শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটা দারুণ ছোটগল্প পড়েছিলাম একবার। গল্পটা ছিলো ভবিষ্যতের। আগামীর পৃথিবীর খোলনলচে হয়ে পড়েছিলো একদম আলাদা। সেখানে ছিলো কেবল বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান। সকলে বিজ্ঞান শিখছিলো, বিকিকিনি করছিলো- বেঁচে ছিলোনা অন্য কোন পেশার লোক। ...নাহ, ভুল বললাম, বেঁচে ছিলো এক পাগল। লালপাহাড়ে বসে পাগলা জগাই কেবল ছড়া লিখে যেতো- পাথরে,রাস্তায়,গাছের বাকলে। শহর থেকে বিজ্ঞান স্কুলের ছেলেরা যায় লালপাহাড়ে। পাগলা জগাইকে অহেতুক 'ওই আমাদের তালগাছ,ওই আমাদের গাঁ' লিখতে দেখে অবাক হয় তারা। পাগলা জানায়,"আমি বাপু পাগল, তোমাদের মত কবিতার লাভ লোকসান হিসাব করিনে।" লালপাহাড় হতে বিজ্ঞান স্কুলের ছেলেরা ঘরে ফেরে গভীর চিন্তা নিয়ে। সে চিন্তার ফসল হয়ে সপ্তাহ পরেই এক ছোঁড়া লিখে ফেলে, 'আমরা যদি না জাগি মা,কেমনে সকাল হবে ?? তোমার ছেলে উঠলে মা গো- রাত পোহাবে তবে।'এক লহমায় বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে যায় কবিতা লেখার রোগ। জাতীয় কবিতা আসর উপলক্ষে আকাশ হতে বিলানো হয় কবিতা। সে কবিতা হাতে নিয়ে লালপাহাড়ে পাগলা জগাই হাসে, বলে- "যাহ, পৃথিবীটা আরেকবার বেঁচে গেলো...!!"
আজকাল আমায় খুব নেশা ধরেছে, একটা পাগলা জগাই খুঁজে নেই। একটা নতুন পৃথিবী বানাতে বড় বেশি ইচ্ছে করছে। যে পৃথিবীতে থাকবে কেবল পান্তাবুড়ি,সিন্ডারেলা আর টিনটিনেরা; থাকবে কেবল 'ইটি'ছবির ড্রিউ ব্যারিমুর অথবা 'দ্য ফল'ছবির কাটিঙ্কা উনতারুর মত গোলাকার নাদুশ-নুদুশ বাচ্চারা, থাকবে কেবল সুকুমার রায়ের 'ননসেন্স ক্লাব'- থাকবে না কোন রাজনীতি।
আজকাল খুব হতাশ হয়ে পড়ছি। তারিকের স্পেন বিজয় অথবা সিংহ-হৃদয় রাজা রিচার্ডের সাথে দুধসাদা ঘোড়ায় সওয়ার সুলতান সালাদিনের মহত্বের কাহিনী শুনে নিজের ধর্ম নিয়ে দারুণ গর্ব হতো।
আজকাল আমাদের পৃথিবীতে দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমাগত বোমা হামলা আর আটবছর বয়েসে জঙ্গী হিসেবে ধৃত ব্রেইনওয়াশড ইসমাইলদের দেখে ইমিগ্রেশনে ঢুঁকবার আগে গলাটা শুকিয়ে আসে, পরিচয় দিতে
গিয়ে বলি-"আমি মু...মুসলিম।" নাহ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ আর থিউডোর হার্জল সাহেবরা তো ভালো ক্যাঁচাল লাগায়ে গেলেন। কোন ঈশ্বর আসল ?? তগোডা না আমাগোডা ?? হার্জল সাব আবার বইলা দেন, 'The idea I have developed .....is ancient one: It is the restoration of Jews state. The decessive actor is our propelling force'। ....একটা নতুন পৃথিবী বানাতে বড় বেশি ইচ্ছে করছে।সেখানে এদের সকলকে চাঁটি মেরে তাজমহলের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বলতাম,"এবার মানুষের মাঝে ঈশ্বরকে খুঁজ়তে শেখ,না পারলে টলস্টয়ের ছোট গল্প পড়ে শিখেনে..."।
একটা নতুন পৃথিবী বানাতে বড় বেশি ইচ্ছে করছে। যেখানে 'তারে জামিন পার' ছবির সেই ড্রইং টিচারটা হয়ে রঙ মেখে সং সেজে এক দল বাচ্চাকে নিয়ে আরামসে 'বাম বাম বোলে' বলে নাচতে পারবো, তাদের রাঙ্গাতে পারবো। আমার পৃথিবীতেও আমি টিচার বটে। আগামসি লেনের অন্ধকারাছন্ন কোন রিডিংরুমে বসে কাউকে আমি ম্যাকলরিনের সিরিজ শেখাই, আর স্বপ্ন দেখি- এমাসের বেতনটা পেয়েই মাণিক রচনাবলী ঘরে তুলবো।
একটা নতুন পৃথিবী বানাতে বড় বেশি ইচ্ছে করছে।আশা রাখি নতুন পৃথিবীতে কাউকে খুব গভীরভাবে ভালোবাসতে পারবো, মাধবীলতার মত; খুব করে ভালোবাসা পাবো,অনিমেষের মত। আমার পৃথিবীতে ভালোবাসা বড়ই সহজলভ্য। এ প্রজন্মের মাধবীলতারা একেকজন জন্মসূত্রে অড্রে হেপবার্ণ- হতাশাগ্রস্ত তরুণদের পশ্চাতদেশে বাঁশ মারতে তাদের খুব আগ্রহ। অনিমেষেরাও কম যান না, একেকজন এলকেমিস্ট- কিছু হলেই এসিড ছুঁড়বেন। এমন একটা পৃথিবী বানাই আসেন- যেখানে গভীর রাতে ঘুম থেকে পাশে শুয়ে থাকা সঙ্গীকে নীরবে 'ভালোবাসি' বলা যাবে,নির্জন লেকহাউসে কাউকে সাথে নিয়ে শোনা যাবে জন ডেনভার, হাতে হাত রেখে একত্রে দেখা যাবে 'রোমান হলিডে'।
একটা নতুন পৃথিবী বানাতে বড় বেশি ইচ্ছে করছে। যেখানে কেবল পড়বো। বোদলেয়ারের কবিতা, মোপাঁসার ছোটগল্প, গান্ধীর জীবনী। আমার পৃথিবীতে বড় বেশী পড়াশোনা- ট্রান্সফর্মার,ফুরিয়ার সিরিজ, স্ট্রেংথ অফ ম্যাটেরিয়াল- আরো বালছাল সব। স্যার- একটু শোনেন । আপনার এপ্রনটা ছুঁড়ে ফেলে আমার সাথে আসুন না একটু লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের সেই প্রেইরিতে। আসেন, বদ্ধ ডিপার্টমেন্টাল লাইব্রেরীর টিউব বাতি ছেঁড়ে আমার সাথে বাইরে আসেন। ঈশ্বরের সাথে দেখা হলে আমার সাথে বলবেন-
"সাবাস ওস্তাদ,
কী কল বানিয়ে দিলে,
ফিলিপস,অসরামের চেয়ে ঢের ভালো
এখনো তোমার সুর্য, এত লক্ষ বছরেও
ফিউজ হলো না। "
খুব ইচ্ছা করছে,'দ্য ম্যান ফ্রম সেন্ট পিটার্সবার্গের'নায়কের মত একটা পিস্তল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। জয় করে নিই সবকিছু। একটা নতুন পৃথিবী বানাই- যেখানে হোসে আর্নেস্তোকে ওষুধের বাক্স ফেলে গুলির বাক্স নিয়ে চে গুয়েভারা হতে হবে না,যেখানে কোন মুক্তিযোদ্ধার জীবন কোন কমিঊনিটি ব্লগে তুলে দিতে হবে না, যেখানে কারো ফেইসবুক স্ট্যাটাস 'ইটস কম্পলিকেটেড' দেখাবে না।
নিশ্চিত, আমার নতুন পৃথিবীতে আমি একজন সিরিয়াল কিলার-ই হবো। একের পর এক সব না পাওয়াকে খুন করে চলবো। ঈশ্বরের হাতে ধরা পড়ে মৃত্যুদন্ডের আগে জ্যাক দ্য রিপারের মত বলবো ,"One day people will look back & will see, I GAVE the birth of 20'th century."
...আমার মত আরো অসংখ্যা তরুণ অবিরত এই পৃথিবীর আনাচে-কানাচে চ্যাঁচাচ্ছে,"ভাংগতে চাই, ভাংগতে চাই- প্রথা ভাংগতে চাই।" চারপাশের পৃথিবী কিছু ভাংগতে দেয় না।...আর, গড়বার সামর্থ্য আমাকে ঈশ্বর দেননি।
মন্তব্য
খুব, খুব ভাল লাগলো লেখাটা।
ক্ষমতা তো ঈশ্বরের কাছ থেকে কেড়ে নিতে হয়। যে ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে, কোন মানুষ তার কাছ থেকে সেই ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারে না।
ইয়াল্লা !!!
কার প্রশংসা কার মুখে ??
... অশেষ সুখী হইলাম।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
চমৎকার লাগল।তোমার ভাবনাগুলোর সাথে নিজেকে যুক্ত করে নিলাম সুহান, তোমার এই নতুন পৃথিবী গড়ার মিছিলে আমাকেও রেখ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অবশ্যি স্যার...
তাড়াতাড়ি দেশে আসুনতো, এই ক্যাফের চারপাশের সব পালটে দি...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
এই যে শিল্পী, অদ্রেঁ হেপবার্নরে খিস্তি দ্যান ক্যান?
লেখা ভাল্লাগ্ছে।
ধুরো মিয়া, বুঝতেই পারলেন না...
আজকাল মাইয়াগো প্রশংসাই তো করলাম...হেতেরা অড্রের মত কিউট্টট্টট্টট...
অগো অভিনয় ও চরম...
তবে অড্রে একটু বেশিই কিঊট...!!!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
হেপবার্ণ এর কাহিনী বুঝলাম না??? মানে ...বলছিলাম... হেপবার্ণ এর কাছ থেকে বাঁশ পেতে তো আপত্তি থাকার কথা না ...... আমার অন্তত নেই... তয় আগে কাহিনি খোলাসা করে বল...
আমি অড্রেরে বিবাহ করতে যাইতেসি...
বাদ আসর, আইসো- দাওয়াত থাকিলো ...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
খুব ভাল লাগলো লেখাটা। চারপাশের সবকিছুতে এত দমবন্ধ লাগে ইদানিং...!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মন ভালো নেই ভাই...
আপনার মন ভালো থাক, এই কামনা করি।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
লেখাটা পড়ে আপন মনে হল। নিজের মনের কথাই মনে হল সুহান ভাই বলে দিলেন।
কিন্তু ঈশ্বর যেটুকু সামর্থ্য আমাদের দিয়েছেন, তাই বা কি আমরা সদ্ব্যবহার করতে পারি?
-শেখ ওয়াহিদ
ধন্যবাদ , ভালো থাকুন...
সামর্থ্যের সদব্যবহার করুন...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
oshadharon lakha....uni r pc te,tai bangla font nai.....download proteted....ja...ki bolte gea ki bola huru korlam....asholei esse kore notun kore sajai,notun prithbi gori....khub khu khub beshi valo laglo....ager lekha gulor chae akdom onnorokom...suhan er prothom dikkar lakhae gulo silo 1/2 ta choritr.majkhne ektu kahinir bistriti....uposhonkhar 2 chorirer mil or omil...ei lakha ta beshi joss....
habib-
হাবিব ভাই দেখছি...
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
লেখাটা জব্বর হইসে। স্বপ্ন দেখতে হইলে এমন স্বপ্নই দেখা উচিৎ...
এইবার মনে হয়, সেই নতুন পৃথিবী কিভাবে বানাতে হবে, সেটা নিয়ে একটা লেখা অবশ্যম্ভাবী হয়ে গেসে....
স্বপ্ন আর না, এইবার সত্যিটাই পাওনা মনে হয়।
থ্যাঙ্কু, অ-বা-দা !!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ভাল লাগাটা জানিয়ে গেলাম (চলুক)
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দুর্বলের রচনা পছন্দ হলো জেনে সুখ পাই !!
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
কি আশা নিয়ে পড়ছিলাম বইটা! কালবেলা মোটামুটি জুইতেবল, অথচ তার সিকোয়েল কালপুরুষ পড়ে মনে হলো, ধরে ব্যাটাকে মাথার একদিক কামিয়ে উলটা গাধায় চড়িযে দিই। ছি ছি সমরেশ মজুমদার যে এত ট্র্যাশ লেখে জানতাম না। মাধবীলতার মত সম্ভ্বাবনাময় চরিত্রকে পুরো মার্ডার করে ফেললো! অনিমেষ তো পুরো মেষ বনে গেল। এই ট্র্যশ লেখক ব্যাটাকে ণিয়ে আবার কি নাচানাচি করে লোকে!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একদম সত্যি কথা, কালবেলার সাথে কালপুরুষের কোন মিলই ছিলো না...।
তবে তাই বলে সমরেশকে একেবারেই ট্র্যাশ বলা ঠিক মনে হয় হচ্ছেনা।তার অনেক রচনাই যথেষ্ট ভালো- 'গর্ভধারিণী' কেই ধরুন না।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
(চলুক)
পড়তে দেরী হয় নাই। মন্তব্য একটু দেরী হয়ে গেলো। জানিয়ে যাই, ভালো লাগলো লেখাটা ...
বাপরে বাপ! আপনি তো বিশাল বস পাবলিক!
এ তো সুন্দর লেখার মন্তব্য করা থেকে বিরতই থাকলাম, শেষে বেমানান
কিছু বলা হয়ে যাবে!
ধন্যবাদ এতোটা ভালো লাগা দেবার জন্য।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
সচল নিয়ে ভাল মেতেছ, বেশ,বেশ ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বৈপ্লবিক মানসিকতা - আপত্তিকর কিছু নয়, ক্ষণস্থায়ী এক মানসিকতা - বেশিদিন থাকবেনা । আসলেই বহু দেখেছি - বেশিদিন থাকেনা। একটা বয়সে আমিও ভেবেছি কেনো আমরা এমন বদলে যাই - এখন মোটামুটি বুঝেছি কেনো যাই বদলে ।
(y)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাইঙা ফেলেন সব ! সব কিছুর মধ্যে কেমোন জং ধরে গেছে ! এক্কেবারে চুরমার কইরা দেন ! নইলে নতুন পৃথিবী বানাইবেন কেমনে ! তয় সবার আগে ওই ঈশ্বররে টাইন্যা নামাইয়া ফেলা যায় কিনা দেখেন। তাইলে বাকি কাম সহজ হইয়া যাইবো।
ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। ভালো লিখেছেন। আরো লেখেন। চলুক।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আশাবাদী হতে চাই, প্রতিদিন...
ভীষণ ছুঁয়ে গেল আপনার ভাবনাগুলো...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চমৎকার লাগল লেখাটা।
নতুন মন্তব্য করুন