পাণ্ডুলিপি পুড়ে যায়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বুধ, ২২/০২/২০১৭ - ২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আলেকজান্দ্রিয়া থেকে অমর একুশ,
নালন্দা থেকে শুদ্ধস্বর,
জালুস্কি থেকে কম্বোডিয়া,
অভিজিৎ থেকে এন্ড্রোমিডা -
পুড়ে যাচ্ছে তীব্র দহনে।

দহন মূলত রূপান্তর, গ্রহণ মূলত সাময়িক পলায়ন;
যাত্রা মূলত ক্ষণস্থায়ী অবস্থানের সীমায়িত সমাকলন;
স্থির সংকল্প মূলত নির্বিকার যাত্রার মতো গতিময়।

পুড়ে যাচ্ছে জাউরাক, জিবাল আর বিশাখা;
পুড়ে যাচ্ছে চিত্রলেখা, প্রত্যুষ, প্রতীতি;
কালপুরুষের সবগুলো তারা পুড়ে যাচ্ছে অবিরাম।
তীব্র দহন সৃষ্টি করে অবিরাম গ্রহ, সহজ মানুষ।
পুড়ে পুড়ে ক্ষয়ে যায় সহস্র নক্ষত্র, ছায়াপথ, নেবুলা।
ঈশ্বর অবিনশ্বর থাকে, ঈশ্বর কখনও পোড়েনি।
কেবল পাণ্ডুলিপি পুড়ে যায়।


মন্তব্য

তুফান আজাদ এর ছবি

অসাধারণ একটি কবিতা পড়লাম।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কোনটি যথার্থ, 'একুশ' নাকি 'একুশে'? 'একুশ' একটি সংখ্যা মাত্র, কিন্তু 'একুশে', কী বিপুল ব্যঞ্জনা সে ধারণ করে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

প্রথমে 'একুশে' লিখেছিলাম, কিন্তু কবিতায় কেন যেন 'একুশ' শুনতে ভালো লাগল আমার। আর ব্যঞ্জনা তো আসলে অনুভবের ব্যাপার তাই না? 'একুশ' যেমন কেবল একটি সংখ্যা আবার জায়গামতো ব্যবহার না করলে 'একুশে'ও কিন্তু কেবল একটি সংখ্যা হতে পারে। আমি যদি 'একুশে জুলাই' তাহলে কিন্তু আর ব্যঞ্জনা থাকে না। এটা আসলে আমার পক্ষের যুক্তি। আপনার উপলব্ধিও নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রোমেল ভাই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

জায়গামতো ব্যবহার না করলে 'একুশে'ও কিন্তু কেবল একটি সংখ্যা হতে পারে।

কিভাবে?

আমি যদি 'একুশে জুলাই' তাহলে কিন্তু আর ব্যঞ্জনা থাকে না। এটা আসলে আমার পক্ষের যুক্তি।

আপনি যদি শুধু 'একুশ' শব্দটি ব্যবহার করতেন তবে এই যুক্তি মেনে নেয়া যেত। কিন্তু যখন আপনি 'অমর' শব্দটি দিয়ে 'একুশ'-কে বিশেষায়িত করলেন তখন আর আপনার যুক্তি ধোপে টেকে না। 'অমর একুশে' বলতে আমরা 'একুশে ফেব্রুয়ারি'-কেই বুঝি; জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর কিম্বা অন্য কোন মাসের ২১ তারিখ নয়।

আর ব্যঞ্জনা তো আসলে অনুভবের ব্যাপার তাই না?

ব্যঞ্জনা অনুভবের বিষয় বলেই একে শুধু লেখকের কলম ফুটে বেরুলেই চলে না, পাঠকের হৃদয়েও স্থান পেতে হয়।

সমালোচনা কখনো মিঠে, কখনো কড়া হয়। যাই হোক, আপনি তাতে দমবেন না। শুভকামনা রইল।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সমালোচনাকে আমি সবসময়েই স্বাগত জানাই রোমেল ভাই। বিশেষ করে আপনার মতো মানুষের। কিন্তু সমালোচনার কতটুকু গ্রহণ করব আর কতটুকু করব না এটা আমার নিজস্ব রুচি আর যুক্তির বিচারে মেপে দেখার চেষ্টা করি। সমালোচনা মিঠে হোক আর কড়া হোক, আপনার পদচারণা আমার জন্য সবসময়েই আনন্দদায়ক। আপনার জন্যও শুভকামনা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ইয়ামেন এর ছবি

আমি কবিতা বুঝি না, কিন্তু এটা তীব্রভাবে নাড়া দিলো। চলুক

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

থেঙ্কু ইয়ামেন ভাই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অনিকেত এর ছবি

গুরু গুরু

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সোহেল ইমাম এর ছবি

ভালো লাগলো। অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপাত দৃষ্টিতে পাণ্ডুলিপি পোড়ে না, যেমনটা উলান্দ মাস্টারকে বলেছিল অথবা বুলগাকভ নিজেই নিজেকে বলেছিলেন। অভিজিৎও তাঁর সিগনেচার লাইন হিসেবে এই উক্তিটি ব্যবহার করতেন। যে নির্বোধেরা অভিজিৎকে হত্যা করে তাঁর পাণ্ডুলিপি পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিল তারাও ক্রুদ্ধ বিস্ময়ে দেখেছে সেটা সম্ভব হয়নি। পাণ্ডুলিপি যদি ঐশ্বরিক বিশেষণসম্পন্ন না হয় তাহলে পাণ্ডুলিপি রচয়িতা নিজেই একসময় সেটাকে অপচিত বলে ঘোষণা করতে পারেন, যদি না তিনি নিজেই অপচিত হয়ে যান। পাণ্ডুলিপি এভাবে পুড়ে যায়। ঈশ্বরের অবিনশ্বরত্ব ঐ পাণ্ডুলিপির মতোই। ঐশ্বরিক বিশেষণসম্পন্ন যে পাণ্ডুলিপির ওপর ভর করে ঈশ্বরের অবিনশ্বরত্ব ঘোষিত হয় সেটা কালক্রমে হয় পাল্টাতে থাকে অথবা অপচিত হয়ে যায়। অনেক প্রাচীন ঈশ্বর আছে যারা এখন রূপকথার গল্পের চরিত্র হয়ে গেছে, অথচ এক সময় তাদের দোর্দণ্ড প্রতাপে অনেক নগর, ভিন্ন দেবালয় বা মানুষ পুড়েছে। মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা-ফারসী-তেঙ্গরী-আরিসিরিয়া-ব্যবিলনিয়া-মিশর-রোমান-গ্রীস-মায়া-ইনকা-আজটেক-কানানাইত-ফিনিস-মিনোয়ান-ইত্যাদি ইত্যাদি ঈশ্বরেরা আজ ধুলো অথবা ছাই হয়ে গেছে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনার মন্তব্যের কথাগুলো আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। কবিতায় সম্ভবত আমি এরকমই বলতে চেয়েছি। শেষের দুই লাইন আসলে অনেকটা স্যাটায়ার করে বলা। অথবা বলা যায় অনেক মানুষ যেরকম বিশ্বাস করে সেটাকে কিছুটা হতাশার মাধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা।

মানুষ ভাবে পাণ্ডুলিপি চাইলেই পুড়িয়ে ফেলা যায়, আর ঈশ্বর অবিনশ্বর। অথচ আপনি যেভাবে বলেছেন, ঠিক সেভাবেই সহস্র পাণ্ডুলিপি টিকে গেছে সহস্র বছর। অথচ সেইসব পাণ্ডুলিপির অনেক ঈশ্বররা এমনকি লেখকেরাও আজকে অনেকে এমনকি রূপকথার চরিত্র হিসেবেও স্থান পান না। মানুষ যখন বলে এই বিশেষ গ্রন্থ সারাজীবন অবিকৃত থাকবে, কোনো মানুষের সাধ্য নেই এটাকে পরিবর্তন করার, ঈশ্বর নিজে একে সংরক্ষণ করবেন; আমি নিজে তখন খুবই বিনোদিত হই। আসলেই কোনো বহুল প্রচলিত গ্রন্থ বা পাণ্ডুলিপি কি বিকৃত করা সম্ভব? বিশেষ করে এই যুগে? এখন একটা বই এত জায়গায় এতভাবে সংরক্ষণ করা থাকে যে, আমার মনে হয় স্বয়ং ঈশ্বর চাইলেও সেটাকে পরিবর্তন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এখন বরং ক্ষমতা বা অলৌকিকত্ব দেখানোর জন্য ঈশ্বরের উল্টা দাবী করা উচিত। যে এত কিছুর মধ্যেও সে চাইলেই ইচ্ছামতো তাঁর লেখা গ্রন্থ পরিবর্তন করতে পারে।

এই কবিতাটি লেখার জন্য ট্রিগার হিসেবে আসলে কাজ করেছে অভিজিৎ রায়ের সেই লাইনটিই। যারা ভাবলো অভিজিৎ রায়কে শেষ করে দেয়ার মধ্যে দিয়ে পাণ্ডুলিপি পুড়িয়ে দেয়া হলো তারা হয়ত সাময়িকভাবে কিছুটা সফল, কিন্তু তারা হয়ত জানেই না নিরন্তর পুড়ে যাচ্ছে অভিজিৎ, প্রত্যুষ, প্রতীতি থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের প্রতিটি নক্ষত্র। অবশ্য তারা হয়ত অনেক দূরদর্শী, কে জানে। কারণ জীবনানন্দ তো বলে গেছেন, 'নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি?'

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বিবেচনায় পাণ্ডুলিপির বিকৃতি রোধ করা বা আদিরূপ বহন করা সম্ভব, কিন্তু তাতে কি পাণ্ডুলিপির মৃত্যু ঠেকানো যায়? না। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পাণ্ডুলিপির অনেক বানী, অনেক বিধান তার প্রাসঙ্গিকতা, কার্যকারিতা, ব্যবহারোপযোগিতা ইত্যাদি হারাতে থাকে; এবং একসময় সেটা পণ্ডিত বা গবেষক ছাড়া আর কারও কাজে আসে না। যে পাণ্ডুলিপি জাদুঘরে ঠাঁই পেয়েছে সেই পাণ্ডুলিপি তো আসলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই পাণ্ডুলিপিতে বর্ণিত মহাক্ষমতাধরেরা রূপকথার করুণ চরিত্র হয়ে গেছে।

সূর্য প্রতিদিনই পূর্বে উদিত হয়ে পশ্চিমে অস্ত যাচ্ছে, কিন্তু অ্যাপোলো আর তার সুর্যবাহী রথ প্রায় অপঠিত রূপকথার গল্পের বিষয় হয়ে গেছে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

একমত। আক্ষরিক অর্থে হয়ত পাণ্ডুলিপি ধ্বংস হয় না। কিন্তু অনেক কিছুই সময়ের সাথে অপ্রাসঙ্গিক, জীর্ণ হয়ে যায়।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা ভিন্ন প্রসঙ্গে বলি। এই বলাটি মাত্রা না গুণে করা।

১৫ পংক্তির এই কবিতাটি থেকে কি কোনভাবে একটা পংক্তি কমানো যায়? মানে দুটো পংক্তি জুড়ে বা ভাষার একটু পরিবর্তন করে? তাহলে ৪+৪+৪+২ এই ফর্মে মানে এডমন্ড স্পেন্সারের চর্চ্চিত রীতি অনুযায়ী একটা চমৎকার সনেট হয়ে যায়। তাতে শেষের দুই পংক্তিতে যে স্যাটায়ার করা হয়েছে সেটা আরো প্রতিভাত হয়।

অবশ্য ফর্ম নিয়ে অতো পরিশ্রম না করেও অল্প আয়াসে বর্তমান রূপটিকে ৫+৩+৫+২ এই রূপে দেখানো যায়। তাতে ত্রয়োদশ আর চতুর্দশ পংক্তির মাঝখানে কেবল একটা বাড়তি স্পেস লাগবে। ঐ রূপটাও মন্দ হয় না।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এটি লেখার সময় আসলে ফর্ম নিয়ে খুব চিন্তা করিনি। আমার সাম্প্রতিক কবিতা লেখার অভ্যাসেও দেখছি ফর্ম নিয়ে কম ভাবছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে যা বলতে চাইছি সেটা বলার পক্ষে ফর্ম যদি সহায়ক হয় তাহলে সেটা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আপনার পরামর্শগুলো নিয়ে কাজ করব। এর চেয়ে ভালো কিছু দাঁড়ালে সেভাবে এটাকে হয়ত পরিমার্জনের চেষ্টা করা যেতে পারে। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্বতু সাঁই এর ছবি

কারো কবিতার গঠন অন্য কারো মত হবে, বা কোনো কবির শব্দের বানান অভিধানের গচ্ছিত শব্দের মত হবে, এসব ভাবনা কবির ভাবনা নয়। প্রত্যেক কবির নিজস্ব আপন সত্তা রয়েছে, তাঁর ভাবনাগুলো একান্ত তাঁর। তাঁর ভাবনার বিন্যাসও একান্ত তাঁর। তাঁরটা কেনো ওঁর মত হবে বা ওঁরটা কেনো তাঁর মত হবে? কবিতা কখনই ব্যকরণ দিয়ে রচিত হয় না। কবিতাই ব্যকরণ রচনা করে।

মন মাঝি এর ছবি

মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা-ফারসী-তেঙ্গরী-আরিসিরিয়া-ব্যবিলনিয়া-মিশর-রোমান-গ্রীস-মায়া-ইনকা-আজটেক-কানানাইত-ফিনিস-মিনোয়ান-ইত্যাদি ইত্যাদি ঈশ্বরেরা আজ ধুলো অথবা ছাই হয়ে গেছে।

নারে ভাই, কেউই ধুলো-ছাই হয় নাই বা মরে নাই - মানুষের মৃত্যুভয়, অজানাকে ভয়সহ নানারকমের ভয় আর অমরত্বের বাসনার মধ্যে চেহারা পরিবর্তন করে ঠিকই লুকিয়ে আছে। এরা বোধহয় সত্যিই অবিনশ্বর!

****************************************

দেবদ্যুতি এর ছবি

ভালো লাগলো কবিতা। শুভকামনা জানবেন কবি।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

গগন শিরীষ এর ছবি

এই কবিতাটা দুর্দান্ত হয়েছে শান্ত!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পাণ্ডুলিপির জন্য শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

কবিতাটি কি যেন বলে !!!

ইসফানদিয়র

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।