বাসা ছেড়ে ক্যাম্পাস হাউজিংএ চলে এসেছি বেশ কয়েকদিন হল। শেষবাসটায় অনেক দিন চড়া হয় না কিন্তু রাত বারোটার বাসস্ট্যান্ডের চিত্রকল্প মাঝে মাঝে চোখে ভাসে এখনও, বিয়ারের বিজ্ঞাপন আর তার ঠিক পাশেই একটা ল্যাম্পপোস্ট, রাস্তা দিয়ে হুস-হুস করে চলে যাওয়া গাড়ি আর সেই বাতাসে রাস্তায় পড়ে থাকা শুকনো পাতাদের অস্থিরতা, বৃষ্টির পানিতে আয়না হয়ে যাওয়া রাস্তায় রাতের শহরের প্রতিবিম্ব, সব কিছু বড্ড মন খারাপ করানো।
আমি ক্ষুদ্র মানুষ, আমার খুব অল্পতেই মন খারাপ হয়।
২।
মন খারাপ হলেই আমার মনে পড়ে যায় আমার ফেলে আসা শহরের কথা। শহরের বোকা মানুষগুলোর কথা, চালাক মানুষগুলোর কথা, স্বার্থপর মানুষগুলোর কথা, আমার মত পালিয়ে আসা মানুষগুলোর কথা, পুড়ে যাওয়া, চাপা পড়া, ডুবে যাওয়া বোকা মানুষগুলোর কথা।
খবরের কাগজ খুব বেশি পড়ি না আমি, পড়লেও খেলার পাতা বা মূল খবরের বাইরের খবরগুলোতেই চোখ বুলাই বেশি। মূল খবর এখন না পড়েও আমি বেশ বলে দিতে পারি, হয়ত বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চার বছরের ছোট্ট শিশু ধর্ষিত, জামাত শিবিরের হাতে পুলিশের বেহাল দশা, এসব তো প্রতিদিনের খবর। দু-চারদিন বিরতি দিয়ে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া শতাধিক মানুষ, কোথাও পুড়ে যাওয়া মসজিদ-মন্দির, পুড়ে যাওয়া সভ্যতার খবর। এসব খবর এখন বড্ড একঘেয়ে।
এসব খবর দেখে এখনও মন খারাপ হয়। কিন্তু এগুলো বড় গা সওয়া ব্যাপার হয়ে গেছে, তাই খুব একটা পাত্তা দিই না আর। খবরের পাতাটা বন্ধ করে ইউটিউবে পুরনো দিনের নাটকের লিঙ্ক খুঁজি, অথবা আধাপড়া পেপারটা নিয়ে বসি, মনে পড়ে কালকে প্রফেসরের সাথে মিটিং আছে। খুব বেশিদূর পড়া আগায় না, হয়ত পুরনো কোন স্মৃতি হাতড়ে অতীতে চলে যাই। সমুদ্রে নিখোঁজ হওয়া বোকা মানুষদের জন্যে তখন আর মন খারাপ থাকে না। তখন মন খারাপ হয় তিন বছর আগের কোন একটা অদ্ভুত বিকেলের জন্যে, একটা আধ-খাওয়া চাঁদের বাকি অংশের জন্যে। আমার অল্পতেই মন খারাপ হয়।
৩।
হতাশ হই, চারিদিকে মৌসুমি মানবতাবাদীদের ছড়াছড়ি দেখি। মানবতা এখন ধর্মের মুখোশ পড়ে ভেংচি কাটে অহরহ। মানুষ এখন মানুষ হবার আগে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা ইহুদী। ধর্মের কলে নাড়া না পড়লে মানুষের মানবতার সলতেতে এখন আর আগুন জ্বলে না। গাজায় দু'শ মানুষের প্রাণহানিতে যার ফেসবুকের দেয়াল রক্তের বন্যায় ভেসে যায়, তাকে দেখিনা সিরিয়া নিয়ে কথা বলতে। গাজার মুসলিম ব্রাদারদের রক্ত যতটা লাল, আমাদের পোশাক-শ্রমিকদের রক্ত বোধহয় অতটা লাল নয়, অতটা লাল নয় সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর রক্তের রঙ। যে মানুষটা রোহিঙ্গাদের ব্যথায় ডুকরে কেঁদে ওঠে, তাকে কাঁদতে দেখিনা বৌদ্ধ ভিক্ষুর কান্নার সাথে।
কয়েকজন ফেসবুক বন্ধুর দেয়ালে ঘুরে আসি, একটু হিসাব মেলাই। একজনের দেয়ালে গাজার নির্যাতনের খবর নিয়ে প্রায় ত্রিশটার মত স্ট্যাটাস আপডেট, ভিডিও শেয়ার। কয়েকটা স্ট্যাটাসে বিশেষ অভিযোগ, মানুষ গাজার খবর নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্ট্যাটাস দিচ্ছে না, মানবতা ডুকরে কাঁদে তার ফেসবুকের দেয়ালে। তার ফেসবুকের টাইমলাইন তার আগে পিছে ঘেঁটে দেখি। নাহ সেখানে আর কোন খবর পাওয়া যায় না। আরেকটু পিছে যাই, দেখি রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা নিয়ে আরেক দফা কান্নাকাটি। মাঝখানের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করি, তার ফেসবুকের দেয়ালে আর কোন খবর পাই না, মাঝখানে কোথাও আর মানুষ মরেনি, বাংলাদেশে মন্দিরে আগুন লাগেনি, বৌদ্ধমূর্তি পোড়েনি, শতাধিক মানুষ পুড়ে মারা যায়নি। বুঝতে পারি ওরা শুধু মানুষ হয়েছিল, তার 'ব্রাদার' হতে পারেনি। আর রুচি হয় না, একটা মেসেজ দিয়ে ডিলিট করি, মানুষ চিনে রাখি।
তারপর আবার নিজের কাজে মন দেই। বইগুলোতে ধুলো জমেছে, উঠে গিয়ে পরিষ্কার করি, নিচে রান্নাঘরে চুলায় বসানো গরুর মাংসের লবণটা চেখে দেখে আসি। প্যাকেট থেকে কয়েকটা কোকের ক্যান বের করে ফ্রিজে রেখে আসি, এই সপ্তাহে বরফ কেনা হয়নি, ফ্রিজে না রাখলে গরম কোক খেতে হবে। বাজারও করা হয়নি এই সপ্তাহে, ফ্রিজে কী কী আছে মনে করার চেষ্টা করি। রান্না করতে হবে, এই সপ্তাহের রান্না প্রায় শেষ।
আমি ভুলে যাই, একশ আটটা মৃতদেহ। আমি সামান্য মানুষ, আমি খুব সহজে সব ভুলে যাই।
৪।
মাঝে সাঝে খবরের কাগজে চোখ বোলাই। আসলে খবরের কাগজে ঠিক চোখ বোলাই না, ফেসবুক এখন একটা জীবন্ত খবরের কাগজ, শুধু ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় সব ধরণের মানুষ থাকা চাই, সব ধরণের খবরই পাওয়া যায় খুব সহজেই তাদের বদৌলতে। দুই-একটা চিহ্নিত ছাগু, শিবির ছানাদেরও আমার ফেসবুকের এক কোনায় স্থান দিয়েছি, ওদের কর্মকাণ্ডও নজরে থাকা দরকার। ওদের শেয়ার করা খবরগুলো একশ আশি ডিগ্রী ফেজশিফট করলেই আসল খবর খুব সহজে টের পাওয়া যায়। ওদেরই শেয়ার করা একটা খবর দেখে মনটা আবার ভাল হয়ে গেল। জনগণ নাকি আচ্ছা-মতন পিটিয়েছে বরাহ-ছানাদের। সেই খবরের সাথে কিছু মানবতাবাদী বরাহদের ম্যাৎকার শুনতে পাই। মনটা এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। মনে হয় নাহ, লাইনেই আছে জনগণ। এই ডিসেম্বরেই দুই-একটা বরাহ-ছানাদের ফাঁসির কাঠগড়ায় ঝুলতে দেখব।
ফেসবুকে একজনের স্ট্যাটাস দেখি এরকম:
জিইসি’র মোড় থেকে রিক্সায় আসতে রিকশাওয়ালা চাচা কহিল:
-জানেন মামা, এক শালার পুতরে রিসকার থেইকা খেদায়া দিছি। ঘাড় ধইরা নামাইয়া দিছি।
-ক্যান চাচা, কি করল ব্যাটা?
-হালার পুতে জামাত শিবির করে।সমস্যা নাই। কিন্তু রিসকায়বইসা কয়- চল্লিশ বছর পর এসব পুরান জিনিস লইয়া টানাটানি করতাছে ক্যান ?? আবার গন্ডগুল। বিচারের নামে নাকি ভালা ভালা লোকদের আটকাইয়া রাখছে।।
সাথে সাথে রিসকা থামাইয়া আমি কইছি-
...'হারামী, কুত্তা, জানোয়ার। শালা রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার। নাম রিসকার থাইক্কা। দিছি নামাইয়া' ।।
স্ট্যাটাসটা দেখে মনটা অকারণেই ভাল হয়ে যায় আবারও। আবার মন খারাপ হয়, মনে হয় একজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ না পাওয়া রিকশাচালক যতটুকু মুক্তচিন্তা বা বিবেচনা-বোধের পরিচয় দেন, অনেক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উচ্চশিক্ষিত মানুষ ততটা মুক্তচিন্তা করতে পারেন না বলে। এখনও পাকিস্তানের পতাকা ওড়ে আমাদের গ্যালারীতে, জামাত হরতাল করে আমাদের বিজয়ের মাসে, তাতে সমর্থন জানায় আমাদের দেশের আরেক বরাহ-দোসর, আমাদের সর্বাধিক-প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় নির্লজ্জভাবে চলে পাকিমেহন, আমাদের দেশে স্বাধীনভাবে চলে স্বাধীনতাবিরোধীদের পত্রিকা, টিভিচ্যানেল, ব্লগ, বাংলার আলো হাওয়া জলে বেড়ে ওঠা কিছু মানুষ নামের বরাহ তাদের বরাহ-পিতার বিচার বানচাল করতে চায়, আমি চেয়ে চেয়ে দেখি, মন খারাপ করি, মনে মনে গালি দেই, স্ট্যাটাস দেই, বড়জোর একটা ব্লগ লিখি, ব্যাস এতটুকুই!
নিজের অক্ষমতায় আবার মন খারাপ হয়, তাই ভুলে থাকার চেষ্টা করি, ভুলে থাকার চেষ্টা করি একশআটটা মৃতদেহ, ভুলে থাকার চেষ্টা করি ফেসবুক আর বাস্তব-জীবনের বরাহদের, ভুলে থাকার চেষ্টা করি ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মা, দু-লক্ষ মা-বোনের চিৎকার। সব ভুলে থেকে আমি হাসতে চেষ্টা করি, হারিয়ে ফেলা প্রিয়তমার কথা ভেবে মন খারাপ করি, জানালা দিয়ে বিকেলের ডুবে যাওয়া সূর্যকে ক্যামেরার লং শাটারে বন্দী করি, মনে হয় সব কিছু খুব সহজ, সব ভুলে আমি আবার হাসতে পারি।
তখন মনে মনে ভয় হয়, হয়ত আমিও কখনও বড় মানুষ হয়ে উঠবো, ছোটখাটো সব কিছু ভুলে আমিও কি একসময় অতীতকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাব? একসময় আমিও কি অনেক বড় মানুষ হয়ে নষ্টদের অধিকারে চলে যাব?
মন্তব্য
জিইসির মোড়ের ওই রিক্সাওয়ালা চাচার জন্য শ্রদ্ধা, এমন মানুষ ১০ এ ১জন হলেও দেশের চেহারাটা হয়তো বদলাতো। খবরের কাগজ আজকাল পড়িনা, মন খারাপ লাগে, হতাশ লাগে, ভয় লাগে দেশে ফেলা আসা স্বজনদের কথা মনে করে। বড় মানুষ হওয়া আসলে খুব সোজা, আমাদের দেশে অনেকেই হয়েছে; হতে পারলাম না আমাদের মত কিছু ছাপোষা মানুষ।
লেখা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আজকাল এই সব কিছু মিলিয়েই আমাদের এইসব দিনরাত্রি।
এখনো যখন বড় মানুষ হতে পারেননি, আর কখনো পারবেন না, বস।
অসাধারণ লাগলো আপনার ব্লগরব্লগর।
এই রিকশাওয়ালার জন্য হ্যাটস অফ। এতোদিনে এইটুকু জানা হয়ে গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষের অরিজিন খুব কমই বদলাতে পারে। কিছু কিছু ঘটনায় আশা জাগে, একটা সচেতন প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে বলে, আবার কিছু ঘটনায় মনে হয়, কোথায় কী? সেটা হলে জামাত-শিবিরের এতো সাহস হয় কি করে!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ শিমুল আপু। আমারও আগে মানে ছোটবেলায় ধারণা ছিল, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না পেলে বোহধয় শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না। এখন আশেপাশে দেখে সেই ভুল ভেঙ্গেছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি একসময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্ধ ভক্ত ছিলাম। ক্রিকেট খেলে সবাই, কিন্তু সেরা খেলা খেলে আমার প্রিয় দল, এই ধারণায় মনে প্রকাশ্য গোপন সব কোণই আনন্দে পরিপূর্ণ হতো। পত্রিকায় খেলার খবরের বাইরে আর কোন খবর পড়তাম না, নিছক হাস্যরস আর অ্যাডভেঞ্চারের বই ছাড়া অন্য কোন লেখা চোখের সামনে মেলে ধরতাম না। সময় গড়িয়েছে, আমি নিজের অস্তিত্ব একটু একটু করে চিনতে শিখেছি। জেনেছি, জীবন মানে শুধু আনন্দ করা কিংবা ফুর্তির অপেক্ষা নয়, জীবন মানে অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকা অথবা জীবন মানে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমার মানুষের মত বেঁচে থাকার সেই অধিকার নিয়ে আজকের পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি কি বীভৎস খেলা খেলেছে একসময়, সেটা জানতে পেরে বারে বারে শিউরে উঠেছি, নগ্ন আতঙ্ক অনুভব করেছি কখনো কখনো। কখনোবা অবাক হয়ে ভেবেছি, কেমন করে আমার রাষ্ট্র, আমার সমাজ, আমার চারপাশের মানুষ এই ক্ষত ভুলে যেতে পেরেছে, আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিতে পেরেছে সেই ক্ষতের ইতিহাস। কেন আমাকে প্রকৃত তথ্য জানতে অনেকগুলো বই ঘাঁটতে হয়, কেন রাষ্ট্রযন্ত্র একটি সত্যনিষ্ঠ, সর্বস্বীকৃত একক ইতিহাস আমাকে সহজে পাবার সুযোগ করে দেয় নি? আমি ঘৃণা করি সেই সমাজব্যবস্থাকে, রাষ্ট্রনীতিকে, রাজনীতিকে। আমি ঘৃণা করি পাকিস্তান নামের দেশটিকে। আমি ঘৃণা করি নব্য পাকিস্তানীদের, যারা খেলার মাঠে পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে বেড়ায়, গালে আঁকে বর্বরতার প্রতীক চাঁদ তারার পতাকা। কিন্তু সবকিছুর চেয়েও শতগুণ বেশি ঘৃণা করি বিশ্বাসঘাতকের সেই দলটিকে, যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পোষা কুকুর হয়ে গন্ধ শুঁকে বেড়িয়েছে দেশময়, অবলীলায় তাদের হাতে তুলে দিয়েছে নিজের ভাই, বোন, পিতা অথবা জন্মদাত্রী মাকে, নির্দয় ভাবে নিহত কিংবা ধর্ষিত হবার জন্য।
আমি নরপশুগুলোর প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড দেখতে চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার লেখা টা কপি করলাম
মন্তব্য নিস্প্রয়োজন।
ফারাসাত
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ঠিক আছে। আমরা আমরাই তো, বড় মানুষ হয়ে আর কি হইব।
আপনের আরো নিয়মিত লেখা দেওয়া উচিৎ।
বাসে/ট্রেনে/প্লেনে/সাঁতরে/পায়ে হেঁটে/কুত্তার স্লেজগাড়ি চড়ে এদিক আইসা পড়েন। লেক অন্টারিওর পারে হটডগ খাইতে খাইতে একত্রে দীর্ঘশ্বাস ফেলুমনি।
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ সত্যপীর ভাই। বড় মানুষ হইতেও চাই না, কিন্তু ওই যে কইলাম ডর, কোনদিন না বড় মানুষ হয়ে যাই আবার।
আর নিয়মিত লেখা ক্যামতে দিমু? আমার প্রোডাশন রেইট খুবই স্লো রে ভাই
আইসা পড়ব কোন এক সময়। দীর্ঘশ্বাস কিছু জমা কইরা রাইখেন। সব দিয়া ফালায়েন না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দীর্ঘশ্বাসের প্রোডাকশন রেইট এক্সপোনেনশিয়াল। অভাব হইব না চিন্তা নাই।
..................................................................
#Banshibir.
আলহামদুলিল্লাহ সেম প্রোডা্কশান হাউস মনে হইতেছে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
জায়গায় দাড়ায় আওয়াজ দিয়েন, দীর্ঘশ্বাস ফেলুমনি হটডগ খাইতে খাইতে।
কই থাকেন আপনি? সব লোক দেখি খালি ওইপাড়ে থাকে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কবি মন খারাপ ?? ব্যাপার না, হয় মাঝে মাঝে।
মজার কথা, খোমাখাতায় বরাহ ছানাদের নৃত্য অনেক দেখতাম, কিন্তু একদিন দেখলাম একজন একজন করে পরিচিত মানুষ বরাহে রুপান্তরিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করা শুরু করলো। সেদিন অবাক হইনি, জানি মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়। আস্তে করে খোমাখাতা থেকে নিজেকে সড়িয়ে নিয়েছি। মুখোশের পেছনের মানুষগুলোকে আর দেখতে ইচ্ছে করেনা।
সেই শ্রমজীবী মানুষটিকে শ্রদ্ধা, সামনে থাকলে স্যালুট দিতাম, জানি বেশি কিছু করার সামর্থ্য নেই। কিছু মানুষ খুঁজি, মাটির মানুষ, মাটির মানুষের বড় অভাব।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুম দীর্ঘশ্বাস, অনেক ধন্যবাদ আর ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ফেসবুকের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ কিছু মানুষের নতুন কিছু দিক চেনা গেছে এর মাধ্যমে। এই কিছু মানুষকে নিয়ে দ্বিধায় থাকি যেমন তেমনি কয়েকজন বেশ আশাবাদিও করে। মিশ্র অনুভূতি। তবে গুনতে গিয়ে ঐ তথাকথিত "মডারেট'দের সংখ্যাই বেশি দেখি। হুদাই 'ভাই'এর টান দেয়। একবার চিন্তাও হয়তো করে না- কোন বাতাসে টান দিলো... আবার যুদ্ধে যাবার বয়সে- মিছিলে যাবার বয়সে কেউ না বুঝেই স্রোতে গা ভাসায় এটাও মানতে পারি না...
চাচাকে শ্রদ্ধা...
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_____________________
Give Her Freedom!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বড় মানুষ হৈলে কি হৈবেন তা জানি না তবে যতদিন সত্যিকার মানুষ থাকবেন ততোদিন পর্যন্ত নষ্টদের অধিকারে যাওয়ার চাঞ্ছ নাই আপনার। লেখাটি খুবই ভালো লাগলো। রিক্সাওয়ালা চাচার জন্যে সশ্রদ্ধ সালাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক ধন্যবাদ রাতঃদা। ভাল থাকবেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই ভাবে দেশটা থেকেও যদি এদের ঘাড় ধরে নামিয়ে দেয়া যেত।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দারুন।
অনেক ধন্যবাদ স্যাম ভাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভালো লাগলো। রিকশাচালক কাকাকে অভিবাদন। আর আপনাকে ধন্যবাদ তার কথা বলার জন্য যারা মাঝে মাঝেই সামনে এসে ঝাঁকুনি দিয়ে বলে, শোন জীবনে নৈরাশ্যের কোনও স্থান নাই।
স্বয়ম
ধন্যবাদ, স্বয়ম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কবি খালি গদ্য লেখে ক্যান ? তাও আবার এত সুপাঠ্য গদ্য!
লেখা কিন্ত ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কবিতা তো লিখতে পারি না আপনার মত লিখতে পারলে আমি প্রতিদিন একটা করে (গদ্য পদ্য যাই হোক) লিখতাম, মাইরি বলচি! আপনে তো পুরাই ফাঁকিবাজির উপর আছেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপ্নের চউক্ষু নষ্ট। ফাঁকিবাজের লিস্টি দেখেন গিয়ে। তাবড় তাবড় সচলেরা একসাথে ঝুলছেন সব। তাদের সাথে আছি। আহা, দেখতেই সৌন্দর্য।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমরা নষ্টদের অধিকারে যাব না।
facebook
পৃতিবীর সব জায়গা যে তারেকাণুর দখলে চলে যাচ্ছে এটাও কিন্তু একটা চিন্তার কতা ভাইজান
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন