"In a cruel and imperfect world, Audrey Hepburn was living proof that God could still create perfection." - Rex Reed
আপনাদের অথবা সেগুনবাগিচার আদি বাসিন্দাদের, কারোরই জানার কথা না যে ১৯২৯ সালের মে মাসের ২ তারিখ জন্ম নেওয়া মাজেদা খাতুনের একমাত্র পুত্র আলমগীর হোসেন অড্রে ক্যাথলীন হেপবার্নের চেয়ে বয়সে দুইদিনের বড়। আলমগীর হোসেন জন্মের পর তার পিতাকে দেখেছে বলে মনে করতে পারে না এবং এই প্রসঙ্গে মাজেদা খাতুনের নীরবতার কোন গোপন তাৎপর্য থাকলেও থাকতে পারে বলেও সেগুনবাগিচার আদি বাসিন্দারা মনে করে। কিন্তু সেটি আলমগীর হোসেনের কাছে তেমন কোন বিশেষত্ব বহন করেনি কখনো এবং মাজেদা খাতুন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের পেছন দিকে ভাত বিক্রয় করে সেটাও সেগুনবাগিচার লোকেদের পছন্দের বিষয় না হলেও আলমগীর হোসেন কখনো ভাবেনি এই নিয়েও। এটা জানাই যথেষ্ট যে সেগুনবাগিচার বর্তমান বাসিন্দারা প্রায় সবাই অড্রে হেপবার্নকে দেখেছেন- কিন্তু আলমগীর হোসেনকে দেখেছেন কেবল আদি বাসিন্দারাই; অথবা হয়ত তাদের একটা ছোট অংশ।
হয়তো সেগুনবাগিচার বাসিন্দাদের এই অপছন্দনীয় আবহ থেকে মুক্তি দিতেই অথবা হয়তো ৪৭'এ সদ্য গঠিত হওয়া পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা শহরের অভূতপূর্ব বিস্তারের কালে আজিমপুর এস্টেটের পেছনে আবাস বদলে আসে তারা দুইজন, আলমগীর হোসেন এবং চল্লিশোর্ধ মাজেদা খাতুন। অথবা হয়তো তখন যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পলাশী এলাকায় নিজেকে সম্প্রসারণ করছে এবং নিউ মার্কেট নির্মাণাধীন- সেহেতু নিজ ভাতের হোটেলের বৃহত্তর ভবিষ্যৎ কামনায় মাজেদা খাতুন এই অভিবাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, এটাও হতে পারে। তখন পগোজ স্কুলে তিন ক্লাস পড়ার পর পড়াশুনা ছেড়ে দেয়া আলমগীর হোসেন একুশ বছরের ধর্মে আদর্শিত। ভাতের হোটেলে আধবেলা ক্যাশবাক্স সামলায়, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের আদলে লম্বা জুলফি রাখে এবং বন্ধুদের সাথে নিছক আড্ডায় সময় নষ্ট করে। এখন হয়তো আজিমপুরের লোকেরা বলে যে এটা মাজেদা খাতুনেরই দোষ- যেহেতু এলাকার বিবাহযোগ্য তরুণীরা যেমন জমিলা, পাকিজা কিংবা রেহনুমার সাথে আলমগীর হোসেনের বিবাহ দেবার কোন জোর প্রচেষ্টা সে করেনি- কিন্তু এটাও তারা জানে এই দোষ জমিলা, পাকিজা অথবা রেহনুমার না। এই দোষ কিছুটা আলমগীর হোসেনের - এই দোষ অড্রে হেপবার্নের।
আলমগীর হোসেন হয়তো ভালোবাসতে চায়নি , কিন্তু বন্ধুদের সাথে যেহেতু ১৯৫৪ সালের কোন এক শীতের সন্ধ্যায় সে গুলিস্তানের নাজ সিনেমা হলে 'রোমান হলিডে' দেখতে প্রবেশ করে- সেহেতু তাকে ভালোবাসতেই হয়। প্রকৃতপক্ষে সে সন্ধ্যাতেই ঘরপালানো রাজকুমারীটিকে প্রত্যক্ষ করে আলমগীর হোসেনের প্রথম বোধ হয় ভালোবাসা কী বস্তু এবং তারপর সে আক্ষরিক অর্থেই অড্রে হেপবার্নে ভেসে যায়। হুরপরী বলে একটা কিছুর অস্তিত্ব আছে- এই কথাটা শৈশবে মাজেদা খাতুনের মুখে শুনেছে বলে আলমগীর হোসেনের স্মরণ হয় এবং তার মস্তিষ্ক স্বীকার করে নেয় যে পুরাণে কথিত সেই সৃষ্টি দেখতে অড্রের চেয়ে কুৎসিতই হবে। কাজেই সেই শীতের রাত্রিতে আজিমপুরের তিন কামরার টিনের ছাপড়াটির মাঝে আলমগীর হোসেনের ঘরে শীত নামে না- নেমে আসে অড্রে হেপবার্ন এবং মাজেদা খাতুন তাকে দেখতে না পারায় আলমগীর হোসেন ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে অতি দ্রুতই এবং অড্রে হেপবার্নকে প্রায় নিয়মিত নিজের শয়নকক্ষে আবিষ্কার করে আলমগীর হোসেন। মাজেদা খাতুনের চিন্তা ক্রমশঃ তার পুত্রের মানসিক বিকৃতি পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে কিন্তু আলমগীর হোসেন এখন আর ভাতের হোটেলের ক্যাশবাক্স সামলানোর দিকে মন দেয় না - বরং সে ঘুরে বেড়ায় নাজ সিনেমা হলের আশেপাশে এবং গেটম্যান সবুর মিয়াকে একাধিক বার ক্যাপস্টানে টান দেবার সুযোগ করে দেয়ার বিনিময়ে সে জানতে সমর্থ হয় এই 'হুরপরী'কে লোকে অড্রে হেপবার্ন নামে চেনে। অথচ অড্রের জন্যে আলমগীর হোসেনের একান্ত নিজস্ব ভালোবাসা এই নামকরণ মেনে নিতে চায় না, পরিবর্তে সে অড্রের নতুন নাম স্থির করে নেয়। তাই প্রায় রাতে শয়ন কক্ষে অড্রে হেপবার্নের আগমনের সাথে সাথে যখন আলমগীর হোসেন মাজেদা খাতুনকে "মা- ও মা, চায়া দ্যাখো- অরদে কী সোন্দর কইরা হাসে... " এই বাণীর পুনরাবৃত্তি করতে থাকে তখন দেরী করে হলেও মাজেদা খাতুন রেহনুমা অথবা পাকিজাদের খোঁজ নেন। কিন্তু এই কাজে লাভ হয় না। আলমগীর হোসেন আত্নহত্যার হুমকি দেয় এবং নিশ্চিত হয় মাজেদা খাতুন পূর্বে স্বচক্ষে অরদে'কে দেখেনি বলেই তার অস্তিত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ হচ্ছে। অতএব মাজেদা খাতুনকে তার ভালোবাসার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং স্বয়ং অড্রেও যে আলমগীর হোসেনের প্রতি অমোঘভাবে আকৃষ্ট তা বোঝাতে- যে আকর্ষণে রাত হলেই অড্রে হেপবার্ন ছুটে আসে আজিমপুর টিনের ছাপড়ায়- আলমগীর হোসেন মাজেদা খাতুনের জমানো টাকার একটা অংশ সকলের অগোচরে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। চারমাসের সাধনায় নাজের গেটম্যান সবুর মিয়া এবং তার করাচি প্রবাসী শ্যালক সম্পর্কীয় কারো সাহায্যে 'রোমান হলিডে'র একটি পোস্টার আলমগীর হোসেনের হাতে আসে এবং, বলাই বাহুল্য, সেই পোস্টার হতে গ্রেগরী পেককে হটাতে আলমগীর হোসেন দেরী করে না। অরদে ঠাঁই পায় আলমগীর হোসেনের ঘরের দেয়ালে। মাজেদা খাতুন কেবল অঝোরে চোখের জল ফেলেন, কিন্তু তাতে কেবল আলমগীর হোসেনের ক্যাশে বসা পুনরায় নিয়মিত হয়। অথচ টিনের ছাপড়ায় অড্রে হেপবার্নের আগমন চলতেই থাকে এবং চলতে থাকে তার সাথে আলমগীর হোসেনের অলৌকিক দাম্পত্য জীবন। অবশেষে একসময় পুত্রের এই জীবনকে ভবিতব্য বলে মেনে নেয়ায় মাজেদা খাতুনের চোখের পানি কমে আসে। নাজ, বলাকা এবং গুলিস্তান সিনেমায় আসতে থাকে অড্রের নতুন নতুন সিনেমা সব। আসে 'সাবরিনা', আসে 'ওয়ার এন্ড পিস', আসে 'ব্রেকফাস্ট এট টিফানিস' , 'মাই ফেয়ার লেডি'। আলমগীর হোসেনেরও মধ্যবয়স আসে যৌবন পেরিয়ে। ষাটের দশক পেরিয়ে আসে ১৯৭১।
মার্চ থেকে অক্টোবরে, ১৯৭১ এ আলমগীর হোসেন কী করেছিলো সেটা এই কাহিনীতে অবান্তর। তবে এটা নিশ্চিত যে সে শান্তিবাহিনীতে যোগ দেয়নি কিংবা ইতিহাসে নাম লেখানোর আশায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নেয়নি। কাজেই এপ্রিলের শেষের দিকে ঢাকা ত্যাগ করা আলমগীর হোসেন এবং মাজেদা খাতুন যে কোথাও আত্নগোপন করেছিলো সেটা অনুমান করা কঠিন নয়, বরং পালানোর সময়ও আলমগীর হোসেন যে অড্রে হেপবার্নের পোস্টারটি সাথে নিয়ে যায়; এটা অনুমান করা অনেকের জন্যে একটু কঠিন হতে পারে। মাজেদা খাতুন অবশ্য ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে সঙ্গে নিয়ে যায় তার জমানো টাকার ক্যাশবাক্স আর তাই নভেম্বরে ঢাকায় ফেরার পর কোন এক অদ্ভূত কারণে বিপর্যস্ত চারপাশের মাঝে আজিমপুরের ছাপড়া ঘরটির সামান্যতম ক্ষতি হতে না দেখে তারা দ্রুতই আবার ভাত রান্নায় ফিরে যায়। কাজেই স্বাধীনতার প্রথম প্রহরের ঢাকা শহরের সাক্ষী হয়ে থাকা এই দুইজনের জীবনযাত্রায় স্বাধীনতা আসলেই কোন রকম প্রভাব ফেলে না। অড্রে আসতেই থাকে, আলমগীর হোসেন তাকে দেখতেই থাকে- এমন কী মাজেদা খাতুনও তাকে আজকাল দেখে থাকে।
তবুও ১৯৮৯ সালের অক্টোবর মাস আলমগীর হোসেনের এক বিয়োগান্তক ঘটনা বহন করে আনে। এখন যদিও পাড়ার লোকে বলে যে- যেহেতু মৃত্যুশয্যায় মাজেদা খাতুন শেষবারের মত চারপাশ তাকিয়ে আলমগীর হোসেনকে দেখতে পাননি এবং ' ও আলমগীর হুশেন, পুত আমার- তুই কনে গেলি...' এই বলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন- সেইজন্যে মাতৃভক্ত আলমগীর হোসেন শোকে বিপর্যস্ত হয়ে দুইদিন খাবার গ্রহণ করেনি; এটি প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয়। আলমগীর হোসেনের অনুপস্থিতির কারণ অন্তঃত মাজেদা খাতুন জানতেন এবং মরণাপন্ন মাকে রেখে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়ে বাংলাদেশ সফর করতে আসা অড্রে হেপবার্নের সাথে আলমগীর হোসেনের দেখা করতে যাওয়া ছিলো মাজেদা খাতুনের অনুমতি সাপেক্ষেই। অড্রে যে আলমগীর হোসেনকে স্বামী বলে স্বীকার করে নিয়েছে- সেটা আলমগীর হোসেন জানলেও তার চারপাশের মানুষেরা জানতো না এবং তাদের জানানোর উদ্দেশ্যেই অড্রের স্বীকৃতি আদায় করতেই সে শিশুদের সেই স্কুলের দিকে গিয়েছিলো; যেখানে অড্রে হাসছিলো- শিশুদের সাথে সাইকেল চালাচ্ছিলো। অথচ স্থানীয় পুলিশেরা অড্রে হেপবার্নের উপর আলমগীর হোসেনের স্বত্ব অস্বীকার করে এবং তার মাত্রাতিরিক্ত অনুরোধে বিরক্ত হয়ে একসময় আঘাত পর্যন্ত করে। আহত আলমগীর হোসেন এই ঘটনাকালে অড্রের নীরবতায় কঠোর আঘাত পায় এবং নিজের মাঝে ফিরে আসতে দুইদিন বাড়ি ফেরে না। মাজেদা খাতুনের দাফনবেলায় আলমগীর হোসেনের অনুপস্থিতি তাই অন্যেরা সহজভাবে গ্রহণ করলেও অড্রের আচরণ আলমগীর হোসেন সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে না। আশ্চর্যের বিষয়, বাড়ি ফেরার পরের রাতেই অড্রে আবার এসে উপস্থিত হয় এবং যথারীতি তাকে গ্রহণ না করে আলমগীর হোসেনের উপায় থাকে না। আলমগীর হোসেন অড্রে হেপবার্নকে ভালোবাসে এবং বাসতেই থাকে।
অড্রে হেপবার্ন শেষবারের মত আলমগীর হোসেনের শয়নকক্ষে আসে ১৯৯৩ সালের ১৯শে জানুয়ারী। আজিমপুরের সেই টিনের ছাপড়া ততদিনে একতালা একটা পাকা দালানে পরিণত হয়েছে। সেই রাতের পরদিন সকালে আলমগীর হোসেন নিজের হোটেলের ক্যাশবাক্স সামলানোর ফাঁকে টিভিতে চোখ বুলাতে বসে অড্রের মৃত্যুসংবাদ পায় এবং সেটি অবিশ্বাস করে। আলমগীর হোসেন জানে যে অড্রে রাত হলেই তার শয়নকক্ষে দেখা দেবে আবার - কিন্তু আলমগীর হোসেন জানে না- তার এই জানাটা ভুল ছিলো।
অড্রে হেপবার্ন সে রাতে আসে না। পরের রাতেও আসে না। এমনকী তারপরের রাতেও না। চতুর্থ রাত্রে ভালোবাসা হারানো বিশ্বের বাকি লোকগুলোর মতই বিষণ্ণ হয়ে পড়া আলমগীর হোসেন হঠাৎ বুঝতে পারে সে আর অড্রে হেপবার্নের দেখা পাবে না। আলমগীর হোসেন তখন আর কিছু দেখে না, বরং প্রতিবেশীদের মুখে অগণিতবার উদ্ধৃত হওয়া মাজেদা খাতুনের অন্তিম বাণী ' ও আলমগীর হুশেন, পুত আমার- তুই কনে গেলি...' শুনতে পায়।
... আর সেই মুহুর্তে তার সমগ্র জীবনের নির্বুদ্ধিতা তার কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে।
মন্তব্য
- খাইছে, সবাই দেখি গল্প লেখার মুডে আছে আজকে। আমার কাঠিন্য না চলতে থাকলে একটা ঠিকি লেইখা ফেলতাম আজকে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, বস । মুডেই পাইসিলো...
আর কী , লেইখ্যা ফেলেন আপনেও একখান। আপনারডা ছাড়া জম্বো না...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
তোমার গল্প পড়ার আসল মজাটা হল কাহিনীর বিস্তার, প্রসার বা অভিনবত্বে নয়। মজাটা নিহিত আছে তোমার বর্ণনা-ভঙ্গীতে। আপাত এবসার্ডিটির এই গল্প কাঠামো তাই অনায়াস গ্রহনযোগ্যতা পেয়ে যায় তোমার লেখনীর সুবাদেই।
শুভেচ্ছা রইল
অনিকেতদা- প্রথমে ধন্যবাদ নিন শুভেচ্ছার জন্যে।
অসম্ভব ধরণের এই জাতীয় গল্পের নাম মনে হয় গল্পকারেরা দিয়েছেন জাদু-বাস্তবতার গল্প। সম্প্রতি পড়ছি গার্সিয়া মার্কেজের গল্পসংগ্রহ- তাকে নাকি এই জাতীয় গল্প নির্মাণের প্রবাদপুরুষ গণ্য করা হয়। ... এটা তাই আমার লেখার গুণ না- এটা এইসব গল্পের জাতিগত বৈশিষ্ট্য বলেই বোধহয় গ্রহণীয় পাঠকের কাছে...।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
গল্পটা অসাধারণ লাগলো।
থাঙ্কু ফাহা ভাই !!
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
এই গল্পের পেছনে তোমার অসাধারণ অধ্যাবসায় প্রশংসার দাবী রাখে সুহান।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই। ... অধ্যবসায় বললে একটু বেশিই বলা হবে। বাংলাপিডিয়া আর পুরনো ঢাকা নিয়ে কয়েকটা স্মৃতিচারণ যোগাড় করতে হয়েছে কেবল- এর বেশি নয়।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
খুব সুন্দর। এমন চমৎকারভাবে বর্ণনা করলেন যে হিংসায় আমার পেটব্যাথা শুরু হবার মত অবস্থা!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
পেট ব্যাথা ?? মোটেও না- অনেক বেশি ওভাররেটেড
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
প্রত্যেকটা বাক্যের শেষে ভাবি পরের লাইনটা পড়ে থামি, কিন্তু এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলতে বাধ্য করলেন মশাই ।
অসাধারন।
স্বপ্নদ্রোহ
ধন্যবাদ নিন।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
গল্পটা মসৃণভাবে চলেছে গোটা পথ। শেষ এই আত্মোপলব্ধির ব্যাপারটাতে একটা অতিরিক্তি চলে এসেছে বলে মনে হলো। এটুকু ছাড়াও কিন্তু মসৃণভাবে শেষ হতো গল্পটা। এটা বাদে বাকি গল্পটুকু চমৎকার। মনের মধ্যে একটা প্রত্যাশা অবশ্য তৈরি হয়েছিলো, অড্রেকে নিয়ে আলমগীরের অনুরাগের তীব্রতার আরো বর্ণনা থাকবে। তবে সেসব বোধহয় ভবিষ্যতেও যোগ করা সম্ভব।
অপ্রাসঙ্গিকঃ সৈয়দ শামসুল হকের একটা গল্প আছে, "মনোহরকে পাওয়া যাচ্ছে না", পেলে পড়ে দেখো।
গল্পের সময়কালের ব্যপ্তিটা আমার জন্যে এতো দুরূহ ছিলো- যে স্বীকার করতেই হয় অন্যান্য দিকে মনোযোগ অনেক কম ছিলো। অড্রের প্রতি অনুরাগ বর্ণনায় একদম কৃপণ থেকেছি- এটা আমার নিজেরই মনে হয়েছে।
... শ্রদ্ধেয় সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে- উনার গল্প এখনো পড়ি নাই।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ঢাউস একটা গল্প সংকলন কিনতে পাওয়া যায়, বাঁধাইটা খুব ভালো। কিনে ফেলতে পারো। হক সাহেবের কিছু চমৎকার ছোটোগল্প আছে, বারবার পড়ার মতো।
আপনার এই গল্প আমি এই নিয়ে ৩ বার পড়লাম । আপনাকে নিয়ে,আপনার এই গল্প নিয়ে আপনার লেখালখি নিয়ে আমার এক নিকটজন,বন্ধুর (আপনারও সুহৃদ)সঙ্গে কথা বললাম আরো মিনিট ত্রিশেক, আর তারো আগে যত কিঞ্চিত সংগ্রহ আছে বইয়ের, সেখান থেকে সদ্যই প্রয়াত আমাদের এক কথাকারের খান তিনেক বই খুঁজে বের করলাম ।
কেন এতোসব লম্পজম্প আমার ? আপনার মতো আমার মনেও এই প্রশ্ন জাগলোই । আর,অবাক করা কথা, খেয়াল করলাম আপনাকে আমার খুব আপনার মনে হলো, কেবলমাত্র এই একটি লেখা পড়েই ( স্বীকার করছি, আপনার আর কোন লেখা আমি পড়ি নি সুহান !), মনে হলো আপনাকে যেন আমার কিছু বলবার আছেই আছে ।
বলি , আপনার এই গল্প; অসাধারণ একটা গল্প । আর আমি জেনেছি, এই গল্প পাঠের অভিজ্ঞতা জানিয়েছে আমাকে ( আপনার ওই সুহৃদের স্বাক্ষীতেও জেনে নিয়েছি) কী ভীষণ পরিশ্রম করেছেন আপনি এই গল্পের পেছনে । পায়ের নিচে শর্ষেদানা রেখে দৌড়ানোর এই সময়ে আপনার মতো এক তরুণ গল্পকারের এই নিষ্ঠা আমাকে যুগপথ আনন্দিত আর ঈর্ষান্বিত করছে ।
আপনি আমার অভিনন্দন নিন প্রথমে । যে বিষয় নিয়েছেন আপনি , আর যে আখ্যানে বুনেছেন সেটা, সাধুবাদ পাবার যোগ্য ।
কিন্তু যে ভাষা এই গল্পের ? কি বলবেন সুহান ? আপনার শক্তি আছে বলেই, আপনার কাছে এই অধিকার জন্মালো বলেই রাত জেগে লিখছি আপনাকে । আর প্রায় মিনতির মতো বলতে চাচ্ছি,আপনি এই জন্মে আর শহিদুল জহির না পড়ুন ।
এই এক ভয়ংকর আততায়ী আমাদের তরুণদের জন্য । প্রতিদিনের জীবন যতখানি ভাবাদর্শচালিত তারচে অনেক বেশি বৈপরীত্যময়, একঘেঁয়ে, পৌনঃপুনিক এবং অনাবশ্যক উপাদানে ভরা । এমন এক সমাজ কাঠামোতে এমন আপাতঃ নির্ভার আর এক মায়াবী ভাষা নেয়া ছাড়া উপায় ছিলো না এই মহত্ কথাকারের । ভাষা আর ভঙ্গি ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না শক্তিশালী ষাটের দশকের ভাষা ও আদল ভাঙবার জন্যেও । কিন্তু সদ্যই মাথার উপর থাকা এই আততায়ীর হাত থেকে বাঁচবার একটাই উপায় মনে হয়, তাকে পাশ কাটিয়ে উঠে যাওয়া ।
সুহান আপনি পারবেন । আপনার সেই নিষ্টা, দুরগামী আকাঙ্খা, আর অধিকতর পাঠে আপনি আপনার নিজস্ব ভঙ্গি আয়ত্বে আনবেনই ।
যথারীতি তাকে গ্রহণ না করে আলমগীর হোসেনের উপায় থাকে না
কিংবা
এটা অনুমান করা অনেকের জন্যে একটু কঠিন হতে পারে
এই বাক্যগুলো আপনি নিজ থেকেই আবার পড়লে, আমি নিশ্চিত আপনিও আমার মতো জেনে যাবেন, শহীদুল জহির একজন ছদ্মবেশী । বিপজ্জনক এবং একজন বড় মাপের আততায়ী । এতো নিরীহ ভঙ্গিতে তিনি শুরু করেন যে, আপনার আমার মতো যে কেউই তাঁর এই গোপন প্রলোভনে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হবে । আর এই ভাবে যখন তিনি তার শানানো ছোরাটি কারো দিকে বাগিয়ে ধরবেন , তখন তার আত্মরক্ষার চেয়ে বুক পেতে দিতে ইচ্ছে করবে ।
হুম, ভাষা আর আঙ্গিক বাদ দিলে এই গল্পের জন্য ৫ তারা যথেষ্ট নয় বলে সাড়ে ৫ দিলাম ।
আশা করি এতো মাস্টারিপনায় রাগ করবেন না । অধিকারটা নিয়ে নিলাম আর কি !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আপনার বিশ্লেষণ পড়ে দীর্ঘকাল ভাবলাম জবাবটা কীভাবে দেবো...
প্রথমেই বলি, আপনার অভিযোগ মাথা পেতে নিচ্ছি। আমার সাম্প্রতিক কিছু লেখার প্রচেষ্টায় বারংবার অন্য কারো ছায়া দেখা গেছে; তা আপনার মত আরো অগণিত সুহৃদেরা উল্লেখ করেছেন। কেউ মৃদু ধমক দিয়েছেন, কেউ আশ্বাস দিয়েছেন এই সমস্যা কেটে যাবে বলে। আমি নিতান্ত আনাড়ি বলেই বোধহয় ছায়ামুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে। আপনি যে উপদেশ দিয়েছেন, সেটা পালন করে যাচ্ছি। আমার পড়াশোনার দৌড় নিতান্তই অল্প। তবুও সিদ্ধান্ত নিয়েছি- নিকট ভবিষ্যতে আমি তাঁকে আর পড়ছি না।
... চমৎকার সব উপদেশের জন্যে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। ভবিষ্যতেও আশা রাখি যে আপনার মাস্টারি (!!) বজায় রাখবেন। আপনার গল্পও আমার নিয়মিত পড়া হয়। কিন্তু সেগুলো কবিতার এতো কাছাকাছি যে সাহস করে আমি ঠিক মন্তব্য করতে পারি না, কবিতা একদমই বুঝিনা কি না...।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
গল্প কিন্তু জটিল হইসে, কিন্তু আমি এইবার গল্পে বর্ণনা আশা করি নাই। একটু ভিন্ন কিছু আশা করছিলাম। কিন্তু গল্পটা ভালই চলছে, সূচনা থিকা বিস্তার তারপর যবনিকা। আর হিমু ভাইয়ের মত ওই লাইনে আমিও একটু উষ্টা খাইসি, দরকার আছিলো না লাইনটার।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অন্য কী আশা কর্সিলেন বস ??
গল্প শেষ করবার জন্যে অচিরেই মনে হয় অন্য পন্থা ধরতে হবে। একই ভুল করতেসি বারবার গাবরের মত...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
শেষ লাইনটা ছেঁটে ফেললে গল্পটা আরো ভাল লাগবে বলে মনে হচ্ছে।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
উপদেশ মাথায় নিলাম গুরু...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
চমৎকার লেগেছে গল্পটা।
শহীদুল জহির পড়া হয়নি আমার এখনো। তাই বুঝিনি প্রভাব থাকার বা না থাকার ব্যাপারটা, সুমন সুপান্থ যেভাবে বলেছেন। শেষ লাইনটার হয়তো না হলেও চলতো। রাতারাতি বোধোদয় ঘটার ব্যাপারটা একটু কৃত্রিম লাগলো, আলমগীর চরিত্রটা পুরো গল্পে যেভাবে গড়ে উঠেছে, তার সাথে ঠিক যায় না বোধহয়।
ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির ভাই।
... শেষের পরিণতিতে কাজ করবার আছে মনে হয় অনেক।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সেই রকম ভালো লাগল গল্পটা সুহান । একদম একটানে পড়ে ফেললাম। আর সুমন ভাইয়ের মন্তব্যটা পড়ে শহীদুল জহীর এখনও সেই রকম করে পড়া হয়নি বলে আফসোস লাগল।
ভবিষ্যতের জন্য প্রত্যাশাটা অনেক বাড়িয়ে দিলেন সুহান।
রাজিব মোস্তাফিজ
থাঙ্কু থাঙ্কু !!
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
গল্পটা খুবই চমৎকার লাগলো।
শুধু আলমগীর হোসেন কেন আমি নিজেও অড্রে হেপবার্ণকে বেদম ভালোবেসেছি। ভালোবাসি।
আম্মো হ্যারে ভালা পাই ...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভূতের গলির কে যেনো বারেবার উঁকি মেরে গেল।
কাহিনীর বিস্তার ভালো লেগেছে!
.............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
কে উঁকি দিলো ?? ঝাতি ঝান্তে ছায়...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আমার সাথে অড্রের একটা ছবি দিয়া দিতেন
ফটোশপ হইলেও ক্ষতি নাই।
আরে !! আপনার কথা তো ভুইলাই গেসলাম...
দিমুনে বানায়া- আপাতত সোনালী বেন্দ্রের লগে আমার একটা বানায়া লই
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ফাইনৈছে তো....
আবার জিগস...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
দুর্দান্ত!
থাঙ্কু ভাই !!
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হুম এতদিন ভাবতাম হিমু , শিমুল আর অমিত ভাইজানদের মতো গল্প লিখতারলেই জনম স্বার্থক, এখন দেখি লিস্টে আরেক খান নামও যোগ করন লাগবো। তাও আবার হাঁটুর বয়েসী এক পোলা! দুর্দান্ত হৈছে রে ভাই, তোরে মাথায় নিয়া নাচতে মন চাইতেছে বুক ভর্তি হিংসা নিয়াও।
এই যে- ভালো মানুষ গুলারে নিয়া এই সমস্যা। কিছু হইলেই চান্দে তুইল্যা দেয়... এতো উপরে তুল্লেই কিন্তুক পইড়া যামু...
ধন্যবাদ বস। অনেএএএক...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভালো লাগলো সুহান, চমৎকার। সুপান্থদার মন্তব্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তোমার লেখার হাত বেশ সাবলীল, স্বতঃস্ফূর্ত। কাজেই এ ধরনের গ্রুমিং আসলে খুব জরুরী পূর্ণ বিকাশের জন্য।
আচ্ছা, নেহায়েতই কৌতুহলবশত প্রশ্ন- এই গল্পটা লিখতে মোট কতদিন সময় নিলে এবং সব মিলিয়ে আনুমানিক কত ঘন্টা?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আফনেরে ধনিয়া পাতা...
গপ্পোটা মাথায় আসছিলো আবৃত্তি অনুষ্ঠান দেখনের সময়, (খিয়াল কৈরা- দেখনের সময়...)
তথ্য বিচ্রাইলাম সপ্তাহখানেক। ঘন্টা কইতে পারুম না। গত সাত-আটদিনই মনে হয় একটু একটু কইরা লেখসি...(বুয়েটে অঢেল সময় )
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সুহান, কাল রাতে নীড়পাতায় এই গল্পটার যতটুকু দেখা যায় ততটুকু পড়েই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। পুরো গল্প পড়তে গিয়ে দেখি আমার মেজাজ খারাপের কারণ যৌক্তিক। কারণটা কী সেটা তুমি জানো। সেই ব্যাপারে আর কিছু বলব না, কবি সুপান্থ এত চমৎকার ভাবে তা ব্যাখ্যা করেছেন যে আমার আর কিছু বলার নেই।
বর্ণনায় যতটা নাটকীয়তা আছে গল্পে নাটকীয়তা তার চেয়ে কম, পরিণতিও অনুমানের বাইরে যায় নি। তবে তাতে গল্পের সৌন্দর্য ম্লান হয়েছে বলে মনে হয়নি। হয়তো শেষের একটু আগে একটা ম্যাজিক আমদানী করা যেত। তা করা ঠিক হতো কিনা সেটা তুমি ভাল বলতে পারবে। শেষ লাইন নিয়ে সমস্যা এবারও থেকে গেল। এর থেকে তুমি বুঝতে পারছো তোমার Heel of Achilles কোথায়। আগামী গল্পটা নিঃসন্দেহে আরো পরিণত, আরো সুন্দর হবে।
সুহান, এই যে তোমার গল্প নিয়ে আমরা এত লম্বা লম্বা মন্তব্য করছি, উপদেশ দিচ্ছি, মতামত জানাচ্ছি এর কারণ হচ্ছে তোমার গল্প আমরা পছন্দ করি এবং গল্পকার হিসেবে তোমার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা চাই তুমি প্রতিটি নতুন গল্পে আগের তোমাকে ছাড়িয়ে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি সুহান অন্যের ছায়ায় বেড়ে ওঠা গাছ নয়, নিজের আলোয় চারপাশ ভরানোর যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যুগপৎ শঙ্কা এবং আশা নিয়ে পান্ডবদার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম...।
সত্যি বলছি, আপনার মেজাজ খারাপের কারণটা একদমই যৌক্তিক। পাঠকদের প্রতিক্রিয়া- বিশেষ করে সুপান্থদা এবং আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারছি আমিও নবার্ট ব্রুস হয়ে গেছি আজকাল- অর্থাৎ বহু যত্নে আপনাদের তৈরী করা পরামর্শগুলো অপাত্রে বর্ষণ হচ্ছে।
... চেষ্টা করছি- পান্ডবদা- সত্যি চেষ্টা করছি। এর বেশী বলার মুখ নেই।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
দারুণ গল্প
---------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধনিয়া পাতা ।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
গল্ফ ফুরাই কোফাইন্না হৈছে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হ- আমিও কোপানি খাইতেসি সমানে
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভাগ্যিস! ইতোমধ্যেই যা বলতাম অন্যেরা তা বলে দিয়েছেন, আমার আর মাতব্বরি করতে হলো না!
আপনার লেখার হাত দুর্দান্ত, সম্ভাবনা অসীম - শুধু এটুকুই বললাম
য়্যাঁ - য়্যাঁ - য়্যাঁ ...
মাতব্বরি করে নাই...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আমার পড়তে গিয়ে যা মনে হচ্ছিল, সুমন সুপান্থ তা অনেক্ সুন্দর করে ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন৷
পড়তে ভাল লেগেছে৷ বেশ ভাল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হইলাম।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
বাহ শব্দ ভাইডি! তুমিতো দেখি বিয়াপক বর্ণনা দিয়েছো! হেপবার্ণ মহাশয়াকে আমিও বড্ড ভালা পাই! আর শহিদুল জহির পড়িনি, লিখতে থাকো ভাই এইভাবে-আরও ভালো ভাবে, তাহলে পড়ার ইচ্ছাটাও থাকবেনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
উহুহু ,ভুল কথা- বর্ণনায় অনেক ভুল আছে। দেখলেনই তো
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
শহিদুল আমি পড়ি, পড়েছি আরো পড়বো। তার সাথে কারো কারো যখন কেউ কেউ মিল খুজে। সেটা পেলে উপদেশ দেয়, বলে শহিদুলকে ঝেড়ে ফেলতে মাথা থেকে, সেটা আমার ভালো লাগে না। আরে এইসব কি ঝাড়া যায়? নাকি ঝেড়ে ফেলার বিষয়?
গল্প ভালো লেগেছে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মাথায় গেঁথে থাকা , আর প্রিয় সেই লেখকের ভার বয়ে বেড়ানো মনে হয় এক না অপু । সুহানের অমিত সম্ভাবণা আছে মনে হয়েছে বলেই আমি, পাণ্ডব দা , কিংবা দয়মন্তী এমন মাস্টারিপনা দেখিয়েছি ।
আখাতারুজ্জামান ইলিয়াস, কথাশিল্পী মহীবুল আজিজকে একবার বলেছিলেন আমার মতো লিখতে যাও কেন ? মহীবুল আজিজ তখন পালটা জিজ্ঞেস করছিলেন, আরো অনেকের লেখায়ই তো আপনার লেখার প্রভাব আছে, তো ? ইলিয়াস বলেছিলেন,` ওদের কথা জানি না । কিন্তু তোমার শক্তির কথা জানি বলে, ভয় পাই `
গল্পকার সেলিম মোরশেদের কাছে শোনা গল্প ।
সুহানের কব্জি আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে বলে, একটু আশংকিত হয়েছি । হাসান মোরশেদের ভাষায়ই বলি , এখন, সুহান দক্ষ ডুবুরী হলে মণি-মুক্তা তুলে নিয়ে আসবে । আর অ-দক্ষ হলে ডুবে মরবে ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
বস, কোন গল্পই তো আদৌ ঝেড়ে ফেলার না...। কিন্তু ঝেড়ে ফেলা মনে হয় যায়- আমি আনাড়ি বলে পারছি না...।
ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সুহান
গল্পটা ভালো। অনেক ভালো হতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে গেছে শেষে এসে।
আর সুমন ভাইয়ার মন্তব্যটা মাথায় রাখবেন।
শুভকামনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ভালো গল্প লেখার সামর্থ্য আমার নেই বোধহয় রানাপু...
তবুও শুভকামনা আনন্দের সাথে গ্রহণ করলাম...।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
এই গল্প ম্যাজিক রিয়ালিজম কতোটা আমার সন্দেহ আছে, তবে সাহিত্যের ছাত্র নই তাই এই নিয়ে বেশি কচকচিতে গেলাম না। সত্যজিতের একটি গল্প আছে, 'আর্যশেখরের জন্ম ও মৃত্যু', এটিকে সে পর্যায়ে ফেললে বেশি সঙ্গত হবে। বলে রাখি, ওটি তাঁর লেখা আমার প্রিয় গল্পের মধ্যে আসে না। তবে স্টাইল বা জঁর হিসেবে ওটি তাঁর হাতে অদ্বিতীয়।
সুহান, আপনি একমই বালকবয়সী যে আপনার লেখার সমালোচনা করতে খারাপ লাগে। আপনার বয়সে এই জাতীয় পরিণতমনস্কতা থাকলেই আমি বর্তে যেতাম। তবে সেই কারণেই মনে হয়, সমালোচনা আপনি সামলাতে পারবেন। যে লেখকের স্টাইল আপনার লেখায় অনেকে দেখেছেন আমার দুর্ভাগ্য আমি তাঁর কিছুই পড়ি নি। তবে এই স্টাইলে আনন্দদের শিবিরের বাইরের প্রকাশনায় দেখেছি। এমনকি আনন্দের শিবিরে রমানাথ রায় ও হিমানীশ গোস্বামীও খানিকটা তরলিত ফর্মে এই স্টাইল দেখিয়েছেন। যে কোনো স্টাইলই যখন আমাদের প্রভাবিত করে, প্রথম দিকে তার প্রভাব দেখা যায় আমাদের লেখায়। সে প্রভাব ছুঁড়ে ফেলতে হবে না, ক্রমশ সেটি আত্মস্থ হবে, এবং শেষ পর্যন্ত সব মিলেমিশে নিজস্ব স্টাইল বেরিয়ে আসবে। সময় লাগলে লাগুক না, সচলের পাতায় না হয় ধরা রইলো একজন নবীন লেখকের ইভোলিউশনের কাহিনী।
আর্যশেখরের জন্ম ও মৃত্যু- আমার কাছে সত্যজিতের সেইসব গল্পের মাঝে একটা বলে মনে হয়েছে- যেখানে তিনি নিজেকে ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়েছেন। আমি অবশ্য উপরের গল্পটাকে অপ্রাকৃত গল্পের দলে ফেলতে পারিনি বলেই ম্যাজিক-রিয়েলিজম টেনে আনলাম; আমার নিজের কাছেও ঐ ধারা এখনো পুরো স্পষ্ট নয়।
...
সমালোচনাটা আসলে আমি খুব প্রত্যাশা করি। আমার দৌড় সম্বন্ধে আমি সচেতন- এবং আমি জানি আপনাদের পরামর্শ ছাড়া খুব বেশি এগোনো আমার জন্যে কঠিন। ইভোলিউশনের আশায় নিয়মিত আপনি এবং আর সকলের এসব চমৎকার বিশ্লেষণের অপেক্ষায় রইলাম আমিও...।
ধন্যবাদ পাঠুদা।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সুহান আপনি খুব চমৎকার লিখেন। এটাও খুব ভালো হয়েছে। বড় বড় লেখকদের প্রভাব লেখায় পড়তেই পারে, কিন্তু সতর্ক আর কুশলী লেখকরা সেটা কাটিয়েও উঠতে পারেন। আপনিও পারবেন।
আপনার ’ক্যফেদা’ - কে নিয়ে এবার একটা গল্প লিখলে কেমন হয় ! বা ’একটি অপরাধের গল্প’ এর মতন আরেকটা চমৎকার অণুগল্প ! একটু স্বাদবদল হতো আর কী ! তারপর আবার গা ঝাড়া দিয়ে আরেকটা এ ধারার গল্প !
আপনি খুব ভালো লিখেন আর আপনার কাছে আরো ভালোর প্রত্যাশা আছে বলেই এই কথাগুলো বললাম। কিছু মনে করলেন না তো!
নিজস্ব ভাবনার সাথে মিলে গেলো যে বইখাতাপু (আপুই হবেন জানি )। আমিও ভাবছিলাম একটু আবার অণুগল্পের দিকে নজর দিয়ে সকলকে বিরক্ত করবো- তাতে যদি প্রভাবমুক্তি দ্রুতগামী হয়...
নিয়মিত লেখা পড়েছেন বলে ধন্যবাদ জানাই।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভাল লেগেছে... আমিও অড্রে হেপবার্নকে ভালোবেসেছি... এখনও বাসছি...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আমি তারে জম্মের ভালা পাই...
ধন্যবাদ তানিম ভাই।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
দুটি কথা ।
১
এডিসন ১০০ বার এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন ( সঠিক সংখ্যাটা ৯৯ অথবা ১০১ ও হতে পারে ) বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের জন্য । ১০০ টি এক্সপেরিমেন্ট বিফল হওয়ার পর ১০১ম বারে সফল হলেন । এক্সপেরিমেন্ট করা এবং তাতে বারবার ভুল করাতে আমি কোন সমস্যা দেখিনা ।
এডিসন ১০০ তম বারে ক্ষান্ত দিলে ইতিহাস তাকে বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের নেশায় মগ্ন ব্যর্থ পাগল হিসেবেই মনে রাখত । কিন্তু ১০১ম বারের চেষ্টাটা 'বাই চান্স' সফল হয়ে গেল, তাই আমরা স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এডিসনকে নিয়ে লেখা গল্প পড়ি যেখানে তাকে বিরাট বিজ্ঞানী হিসেবে ডাকা হয় ।
২
ভালৈছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আপনি তো নটরডেমের বণিকের কথা মনে করায়া দিলেন- যে ক্যাবল দুটো কথা বলতো...
১। ধন্যবাদ
২। আড্ডায় আসেননা ক্যান ??
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
অনেক দেরীতে লেখাটা পড়লাম , সুহান।
আমি মাস্টারমশাই না, অতকিছু বুঝিওনা।
সাধারণ পাঠক হিসেবে বলছি, গল্পটা ভালো লেগেছে। অনেক ভালো।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আপনি মশাই বড়ই বিনয়ী...
ধন্যবাদ, ভালো লেগেছে জেনে খুশি হই।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
লেখা, মন্তব্য সব মিলিয়ে মুদ্রার ২ পিঠ দেখলাম, লেখাটা এবং তোমার মনোভাব ভালো লেগেছে। কারো ছায়া এসে থাকলেও আমি বুঝতাম না, কারন বর্ণিত ভদ্রলোকের লেখা আমি পড়িনি। আর এনকিদুর মন্তব্যটা আমাদের মত নতুন ব্লগারদের জন্যে ব্যবহার বান্ধব। তবে এটাও ঠিক, কেউ যদি কারো ছায়া অবলম্বনে লিখে থাকে, তাহলে তা উল্লেখ করে দেওয়াটাই বেশি ভালো।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার মনে হচ্ছে সাইব্বাই এখানে বুঝতে ভুল করেছেন...। লেখাটা কারো 'ছায়া অবলম্বনে লেখা' নয়- সেইক্ষেত্রে যে মূল লেখকের নাম উল্লেখ করতে হয়; সেটা তো আমি জানিই। উপরের মন্তব্যগুলো নির্দেশ করছে এই লেখায় আরেকজনের প্রভাব আছে। রবীন্দ্রনাথের সমকালীন প্রায় সব কবির কবিতায় যেমন রবীন্দ্র-বলয়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়; এটা মোটামুটি সেই রকম।
এই লেখায় অন্য কারো ছায়া দেখা গেলে সে দোষ আমারি, নিঃসন্দেহে। কিন্তু লেখাটা মৌলিক- সেটা ছায়া নিয়ে লেখা না।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
কী দারুন দেখা গেলো!! থুক্কু, পড়া গেলো!!!
অড্রে রে আমি মেলা ভালা ফাই !!! :X
লেকা ফড়ে আমি কাইত !! :-ss কী ভালো লিখলেন মনু!!
হেহেহ, এ আর এমঙ্কী !!!
_________________________________________
সেরিওজা
খুব ব্যস্ত সময়ে লেখাটা পড়েছিলাম। সুহানকে স্যালুট জানিয়ে গেলাম...।
অড্রে হেপবার্নকে এখনো ভালবেসে যাচ্ছি আর যাবও হয়তো।
রোমান হলিডে দেখা হয়েছে এপর্যন্ত ১৮ বার।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমি ১৮ বার দেখি নাই- তবে অড্রেরে ভালোবাসার কমতি নাই আমার...
শরম পাওয়ার কথাটা আরেকবার বইল্যা গেলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
খুব ভালুবাসি অড্রেকে
বর্ণনাটা দারুণ ভাল লাগল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন