০১
হিন্দী মুভি দেখা হয় কালে-ভদ্রে। সবার মুখে মুখে নাম ঘুরছে এমন বক্স অফিস কাঁপানো কোন মুভি অথবা সমালোচকেরা সিনে ম্যাগাজিন বা রিভিউতে কোন মুভির অকৃপণ প্রশংসা করছেন- এরকম ক্ষেত্রেই কেবল সেই বিশেষ হিন্দী মুভির প্রতি আকৃষ্ট হই। তবে বাছাই করে মুভি দেখার বয়স হতেই মনে মনে ঠিক করে নিয়েছি বছরে নিদেনপক্ষে যদি একটা হিন্দী মুভিও দেখি- সেটি হবে আমির খান অভিনীত মুভিটি। আমার পছন্দের সবচেয়ে প্রিয় পাঁচটি হিন্দী মুভির চারটিই এই খান সাহেবের। ধারাবাহিক ভাবে একটার পর একটা চমৎকার মুভিতে অভিনয় করে যাওয়ার পর আমির খান পুরো হতবাক করা হতাশ করে দিলেন "গজিনী" মুভিতে। যতই আকর্ষণীয় হেয়ার কাট কিংবা মারকাটারি বক্স অফিস সাফল্য থাক; এককথায় গজিনী ছবিতে আমির অন্যান্য সাধারণ হিন্দী নায়কদের মতোই বলে গণ্য হলেন আমার কাছে। কাজেই এরপরের ছবিগুলোতেও আমিরের আমিরী চাল বজায় থাকবে, না কী আমির এবার ভালো ছবির বদলে বক্স অফিস কাঁপানোতেই মনোযোগ দিলেন সেটা জানার জন্যে মনেপ্রাণে অপেক্ষায় ছিলাম তাঁর পরের ছবিটির জন্যে।
অপরদিকে, পছন্দের সবচেয়ে প্রিয় পাঁচটি হিন্দী ছবির পঞ্চমটির [লাগে রাহো মুন্নাভাই] পরিচালক হচ্ছেন রাজকুমার হিরাণী। অসাধারণ সূক্ষ্ণ রসবোধের পরিচয় পেয়েছি তার "মুন্নাভাই এমবিবিএস" ছবিতেও। কাজেই এই রাজকুমার হিরানী যখন জুটি বাঁধবেন খুঁতখুঁতে আমির খানের সাথে, সেটার ফলাফল কী দাঁড়াবে ??
ফলাফল দাঁড়িয়েছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ব্লকবাস্টার হিট " থ্রী ইডিয়টস"। মুক্তির একহপ্তার মাথায় দর্শক জরিপে ২০০৯ সালের সেরা ছবি নির্বাচিত হওয়া এই ছবির মাঝে কী আছে ??... দেখতে বসলাম আজ দুপুরে।
০২
দেশসেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাক্তন দুই ছাত্র, ফারহান কুরেশী এবং রাজু রুস্তোগী দশ বছর পর এক ফোনকল পেয়ে উড়ে আসে তাদের ক্যাম্পাসে। পুরোনো সহপাঠী এবং প্রাণের শত্রু চতুর রামালিঙ্গন তাদের স্মরণ করিয়ে দেয় দশ বছরের পুরোনো এক বাজির কথা। জীবনের যুদ্ধে অগাধবিত্তের মালিক চতুর ওরফে সাইলেন্সার জানতে চায়, কেমন আছে থ্রী ইডিয়টস ?
ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায় ভার্সিটির ডিন ডঃ ভিরু সুহাস ওরফে ভাইরাসকে। নিয়মের কঠোর বেড়াজালে আর প্রতিনিয়ত পুঁথিগত পড়াশোনার কবলে যিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রদের জন্যে করে রেখেছেন নিরানন্দ এক জায়গা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবনেই তিন রুমমেট রাজু, চতুর এবং রাঞ্চোদাশ চাঁন ওরফে থ্রী ইডিয়টসের পরিচয় ঘটে পরষ্পরের সাথে। যথাক্রমে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বপ্ন বহন করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসা ফারহান এবং রাজু অচিরেই আবিষ্কার করে তাদের তৃতীয় রুমমেট রাঞ্চো চিন্তা আর কাজে বাদবাকি সকলের চেয়ে আলাদা। ভাইরাসের কর্মপদ্ধতির বিরোধিতা করে চলে রাঞ্চো আর ভাইরাসের হয়ে পদেপদে বাঁধার সৃষ্টি করে চতুর। কাহিনীতে আসে ভাইরাসের ডাক্তারী পড়ুয়া কন্যা প্রিয়া...
দশবছর পর, আজ থ্রী ইডিয়টসেরা কে কোথায় আছে ?? তৃতীয় ইডিয়টকে খোঁজার অভিযানে বেরোয় রাজু, ফারহান এবং চতুর...
০৩
ছবির দৈর্ঘ্য ১৬৩ মিনিট এবং বলা যায়, মুহুর্তের জন্যেও পর্দা থেকে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। রাঞ্চো চরিত্রে আমির খানের অভিনয় নিয়ে কিছু বলার নেই, ৪৪ বছর বয়েসেও তাকে ২০ বছর বয়েসী ভার্সিটি পড়ুয়ার চরিত্রে বেমানান লাগেনি। তবে ফারহান চরিত্রের মাধবনের চাইতে রাজু চরিত্রের শারমান যোশীর অভিনয় একটু বেশি পোক্ত ছিলো। ভাইরাস চরিত্রে বোমান ইরানী ছিলেন দুর্দান্ত, আর প্রিয়া চরিত্রে কারিনা কাপুরের তেমন কিছু করবার ছিলো না। তবে চতুর চরিত্র রুপদানকারী ওম স্রেফ ফাটিয়ে দিয়েছেন। রীতিমত ঈর্ষনীয় অভিনয় ছিলো তার।
অভিনয় বাদে ছবির প্রশংসনীয় দিক হলো এর সংলাপ। নানারকম উভয়ার্থক, বাস্তব এবং ছাত্রসুলভ সংলাপ ছবির বিনোদনের একটা বড় অংশ যুগিয়েছে। দুটো বাণিজ্যিক গান বাদ দিলে সানন্দ এবং শান্তনুর বাকি তিনটে গান খুবই চমৎকার। ইন্সপায়ারিং। Give me some sunshine, give me some rain, give me another chance- i wanna grow up once again... গানটাতো আজ কয়েকদিন ধরেই খোমাখাতায় পরিচিত লোকেদের স্ট্যাটাসে ঘুরছে।
০৪
তারমানে কী ?? "থ্রী ইডিয়টস" একটা মাস্টারপিস??... দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, প্রিয় ছবির তালিকাতে কোন নড়নচড়ণ হলো না। দারুণ সম্ভাবনা থাকার পরেও শেষ পর্যন্ত এটা রাজকুমার হিরানীর "লাগে রাহো মুন্নাভাই" এর চেয়ে পিছিয়েই থাকলো।
ছবির একটা বেশ স্থূল হাসির দৃশ্য আছে, বাকি ছবির সাথে সেটা মানানসই নয়। কারিনার বৃষ্টিভেজা নাচ অপ্রয়োজনীয় ছিলো। ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যার প্রমাণ রাখতে রাঞ্চোর ম্যাকগাইভারগিরি একটু অতি নাটকীয়। 'আল ইজ ওয়েল' - এই ইন্সপায়ারিং সংলাপের কিছু উদ্ভট প্রয়োগ আছে।...
বলতে পারেন, ওসব তো এক-আধটু থাকবেই; নাহলে ছবি হয় নাকি। কোন ছবি যখন অনন্যসাধারণ কিছুর আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত তা হয় না- তখন মনে মনে আমি কিন্তু ঐ একআধটুকেই বড় করে দেখি। তবে এটা একান্ত ব্যক্তিগত মত। 'হোম এলোন' আমার কাছে 'আমেরিকান পাই'এর চাইতে প্রিয়; কারো কারো নিশ্চয় 'আমেরিকান পাই' য়ের স্বাদই বেশি প্রিয়।
০৫
আঁতলামি বাদ দেই এবার। ছবিটা বেশ আকর্ষক, মজার, ইন্সপায়ারিং, মেসেজটাও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। টিপিকাল একটা টিনেজ কমেডি। ভার্সিটি লাইফ মিসকরুয়ার দল দেখলে তাদের ভালোই লাগবে আশা করি।
...তবে দেখে ফেলুন "থ্রী ইডিয়টস"। কী বলছেন, প্রচুর কাজের চাপ ?? একটু জোরে জোরে আওড়ান- ALL IS WELL...
ব্যাস, এবার দেখতে বসে যান !!
মন্তব্য
এখনো দেখতে পারলাম না
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপ্নেতো রাজাদের নীতিশিক্ষা বিষয়ক বই পড়া ছাড়া আর কিসুই করার টাইম পান্না...
_________________________________________
সেরিওজা
পরীক্ষা শেষ হইছে? শেষ হইলে আস আড্ডার ঘড়বাড়ি পুড়িয়ে আসি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কদিন ধরেই বেশ কটি ব্লগে লেখা আসছে এই মুভি নিয়ে, ভাবছি দেখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
মধুবন্তী
খুঁত বিচার না করে কেবল মজার জন্যে দেখতে চাইলে প্রথম শ্রেণীর পছন্দ হিসেবে রাখতে পারেন...
_________________________________________
সেরিওজা
আগে শিউর হয়ে বলেন যে এখানে আমির ওয়াক্স করা বুক চিতিয়ে আর বোতামহীন জামা গায়ে কোন গান গায়নি। তাহলে ফিল্ম টা হলে গিয়ে দেখি। আমিরের দিলচাহতাহে পর্যন্ত যে ঝাল ছিল, তারে যামিন পর এসে তার কিছু খয়ে গেছে; এরপর সে আর তার নিজের ওজন ধরে রাখতে পারেনি। গাজিনি তে এক ধাক্কা খেলাম। ওয়াক্স করা বুক আর বোতামহীন জামা গায়ে তার একটি গান দেখে মনে হল হিমু একে নিয়েও একটা দুধেল গান না ফেঁদে বসে।
---
না হয় কিছু বাদামী নারী টয়বয় দেখে সুখ পান, নাহয় গড়পরতা বাদামী নারী/কিশোরীদের খরচক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে, নাহয় সিং ভাঙা এক সুঠাম বাছুরকে দেখতে চাওয়া বাদামী ফুয়া'দের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে - তাতে কি? আমিরের কি একটা নিজবয়িসী ওজনদার ফিলিম করা বারন?
দুইটা বাণিজ্যিক গান। তারমাঝে একটাতে আবার কারিনা বৃষ্টিতে ভিজে পপির মতো- পুরাই লুলান্তক ব্যাপার...
ছবিটায় কিন্তু খানিক 'দিল চাহতা হ্যায়' ফ্লেভার আসে, আমার তাই মনে হৈসে...
_________________________________________
সেরিওজা
রিভিউটা পছন্দ হইসে। আমি হয়তো আরেকটু চাঁছাছোলা ভাবেই বলতাম। কিছু কিছু হাস্যরসের অপচেষ্টা মাত্রাতিরিক্ত ইডিওটিক মনে হইসে। বেশিমাত্রায় বলিউডি ধাঁচ। শেষ্কালে এসে 'টিটিবোর্ডডেলিভারী' উদ্ভট লাগসে।
নাহ, বেশি ভাল্লাগে নাই।।
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
বেশিমাত্রায় বলিউডি ধাঁচ হয়তো আছে, তয় গড়পড়তা বলিউডি চেয়ে এইটা মনে হয় ভালা হৈসেরে কেষ্টা...
_________________________________________
সেরিওজা
আজকে ভিডিও চ্যানেলে দেখাচ্ছিল ছবিটা, শেষের ৩০মিনিট দেখে যদিও সমালোচনা করবার কোন অধিকার রাখিনা, তাও মনে হয়েছে, বেশ কিছু জায়গায়(যতখানি দেখেছি) রাজু হিরানি তার পূর্ব মুনশিয়ানা() দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিয়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া(ভাড়ামো পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান), ডেলিভারি সিকোয়েন্সটাতে অল ইজ ওয়েল সংলাপের "সুপারন্যাচারাল" ব্যবহার হাস্যকর ঠেকেছে। আমার কাছে আর মাধবন আর শারমান যোশীর অভিনয় ভাল লেগেছে সবচেয়ে বেশি, বোমানও বেশ ভাল। আমির খান তার গন্ডি'র মধ্যেই আছেন, কেনো যেন মনে হচ্ছিল এই আমিরকে আমি অনেক আগে "আন্দাজ আপনা আপনা" তেও একইরকম ভাবে সংলাপ বলতে দেখেছি, নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিমত। আমির বর্তমান সময়ে(গজিনী, তারে জামিন পার হালের থ্রি ইডিয়টস) একটা ভাল পদ্ধতি নিয়েছে আর তা হল, ছবি বের হবার আগে থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো, এটিও ছবিটি এত চর্চিত হবার অন্যতম কারণ। একটা টিপিক্যাল হিন্দি ছবি, এর চেয়ে দিল চাহতা হ্যায়, মুন্নাভাই ১,২ অনেক অনেক এগিয়ে।
পরিশেষে বলি, আমার ছোট ভাইটি বুয়েটে পড়ে, সে আজ একটু আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট করেছে, যার বাংলা দাঁড়ায়, "একটা অসাধারণ মুভি দেখলাম, বন্ধুরা তোমাদেরও অবশ্য অবশ্যই দেখা উচিত, কারণ ছবিটা আমাদের নিয়েই......।"
আপনার রিভিউটা পড়ে ভাল লেগেছে...
ধন্যবাদ...
এটা মনে হয় টিপিকাল হিন্দী মুভির চেয়ে একটু এগিয়েই থাকবে। তুলনাটা তো আপনি আসলে করেছেন দিল চাহতা হ্যায় আর মুন্না ভাইয়ের সাথে। এদের দুটৈ কিন্তু হিন্দী চলচ্চিত্রে মাইলস্টোন।...
আর আপনার ভাইয়ের সাথে সাথে আমরাও বুয়েটে পড়ুয়ারা এই ছবি নিয়ে মনে হয় একটু বেশি মেতেছি। প্রকৌশল বিদ্যাকে আবার কবে এভাবে খোঁচানো হবে কে জানে ?? ... ছবিটাও আজ দুপুরে বুয়েটের হলে বসে বন্ধুরা দল বেঁধে দেখলাম।
_________________________________________
সেরিওজা
পেটের ভাত যোগার করার পর যেটুকু নীতি বাক্য দিয়ে একটি মুভি করা যায় তা থ্রি ইডিওটস-এ ছিল...
আমার কাছে ভালই লাগল..
দর্শক বুঝে মুভি করতে গেলে কিছু জোকারি করতেই হয়..
(জয়িতা)
সহমত।
_________________________________________
সেরিওজা
- অতো চিন্তা ভাবনা কৈরা কি আর ছিনেমা দেখা যায়? আল্লার নাম নিয়া বইসা পড়েন হাতে বাদামের প্যাকেট নিয়া। আর জোড়ে জোড়ে কইতে থাকেন, aal izz oell.... আল ইজ অয়েল।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, অতো ভাইব্যা ল্যাব নাই। এক্টা ডাক্টার পেমিকা হইলেই ছলে...
_________________________________________
সেরিওজা
- হ ডাক্তার প্রেমিকা, লগে ঐরম কেলাশ একটা বাপ! পুরা সোনায় সোহাগা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দু'দুটো রিভিউ পড়ে ফেললাম,
মুভি এখনো দেখা হলো না!!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বেশ- দেখে জানাইয়েন ক্যাম্নলাগ্লো।
_________________________________________
সেরিওজা
জীবন থেকে নষ্ট হওয়া তিনটি ঘন্টা কেউ কি ফিরিয়ে দেবে?
আম্রিকান পাই আর ত্রাসফর্মার দেকবার পার্সি- তার তুলনায় এই মুভি তো রীতিমত উপভোগ্য...
_________________________________________
সেরিওজা
আমার মন্তব্য তো জানোই ।
ভাড়ামোর কিছু বাকি রাখে নাই
ভার্সিটি লাইফ মিসকরুয়ার দল দেখলে তাদের ভালোই লাগবে আশা করি
এটা হতে পারে!
কারিনার বৃষ্টিভেজা নাচ অপ্রয়োজনীয় ছিলো । হাহা!
এই দৃশ্যটা সম্ভবত পুরোনো মুভির প্রতি হোমেজ টাইপ ছিল । আগের নায়িকারা ভিজত ভাল! এই গান টার শুরুতে ফান ছিল ভাল ।
বইটা পড়ে দেখ। যদিও অনেকটাই জেনে গেছ। তবুও বেশকিছু বিষয় আলাদা । বইয়ে আমির খান দুর্বল ছাত্রদের একজন!
কারিনার বোন নেই... বইয়ে ভাড়ামি নেই
বোহেমিয়ান
- ঐ বই (ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান) নিয়া নাকি তুলকালাম চলতেছে!
লেখক চেতন ভগৎ (সিং) মহা ক্ষেপা থ্রি ইডিয়টস ইউনিটের ওপর। রাজকুমার হিরানির একটা ভিডিও ইন্টারভিউ দেখলাম। ভগতের অভিযোগগুলো খণ্ডন করছেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সহমত। এমন কিছু দূর্বলতা সত্তেও ছবিটা ভালো লেগেছে অন্তর্নিহিত বার্তার জন্য।
রিভিউ ভালৈসে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধনিয়া... দেখে ভালো লেগেছে, ঐটাই আসল।
_________________________________________
সেরিওজা
আমি ছবি দেখি বিনোদনের জন্য; দেখার সময় সমালোচকের দৃষ্টিতে কখনই দেখতে পারি না।
কেবল দেখে শেষ করলাম। আমার বেশ ভালো লেগেছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
সমালোচকের দৃষ্টি না আসলে বস- ব্যাপার হলো এতো আকর্ষক একটা ছবিতে এ ধরণের ভুল থাকবে- এটা মানা কষ্টকর।
_________________________________________
সেরিওজা
-রিভিও পড়লাম না। মুভি দেইখা তারপর পড়ুম। তোমার রিভিও বাই ডিফল্ট ভালু হয়!
-মুভিটা নাকি মাসালাদার হিট ছবির ফর্মুলাত হইছে। তাই খুব বেশি কিছু আশা করতেছি না
-স্টকে মেলা মুভি জইমা আছে দেখা হইতেছে না আলসেমির কারণে। ভাল কিছু দেখা হইলে রিভিও লেখার ব্যর্থ চেষ্টা দিমু
---------------------
আমার ফ্লিকার
রিসেন্টলি তো আম্মো ম্যালা ছবি দেক্তাসি। বুয়েট কি চাপ কমায় দিলো নাকি ??
_________________________________________
সেরিওজা
আমি কেন পাঁচ দিলাম বুঝলা তো সুহান ভাই?
ধুরো- ক্যাবল লজ্জা দ্যান...
_________________________________________
সেরিওজা
আমি হিন্দি মুভি দেখলে আমির খান ছাড়া খুব একটা এখন আর দেখি না! ইচ্ছা আছে সময় পেলে হলে গিয়ে দেখার।।রিভিউ ভালৈছে...
----------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
থাঙ্কু...
_________________________________________
সেরিওজা
ভাল লাগবে কিনা জানিনা, কারন শেষ 'গজিনি' ছবিটা ভাল লাগে নাই, বিরক্তির উদ্রেক করেছিল। আসলে হিন্দি ছবি দেখতেও যে খুব ভাল লাগে তা না, অনেকটা যেন বাধ্য হয়েই দেখি...কেন জানি কিছু করার কিছু থাকে না। আমির খানের একটা মুভিই আমার ভাল লাগে সেটা হল, 'dil chahta hai'. যদিও ফারহান আখতার এর অসাধারন পরিচালনাই আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছিল। দেখি সামনের weekend এ দেখব।
-- শফকত মোর্শেদ (lukochuri@gmail.com)
সে কী ?? 'লাগান' বা 'রাং দে বাসন্তী' ভালো লাগেনি ?? আমার তো ও দুটোও দারুন লেগেছে...
_________________________________________
সেরিওজা
রিভিউ ভালো হইসে। ফিজিকাল কমিডির ব্যাপারে আমি খুব স্পর্শকাতর... এবং জিনিসটা কঠিনও। মাইম টাইপের কমিডি বেশ পছন্দ। এককালে বাদশাহ্, হেরা ফেরি দেখে ব্যাপক হাসলেও ইদানিং স্থূল ভাঁড়ামো ঠিক হজম হয়না। অনেকদিন হিন্দি ছবি দেখি না, এ ছবিটাও দেখিনি... তবে ট্রেইলর দেখেছি। আমার কাছে মনে হয় হিন্দি ছবিতে ড্রাই হিউমার- যেটা আমার সবচেয়ে পছন্দ, সেটা খুব কম থাকে।
রিভিউতে পাঁচ তারা।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ধন্যবাদ...
'লাগে রাহো মুন্নাভাই' কিন্তু আমার দেখা সেরা মুভিগুলার একটা- ওটার কমেডির ধারাই আলাদা...
'আন্দাজ আপনা-আপনা' ও দেখে থাকবেন হয়তো, ওটাও চ্রম।
_________________________________________
সেরিওজা
আইচ্ছা, দেখুমনে!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আইচ্ছা...
_________________________________________
সেরিওজা
পর পর দুইটা রিভিউ এসে গেল এক সিনেমা নিয়ে!
নাহ, অন্তত রিভিউকারদের পরিশ্রমের সম্মান রাখতে হলেও এইটা দেখা দরকার---
সুহান, রিভিউ ভাল লেগেছে--
হাসতে চাইলে দেখে ফেলেন অনিকেতদা।
থাঙ্কু...
_________________________________________
সেরিওজা
আরে, নায়িকারা যদি বৃষ্টিতে শাড়ি ভিজায়া না-ই নাচলো, তাহলে ওই সিনেমা দেখে কোনো লাভ আছে! কারিনারে দেখতেই হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
লুলজ...
_________________________________________
সেরিওজা
দেখার আশা রাখি...
দেখে মত জানান শিমুল ভাই...
_________________________________________
সেরিওজা
তাইলে খোঁজ কইরা দেখি একটু।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
করেন বস। দেখলে মন্দ লাগবে না বোধহয়...
_________________________________________
সেরিওজা
কালকে দেখলাম বড় স্ক্রীনে। প্রথম হাফে খুবই মজা লাগসে, হাসতে হাসতে খুন। কিন্তু সেকেন্ড হাফে গিয়ে ম্যান্দা মেরে গেল পুরা। ঐ একই জিনিস - মাসালা মুভি, ইলাস্টিক দিয়া টাইনা লম্বা করা।
এর মধ্যে টপাটপ বেশ কয়েকটা দেখে ফেললাম। কমন পড়তে পারে -
১) লাভ আজ কাল - ****
এই মুভির থীম আর কাহিনী বেশ বাস্তব লাগছে। দীপিকা আর সাইফের অভিনয় তাক লাগানোর মত। আর নীরব নায়িকা হারলীন সিং যে আসলে ব্রাজিলিয়ান মডেল (!!!) এইটা কস্মিনকালেও আন্দাজ করি নাই।
২) চিনি কম - *** আর হাফ
ভালোই স্টার্ট নিসিলো কিন্তু পরে গিয়া ত্যানা অতিরিক্ত প্যাঁচাইসে। টাবু/অমিতাভ ম্যাচ খারাপ হয় নাই।
৩) ট্রাফিক সিগনাল - *****
চাঁদনি বার খ্যাত মাধুর ভান্ডারকার-এর নতুন ক্লাসিক। এই না হইলে সিনেমা। পাঁচ তারার নীচে দিতে পারি নাই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
একটাও কমন পড়ে নাই বস...
গজিনীর পরে এইটাই প্রথম দেখা হিন্দী মুভি...
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান, পোষ্টের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একমত। গজিনী দেখে বিরাট হতাশ ছিলাম। আমার মতোই পুরোটা ভাবলে তুমি। কিন্তু মুন্নাভাই সিরিজ এর আমি ফ্যান না। আরোপিত লাগত সব। মুন্নাভাই সিরিজের থেকে এটা বরং একটু ন্যচারাল লাগলো।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মিলে নাই মিলে নাই। মুন্না ভাই আমার বেশি ভাল্লাগসে...
_________________________________________
সেরিওজা
'মুন্না ভাই এমবিবিএস' বেশি ভাল্লাগেনি। তবে 'লাগে রাহো মুন্না ভাই' দারুণ লেগেছিল। 'থ্রী ইডিয়টস' দেখা হয়নি এখনও। একটা মোটামুটি ভালো মানের টরেন্ট পেলাম। ডাউনলোড করবো।
রিভিউ বেশ ভালো লাগল।
রিভিউ ভালো হইসে। চতুর এর চরিত্রে ওম আসলেই ভালো করসে।
বোমান ইরানী আসলেই একখান জিনিয়াস। হিরানী ওরে দিয়া কীই না করাইলো! মুন্না ভাই সিরিজে, এই মুভিতে চ্যালেন্জিং সব চরিত্র কী অসাধারণ পারদর্শিতায় তুলে ধরেন!
---- মনজুর এলাহী ----
অন্তর্নিহিত বার্তার জন্য হলেও ভালো না লেগে উপায় নেই। অতিরিক্ত চাপের ফলে ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টদের সুইসাইড রেট'র ব্যাপারটাকেও ফোকাস করা হয়েছে, এই ছবির একটি উল্লেখযোগ্য ফিচার......
আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের পচানোর চেয়ে এখানে মুখ্য বিষয় ছিল সন্তানদের নিয়ে বাবা-মা'দের উচ্চাশাকে তুলে ধরা (যেখানে উচ্চতার আদর্শ ইঞ্জিনিয়াররা!!)। এখানে, ফারহান আর রাজুকে দেখানো হয়েছে এই অতি উত্তম মানসিকতার শিকার হিসেবে আর এদিকে চাতুর দুনিয়াদারি বোঝে না, কিন্তু আল্টিমেটলি উইনার।
জীবনের প্রকৃত ভালোবাসা হাওয়া হয়া যায়, আমাদের মত সোসাইটিতে সো-কল্ড ভালো স্টুডেন্ট হয়াটা চুড়ান্ত বিরম্বনায় পরিনিত হয় ফারহানদের জন্য। অসত্য বা আনইউসুয়াল কিছু মনে হয় নাই এই ব্যাপারটাকে। এদিকে অত্যাধিক চাপের মুখে রাজুর মত মেধাবীদের আত্মসমর্পনের উদাহরনও অনেক পাওয়া যাবে। (অবশ্য তাদেরকে আমরা মেধাবী বলতে রাজী হই না!) বার্তা ছিলো এদের জন্য, নীরব মৃত্যু এদের কীভাবে ঘটছে সেটাই ছবিতে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
যারা ইঞ্ঝিনিয়ার হতে চায় বলে আগ্রহের সাথে সেটা নির্বাচন করছে তাদেরকে কিছু বলা হয় নাই। এছাড়াও মুভিতে এই ইস্যুতে কোন পরিসমাপ্তিতে পৌছানো হয় নাই। আইয়াইটি স্টিল রিমেইন্স দ্য ক্রেইজ ফর সাইন্স স্টুডেন্টস অফ দিস সাব-কন্টিনেন্ট......
রিভিউ ভালো লাগসে; আমিও বোদ্ধা না, তবে ব্যাক্তিগত অভিমত প্রকাশ করলাম......
নতুন মন্তব্য করুন