বুকশেলফের গল্পঃ রবার্ট ল্যাংডনের তৃতীয় অভিযান_ দ্যা লস্ট সিম্বল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: সোম, ৩০/১১/২০০৯ - ৯:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাতিরপুল কাঁচাবাজার সংলগ্ন সর্মা-ভবনের উপরের ঘরটার বামকোণার টেবিলে বসে সর্মায় প্রথম কামড় দিয়ে আমি বললাম, " ছিলো রুমাল, হয়ে গেলো একটা বেড়াল..."

এনকিদু ভাই মাথা দুলিয়ে বললেন, "হুম, ধুমসে সুকুমার পড়া হলো বুঝি ??"

বললাম, "না, সুকুমার নয়- ড্যান ব্রাউন।"

শাহেনশাহ সিমন মুখভর্তি সর্মা নিয়ে কথা বলতে পারছিলেন না। তারই মাঝে কোঁকালেন- "কিছুই বুজতে পাল...য়াম না। ..."

এনকিদু ভাই আবারো বললেন," এখানে ড্যান ব্রাউন কোথা হতে আসলো সুহান ? তার তো শুনলাম রিসেন্ট বইটার নাম The Lost Symbol "

বললাম, "লস্ট সিম্বলের কথাই তো বলতে চাচ্ছিলাম। যেটা এখন হয়েছে লস্ট সিম্বল- সেটাই হবার কথা ছিলো The Solomon's Key."

সবজান্তা ভাই এবার মুখ খুললেন- "আরে তাইতো !! আমিও তো এই কথাটা শুনসিলাম...। লস্ট সিম্বল অবশ্য আমার এখনো পড়া হয় নাই। কে কে পড়সো বইটা ? "

দেখা গেলো, কটূভাষী আমি- স্বল্পভাষী নিবিড় ভাই এবং নম্রভাষী মেহদী ভাই ছাড়া বাকি চারজনের এই বইটা অপঠিত রয়ে গেছে। চতুর্থ জন, অর্থাৎ তারেক ভাই জানালেন যে কবিতা ছাড়া তার আর অন্য কোন বিষয়ে আগ্রহ নাই। এবং এই কথাটা বলার পরক্ষণেই এনকিদু ভাইয়ের গ্লাস থেকে সিমন ভাইয়ের নিজের গ্লাসে কোক স্থানান্তরের নির্লজ্জ প্রয়াস দেখে তারেক ভাই আজকে দ্বিতীয়বারের মতো বললেন- "ছিহ ! ছিমন ভাই, আপনে একটা ছিক !!"

সিমন ভাই অক্লেশে কথাটা সহ্য করে এবার মূল আলোচনায় অংশ নিলেন। " হে হে... এবার আড্ডায় একটু মন দিই। কী নিয়ে যেনো কথা হচ্ছিলো ?? ও- লস্ট সিম্বল। কি আছে এই বইতে? মূল চরিত্রগুলা কে কে ?? দাঁড়া, দাঁড়া- সুহান তুই না। তুই বেশি কথা বলিস। মেহদী- তুমিই কও..."

মেহদী ভাই কোকের গ্লাসে একটা চুমুক মেরে শুরু করলেন। "চরিত্র নিয়ে তো বেশি কিছু বলবার নাই। The 'Da Vinci' Code আর Angels & Demons এর সেই যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিম্বোলজির প্রফেসর, রবার্ট ল্যাংডন- এইটাতেও মূখ্য চরিত্র সে। আর লস্ট সিম্বলের পূর্বনাম সলোমন'স কী রাখার কারণ ছিলো মনে হয় এই বইয়ের অন্যতম শীর্ষ চরিত্র পিটার সলোমনের নামে। পিটার আর তার বোন ক্যাথরিন সলোমন এই বইতে আগাগোড়া রবার্ট ল্যাংডনের সাথেই সমান গুরুত্ব নিয়ে ছিলো। এরপরে কাহিনীর প্রয়োজনে আরো কিছু চরিত্র স্বাভাবিক ভাবেই আসে।"

-"এইটা তো মেহদী তুমি বেশি সিম্পল কইরে বললা, একটু ডিটেইলসে ক ব্যাটা।" এনকিদু ভাই নাক গলান।

-"আচ্ছা- এইবার আমি বলি।" মেহদী ভাইকে রক্ষা করতে সর্মার শেষ টুকরো দ্রুত চিবিয়ে নিয়ে নিবিড় ভাই বলে ওঠেন এবং তারদিকে একটা কৃতজ্ঞ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মেহদী ভাই নিজের সর্মাতে আবার মনোযোগ দেন। "কাহিনীর শুরু হয় হার্ভার্ডের পুলে সাঁতার কাটতে থাকা প্রফেসর ল্যাংডনকে নিয়ে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তিনি বিশেষ একটা বক্তৃতার আমন্ত্রণ পান আমেরিকার ইতিহাসে অত্যন্ত প্রভাবশালী গুপ্ত সংঘ ফ্রী-ম্যাসনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং তার পারিবারিক বন্ধু- মিলিওনিয়ার পিটার সলোমনের কাছ থেকে। সকালে ফোন পেয়ে সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে এসে উপস্থিত হয় ল্যাংডন। ইউএস ক্যাপিটাল বিল্ডিং- যেটা আমেরিকার নিজস্ব ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী এক বিশাল দালান- সেখানে বক্তৃতা প্রদানের জন্যে প্রবেশ করে ল্যাংডন এবং ঘটনা মোড় নিতে শুরু করে। ল্যাংডন বুঝতে পারে বন্ধু পিটার সলোমনকে আবার জীবন্ত দেখতে চাইলে তাকে অদ্ভূত এক লোকের নির্দেশ পালন করে যেতে হবে নির্দ্বিধায়। খুঁজে বের করতে হবে একটা প্রাচীন দরজা- যেটা লুকিয়ে আছে এই বিশাল ওয়াশিংটন শহরের কোথাও- ভেদ করতে হবে শতাব্দী প্রাচীন ফ্রীম্যাসনদের ম্যাসনিক পিরামিডের রহস্য।"

-"কিন্তু এই রহস্যের মধ্যে ক্যাথরিন সলোমন আসলো কোথা থিকে ??" সিমন ভাইয়ের মুখের ভিতর অদৃশ্য হতে থাকা একের পর এক সর্মার দিকে বিরসবদনে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন সবজান্তা ভাই- চাকরীর প্রথম মাসের বেতনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আজকের বিলটা তিনিই দিচ্ছেন কী না।

-"ইয়ে, ক্যাথরিন হইলো একজন নিওটিক সায়েন্টিস্ট।" সুন্দরী নারীর বিষয় আসতেই মাথা না গলিয়ে থাকতে পারিনা আমি। এ আমার স্বভাব, একে অনেকটা সহজাত প্রবৃত্তি বলতে পারেন।

-"কী বললা ? নিওটিক সায়েন্টিস্ট ?? এই নিওটিক সাইন্স আবার কী বস্তু ??" এনকিদু ভাইয়ের এসব দিকে প্রবল আগ্রহ- নারী তো বটেই, তায় আবার বিজ্ঞানী।

-"নিওটিক সাইন্স হইলো, সোজা বাংলায় বলতে গেলে 'যন্ত্রে নয়, মন্ত্রেই সিদ্ধি' বাক্যে বিশ্বাসী বিজ্ঞান। যতই দিন যাচ্ছে মানুষ মনের উপর নিজের শক্তিটা হারিয়ে ফেলছে। প্রাচীন পুরাণে মুনিরা দেখতেন না, ক্যামন সব অবিশ্বাস্য কান্ড করতো কেবল মনের জোরে ?? ক্যাথরিনের গবেষণাটা ঠিক সেই ধরণের। যাতে করে মানুষের মনের শক্তিতে মানুষ নিজেই আস্থা অর্জন করে নানা অসাধ্য সাধন করতে পারে। কিন্তু অজ্ঞাত যে প্রতিপক্ষ পিটার সলোমনের জীবনের উপর আঘাত হানে- সেই একই প্রতিপক্ষ বিশেষ কারণে পছন্দ করে না ক্যাথরিনের এই গবেষণা। অতএব আসে দ্বি-মুখী আঘাত। আক্রান্ত হয় ক্যাথরিনও।"

-"ক্যাথরিনকে আমি ভালু পাই !!" - সামনের টেবিলের মাংসল ভাবীটির দিকে তাকিয়ে শেষ হয়ে আসা কোকের গ্লাসে স্ট্র দিয়ে উদ্দেশ্যমূলক 'ছিক' 'ছিক' শব্দ করার ফাঁকে বললেন সিমন ভাই।

তারেক ভাই আবারো বললেন- "ছিহ ! ছিমন ভাই, আপনে একটা ছিক !!"

-"তোমরা বইটা নিয়া এতো ভালো ভালো কথা বললা, কিন্তু পরিচিত অনেকে যে বললো, এই বইটা ভালো হয় নাই ? বোরিং লাগসে ??" এনকিদু ভাই প্রশ্ন ছোঁড়েন।

জবাব দেন নিবিড় ভাই। "এইটার একটা মাত্র কারণ হইতে পারে। সেটা হলো ড্যান ব্রাউনের নিজের তৈরী ফর্মূলায় নিজেরই আটকা পড়া। খেয়াল করে দেখলাম, ল্যাংডনের তিনটা উপন্যাসের প্রতিটাই একই ছকে বাঁধা। শুরু থেকেই একাধিক পথে জাল ছড়িয়ে সেটা কেন্দ্রের দিকে টেনে আনা। একটা গুপ্ত সঙ্ঘ, একটা আততায়ী, টুইডের সুট পরা আধুনিক ইন্ডিয়ানা জোন্স রবার্ট ল্যাংডনের সাথে এক সুন্দরী রমণী, প্রাচীন কোন ধাঁধার সমাধান করতে গিয়ে চমৎকার সব কোড ব্রেকিং, বারো থেকে চব্বিশ ঘন্টার কাহিনী, একরাতেই পুরো পৃথিবী উলোট-পালট করে দেয়া ইঁদুরবেড়াল দৌড়।"

-"এই কাহিনীও কি একদিনের নাকী মিয়া ?" সবজান্তা ভাই এবিষয়ে কিছুই জানেন না, বোঝা যায়।

-"হ, একরাতের।" মেহদী ভাই সর্মাটা শেষ করে নিশ্চিন্ত গলায় বলেন। "ঠিক করে বলতে গেলে, দশ ঘন্টার। ল্যাংডনরে জটিল লাগে আমার। গতবার ইন্টারপোল- আর এইবার সিআইএ সিকিউরিটি চীফ স্বয়ং তার পেছনে লাগে তারে ধরবার জন্যে। মজার দৌড়। "

-"হুম, তা হইলে বিষয়টা কী দাঁড়াইলো ? পড়া উচিৎ বইটা ?" এনকিদু ভাই প্রশ্ন ছোঁড়েন।

-"আমার মতে," আমি বললাম, "পড়লে মজা পাবেন। বিশেষ করে যারা থ্রিলার, এডভেঞ্চার, গুপ্তধন উদ্ধারের টানটান উত্তেজনায় ঠাসা গল্প পড়তে ভালোবাসেন- তাদের তো এইটা অবশ্যই পড়া উচিৎ। বোনাস হিসেবে ব্রাউনের নিজস্ব টিপিকাল কোডব্রেকিং এর স্বাদতো পাওয়া যাবেই। উম্ম... যেমন ধরেন একটা বলি। jeova sanctus unus- প্রাচীন এই হিব্রুলিপির অর্থ জানেন ?? আচ্ছা, আমিই বলে দিই। এই প্রবাদের অর্থ হলো একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর। মজার বিষয় হচ্ছে, বিখ্যাত এক বিজ্ঞানী সর্বদা নিজের নাম সাক্ষর করবার সময় এই লিপিটাই ব্যবহার করতেন। কারণ, হিব্রু থেকে এই লিপি ল্যাটিনে অনুবাদ করার পর উলোটপালট করে সাজালে পাওয়া যেতো ঐ বিজ্ঞানীর নামটাই- issac newton !!! "

মেহদী ভাই আরো যোগ করেন- " এই নিউটন সাহেব কিন্তু তাপমাত্রার একটা নিউটনীয় স্কেল নির্ধারণ করসিলেন। সেই স্কেলে ফুটন্ত পানির তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হইসিলো ৩৩ ডিগ্রী। মজাটা অন্য জায়গায়। কারণ নিউটন নিজে ছিলেন ফ্রী-ম্যাসন সঙ্ঘের একজন সদস্য এবং ম্যাসনদের কাছে এই ৩৩ সংখ্যার মাহাত্ব্যই আলাদা। "

- "ক্যান ? ৩৩ দিয়া কী হয় আবার ??" বিলের অংকের দিকে তাকিয়ে ভাঙ্গা গলায় বলেন সবজান্তা ভাই।

-"কারণ, " জবাব আসে নিবিড় ভাইয়ের কাছ থেকে, " ৩৩ ছড়ায়া আছে সব ধর্মগ্রন্থে। বেহেশতে সকল পুরুষের বয়স হবে ৩৩, জেসাসকে ক্রুশে চড়ানো হইসিলো ৩৩ বছর বয়সে, এমনকী- মানুষের মেরুদন্ডে আছে ৩৩টা কশেরুকা !!! এই রকম আরো কত মজার ফ্যাক্ট যে আছে বইটায় !!"

এনকিদু ভাই প্রায় লাফ দিয়ে ওঠেন। "ওহ নিবিড় ! আর বইলো না, আর বইলো না। আমার তো এক্ষনি পইড়া ফেলাইতে ইচ্ছা করতেসে। দাম কত নিসে বইটার ?? "

-"ইংরেজী আর বাংলা- দুইভাবেই বইটা এখন পাওয়া যাইতেসে।" আমি বলি। "আমি ইংরেজীটা এক বন্ধুর কাছ থেইক্যা বাগাইসি আর বাংলা কিনলাম একটা। দুইটাই নীলক্ষেত এডিশন- কাজেই দাম মূলত নির্ভর করবে মুলামুলির উপর। তবে ইংরেজী ৯০ থেকে ১০০ টাকা আর বাংলা যেহেতু একাধিক প্রকাশনীর অনুবাদ বের হইসে- মোটামুটি ১৮০ থেকে ২০০ এর মাঝেই পাওয়া যাবে।"

-"তো বইটার মোদ্দা কথা কী ? বল দেখি কেউ। শুনে ধন্য হই।" শাহেনশাহ সিমনের গলায় দুটো সর্মা, একটা আস্ত পিজা এবং দু'গ্লাস কোক সাঁটানোর পরের অবধারিত পরিতৃপ্তির আভাস।

-"মোদ্দা কথা হচ্ছে," নিবিড় ভাই বলেন। "মানুষের অগাধ মানসিক শক্তিতে আস্থা ফিরিয়ে আনা উচিৎ। কবির ভাষায় বললে 'মানুষের মাঝেই স্বর্গ নরক' আর হলি বাইবেল থেকে বললে 'তোমরাই ঈশ্বর'।"।

-" হুঁহ," বললেন সিমন ভাই, "এইসব ছাইঁপাশ পড়বার জন্যে আমি ঐ ছাতার বই পড়ুম ??"

- "ছিহ ! ছিমন ভাই, আপনে একটা ছিক !!" তারেক ভাই আবার বললেন। এবং এইবার ক্যান বললেন- এটা এখনো বুঝতে পারি নাই...


মন্তব্য

লীন এর ছবি

হুম, ভালো ভালো।

______________________________________
লীনলিপি

______________________________________
লীন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হ, আমার তো ভালোই লাগলো...

_________________________________________

সেরিওজা

সবজান্তা এর ছবি

হা হা হা হা, দারুণ লিখসো সুহান। বিশেষত তারেকের এতো বস্তুনিষ্ঠ বর্ণনা আর হয় না দেঁতো হাসি

ছিক তারেক দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অক্ষণ পরের খাওয়াটা কবে খাওয়াইবেন - সিটা বলেন...

_________________________________________

সেরিওজা

নজমুল আলবাব এর ছবি

বাঙলাই পড়তে পারি না, আর এরা আংরেজী পড়ে!

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

হাসিব এর ছবি

আম্রা ক্ষ্যাতই থাইকা গেলাম মন খারাপ

নজমুল আলবাব এর ছবি

হ। মন খারাপ

আপ্নে আমিতো একি সালে, একি মাসে। তাই এত্তো মিল।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আবুল হাসান অপঠিত থাকার কারণে এইরুপ পরোক্ষভাবে আম্রে ক্ষেত বলার তেব্র নিন্দা জানাইলাম...

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বিখ্যাত সিমিয়াটিশ্যান মায় ঔপন্যাসিক উমবার্তো ইকো একটা লেখা লিখছেন ডেন ব্রাউনরে নিয়া ।পড়বার পারেন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লিংকের জন্যে ধন্যবাদ। পাঠকের কাছে ঐ লেখার অংশবিশেষ তুলে দিচ্ছি
-
it is amazing how many people take that book literally, and think it is true. Admittedly, Dan Brown, its author, has created a legion of zealous followers who believe that Jesus wasn't crucified: he married Mary Magdalene, became the King of France, and started his own version of the order of Freemasons. Many of the people who now go to the Louvre are there only to look at the Mona Lisa, solely and simply because it is at the centre of Dan Brown's book.

_________________________________________

সেরিওজা

খেকশিয়াল এর ছবি

তারেক একটা ছিক ছেলে
বইটা পড়তে হইবো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

তারেক ভাইকে আমরা ভালু পাই দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

নিবিড় এর ছবি

তারেক ভাইয়ের এত সুন্দর বর্ণনা আর পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। সুহান তুমি মিয়া আসলেই একটা ছিক দেঁতো হাসি
লেখার স্টাইল ভাল লাগছে চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হ, আমি আসলেই একটা ছিক । কোলন ডি।

_________________________________________

সেরিওজা

নিবিড় এর ছবি

কোলন পি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দ্রোহী এর ছবি

লস্ট সিম্বল পইড়া ঠিক্করছি জীবনে ড্যান ব্রাউনের লেখা বই আর পড়ুম না। মহা মহা বিরক্তিকর ভাবে টানছে বইটারে।

বর্ষা এর ছবি

" ছিলো রুমাল, হয়ে গেলো একটা বেড়াল..."---- "হুম, ধুমসে সুকুমার পড়া হলো বুঝি ??"বললাম, "না, সুকুমার নয়- ড্যান ব্রাউন।" এরচেয়ে ভালো ড্যান ব্রাউন বুক রিভিউ আর কি হতে পারে।

দ্রোহীকে মাঝে মাঝে আমার সিক মনে হয়। কেমনে এমন একটা প্রোফাইল পিকচার মানুষ খুঁজে পায়। আমি হাস্তে হাস্তে শেষ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বর্ষাপুরে বহুৎ শুক্রিয়া...
আর দ্রুহী ভাইরে নিয়া আর কী কমু; উনি একটা মন্দ লুক। জেমস বন্ড পইড়া বলেন- "এইটা মাসুদ রানার লেনিনগ্রাদ। " ... বোঝেন।

_________________________________________

সেরিওজা

বর্ষা এর ছবি

সুহান, মন্দ হবার তো লিমিট তো থাকে। এইসব জিনিস আর কারো মাথা হইতে বের হইতে দেখস? আমি প্রথমে পড়ে হা করে বসে থাকি যে কেমনে এই কথা ওর মাথায় আসলো?
তোমার এই লেখাটা জাঝা হইছে। ড্যান ব্রাউনের প্রথমটাই পইড়া ভালো লাগছিলো এরপর নাসার ঐ যে চাঁদের টুকরার চাপাবাজি আর সহ্য হয়নাই।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

দ্রোহী এর ছবি

ওইটা অ্যালিস্টার ম্যাকলিন। ব্যাটা আমাগো মাসুদ রানার লেলিনগ্রাদরে কপি মাইরা আইস স্টেশন জিব্রা ল্যাখছে। শালা চুরার চুরা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এলিস্টার ম্যাক্লিন আমি পড়ি নাই- হ্যায় কি টম ক্ল্যন্সিরো গুরু ???

_________________________________________

সেরিওজা

দ্রোহী এর ছবি

তারেকেরে "ছিক" সাজাইয়া ল্যাখা দেবার জন্য সুহান রিজওয়ানের ফাঁসি চাই

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

"আমার ফাঁসি চাই"...

_________________________________________

সেরিওজা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

স্টাইল-টা যথেষ্ট অশ্লীল হৈছে! চোখ টিপি [এইটাও তারেকের ভাষায় বললাম।]
মজা পাইলাম। চলুক

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওবুউক [এইটাও তারেক ভায়ের ভাষা], ইবে কী খদ্দে ??

দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

উগ্গো গম ঐছে বদ্দা! দেঁতো হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বই পড়তে আর সময় পাই না। এখন থেকে বুক রিভিউ পড়েই স্বাদ মেটাতে হবে... মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আবার জিগস।

_________________________________________

সেরিওজা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখনির কারনে বইটা আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে, অনেকদিন যাবৎ বইটা ফেলে রেখেছি, পড়া হচ্ছে না, যারা পরেছেন, সবাই কেন যেন ভূয়া ভূয়া করতেছেন :(। আসলে ভেংচি কোড আর এনজেলস এন্ড ডিমন্স এর পরে যাই লেখুক ড্যান ব্রাউন, তার তুলনা হবে আগের বইগুলার সাথে, আর সেখানেই মার খাচ্ছে বেচারা। কম্পুতে পরতে চাইলে পিডিএফ আছে, পয়সা খরচা করার দরকার কি?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সমস্যাটা ঐখানেই...। ব্রাউনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি আর ব্রাউন একই ফরম্যাটে লিখে যাচ্ছেন। একটু চিন্তা করেন- যদি এই লস্ট সিম্বল, ভিঞ্চি কোডের আগে বাইরাইতো ??

_________________________________________

সেরিওজা

নৈষাদ এর ছবি

আপনার লেখাটা চমৎকার লাগল। বইটার ব্যাপারে দ্রোহী ভাইয়ের সাথে একমত, লেখটা কিছু কিছু জায়গায় অনর্থক টানা হয়েছে। তবে ড্যান ব্রাউন আর পড়ব না একথা বলার ইচ্ছা বা সামর্থ কোনটাই নেই। বেশ অনেকদিন পর এত মোটা একটা বই প্রায় একটানেই পড়েছি।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ।

দেখলেন; হতে পারে ড্যান ব্রাউন এখন আমাদের প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না অনেক ক্ষেত্রেই- তাও কিন্তু তার বই আমরা একটানেই শেষ করছি। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।

_________________________________________

সেরিওজা

দ্রোহী এর ছবি

ড্যান ব্রাউন অনেকটা হাবিব ওয়াহিদের মত। প্রথম প্রথম খুব ভালো লাগতো কিন্তু কুমীরের একই বাচ্চা ঘুরে ফিরে দেখতে দেখতে বিরক্তি ধরে গেছে।

হিমু এর ছবি

হেবো ব্রাউন দেঁতো হাসি

কিংবা ড্যান হেবো



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দ্রোহী এর ছবি

বর্ষা লিখেছেন:
দ্রোহীকে মাঝে মাঝে আমার সিক মনে হয়

আমারে আপ্নার "ছিক" মনে হৈল? কষ্ট পাইলাম খুব।

বর্ষা এর ছবি

দ্রোহী, চলো কাউজ্জা কাউজি করি এই নিয়া
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা জিনিস আমি বুইজা পাইলাম না, হগগলে একই শোর মাচাইতাসে তারপরেও ড্যান ব্রাউন চাচায় ফরম্যাট চেঞ্জ করতাসে না কেন?

সুহান কামডা ভালা করলি না... চিন্তা করসিলাম ঈদে গ্রামের বাড়ি থেইকা ভুঁড়িটা কিঞ্চিৎ বড় কইরা আইসা বইডার উপর রিভিউ লেখুম, সেই আশার গুড়ে বালি... এখন খালি কমেন্টাইতাসি। ধুর...

মনজুর এলাহী

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অন্য কোন বইয়ের রিভিউ দে...

_________________________________________

সেরিওজা

দময়ন্তী এর ছবি

এই বইটা পচা৷ হপ স্কিপ জাম্প করে পড়তে হয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার্যে ভালো লাগ্লো ...

_________________________________________

সেরিওজা

প্রবাসিনী এর ছবি

কয়েক দিন আগে এই বই না কিনে উযবুকের মত Decoding Lost Symbol কিনেছি। আপনা এই লেখা পড়ে বেশ মন খারাপ হলো...ধূরো!
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

রাজা রায়চৌধুরী এর ছবি

মন্তব্যগুলো পড়ার পর ড্যান ব্রাউন সম্পর্কে আপনাদের মুল্যায়ন বেশি জানতে ইচ্ছা করছে। ঘুরে ফিরে সেই একি জায়গায়- কিসের কথা বলছেন?

আরেকটা কথা বলি, উনি থ্রিলার রচনা করেন, এটা ঠিক, তবুও ওনার ইনক্লাইনেশন গুলাই কিন্তু ওনার আলোকিত স্বত্তা এবং অসামান্য প্রতিভাকে প্রতিনিধিত্ব করে, স্টোরিলাইন না। ওনার লেখার স্টাইল বেশ মোলিক এবই আধুনিক, এ ব্যাপারও নিঃসন্দেহে বলা যায়। আমার কাছে বাড়াবাড়ি লাগে কোড এবং সিম্বলজির প্রকাশ। আর আমি চাইব, ড্যান তার লেখাকে আরো অনেক বেশি ভাবসমৃদ্ধ করবেন; যেটা স্পষ্ট ছিলো তার শেষ বইয়ে......

আশা করি 'ডিজিটাল ফরট্রেস' এবং 'ডিসেপশন পয়েন্ট' টাইপ উপন্যাস আর রচনা না করে তিনি তার আসনকে আরো উপরে তুলবেন। এগুলো লেখার জন্য অন্য সাহিত্যিকরা আছেন।

কিন্তু 'দ্য লস্ট সিম্বল', 'দ্য ভিঞ্ছি কোড' বা 'এঞ্জেলস অ্যান্ড ডেমন্স' লেখতে পারে দুনিয়ার এক পিস জিনিস-- ড্যান ব্রাউন।

সিরাত এর ছবি

আমি অর্ধেক পড়সি। মোটামুটি ভালই লাগসে।

যাদের ব্রাউনের নাম নিয়ে প্রবলেম, ওইটা ডিসকাউন্ট করে পড়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাহলে আর ওই রিপিটেশনমার্কা সমস্যাগুলি হয় না।

তবে আমি সফট কপি পড়ছি। ফ্রিতে আর খারাপ লাগালাগি কি?

সুহান ভাই বেশ ভাল লিখছো। সব দৃষ্টিভঙ্গীই আনছো। সাবাশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লিখছোস রে সুহান। আমি অনেক আগে পড়ছিলাম। গত বছর নভেম্বরে। ভালই লাগছে। ড্যানের বই মোটামুটি ভালোই লাগে রে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।