স্কিপার- এক আদর্শ নেতা। দায়িত্বপালনের প্রশ্নে তিনি যেমন অটল; ঠিক তেমনি অধীনস্থ ত্রিরত্নের ভালোমন্দ নির্ধারণে পটু। নানাবিধ বিপজ্জনক অভিযানে দলকে নেতৃত্ব দিতে তিনি সিদ্ধহস্ত। কখনো হারিয়ে যাওয়া মুকুটের উদ্ধারে মল্লযুদ্ধে নামেন, কখনো পেঙ্গুইন জাতির সম্মান রক্ষার্থে নর্দমার পাজির পা ঝাড়া ইঁদুরগুলোর সাথে আইস-হকি খেলবার সিদ্ধান্ত নেন। দুর্বলতা কিংবা কর্তব্যে অবহেলা বলতে স্কিপারের চরিত্রে কিছু নেই- কেবল সইতে পারেন না ইঞ্জেকশনের সুঁইয়ের খোঁচা...।
কলোস্কি- দুর্দান্ত প্রতিভাবান একজন আবিষ্কারক, পেঙ্গুইন দলের থিঙ্কট্যাঙ্ক। স্কিপারের মুখ থেকে "কলোস্কি- অপশন !!" হাঁক শোনার অপেক্ষা কেবল, মুহুর্তেই প্রস্তুত কলোস্কির নানাবিধ চমৎকারী বৈজ্ঞানিক পন্থা। কত বিচিত্র পরিস্থিতিতে বারবার পেঙ্গুইন দলের একমাত্র ত্রাতা হয়ে এসেছে কলোস্কির আবিষ্কার !!! সেই যে চাঁদে অভিযান করতে গেলো পেঙ্গুইনেরা, কিংবা লেমুরদের সাথের গাড়ির রেসে যা ঘটলো- সে সবইতো কলোস্কির কল্যানে। সেই কলোস্কি কী করে হারিয়ে ফেললো নিজের অপশনের খাতা ?? কিংবা বিদেশী গুপ্তচরের কাছ থেকে নিজের আবিষ্কার বাঁচাতে কী করেছিলো সে ??
রিকো- পেঙ্গুইন দলের মাসলম্যান। চলমান অস্ত্রাগার। হেন অস্ত্র নেই যা রিকোর মুখ থেকে বেরোয় না। পেঙ্গুইন দলের শক্তিপ্রয়োগের ক্ষেত্রগুলোয় অবধারিত হয়ে আসে রিকোর হস্তক্ষেপ। কখনো ইঁদুর হটাও প্রকল্পে , কখনো বা জু-কিপার এলিসের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে ধরা পরে রিকোর প্রয়োজনীয়তা। স্কিপারের মুখে "রিকো" ডাক শোনার সাথে সাথে নড়েচড়ে বসতে পারেন দর্শক- এই এডভেঞ্চার শুরু হলো বলে...।
প্রাইভেট- একদম সাধারণ এক পেঙ্গুইন। ক্ষুরধার নেতৃত্বদানের ক্ষমতা তার নেই, অস্ত্র কিংবা শক্তি প্রয়োগে পারদর্শীতা নেই, নেই বৈজ্ঞানিক কলকব্জা দিয়ে সকলকে তাজ্জব করার ক্ষমতা। প্রাইভেটের আছে সকলের জন্যে বুক ভরা ভালোবাসা। আর আছে সকলের উপকারে এগিয়ে যাওয়ার এক দরাজ মন। তাই দেখা যায় ডিমের ভেতরের হাঁসের ছানাটিকে রক্ষার জন্যে প্রাইভেটের নিদারুণ চেষ্টা অথবা ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় নিরানন্দ টেড নামের শ্বেতভাল্লুকটিকে আনন্দ দিতে গিয়ে প্রাইভেটের বন্দীত্ব বরণ।...
নিউইয়র্ক কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানার এই চার পেঙ্গুইনকে নিয়েই পেঙ্গুইনস্ অফ মাদাগাস্কার কার্টুন সিরিজের একেকটা পর্ব এগিয়েছে। মাদাগাস্কার নামের বছর চারেক আগে বক্স-অফিস হিট এনিমেশনটা যারা দেখেছিলেন, তাঁদের কাছে অপরিচিত থাকার কথা নয় এই পেঙ্গুইনদের। ঐ এনিমশনের পরিচালকদ্বয় এরিক ডার্নেল এবং টম ম্যাকগ্র'র মস্তিষ্ক প্রসূত ধারণা থেকেই সৃষ্টি এই সিরিজের।
পেঙ্গুইনগুলো ছাড়াও প্রতিটি পর্বে উপস্থিত অন্যান্য চরিত্রগুলোও এই সিরিজের পর্বগুলোকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। প্রচন্ড মজাদার একটি চরিত্র হলো লেমুর রাজা 'কিং জুলিয়ান'। গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল- নীতির এই লেমুরের কান্ড দেখে না হেসে থাকা সম্ভব হবে না। লেমুর-রাজ ছাড়াও রয়েছে আরো দুই লেমুর। মরিস এবং মর্ট। রয়েছে ভোঁদড় মার্লিন, রয়েছে জু-কিপার এলিস। এদের নিয়ে, এদের জড়িয়ে, এদের চারপাশেই একের পর এক অভিযান চলে পেঙ্গুইন দলের।
২৭ পর্বে বিস্তৃত এই কার্টুন সিরিজের প্রতি পর্বের দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১২ মিনিট। প্রায় প্রতিটা পর্বই বিষয়বস্তুতে অভিনব। এই সিরিজের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে সংলাপগুলোর হিউমার, বিশেষ করে কিং জুলিয়ানের সংলাপগুলোতো অ-সাধারণ !! নিছক পিচ্চিরা ছাড়াও- বুড়োদের দেখতেও খারাপ লাগার কথা নয়।
তাহলে আর দেরী না করে একটূ ঘুরে আসুন নিউইয়র্ক চিড়িয়াখানার পেঙ্গুইনদের সাথে। প্রাণ খুলে একটু হেসে নিন- দেখবেন নিজের অজান্তেই একটু পরে আপনিও চ্যাঁচিয়ে উঠছেন "কলোস্কি- অপশন !!" বলে...।
মন্তব্য
ওহে, পর্ব মনে হয় ৩৫ টা।
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
ঐ, দ্যাখ আইএমডিবি বলতেসে ২৭ পর্ব। আমি গুইনা দেখলাম আমার কাছে ৩১টা আছে- তাইলে তোর কাছ থেইক্যা ৪টা পাওনা রৈলো...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
দেখতে হয় দেখি!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হ- দেইখ্যা লন। মজাক পাইবেন...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
কি বলেরে এইসব? স্কিপার, মাদাগাস্কার... কিছুইতো চিনি না।
----------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
রিভিউ পড়ে দেখতে ইচ্ছে করছে। সবগুলো পর্ব আছে নাকি তোমার কাছে?
অটঃ একটা আবিষ্কার করলাম তোমার লেখা পড়তে গিয়ে, তুমি কোন বই বা সিনেমার গল্প আড্ডায় যে স্টাইলে কর রিভিউতেও সে স্টাইলটা আসে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আমার কাছে ৩১টা আছে- প্রায় ৩ গিগা সাইজের- পেন্ডড়াইভ দিয়েন।
অটঃ এইটা ভালো না মন্দ, বুঝলাম না...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
- আরে সিরাম জিনিষ! আমি এই জিনিষের চরম ভক্ত সেই ২০০৫ সাল থেইকা।
কোয়ালস্কিরে সেইরম লাগে আমার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, বস। কোলস্কি আমার সবচে ফেভ্রিট...
_________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
রিভিউটা পড়তে যেয়ে প্রথমেই কিশোর, রবিন আর মুসার কথা মনে হল। আর পুরো রিভিউটা দুর্দান্ত লাগল ।
থাঙ্কুশ !!
... দেইখ্যা নিয়েন, মজা পাবেন।
_________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আইইউটিতে এক রুমে চারজন ছিলাম ... তার দরজা
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
হো হো হো
ব্লগের চাইতে ছবিটা বেশি মজার হইছে । আপনি কোনটা ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
উনি রিকো
_________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
উপরের ছবিতে রিকো কোনটা সেইটা আগে কও, তারপরে চিন্তা করা যাবে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
থেঙ্কু, থেঙ্কু।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ক্যান ??? বাচ্চাগো দেখাইবেন ???
_________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
মজারু পুস্ট, টরেন্ট কইরা লও মামু, হক্কলডি পাইবা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন