'অবসেশান' শব্দটার যুতসই কোন বাংলাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিকশনারী ঘেঁটে যে কয়টা বাংলা শব্দ পাওয়া গেছে সেগুলোর কোনটাই ঠিক সুবিধার না। ডিকশনারিগুলো লেখে কারা? মনে মনে তাঁদের উদ্দ্যেশ্যে যুতসই কয়েকটা গালাগাল দিলেন। কিন্তু মাথা ঠান্ডা হল না। অদ্ভুদ বাংলা অনুবাদ শব্দগুলোর, অবসেশান মানে আচ্ছন্ন, অন্ধাকারাচ্ছন্ন, আবেশ, বদ্ধসংস্কার, ঘোর? এরকম শব্দ বাংলায় কেউ ব্যবহার করে? অবেসেশানের মত চমৎকার একটা শব্দের একটা যুতসই বাংলা পাওয়া যাবে না কেন?
যারা ওনাকে চেনেন তারা জানেন লেখালেখির ব্যপারে আবিদুর রহমান সাহেব খুব সিরিয়াস টাইপের। দ্বিতীয় শ্রেণীর একটি দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতার সম্পাদক। সেই সুযোগে সাপ্তাহিক সাহিত্য সাময়ীকিতে প্রায়ই নিজের লেখা গল্প, কবিতা ছাপান। দ্বিতীয় শ্রেণীর পত্রিকার সম্পাদক হলেও আবিদুর রহমান সাহেব এখন সাহিত্য জগতের মোটামুটি পরিচিত নাম। লোকমুখে শোনেন আবিদ সাহেব, তিনি নাকি ভালোই লেখেন। সেটা শুনলে তাঁর বেশ তৃপ্তি হয়। গত বইমেলায় তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস বের হয়েছে, নতুন লেখক হিসেবে কেনা বেঁচা বেশ ভালোই হয়েছে।
বয়স প্রায় পঁয়তাল্লিশের কাছাকাছি, চুলে বেশ খানিকটা পাক ধরেছে। আগে চুলে কলপ করে বয়স কমানোর একটা চেষ্টা করতেন, কলপ এখনও করেন কিন্তু একটু রেখে ঢেকে, সাহিত্যিক মানুষের একটু কাঁচাপাকা চুল, কানের পাশে দু'টা পাকাচুল বেশ ভারীক্কি একটা ভাব এনে দেয়। এই বয়সে এসে, সারাজীবন কেরাণির চাকরি করে আসা একটা লোক একেবারে লেখক হিসেবে খ্যাতি পেয়ে গেল, এটা সাহিত্য জগতের লোকজনকে বেশ ভাবায়, সে জন্যেই এই আলগা ভারীক্কি ভাবটার দরকার হয় বেশি। এর মধ্যে আবার একটা দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক, সেখানে বেতনের পাশাপাশি উপরি আয়ের সুযোগও বেশ ভাল। আবিদ সাহেবকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলেও উনি তেমন কিছু বলেন না, বেশ একটা কেতা করে হাসি দিয়ে এড়িয়ে যান। অল্প কিছুদিনেই এই লাইনের কায়দা-কানুন উনি বেশ ভাল বুঝে নিয়েছেন। বোঝাই যায় ওনাকে দিয়ে হবে।
টেবিলে বসে একটার পর একটা কাগজে 'অবসেশান' শব্দটা লিখছেন। কলম দিয়ে আঁকিবুকি করছেন। তার সামনে রাখা একটা ইংরেজী কবিতা, কোন এক ইংরেজ কবির জন্মদিনে তাকে কবিতাটার একটা অনুবাদ ছাপাতে হবে। সকাল বেলা বাড়ি থেকে বের হবার সময় ছোট মেয়েটাকে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে এসেছেন। এখন সেটার জন্য মন খারাপ লাগছে। অথচ চড় মারার দরকার ছিল না, একটা কড়া ধমক দিলেই হত। সকাল বেলা উঠেই বাইরে বের হবার সময়ই আবদার কি সহ্য হয়? সবকিছুর একটা সময় আছে। মানুষের টাকা যত দ্রুত বাড়ে স্বভাব তত দ্রুত বদলায় না, জাতে উঠতে তো কিছুটা সময় লাগে, নাকি! এটা মেয়েটার বোঝে উচিৎ, বয়স তো কম হল না! একটু বুঝে শুনে চললেই চড়টা খেতে হয় না। ভাবলেন রাতে বাসায় যাবার সময় কিছু একটা খাবার দাবার নিয়ে যাবেন। মেয়েটা আইস্ক্রীম বড় পছন্দ করে।
অফিসে নতুন একটা যন্ত্র কেনা হয়েছে, পেপার ক্র্যাশার। আবিদ সাহেব যন্ত্রটা এনে একেবারে নিজের টেবিলের পাশে রেখেছেন। যাই লিখছেন কিছুই পছন্দ হচ্ছে না, এক লাইন, দুই লাইন লেখার পরই কাগজ মুচড়ে ফেলার অভ্যাস ওনার, অবশ্য অভ্যাস না বলে এটাকে ওনার জন্য প্রয়োজন বলাই ভাল, কারণ ওই এক দুই লাইনও যা লেখেন সেটা আর কেউ পড়ে না ফেললেই ওনার জন্য ভাল। আগে আশে পাশের মেঝেতে দলা মোচড়া করা কাগজের জঞ্জাল পড়ে থাকত। পেপার ক্র্যাশার কেনার পর থেকে এক দুই লাইন লিখেই সেটা পেপার ক্র্যাশারে ঢুকিয়ে দেন। এক ধরণের যান্ত্রিক বিজ বিজ শব্দ হয়। শব্দটা বেশ শান্তিদায়ক, মাঝে মাঝে সাদা কাগজও ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। একটু পর পর শব্দটা না শুনলে তার ভাল লাগছে না। অফিসের কাগজ বলে ইচ্ছামত নষ্ট করছেন, কিন্তু এভাবে নষ্ট করতে থাকলে অফিসের বাজেটেও টান পড়বে। ক্র্যাশারে দেয়ার জন্যে পিওন ছেলেটাকে দিয়ে কিছু নিউজপ্রিন্ট কাগজ আনিয়ে রাখতে হবে। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, নিউজপ্রিন্টের দিস্তা এখন কত হয়েছে কে জানে!
সবার কাছে শোনেন বাজারে নাকি জিনিসপত্রের দাম আকাশছোয়া। অবশ্য বাজারে শেষ কবে গেছেন আবিদ সাহেব সেটা মনেই করতে পারেন না যেন। ওই কাজটা এখন ওনার স্ত্রীই করে, এখন তো আর কাঁচাবাজারেও যেতে হয়, সুপারশপ টাইপের কী সব হয়েছে, এক জায়গায় গেলেই সব পাওয়া যায়। তাছাড়া ড্রাইভার আছে, সেও টুকটাক বাজার করে এখন। আগে যখন করত তখন বাজার করে আনলেও হাজারটা অভিযোগ শুনতে হত, বেগুনে পোকা ঠিকমত বেছে আনলেও, পেঁয়াজটা হয়ত ইন্ডিয়ান নিয়ে এসেছেন। সেই নিয়ে কথা শুনতে কার ভাল লাগে? ওনার হিসাব সোজা, বড় বড় পেয়াজ না কিনে ছোট ছোট পেঁয়াজ কেনার ফায়দাটা কী? অর্ধেক ওজন তো ফেলেই দিতে হবে খোসা হিসেবে। সবকিছু ইন্ডিয়ান চলছে, শাড়ি পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে নাটক সিনেমা পর্যন্ত, পেঁয়াজে আপত্তিটা কী উনি ঠিক ধরতে পারেন না। তারপরে দামেও যেখানে অর্ধেক। পেঁয়াজের ব্যাপারে এই ইন্ডিয়া বিদ্বেষটা আবিদ সাহেবকে ভাবায়। ওনার স্ত্রী মাঝে মাঝে ঢাকার বাইরে আত্নীয় স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গেলে দু-একবার ডিমটিম ভাজতে গিয়ে পেঁয়াজ কাটতে গিয়েও সেই না বোঝার ভাগটা যেন আরও বাড়ে। ছোট ছোট পেঁয়াজ ছুরির নীচে ধরলে পিছলিয়ে একপাশে না হয় আরেকপাশে চলে যায়, সেই তুলনায় ইন্ডিয়ান পেঁয়াজকে ভাগে আনা অনেক সুবিধা। হাত দিয়ে শক্ত করে কয়েকবার ছুরি চালালেই ডিম ভাজার মত পেঁয়াজের ব্যবস্থা হয়ে যায়।
আবিদ সাহেব এরকম ছোটখাট চিন্তাই করেন বা বলা যায় করতেন বা তাঁর এরকম চিন্তাই করার কথা। দেশী নাকি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ, রুই মাছ নদীরটা না কিনে পুকুরেরটা কিনলে কত টাকা লাভ হয়, পাঁচটাকা রিকশাভাড়া হেঁটে আসলে একদিনে কয়টা সিগারেট এক্সট্রা খেতে পারবেন সেসবের হিসাব করেন। কিন্তু সেটার জন্য কি ওনাকে দোষ দেয়া যায়? ঢাকা শহরে কি পনের হাজার টাকার বেতনে সংসার চলে? তারমধ্যে মেয়ে দু'টা বড় হচ্ছে, ওদের স্কুল আর পড়াশোনার পেছনেই তো বিশাল টাকা পয়সা চলে যায়। ক্লাস থ্রি না ফোরে পড়ে ছোট মেয়েটা, তাতেই অংক পড়তে হয় স্যারের বাসায় গিয়ে? এটা কোন কথা হল? এই নিয়ে একদিন কথা বলতে গিয়ে বরং উলটা কথা শুনতে হল, "স্যারের কাছে না পইড়া কোন পাহাড়টা উল্টাইছ শুনি? টাকা পয়সা নিয়ে কিপটামি করলে তোমার মেয়ে তোমার মতই হবে, ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচটাও দিতে হাজারটা প্রশ্ন করবে"। এই কথা শোনার পর আর কোন কথা চলে না, তাছাড়া কথা মিথ্যা না। তার মেয়েরা দুইজনই পড়াশোনায় ভাল। সেটার কৃতিত্ব অবশ্য পুরোটাই তাদের মাকেই দিতে হবে, এটা নিয়ে আবিদ সাহেবের কোন অভিযোগ নাই। তিনি মাঝে মধ্যে বরং দুই মেয়েকে ডেকে নিয়ে পড়তে বসলে একটা না একটা কাহিনী হয়ে যায়। মেয়েরা কেন জানি তার কাছে আসলেই, বানান ভুল করে, সহজ অংক মেলাতে পারে না। শেষে দুই একটা চড় থাপ্পর ধমকা ধমকির মধ্যে দিয়ে পড়ানো পর্ব শেষ হয়। কীভাবে তার মেয়েরা ফার্স্ট সেকেন্ড হয় সেটা তার মাথায় ঢোকে না, এই যুকে কি পড়াশোনার এই অবস্থা! তাদের সময় তো স্কুলের ফেল করা ছাত্রও এর চেয়ে ভাল ইংরেজি পারত। ক্লাস ফোরে পড়ে মেয়ে, কলিফ্লাওয়ারের বাংলা বলে, কলিফুল। এদের সাধারণ জ্ঞানেরও এই অবস্থা, কলি নামে কোন ফুল আছে নাকি? এটা বলার পর নিজের মনেই সন্দেহ হয়, কী জানি, থাকতেও পারে, তাই আর কথা বাড়ান না। পড়াশোনার পর্ব সেদিন ওভাবেই শেষ হয়।
তো এই আবিদুর রহমান সাহেবের 'অবসেশান' শব্দের অর্থ খুঁজতে লাগার কথা না। মেয়েদের দুই-একটা শব্দের অর্থ জিজ্ঞেস করে ভড়কে দেবার জন্য এত আয়োজন লাগে না। প্রথম প্রথম এই ঝামেলা ছিল না, কোন ঝামেলায় পড়লে হুট করে ফোনেই জিজ্ঞেস করে নিতেন। এখন কেন যেন আর ইচ্ছে করে না, সঙ্কোচ কাজ করে, নিজেকে লেখক লেখক মনে হতে থাকে। নিজের লেখক খ্যাতিটাকে বেশ রসিয়ে উপভোগ করতে পারছেন, করছেন। প্রতিদিন সকালে অফিসে এসে সাদা কাগজে কিছু না কিছু লেখার চেষ্টা করেন, কিন্তু দু-চার লাইনের বেশি আগাতে পারেন না, অফিসের মেঝে দলা মোচরা সাদা অর্ধসাদা কাগজে ভরে থাকে। অফিসে সাহিত্য জগতের কেউ বেড়াতে এলে বেশ ভাবের সাথে বলেন, “রাইটার্স ব্লক চলছে, বুঝলেন ভাই, এক প্যারার বেশি লিখতেই পারছি না, যাই লিখি মনে হয় আগে কেউ লিখে ফেলেছে, মৌলিক লেখা কি আমার হবে না?” বলে মনে মনে নিজেই হাসেন, নিজের অভিনয়ে নিজেই মুগ্ধ হন। জীবনটা যে একটা রঙ্গমঞ্চ এই ব্যপারে তার আর কোন সন্দেহ থাকে না। এই কথা মনে হবার সাথে সাথে নিজেকে বেশ দার্শনিক দার্শনিক মনে হতে থাকে, তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, এই কথাটা কি আগে কোথাও শুনেছেন নাকি এটা তার কোন মৌলিক বোধ!
লোকজনের সাথে চলাফেরার জন্যেই তাঁকে এখন বেশ খানিকটা পড়তে হয়। সারা জীবন হুমায়ূন আহমেদ আর ইমদাদুল হক মিলন ছাড়া কোন বই পড়েছেন বলে মনে করতে পারেন না। ও হ্যাঁ ছোটবেলায় বেশ মাসুদরানা পড়া হত আর সাহিত্যের বাইরে স্কুল কলেজে একটু বড়দের সাহিত্যের ছোট চিকন বই, এই ছিল আবিদুর রহমানের সাহিত্য পাঠের দৌড়। এই বই কেনা নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সাথে তো তার কম ঝগড়া হয়নি। তিনি গল্প, উপন্যাসের মূল ব্যাপারটাই বুঝে উঠতে পারতেন না। একই কথা, একই কাহিনী তাও আবার বানানো মিথ্যা কাহিনী টাকা খরচ করে কিনে পড়তে হবে কেন? অথচ তাঁকে একটা সিগারেট খাওয়ার টাকাও গুনে খরচ করতে হয়! মেয়ে মানুষ এসবের কী বুঝবে, রোজগার তো আর করতে হয় না!
সেই আবিদুর রহমান সাহেব এখন বাড়ির ড্রইংরুমে একটা বুকশেলফ লাগিয়েছেন, একটা দেয়াল মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত পুরোটাই বইয়ে ভর্তি। একটা আলাদা লাইব্রেরী ঘরও আছে এই বাসায়। এটা তাঁর নতুন ফ্ল্যাট, আগের বাসায় ড্রইংরুম আর বেডরুমই আলাদা করা যেত না। এই লাইনে যে এত টাকা পয়সা আছে এই ব্যপারে তাঁর কোন ধারণাই ছিল না। এক সময় তার একটু অপরাধবোধ ছিল, কিন্তু এখন আর সেই অপরাধবোধটুকুও নেই, যা করেছেন বেশ করেছেন। আগে ধারণা ছিল সাহিত্য পাতায় গল্প, কবিতা লিখে লোকজন বোধহয় টাকাকড়ি কিছু পায়, এখন দেখেন ঘটনা বরং উলটা। সে গুটিকয় তারকা লেখকরা হয়ত লিখে টিখে টাকাপয়সা কিছু পায়, কিন্তু ওনারা তো আর আবিদ সাহেবের পাতায় লেখা দিবেন না! আবিদ সাহেবের এক সাহিত্য পাতায় একটা কবিতা আর গল্প ছাপার জন্য যে কত টাকার প্রস্তাব আসে সেটা এই চেয়ারে না বসলে আবিদ সাহেবকে কেউ বলেও বিশ্বাস করাতে পারত না। অবশ্য লোকের আর কি দোষ, এখন জ্ঞানীগুনী লোকজন নাকি নিজে কবিতা লিখে নিজেই নোবেল পাওয়ার জন্যে কোটি টাকার ঘুষ দিতেও তৈরি থাকে। লোকজন কবি লেখক হতে চায় বটে! আর হতে চায় বলেই তার পকেটটা এখন বেশ গরম। তার চোখ অবশ্য একেবারে সম্পাদকের চেয়ারের দিকে, সাহিত্য পাতায় টাকা পয়সার লেনদেনের যে একটা সর্বোচ্চ সীমা আছে সেটাও সে বুঝতে পারছে। আর সম্পাদকের চেয়ারটা পেলে এই চেয়ারটায় সে তার স্ত্রীকে বসাতে পারে। তার স্ত্রী একেবারে ঘরের বউ, এটা এখন ঠিক আর মানায় না, তাকে অনেক মানুষের সাথে উঠতে বসতে হয়। তাছাড়া সেটা করতে পারলে যেটুকু অপরাধবোধ ছিল সেটাও দূর হয়ে যাবে। আর শেষ বয়সে হজ্বটা করে ফেলতে পারলে তাকে আর ঠেকায় কে? আরেকটা কাগজ ক্র্যাশারে ক্র্যাশ করতে করতে তাঁর মুখে চমৎকার একটা পরিতৃপ্তির হাসি ফুঁটে ওঠে। তার ভবিষ্যতের বেশ খানিকটা সে বেশ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।
সে প্রায় তিন বছর আগের কথা। দিন তারিখ মনে নেই। আবিদ সাহেব বরাবরই বৈষয়িক মানুষ, দিন তারিখ মনে রেখে সেগুলোকে আলাদাভাবে উদযাপন করার মত আদিখ্যেতা তার মধ্যে কখনোই ছিল না। আবিদ সাহেবের স্ত্রী সেদিন বাসায় ছিলেন না, কোন আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ঢাকার বাইরে। সাথে দুই মেয়েও গেছে, অফিসের কাজের ছুটি মেলেনি বলে তাঁর যাওয়া হয়নি। আবিদ সাহেব বাসায় একা। তাঁর স্ত্রী বেশ সুন্দরী, অন্তত তাঁর তাই মনে হত তখন। ঘরে সুন্দরী স্ত্রী থাকলে তাকে সন্দেহ করা বাংলাদেশের যে কোন পুরুষের জন্য ফরজ। আবিদ সাহেব তখনও লেখকের খাতায় নাম লেখাননি, হিসেব করলে তাকে বাংলাদেশের গড়পড়তা পুরুষের মধ্যে খুব সহজেই ফেলে দেয়া যায়, আর গড়পড়তা পুরুষ হিসেবে ফরজ তরক করার হিম্মতও তার ছিল না, ইচ্ছাও খুব একটা ছিল না। সেও তার স্ত্রীকে সন্দেহ করত বেশ রুটিন করেই, কারো সাথে কথা বলতে দেখলেই সেটা নিয়ে একটা নোংরা কথা বানাতে তার সময় লাগত না। আর বাসায় একা থাকলে তার স্বভাব ছিল বাসার সব গোপন জায়গা তন্নতন্ন করে খোঁজা, যদি একটা দু'টো প্রেমপত্র মেলে!
সেইদিনও সেটা ভেবেই শোয়ার ঘর, বসার ঘরের সব কিছু ওলট পালট করে ফেললেন। যা খুঁজছিলেন একেবারে তাই যেন পেয়ে গেলেন হাতে। খোলা কাগজের বান্ডিল গোটা গোটা অক্ষরে হাবিজাবি লেখায় ভর্তি, হাতের লেখা চেনা গেল সহজেই। মাথায় ততক্ষণে রক্ত উঠে গেছে তাঁর। ধরেই নিয়েছেন প্রেমপত্রের বিশাল বান্ডিল হাতে পেয়েছেন। তখনই পড়তে শুরু করলেন, আর ভুল ভাংতে থাকল পড়তে পড়তে, প্রেমপত্র নয়, একেবারে উপন্যাস। একি তার স্ত্রীর লেখা, যদিও সাহিত্যের কিছুই বোঝেননা তিনি, কিন্তু পড়তে ভাল লাগছে বুঝতে পারেন। পড়তে ভালোলাগা আর নিজ স্ত্রীর এতবড় প্রতারণায় হতবাক হয়ে একেবারে শেষ পর্যন্ত টানা পড়ে ফেলেন তিনি। নিজেকে খুব ছোট আর নগণ্য মনে হতে থাকে তাঁর। সিদ্ধান্তটা তখনই নেয়া।
এই বই নিজের নামে ছাপাতে হবে। মনে পড়ে কলেজের এক বন্ধুর কথা, বেশ ভাল একটা প্রকাশনা সংস্থার মালিক সে। সে নিজেও জানত না আসলে। তার স্ত্রীর মুখেই শুনেছিল কোনদিন, তাছাড়া প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে মাথা ঘামাবার মত লোক সে নয়। সেই বন্ধুকে ফোন দিতে দেরী হয় না। সে সাহিত্য বোঝে না, কিন্তু একটা ভাল বই পড়ার ভালোলাগা বোঝার জন্য সাহিত্য বোদ্ধা হতে হয় না। সে বেশ বুঝতে পারে এই বই ছাপবে, তাছাড়া কলেজবন্ধুর কাছে একটা দাবীও তো আছে নাকি। না হলে নিজের পয়সায় ছাপবে, ব্যাংকে অল্প কিছু টাকা জমা হয়েছে, কিন্তু দরকার হলে সেটাও খরচ করবে। কিন্তু তার স্ত্রী বিখ্যাত লেখিকা হয়ে গেছে সেটা সে দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারে না। এর একটা শাস্তির ব্যবস্থা তাকে যেন এখনই করতে হবে।
পান্ডুলিপির ফটোকপি নিয়ে পরদিন সে তার বন্ধুর সাথে দেখে করে। সেই বই ছাপা হয়, কীভাবে ছাপা হয় সেটা এই গল্পের বিষয় নয়। একুশের বইমেলায় বেশ ঘটা করে বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হয়, সেখানেই তাঁর স্ত্রী প্রথম জানতে পারে এই ঘটনা। এরপরের অংশ ইতিহাস। আবিদ সাহেব এখন একজন নামকরা উঠতি সাহিত্যিক। তাঁর আরও একটা উপন্যাস বের হয়েছে। তাছাড়া সাহিত্য পাতায় নিয়মিত তার গল্প কবিতা ছাপা হয়। আর তা ছাপা না হলে তার স্ত্রীর নগ্ন ছবি হয়ে যাবে অন্তর্জালের কোনায় কোনায়।
মন্তব্য
খুবই চমৎকার লিখেছেন, পড়ে সত্যি ভালো লাগল। যদিও শেষ লাইনটি বুঝে উঠতে পারিনি।
র.নাহিয়েন
শেষ লাইনটি কি খুব অস্পষ্ট? স্ত্রীর নগ্ন ছবি দিয়ে স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করা যেতে পারে না? বা সেরকম ঘটনা ঘটতে পারে না? মন্তব্যের জন্য
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভালো লাগলো। মাঝে এক জায়গায় আবিদ সাহেব আদিল সাহেব হয়ে গেছেন। একটু দেখবেন। কিছু জায়গাযেমন, পেঁয়াজ বাগে আনা হয়ে গেছে- ভাগে আনা। গল্প ভালো লেগেছে।
স্বয়ম
হেহে, ভাবছিলাম আদুল শুভ্রর নাম ঢুকাবো, সেইটা মাথায় থাকায় এই অবস্থা। ঠিক করে দিলাম যেগুলো চোখে পড়ল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এর ঠিক বিপরীত গল্পের একটি কলকাতাই বাংলা ছবি দেখেছিলাম। সেখানে স্ত্রী নামকরা লেখিকা। কিন্তু সব লেখাই লিখে দিতেন তার স্বামী।
আর তা ছাপা না হলে তার স্ত্রীর নগ্ন ছবি হয়ে যাবে অন্তর্জালের কোনায় কোনায়। এই লাইন দিয়ে লেখক কি বোঝাতে চাইলেন?
গল্পের ভিতর বেশ কিছু বানান ভুল আছে। বোঝাই যায় লেখক কম্পোজ করার পর আর পড়ে দেখেন নি। এ ব্যাপারে সচেতনতা কাম্য। নিরন্তর শুভেচ্ছা।
অলওয়েজ ড্রিম
কী নাম ছবির? ছবির মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিং এর কথা বোঝাতে চেয়েছি। আরেকটু স্পষ্ট করা দরকার ছিল কি? বানানগুলো দেখার চেষ্টা করছি। অনেক ধন্যবাদ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শেষ লাইনে এত ছোটলোক বলতে চাচ্ছেন?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পুরাই ছোটলোক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পুরাই ছোটলোক।_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কবি,
চমক বা অন্তিম মোচড় হিসেবে শেষ লাইনটা বসানর ইচ্ছা থেকেই ওটা ওখানে বসেছে না কি ঐ লাইন ঠিক করে তার উপর বাকি গল্প নির্মিত হয়েছে জানি না। তবে এটা মনে হয় বলা যায় যে ঐ লাইন না এলেও গল্প-র খুব তফাৎ ঘটত না। এটা অবশ্যই ঠিক যে কোন না কোন পাষন্ড ঐ হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, উপমহাদেশের বদমাশ স্বামীরা প্রতি নিয়ত প্রায় কোন ঝুঁকিবিহীন এত বিভিন্ন উপায়ে তাদের স্ত্রীদের পিষে রাখতে জানে, রাখে, যে ঐ হাই-টেক শাস্তির ভয় দেখানোর বিশেষ দরকার পড়ে বলে মনে হয় না।
গল্প ভাল লেগেছে। সম্পাদক-এর চোর-চরিত্র ভাল ভাবে ধরা হয়েছে।
পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
- একলহমা
ঠিক চমক হিসেবে না আসলে। অন্তর্জালে এরকম ছবি প্রকাশ হবার কাহিনী তো এখন ভুড়ি ভুড়ি। আমি ভাবছিলাম, এরকম না প্রকাশ হওয়া কত ব্যপার নিশ্চয়ই আছে, আমার ধারণা এরকম অপ্রকাশিত ঘটনাই বরং বেশি। আর সেরকম ঘটনা দাম্পত্য জীবনে হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক লাগছে? পিষে রাখার হাজারও উপায়ের সাথে এটাও যে যোগ হয়নি সেটা আমার মনে হয় না। আর এই যুগে এটাকে সেরকম হাইটেক বলারও বোধহয় সুযোগ নেই।
যাই হোক, ফিডব্যাক ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
প্রানবন্ত গল্প।অসাধারন লাগলো ভাই,এক নিমিশেই পড়ে ফেললাম।যতোক্ষন পড়ছিলাম ভাবছিলাম এখনি যেন শেষ না হয়।কিন্তু শেষ হয়ে গেল ।কাউকে ইঙ্গিত করে লেখা নাকি ভাই?বিশেষ করে আবিদ নামটা শুনে আদিলুর রহমান মনে হয়েছে বার বার।
মাসুদ সজীব
অনেক ধন্যবাদ ভাই। না কাউকে ইঙ্গিত করে লেখা না, নাম খোঁজার সময় আদুলের নাম মনে আসছিল, সেটা বোধহয় টাইপো হিসেবে চলেও এসেছিল, উপরে একটা মন্তব্যে একজন ধরে দেয়ায় পরে ঠিক করে দিয়েছি, আপনার আদিলুর পড়তে ভাল লাগলে পড়ুন না, নামে কী এসে যায়!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নিয়মিত আপনার লেখা পড়তে পারছি তাহলে
নিয়মিত তো লিখতে চাই, কিন্তু লেখার সেই সক্ষমতা নিয়ে তো পৃথিবীতে আমি আসিনি তানিম ভাই। তারপরেও চেষ্টা করি কিছু মিছু লিখতে। আপনাদের পাঠক হিসেবে পেয়েছি সেটাই আমার সৌভাগ্য
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গল্পের নাম 'শোধ' মানাচ্ছে না। মাচোখাপো টাইপ কিছু বেশি মানানসই ছিলো
হেহে কানা ছেলের নাম বুঝি পদ্মলোচন হয় না?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাহ, এক্কেরে জায়গামত !
অদ্ভুদ সম্পাদকে দেশ ভর্তি হয়ে গ্যাছে , সত্যি কথা
facebook
সম্পাদকেরা অদ্ভুদ!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুমম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শেষে একটা পাঞ্চ লাইনের মতো কিছু দিতে চেয়েছেন বোধহয়।
ওটা না থাকলেও গল্পটা ভালোই লাগত।
অনেক ধন্যবাদ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আদিল সাহেবের স্ত্রীর লেখা উপন্যাসের মতই (বোধহয়) পড়তে ভালোলাগায় একটানে শেষ করলাম।
শেষ লাইনে এসে "টুইস্ট"টা (চমক না বলে টুইস্ট বলছি কারণ চমকে টুইস্টের প্যাঁচটা অনুপস্থিত, আমিও এর উপযুক্ত বাংলা শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না এই মুহূর্তে) হতবিহবল করে দিল। উপন্যাসের লেখিকা তাঁর মিসেস জেনে ধারণা করেছিলাম এটাই "রাইটার্স ব্লকের" কারণ। শেষ লাইন পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। একটাই কথা মাথায় এলো - নরপশু।
ইয়ে - "এই লেখাটি সম্পূর্ণ কল্পনা প্রসূত। কারো সাথে কিছু মিল পাওয়া গেলে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত কাকতাল মাত্র" - তাই তো, নাকি?
____________________________
facebook
আদিল সাহেব না, আবিদ সাহেব
আশা করি কারও সাথে মিলে যায়নি, হ্যাঁ তবে মিলে গেলে অনভিপ্রেত কাকতাল তো বটেই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মাগো লুকজন এত খারাপ।
আর আপ্নে ও খারাপ, ফেরার কোন খবর নাই কেনু??
হেহে আপনের কমেন্ট দেইখাই ভাবছিলাম ফেরার ব্যপারটা থাকবে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গল্পের প্রথমে অবসেশান শব্দটির বাংলা অর্থ খোজকারি ব্যাক্তিটি কি আবিদ সাহেব নাকি গল্প শুরু করার জন্য এই ভাবটি ব্যাবহার করেছে। আবিদুর রহমানের চরিত্রের সাথে তো এমন ভাব সাংঘর্ষিক।
বোধহয় অতটা সাংঘর্ষিক নয়। একটা মানুষের চরিত্র তো সিঙ্গেল ডাইমেনশনাল না। অনেক ডাইমেনশান থাকতে পারে একটা চরিত্রে। যে লোকটা মেজাজ খারাপ করে মেয়েকে চড় মারে, সেই আবার কিছুক্ষণ পরে আর্দ্র হয়, মেয়ের মন ভাল করার জন্য আইস্ক্রীম কিনে নিয়ে বাসায় ফেরে। চুরি করা লেখা দিয়ে লেখক পরিচয় পেলেও তাঁরও কখনও লেখক হয়ে উঠতে ইচ্ছে করতেই পারে। সেটা গল্পে এভাবে বলার চেষ্টা করেছি,
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এতদিন জানতাম, উৎপাদক ও সম্পাদক সম্পূর্ণ বিপরীত প্রকৃতির। একটি বিশ্লেষণযোগ্য, অন্যজনের কার্যকরণ বিশ্লেষণযোগ্য নহে। ছেলেবেলা থেকে উৎপাদকে বিশ্লেষণ করা ম্যালা ভুগিয়েছে। ভাগ্যিস সম্পাদকের ভোগান্তি কপালে জুটে নাই, তাঁহাকে বিশ্লেষণ করিবার প্রয়োজনও হয়নি কখনো। যাই হোক, আপনার সম্পাদকে বিশ্লেষণ দারুণ লেগেছে। আপনি শুধু ত্রিমাত্রিক কবি নন, ত্রিমাত্রিক ম্যাথমেটিশিয়ানও বটে! ঝরঝরে বর্ণনার রচনাটি একটানে পড়ে শেষ করা গেল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
উৎপাদক আর সম্পাদক তাহলে বিপরীত প্রক্রিয়া! গণিতের নতুন নতুন শাখা খুলে ফেলতে হবে তাহলে, সম্পাদকে বিশ্লেষণ কর। সুস্বাদু মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবিকে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লেখায় অনেকগুলো বানানভুল আছে রে ভাই। বেঁচা > বেচা। "এখন তো আর কাঁচাবাজারেও যেতে হয়" টা 'হয় না' হবে মনে হয়।
গল্প ভাল হয়েছে। শেষ লাইনটার ব্যাপার বুঝতে একটু সময় লাগল।
বানান আসলেই ভুল আছে। আসলে তেমন একটা রিভিশন করতে পারি নাই। তাড়াহুড়া করে লেখা। কিন্তু তোমার বিশাল ভ্রমণকাহিনী লেখার কী হল?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আরি বাপরে! মারাত্বক টুইষ্ট!
কিন্তু এতোটা পাষন্ড বোধহয় আবিদ সাহেব হতে পারবেন না। ঘরে দুই মেয়ে আছে, তাদের ভবিষ্যৎ আছে।
অমন দুশমন যেন কারো জীবনের সঙ্গী না হয়।
আপনার জন্য শুভকামনা।
-------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আপনার জন্যেও শুভকামনা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সত্যি কথা বলতে গেলে, শেষ লাইনটায় এসে থমকে গেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এভাবে শেষ না করলেও চলতো। তবুও প্রাণবন্ত লেগেছে। ভালো থাকুন খুব।
-নিয়াজ
অনেক ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন