সেই বিপর্যয়ের কোনো সম্পর্ক আছে, তাহলে আপনি একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন বোকাচোদা মাত্র। পৃথিবীতে প্রতিদিন একটা না একটা দুর্ঘটনা ঘটছে। আপনি ৩৬৫ দিন ঘুমালে ৩৬৫টা দুর্ঘটনার সাথে নিজের স্বপ্নকে রিলেট করে মনকলা খেতে পারেন। কিন্তু এর পেছনে আধিভৌতিকের চেয়ে যে জিনিসটা বেশি দায়ী, সেটা হচ্ছে সমাপতন। আমি হাগু করতে গেলেই বাংলাদেশের উইকেট পড়ে যায়, তার মানে এ-ই নয় আমার হাগুতে ঐশী জোর আছে, কিংবা আমি হাগু চেপে পুরো ম্যাচ দেখবো। এমনকি আমি ১০০ বার হাগু করতে গেলে যদি ১০০ বারই বাংলাদেশের উইকেট পড়ে, তবুও নয়। কারণ পৃথিবী যে ভৌত নিয়ম মেনে চলে, সেখানে আমার হাগুর সাথে বাংলাদেশের উইকেট পতনের কোনোই সম্পর্ক থাকা সম্ভব নয় (ব্যতিক্রম হিসেবে বলা যায়, যদি না আমি হাগুটা ব্যাটসম্যানের মাথার ওপর করি)। তাই সমাপতনকে অলৌকিক ধরে নিয়ে অমীমাংসিত রহস্যের মনকলা না খাওয়াই যুক্তিসিদ্ধ আচরণ।
কী ধৈর্য্য আপনার রে ভাই। পুনরুৎপাদনযোগ্য পর্যবেক্ষণসাধ্য প্রমাণ চান, ভূত প্রেত সেলিম আল দীন সব এক ঘণ্টার মধ্যে দূর হয়ে যাবে।
In God we trust, all others bring evidence.
ফলসিফাইয়েবল এভিডেন্স- সম্পর্কে অনেক মানুষের ধারণা শূন্যের কাছাকাছি। প্রমাণ হিসেবে আরও অনেকগুলা স্বপ্নদোষের ফিরিস্তি দিয়ে যাবে, দেখবেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তখন জানতে চাইবেন সেই দোষ পুনরুৎপাদনযোগ্য কিনা? ফলসিফায়েবিলিটি বোঝানোর এই তো সুযোগ! মিনিমাম দোষে স্বপ্ন দূর হবে। বিফলে মূল্য ফেরত।
বাহ্ আপনি খুব জটিল বিষয়কে সহজ করে ফেললেন ধ্রুব বর্ণন। মনে থাকবে।
হাহহাহাহাহা হিমু ভাইয়ের পরমার্থ দের জন্য করা কমেন্ট গুলো (এই পোস্টে অন্য পোস্টেও) সংকলিত করে রাখা উচিত ব্যাপক !!
ওরে বাবুইল্যা বুকে আয়
আমিও আমার বাসার সামনের শ্যাওড়া গাছতলায় কবি দলছুটরে দেখছি,
আমার মনে হয় দুইটার মধ্যে গভীর কোরিলেশন আছে, হুদাই মুক্কু পুলাপানগুলা না জেনে তক্ক করে।
পিথিবীতে মানুষ দুইপ্রকার। এক প্রকারের খালি স্বপ্নে দোষ হয় ( যেমন সচলের বেশীর ভাগ পুলাপান) , আরেক প্রকারের স্বপ্নে খালি গুন হয়(যেমন আমি, আপনে)। স্বপ্নগুনীদের সংখ্যা স্বপ্নদোষীদের তুলনায় অনেক বলে এরা কালে কালে যুগে যুগে আপনার আমার মতো নির্যাতিত হয়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি কালকে একটা স্বপ্ন দেখছি। এইটা নিয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসও দিসিলাম। এই ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যাটা এট্টূ কন্দেহি। প্লিজ প্লিজ লাগে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার এই উত্তর আমি ফেসবুকেই দিতে চাইছিলাম। কিন্তু দিলাম না। কেননা, উত্তর মোটেও আপনার জন্য সুখের হবে না।
যেখানে দিতে মঞ্চায় দিবেন। আমার সুখ-দুঃখের কন্ট্রাক্ট আপনার না নিলেও চলবে। আপনে আমার ফেসবুকের কোন চিপায় আছেন? চিনলাম না আপনারে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আ[পনার চিপায় থাকমু ক্যালা। আপনারা পাইয়া ম্যাসেজ মারতে চাইছিলাম। ওই যে কইলেন, ফেইসবুকে স্ট্যাটাস মারছিলেন। এখানে তো কয়েক ঘন্টা ধইরা আমার মন্তব্য মডারেশানে আইটকা ছিল। তাই ভাবছিলাম, ফেসবুকের কথা যখন কইছেন, ওখানেই একটা হেস্ত নেস্ত কইরা ফালাই। তার স্বপ্নের ব্যাখ্যা চাইলে বলতে পারি।
"তা স্বপ্নের ব্যাখ্যা হইলো গিয়া, স্বপ্নে নিজেকে বিশিষ্ট জন মনে করলে, প্রথমে ব্লগে আপনার অসভ্যতা সংশোধন করে ভালা মানুষ হতে হবে। ইংরাজিতে যারে বলে, বিহেভ ইউরসেলফ।
অন্ধবিশ্বাস যাকে বলছেন, সেটা হলো আপনার অতি বিপ্লবী এক্সট্রিমিষ্ট ভাবনা, আগামী দশ বছর অতিক্রান্ত হলে আপনার এই ভাবনার পুরোনো প্রেমিকা বিদায় হয়ে, আপনার দরজায় নতুন প্রেমিকার উদয় হবে। আপনার জীবন থেকে সহজ ভাবে নয় কোষ্টকাঠিন্যের মত আপনার এই এক্সট্রিমিষ্ট চিন্তার প্রেম বিদায় হবে।"
আপনাকে আবার বলছি, আপনি ওয়েষ্ট কোস্টে আছেন, আমি ইস্টে আছি। আর কোন স্বপ্নের ব্যাখ্যা চাইলে আওয়াজ দিয়েন।
এইতো মাথা খুলছে। এত সোন্দর একটা ব্যাখ্যা দিলেন। সেই ব্যাখ্যা কি সেলিম আল দ্বীন আর হুমায়ূন সাহেবের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপারে পীরভক্তির কারণে চাপা পড়েছিল? সমস্যাটা এখানেই, কারও কারও চিন্তা ভাবনা পীর বাবাদের সামনে আসলে লোপ পায়। লেখাটা একজাক্টলি তাদের জন্যেই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অভিজ্ঞতা দেইখা মনে হইতেছে ভাইজান এরও একি অবস্থা হইছিলো!! তা এখন শরীরডা ভালা নাকি এখনও কষ্ট করতে হয় সাত সকালে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কোন এক অদ্ভুত কারণে মানুষের দুঃস্বপ্নগুলোই সত্য হয়, সুখস্বপ্ন বা স্বপ্নদোষগুলো দুঃখজনকভাবে কখনওই সত্য হয় না
এর থেকে আপনি কি শিক্ষা নিবেন জানি না, তবে আমি মনে করি মানুষের উইশফুল থিংকিং কত ভয়াবহ হতে পারে এতে তাই প্রতিভাত হয়।
অদ্ভূত ব্যাপার কী জানেন? বছরে আপনি দেড়শোটা স্বপ্ন দেখেন, সব ভুলে যান। একদিন স্বপ্ন দেখলেন আপনার বন্ধুর পা ভেঙ্গে গেছে, দুইদিন পরে আপনার নিজের হাত কেটে গেল। তখন আপনি যদি ওই স্বপ্নের সাথে মিল খুঁযে পাবেন। বাকি একশ উনপঞ্চাশটা স্বপ্ন ভুলে যাবেন ওই একটা মনে থাকবে। এটা জাস্ট কাকতাল। কিন্তু সেটাকে উড়িয়ে দেবেন না প্রচার করবেন, সেটা থেকেই অনেক সময় টের পাওয়া যায় কতটা লজিক্যালি চিন্তা করতে পারেন আপনি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
'অলৌকিক নয়, লৌকিক' বইটার দুইটা খন্ড পড়বেন দয়া করে।
ধন্যবাদ আপনাকে। খু্জে পেলে এবং সুযোগ পেলে পড়ে নেবো অবশ্যই।
পড়ে নজরুল ইসলাম কেন সেলিম আল দীনের কাছে গিয়ে কানে কানে নাটকের আইডিয়া বাৎলে দিয়েছিলেন জানতে পারলে বলে যায়েন ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
@হিমু ভাইঃ বহুত ধইন্যবাদ। ভাবছিলাম ঘুম থিকা উইঠা মন্তব্যের জবাব দিতে দিতে জান খারাপ হবে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি ঘুমাইতে গ্লাম। দুনিয়ার সকল পরমার্থর মোকাবেলা এখন আপনাকেই করতে হবে।
যান
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সেলিম আল দীন মদ্যপ ছিলেন না দিনে দুপুরে। তার কথা পছন্দ না হলে অবশ্যই খারিজ করে দিতে পারেন। তেমন খারিজ করে দিতে পারেন হুমায়ুন আহমেদ-কে। যার যেমন খুশি তেমনি নিতে পারেন। আর আমার নিজের অভিজ্ঞতা আমার কাছেই থাক, তার জন্য অন্যদের জিকির-উকির না করলেই হলো। আপনাদের কাছে পরমার্থ হতে চাই না, আপনারা আপনাদের মতই থাকুন। বল্গান। হিজাবীদের নিকুচি করুন, কোন অসুবিধা নাই। আমি নিজেই নামাজ পড়ি না, বা রোজাও রাখি না। নিজের অভিজ্ঞতাকে ছোট করতে চাই না। বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক স্বতসিদ্ধের সুযোগ যদি আপনাকে প্রাপ্তমনস্ক করে তুলে তবে অভিনন্দন। ভাল থাকুন আপনারা সবাই।
শোনেন ঘিলুওয়ালা লোকের একটা বৈশিষ্ট্য আপনারে বলি। তারা কে বলছে সেটা নিয়ে মাথা ঘামায় না, বরং কী বলছে সেটা নিয়ে মূলত মাথা ঘামায়।
আইনস্টাইন বলছিলো মহাবিশ্ব স্থির, তখনকার বিজ্ঞানীরা আইনস্টাইন বলছে বলেই মেনে নেয় নাই। তারা প্রমাণ করে দিছে আইনস্টাইনের এই কথাটা ভুল।
আপনি যেসব যুক্তি নিয়ে হাজির হচ্ছেন, এইটারে বলে অ্যাপিল টু অথরিটি ফ্যালাসি। " অমুক বিশিষ্ট পদ্য লেখক, তাই এইডসের ওষুধ নিয়ে অমুক যা বলছে তার উপর আর কথা নাই"-- এই গুলা হইল এই ঘরানার যুক্তি। এইগুলা দিয়া মুমিন সমাজে বিশিষ্ট তালেবর সাজা যায়, কিন্তু এখানে ভুল যায়গায় আসছেন। একেতো লোকজনের মাথায় ঘিলু আছে, তার উপর তারা সেটা ব্যবহারও করে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ঘুমান, এইবার আমি এট্টু ঘর ঝাড়ু দেই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পরমার্থ কেইসে আপনে বইসা বইসা পপ্পন খাইছিলেন খালি।
কি করুম কন, এইসব কেসে তামশা দেখতে দেখতে আর পেটে চাপা দিয়ে হাসতে হাসতে বেলা চলে যায়। কমেন্ট আর করুম কখন ।
পরমার্থ কেসটা আমি লাইভ মিস করছিলাম। পরে রেকর্ডেড ভার্সন দেখে অসীম পুলক অনুভব করছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এইযে এখন লাইভ দেখেন। পরমার্থদের মিত্তু নেই। তারা কালে কালে যুগে যুগে এভাবেই আবির্ভূত হয়।
হ
facebook
হ
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কলিযুগের অবতার হে পরমার্থ,
শোনো শোনো দ্বীনজনে খোঁজে কত অর্থ!!
তোমারে স্মরণ করি হে দয়াময়,
এইবার আইসা দাওগো অভয়!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার মনে হয় হুমায়ুন আহমেদ আলুর বলদ সাংবাদিক কে বিভ্রান্ত করার উদ্দ্যেশ্যেই কথাগুলো বলেছিলেন। মন থেকে বিশ্বাস করে কথাগুলো বলেন নি।
হুমায়ুন স্যার সাক্ষাৎকার দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে কথাগুলো বলেন নি এবং কথাগুলো ছাপাতেও নিষেধ করেছিলেন , তাই আলুর বলদরা এটা ছাপাতে পারেনি। কিন্তু এখন স্যার এর মৃত্যুর পর তারা সেই আড্ডার বয়ান নিয়ে বানিজ্য শুরু করছে । আলুর পক্ষে সবই সম্ভব। -
হিমালয় হিমু
কার পক্ষে কী যে সম্ভব আর কী যে সম্ভব না সেটাই ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লেখাটা পড়তে পড়তে কেন জানি হঠাৎ করে বহুকাল আগে প্রয়াত আরেক বাংলাদেশি লেখক সত্যেন সেনের কথা মনে পড়ে গেল। আমার মতে হুমায়ূনের চেয়ে বহুগুনে সুখপাঠ্য কাহিনির বুননকারী তিনি, অথচ কি সাঙ্ঘাতিক বিপরীত মেরুর এক লেখক!! যারা পড়েছেন তারা আশা করি বুঝবেন কি বলছি, যারা পড়েননি কিন্তু বর্তমানে নানারূপী হুমায়ূনীয় ভূতের শুক্না-ধোঁয়ায় আক্রান্ত বা ভ্যাক্যান্ট-ব্রেইন-ইফেক্টের শিকার - তারা ধোঁয়ামুক্ত হতে ও ব্রেইন-আনভ্যাকেট করতে কিছু সত্যেন সেন পড়ে দেখতে পারেন। ব্রেইনের জাইরোস্কোপ দ্রুত সোজা হয়ে যাবে!
****************************************
সত্যেন সেন পড়িনি। পিডিএফ আছে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আহ! বস, কী জিনিস যে মনে করায় দিলেন!
বছর দুই আগে কোনো-কাম-কাজ-নাই সময়ে হাতের কাছে পছন্দের কারো বই না পেয়ে 'পাপের সন্তান' টা পড়তে শুরু করেছিলাম। ছদকা-মিকার প্রেম, ইতিহাস, গল্প আর মানবীয় আবেগ আক্ষরিক অর্থেই ভাসিয়ে নিয়ে গেল। উপন্যাসটা শেষ হওয়ার পরে দুইটা দিন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। একটু সামলে আসতেই বইয়ের দোকানে দৌড় দিলাম। কী তার আরেক উপন্যাস অভিশপ্ত নগরী, কী তার প্রবন্ধ, সবই অনবদ্য। সত্যিকারের যুক্তিমনস্ক এক জাদুকর ছিলেন সত্যেন সেন।
হুমায়ুন আহমেদ ডকিন্সের চাইতে বেশী জানে?
সমস্যা তো সেখানেই, ডকিন্স পর্যন্ত যাওয়ার ব্যাপারটা যে বোঝে, তাদের জন্য তো এই আর্টিকেল লেখার দরকার ছিল না। সমস্যা হল যাদের জন্য আর্টিকেল তাদের অনেকেই হুমায়ূনকে পীরপূজা করে, তাদের কাছে ডকিন্সের কথাই বলেন আর ক্রাউসের কথাই বলেন, সব সমান।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মিসির আলির লেখক মৃত হুমায়ূন আহমেদের তিলকে জুড়ে থাকা অনেকগুলো পদবীর সাথে "পেশাব পীর" পদবীটা ও যুক্ত হল।
আশেপাশের লুক এমনিতেই আমার উপ্রে চেইতা আছে। আমি নাকি পাকনা হইছি! চান্স পাইয়া হুমায়ূনরে নিয়া কথা কইতেছি! কই ছিল সে বেঁচে থাকতে আমার এই সাহস? গুরুকে নিয়ে এসব আজে বাজে কথা বইলেন না বস। খুব কষ্ট হয়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ফাঁকা ক্যান? অলৌকিক কোন ব্যাপার স্যাপার নাকি হিমু ভাই?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ওইটা আমাদের মত ছুডুদের জন্যে রেস্ট্রিক্টেড মনে হয়
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তবে মাঝে মাঝে এরকম দু চারটা বিনোদন না হলে কিন্তু ভালো লাগেনা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আহা সেইরম বিনুদুন হইলো দেখি
---------------------
আমার ফ্লিকার
ভোর রাইতে দেখলাম ৭১ টা মন্তব্য; এখন দেখি আশরাফুল ১৫০ মাইরা দিছে। ঢুইকা দেখি .. মজা আর মজা..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ব্যাপক বিনোদন। অবশ্য এই পোস্টে বিনোদন আসবে সেটা এক্সপেক্টেড ছিল। শুধুই হুমায়ূনের পাঠক নামে একজন ছিলেন, উনারে মিস করতেছি!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হেয় গেলো কই ?? উড়ে যা পাখি, গিয়ে বল তারে, সকলে তাহার খোঁজে, বিনিদ্র জাগে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সে হয়ত আছে কোন অজানা নিকের আড়ালে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লেখাটা কিঞ্চিত "রজ্জুতে সর্পভ্রম" বলে মনে হল। নাইকন ক্যামেরা তত্ত্ব আর চোখের বিবর্তন--এইগুলো বহুল চর্বিত ব্যাপার, এইগুলো নিয়ে আমার বলার কিছু নাই। আস্তিক-নাস্তিক তর্কের একেবারে প্রারম্ভিক বিষয়াদি এগুলো, এই যুক্তি নিয়ে কেউ খুশী থাকলে সেটা তার ব্যাপার।
তবে হুমায়ুন আহমেদ "অলৌকিকত্ব প্রচার করা শুরু করলেন, অন্ধবিশ্বাস প্রচার করা শুরু করলেন" এই অভিযোগ মানতে খুবই কষ্ট হলো। প্রথম আলোর এই লেখাটা নিতান্তই একজন সেলিব্রিটির ঘরোয়া আলাপের বর্ণনা, তাও প্রকাশিত হলো তার মৃতুর পর। এইটাকে "প্রচার করা শুরু করলেন" বলাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আর অলৌকিক কিছুর উপর বিশ্বাস স্হাপন, সেটা সাক্ষাৎকারে বলাটাই বা কেন ভুল হবে?(যদিও লেখক নিজেই তার সন্দেহের কথা বলেছেন) কেউ যদি বলে "আমি আল্লাহর অলৌকিকত্বে বিশ্বাস করি, আমি বিশ্বাস করি যে মুহাম্মদ চাঁদ দুভাগ করেছিলেন" আর সেটা যদি কোনো পত্রিকায় ছাপা হয়, তবে কি সেটা আপনার মতে আপত্তিকর?
হুমায়ুন আহমেদের এই কথাগুলো প্রমাণ হিসাবে নিয়ে কোনো পাঠক যদি বিবর্তনের কোনো বিকৃত ভার্শনে বিশ্বাস পোষণ করে, বা ভূতে বিশ্বাস শুরু করে, তবে সেটা পাঠকের সীমাবদ্ধতাই চিন্হিত করে, হূমায়ুন আহমেদের নয়।
গতকাল ফেসবুকে দেখলাম, কিছু লোকজন শাওনের সাথে মাজহারুল ইসলামের একটা ছবি শেয়ার করেছে, ক্যাপশনে তাদের দুজনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে রসালো কথাবার্তা। বিরক্তিতে মাথা নেড়েছি শুধু। ফেসবুকের এইসব আবর্জনার দায় হুমায়ুন আহমেদের উপর যতটুকু পড়ে, কোন ব্যাক্তি যদি কোন লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশিত একটামাত্র খন্ডিত সাক্ষাৎকার পড়ে তাকে পীর মানে, সেটার দায় কি লেখকের উপর এর থেকে বেশী পড়ে?
বহুল চর্চিত ব্যাপার হলেও কার মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে অনেক সময়। আপনার বিশ্বাস না হলে সাক্ষাৎকারের নীচের কমেন্টগুলো পড়ে দেখেন। হুমায়ূনকে হেদায়েত করা আমার উদ্দেশ্য নয়, সেটার যোগ্যতাও আমার নেই, আর হুমায়ূন এখন এসবের অনেক উর্ধ্বে।
প্রশ্ন হল লেখাটা তাহলে লিখলাম কেন? লেখাটা হুমায়ূনকে সম্বোধন করে হলেও, লেখাটা হুমায়ূনের উদ্দেশ্যে নয় আসলে, আমি জানি হুমায়ূনের ভূত এসে এই লেখা পড়লেও, কিছু করার ক্ষমতা হুমায়ূন হারিয়েছেন। এই লেখাটা আসলে হুমায়ূনের সেইসব পাঠকের জন্য, যারা হুমায়ূনের কথাকে লিটারেলি কোট করছে। হুমায়ূনের পাঠকের সীমাবদ্ধতা আছে জেনেই হুমায়ূনের সমালোচনা, এবং সেটা হুমায়ূনের হেদায়েতের জন্য না, বরং পাঠকের হেদায়েতের জন্য।
উনি একেবারে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচার করা শুরু করেছেন সেটা আমি বলিনি। কিন্তু প্রচার তো হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে জ্বিন-ভূত নিয়ে ব্যবসা হয়, দরবার শরীফের ব্যবসা রমরমা। বোতলে জ্বিন-ভূত আটকে রেখে কবিরাজি হয়। টেলিপ্যাথিতে জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। আমি বলছি না হুমায়ূন এগুলোর জন্য দায়ী। কিন্তু তার এই সাক্ষাৎকার এই বিশ্বাসগুলোকে একটু হলেও উস্কে দিয়ে গেল। সেটা আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই দেখলাম।
একজন সেলিব্রেটির ঘরের কথা যদি ঘরেই থাকত তাতে আমার কিচ্ছু আসত যেত না। এই আমি সামান্য ত্রিমাত্রিক কবিই যদি আমার ইয়ার দোস্তের সাথে ঘরোয়া আড্ডায় কী খিস্তি খেউর করি সেটা যদি সচলের নীড়পাতায় তুলে দেই, তাহলে আপনারা অনেকেই এসে বকে যাবেন। সেখানে হুমায়ূনের মত একজন সেলিব্রেটির সাক্ষাৎকারকে তাও আবার দেশের অন্যতম বহুল প্রচারিত দৈনিকে প্রকাশ হওয়াটা জাস্ট ঘরোয়া আলাপ হিসেবে এড়িয়ে যাবার সুযোগ থাকেনা।
খুব অপ্রিয় একটা কাজ আমাকে করতে হয়েছে। হুমায়ূনের সাথে আমার এমন কিছু শত্রুতা নেই যে, উনি মারা গেছেন বলে ওনার সমালোচনা করতে বসে যাব। সেই যোগ্যতাও হয়ত আমার নেই। কিন্তু, ওনার এই সাক্ষাৎকারটা সেটা করাতে বাধ্য করাল। আমি না লিখলেও কেউ একজন লিখতই। লিখতেই হত।
যাদের সেই সীমাবদ্ধতা আছে তাদেরকে একটু সচেতন করার জন্যেই লেখাটা। হুয়ায়ূনের সমালোচনা এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল না। আমি যদি সেটা লেখায় বোঝাতে ব্যর্থ হই সেটা আমার লেখার সীমাবদ্ধতা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সবশেষে এই সিদ্ধান্তে আসলাম যে, ওই পর্যায়ের বিখ্যাত আমি কখনোই হতে চাই না, যে আমার বলা কোন উল্টাপাল্টা কথাবার্তা শুইনা আম-জনতা আমারে পীর বানায়া ফেলার সুযোগ পায়।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চিন্তা কইরা দেখতে পারেন। পীর-ফকিরের লাইনে জেন্ডার ডিস্ক্রিমেনেশান্টা বড্ড দৃষ্টিকটু লাগে :প
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পড়লাম আপনার লেখাটা। একটা ভিডিও ক্লিপ দেখলাম যেখানে শাওন গাইছেন "মরিলে কান্দিস না আমার দায়"। হুমায়ূন স্যার চোখ মুছছিলেন। গানটা ভক্তিমুলক। এর পর সুরা বনি ইসরাইল এর একটা আয়াতের কথাও তিনি বলছিলেন সবাইকে। হুমায়ূন স্যার এক সময়ে নাস্তিক হিসাবে খ্যাতি লাভ করেও কেন শেষ বেলা আস্তিক এর ভাণ ধরেছিলেন তা বোঝার জন্য হয়ত আমাদেরও স্টেজ-ফোর ক্যানসার এর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ গায়ে জোর আছে, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে ততক্ষণ এগুলো মাথায় ঢুকবে না।
কথা সত্যি হয়ত। স্টেজ ফোর ক্যান্সারে আমাদের যে কারও মাথাই হয়ত ঠিক থাকবে না। পাগল বা উন্মাদও হয়ে যেতে পারে যে কেউ। কিন্তু সেটার প্রচার শুরু হলে যদি লোকজন বিভ্রান্ত হয়, তখন কি চুপ থাকা চলে?
সত্যি কথা বলতে গেলে আমাকে খুব অপ্রিয় একটা কাজ করতে হয়েছে। আই রিয়েলি হেটেড দ্যাট আই হ্যাড টু ডু দিস।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ব্রাদার, আপনি আমার মন্তব্য বুঝতে পারেন নাই। স্টেজ-ফোর এ গেলে আপনারও মনে হইতে পারে- জারিজুরি শেষ হবার আগেই মানুষরে বুঝাই! আসলে নাস্তিক হওয়াটা জ্ঞানী মানুষের একধরনের ভং ধরা। কোন গরীব বা বেকুব'রে নাস্তিক হইতে দেখছেন। সম্ভবত না। কেরন তাঁরা নিজেদের দৌড় বুঝতে পারে। জ্ঞানী'রা সেইটা পারে না।
আপনার থিওরি শুনলাম। ঠিকই বলছেন বেকুব কোনদিন নাস্তিক হবে না, আর কিছু তো বলার নাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আস্তিকরাও যুক্তির দৌড় বুঝতে পেরে আর ঐ লাইনে ঘেষে না জানেন তো? কারণ নাস্তিকদের লাইনে তো হুরপরী আর জান্নাত এর সুখ নাই আছে ধারালো বাস্তবতা আর যুক্তির খোঁচা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খাইসে......
http://jugantor.us/enews/issue/2012/07/28/news0469.htm
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভালো লাগলো, অনলাইনের অতন্দ্র প্রহরীরা সদা জাগ্রত দেখে, এভাবে যদি দেশের নাইট গার্ডরা জাগতো তাইলে দরজা-জানালা খুইলা ঘুমাইতাম, বড়ই গরম লাগে আজকাল !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
লেখাটা খুব দুর্বল লেগেছে, মনে হয়েছে সাময়িক উত্তেজনার ফসল। প্রায় কাছাকাছি বিষয় নিয়ে লেখা শফিউল জয়ের এই দুইটা লেখাকে আমার কাছে বেশি যৌক্তিক ও গোছানো মনে হয়েছে।
শফিউল জয়: হুমায়ূন আহমেদের কিছু লেখাঃ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের বিকৃতি ও অপবিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=18917
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=19074
আরেকটা ভালো লেখা হল অনিন্দ্যর মধ্যশ্রেণীর হুমায়ূনত্ব
সুরঞ্জনা হকের ৩৪ নং মন্তব্যটাও দ্রষ্টব্য।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সাক্ষাৎকার টা প্রকাশের পরপর লেখাটা লেখা.. সো একটু তাড়াহুড়া ছিল বোধহয়.. আর ত্রি.ক ভাই তার ব্যস্ততার কথাও বলেছে লেখাটা লেখার সময়ে। আরো একটু সময় দিলে বা আবারো পরে আপডেট করলে আরো তীক্ষ্ণ হবে ফর শিওর ..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এ স্টিচ ইন টাইম সেভস নাইন। এই ইন্টারভিউটা প্রকাশের পর চারিদিকে গণহারে যখন মুগ্ধ মানুষেরা শেয়ার দিচ্ছিল তখন সেটার বিরোধিতা করে দ্রুত কারো কিছু বলার দরকার ছিল। তুমি যেগুলোর লিঙ্ক দিয়েছ সেগুলোতো সরাসরি এই ইন্টারভিউটার ব্যাপারটাকে নিয়ে নয়।
এটাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ফাহিম, আপনার কথা ঠিক আছে। লেখাটা যুক্তির বিচারে শক্তিশালী তো অবশ্যই নয়। আমি একটা কমেন্টের জবাবে বলেছি দেখেন, অনেকগুলা লাইন নিয়ে কোট করে সেটার বিপরীতে রেফারেন্স টেনে অনেক কিছু বলা যেত। বলিনি মূলতঃ দুইটা কারণেঃ
১। হুমায়ূনকে নিয়ে প্রচুর প্রচুর লেখা আছে, হুমায়ূনের সমালোচনাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল না। এই সাক্ষাৎকার নিয়ে ফেসবুকে আর ব্লগে কিছু লোকের চরম লাফালাফি আর ক্রিয়েশানিস্ট টাইপ লোকজনের চরম আহ্লাদে অতীষ্ট হয়ে লেখা। লেখাটা ওইদিনই লেখাটা জরুরী মনে হয়েছিল, এটাই হচ্ছে মূল কথা।
২। ওইদিন প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলাম। গবেষণা করে লেখার সময় ছিল না। আর মূল কথা হচ্ছে কেন কোন কথাগুলা অলৌকিক, কেন ক্রিয়েশানিস্ট এর লজিক আর ভাতে পানি পায় না এসব নিয়েও প্রচুর আর্টিকেল আছে, আমার চেয়ে এসব নিয়ে বেশি জানা মানুষই লিখেছে সেসব। তাই সেটাকে চর্বিত চর্বন করার ইচ্ছা হয়নি, খুব প্রয়োজনও মনে হয়নি।
সুরঞ্জনার মন্ত্যবে আমিও একমত। কিন্তু সমস্যা তো আমি আর আপনি না। সবাই যদি সজল, হিমু, ফাহিম আর কৌস্তভ হত তাহলে তো এসব লেখার কোন দরকার হত না। ফুল থিসিস নিয়ে ওইদিন প্রফের সাথে মিটিং করতে পারতাম
মন্তব্যের জন্যে ধইন্যা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই ইন্টারভিউ নিয়ে ফেইসবুকের মাতামাতিটা দৃষ্টিকটু। সেটার জবাবে এই লেখা ঠিক আছে। তবে মূল লেখার থেকে মন্তব্যের ঘরে এসে আপনার আসল উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট হল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার টা পড়ে মেজাজ তিতা হয়েছিল খুব । আমার সন্দেহ হয়নি কারণ উনার ঢং এর সাথে ভালই যায় এসব কথা ।তবে প্রথম আলোর প্রচারের উদ্দেশ্যে যে সৎ নয় সেটা মন্তব্যগুলো পড়লেই বুঝা যায় ।
হুমায়ূনের ঢং নকল এখন অনেকেই করতে পারে, কিন্তু মূল পয়েন্ট সেটাও না, এখন আসলেই হুমায়ূনের কিনা এই ভেরিফিকেশানে কে যাবে? ক্ষতি যা হবার তাতো হচ্ছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এরকম সলিড আবালমার্কা কথাবার্তা আসলে হাম্বাদিকদের মস্তিষ্কপ্রসূত কি না তাই নিয়ে অন্য অনেকের মত আমিও খানিকটা সন্দিগ্ধ। লেখার বক্তব্যে (গুড়)
সন্দেহ পোষণ করা যেতেই পারে, কিন্তু ক্ষতি যা হবার হয়ে যাচ্ছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ঐ লেখাটা পড়ে মেজাজ চরম গরম হয়ছিল, আপনার লিখাটা পড়ে আসলেই মাথা ঠান্ডা হইছে।এই লিখাটার দরকার ছিল কবিসাহেব।
ধইন্যা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই সাক্ষাতকারের ধর্মীয় অংশের ব্যাপারে আমার বিশেষ একটা দৃষ্টিভঙ্গি আছে। আমি জানিনা তার শরীরে ক্যান্সার সনাক্ত হবার পর তিনি সাক্ষাৎকারটা দিয়েছিলেন কিনা। যদি তাই হয়, তাহলে এমন কথা বলাটা যথেষ্ট প্রুডেন্ট।
তিনি যখন বুঝতে পারলেন তাঁর মৃত্যু সন্নিকটে তখন তার মধ্যকার ঈশ্বর-নিরীশ্বরের দ্বন্দটা হয়তো প্রকট হয়ে উঠতেও পারে। তিনি ঈশ্বরকে হয়তো যুক্তিবাদী মনে বিশ্বাস করেন না, কিন্তু অবচেতনের ক্ষুদ্র একটা অংশ- যেটা হয়তো বলছে ঈশ্বর থাকার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা সম্ভাবনা আছে, এবং সেটা যদি বাস্তবে ফলেও যায় তাহলে মরণের পর নরকবাস এবং অনন্ত শাস্তি একেবারে নিশ্চিৎ। এমনিতেই মরতে অনেকে ভয় পায়, তাই মৃত্যুর পরের পরিস্থিতি বিষয়ক সাম্ভাব্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনিশ্চয়তাও নিশ্চিৎ-মৃত্যুর সম্মুখে প্রকট হয়ে উঠতে পারে।
তো এই সময়ে হুমায়ুন সাহেব জোর করে নিজের সাবকনশাসকে এই বলে বুঝ দিতে পারেন, ঈশ্বর বলে কিছু একটা আছে। সেই জন্য তিনি নিজের জীবনে ঘটা হালকাপাতলা কিছু ঘটনা কিম্বা দৃষ্টিশ্রুতিভ্রমকেও অনেকটা জোর করে অলৌকিকভাবে ব্যখ্যা করতে পছন্দ করতে পারেন। এমনকি নিজের অবচেতনে সেই বিশ্বাস জোরপূর্বক প্রোথিত করে দেবার জন্য এরকম বাচ্চাকাচ্চা ইন্টারভিঊয়ারদেরকে তার মনগড়া ব্যাখ্যগুলো উগরে দিয়ে নিজের কাছেই নিজের ধারণাটা আরও সাবস্টেনশিয়েট করে নিতে পারেন।
এটা আমার এস্টিমেশন, ঠিক নাও হতে পারে। তবে এমন অনেক লোককে দেখেছি যারা যৌবনকালে নাস্তিক থেকে আবার বৃদ্ধ বয়সে আল্লাবিল্লা করা শুরু করেছিলেন। সম্ভবত এইধরণের অনিশ্চয়তাবাদ থেকেই।
এটা হুমায়ূনের আচরণের ব্যাখ্যা হতে পারে। এটা আসলে একটা কমন পারসেপশান। আমাদের অনেকেরই এরকম মনে হতে পারে। মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়ত সম্ভব, সেটা ঠিকও হতে পারে। তাতে এই লেখার পার্সপেকটিভ বদলায় না। কী কারণে এরকম করেছেন, তার মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া এই লেখার মূল উদ্দেশ্য না।
আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য যারা হুমায়ূনের অলৌকিক থিওরি তে গা ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তাদের একটু সচেতন করা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ, লেখাটার জন্য।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাহ!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাক্ষাৎকারটির বিশ্বাসযোগ্যতা দুলছে। গল্পের পাত্রপাত্রীর মুখে স্কেপটিক/এগনস্টিক/এথিস্ট ক্যাটেগরির ডায়ালগ বসাবার শিখর সময়ের কিছুকাল পূর্বে জিকির-সালামঘটিত এসব উদ্ভট কিছু ঘটে গিয়েছিল বিশ্বাস করা অবান্তর, তাই হলে তখনকার লেখাগুলোতে ছাপ পড়ত শতভাগ। অথচ বিপরীতটাই ঘটেছে। আশি কি নব্বইয়ের দিকে লিখিত তার ‘মহাপুরুষ’ মঞ্চনাটকটি মনে পড়ে, যেখানে রূপকের আড়ালে সকল ধর্ম সমস্ত ধর্মীয় মহাপুরুষকে তিনি নাকচ করে দিয়েছিলেন। একদিকে পূরবী বসু দেখছেন অসুস্থ ভীত হুমায়ূন নিভৃতে নামায পড়ছেন, অপরদিকে ক্ষীণকালের জন্যে দেশে এসে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাক্ষাৎকারে মৃত্যুর পর আর কিছু নেই বলে ফের ন্যুইয়র্ক উড়ে যাচ্ছেন- অদ্ভুত সব বৈপরীত্য। নুহাশ পল্লীতে মুত্রত্যাগকালীন সংঘটন আর কোথায় যেন পড়েছিলাম, বাদবাকি এসব কথার সাথে নয়। একটু হুমায়ূনকথনের সাথে অবশিষ্ট হুমায়ূনভূতকথন জুড়ে বিশ্বাসযোগ্য লেখা তৈরি করার চেষ্টা হতে পারে এটা, আবার না-ও পারে। তবে সাক্ষাৎকারের নিচে ৯৯ ভাগ মানুষের যে প্রতিক্রিয়া পড়লাম তাতে হতাশা বড় গহনে গিয়ে ঠেকেছে। আপনার সুলিখিত প্রতিক্রিয়াটির জন্যে সাধুবাদ জানিয়ে গেলাম সিনর ত্রিমাত্রিক কবি।
নতুন মন্তব্য করুন