বুকশেলফের গল্পঃ ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: রবি, ১৪/০২/২০১০ - ৮:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১।

ড্যান ব্রাউনের অথবা শাহাদুজ্জামানের বইয়ের রিভিউ লেখা এরচেয়ে সহজ। এ বড় সত্য কথা। তাঁদের লেখা পড়বার দশ কী বিশ মিনিটের মাঝে সেটার মাঝে মন্তব্য করি না, অগল্প বা ব্যাডভেঞ্চার গল্প লেখার বিস্তারে সমস্যা বোধ করলে পদেপদে তাঁদের সাহায্য চেয়ে বসি না, তাঁদের কামরাঙ্গা ছড়াযুক্ত খোমাখাতা স্ট্যাটাসে লাইক্স দিস বোতামে চাপ দেই না- হিমু ভাইয়ের ক্ষেত্রে এর প্রতিটাই করি। নিয়মিতই। শাহাদুজ্জামান কী ড্যান ব্রাউন আমার কাছের মানুষ নন, অথচ অনলাইনে লেখার মাধ্যমে এবং টুকটাক কুইজিং-এর সাথে সম্পৃক্ততার খাতিরে পরিচিত জার্মানি প্রবাসী হিমু ভাইকে বড় কাছের মানুষ বলে ঠেকে। জানবেন, মানবেন- কাছের মানুষের বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখন সহজ কাজ নয়। মাহবুব আজাদের "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প " বইয়ের রিভিউ লিখতে বসে সেই কঠিন কাজটির কাঠিন্য বুঝতে দেরী হচ্ছে না।

প্রশ্ন ওঠেই। মাহবুব আজাদ কেন ?? "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প " বইয়ের লেখক হিমু নন কেন ?? এর উত্তর লেখক নিজেই দিয়েছেন অন্যত্র। লেখকের ভাষ্যমতে-

যতদূর বুঝি, মাহবুব আজাদ হিমু নয়। সে অন্য কেউ। হিমু সচলে লেখে, ফেসবুকে লুলুবৃত্তিতে সময় দেয়, জিটকে হাসিতামাশা করে, মাহবুব আজাদ তখন বেরিয়ে আসে অনেক দূরে সিলেটের কোনো এক প্রেস থেকে। হিমু লেখে এই পোস্ট, মাহবুব আজাদ হাঁটা দেয় ঢাকার পথে। হিমু দেশ থেকে বহুদূরে বসে একাকী শীতের সকালে চুপচাপ এক কাপ চা বানায়, তাতে এক দানা এলাচ দেয়, ভাবে কখনোই তার ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় থাকা হলো না, আর চায়ে চুমুক দিতে দিতে ভাবে, এই অনুপস্থিতির জন্যে শোক তাকে মানায় না, আর মাহবুব আজাদ পড়ে থাকে বিতর্কের ডিসপ্লেতে, কয়েকজনের হাতে, কয়েকজনের ব্যাগে, তার মায়ের বালিশের নিচে।

অতএব আমি আশ্বস্ত হই। আমি "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প " -তে মনোনিবেশ করি।

০২।

ছয়টি ছোটগল্পের সংকলন "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প "এর ফ্ল্যাপের গুটি গুটি লেখনী মন কাড়ে। সচলায়তনের অগ্রজ মূলত পাঠক গোছানো স্বরে বলেন লেখকের সম্পর্কে। জানিয়ে দেন - তাঁর অনেকগুলি গল্প, যা পড়ে আমরা হেসেছি, গম্ভীর হয়েছি, চিন্তার রেখা ফুটেছে কপালে, তার থেকে কিছু প্রতিনিধিত্বমুলক গল্প এই সংকলনে রয়েছে।

অতঃপর, আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসে আমার সময় কাটে মাহবুব আজাদের ছোটগল্প পাঠে।

সংকলনের প্রথম গল্প "পুরনো বাড়ি"- সচলায়তনে গত বছর পঠিত আমার প্রিয় গল্পগুলোর মাঝে শীর্ষস্থানীয় একটি গল্প। কাকশিকারে ব্যস্ত ছোট্ট শিকারী টুলু করবেট দস্যু বীরাপ্পনের চেহারার এক ডাকাতে লোককে তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায়। টুলুর চোখে রহস্যময় লোকটিকে পাঠক ক্রমশঃ আবিষ্কার করে হাসান নামের এক স্মৃতিকাতর ব্যক্তির রুপে, বিশ বছর পর স্মৃতির শহরে ফিরে যে খুঁজে পায়- কেবল কাকেরাই অপরিবর্তনশীল থেকে যায়।

পরের গল্প "সেতু সঙ্কট"- আকারে ছোট, সহজিয়া, তবে দারুণ লক্ষ্যভেদী। ছোটগল্পের মোড়কে এক আধুনিক রুপকথা যেন। যেমনটা রুপকথায় থাকে, তেমনি এক দেশে ছিলো এক নদী। আর ছিলো দুই রাজনৈতিক দল- সোজা দল আর উল্টো দল। অতএব গল্প এগোয়।

"তোমার ঘরে বাস করে কারা" গল্পে দেখা মেলে লেখকের চূড়ান্ত রসবোধের। গল্পের ভেতরের এক গল্পে চৌধুরী সাহেব, খান সাহেব আর সৈয়দ সাহেবকে বর্ণনা করতে থাকেন পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা। জনৈক ভুঁইয়ার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার স্বল্পতা আর তার ফলে পাড়ায় সৃষ্ট জটিলতার জট উন্মোচিত হতে থাকে আড্ডার মাঝ দিয়ে। সে জটিলতায় থাকে আক্কাস, মরিয়ম, মওদুদ, থাকে - সুডোকু খেলা !!!

সংকলনের পরের গল্প "নিদপিশাচ"- বইয়ের একমাত্র গল্প যেটির গোত্র আমি বুঝে উঠতে পারিনি। এটা হতে পারে প্রতিবেশী ভিনধর্মী স্বাগতার প্রতি বুয়েট পড়ুয়া নাসিমের তীব্র শারীরিক আকর্ষণের গল্প, হতে পারে তন্ত্রসাধনা করা স্বাগতার পিতা পরিতোষবাবুর অন্যের মনের কথা বুঝবার ক্ষমতা নিয়ে একটি অতিপ্রাকৃত গল্প, হতে পারে ঘটনাক্রমে ছোট্ট শিশিতে বন্দী এক নিদপিশাচের মুক্ত হয়ে নাসিমের উপর ভর করার ভৌতিক গল্প। সংকলনের অন্যান্য গল্পের তুলনায় এ গল্পের প্রথমাংশের ভাষাও একটু যেন অস্থিতিশীল।

অপরপক্ষে, অস্থিতিশীল এই ভূখন্ডের পটভূমিতে এক অসাধারণ ছোটগল্প- "বিলুপ্তি"। আমার মতে সংকলনের সেরা গল্প। ২০৩৩ সালের টিভি নিউজ রিপোর্টার নাজনীন আর ক্যামেরাম্যান সাইফুলের গল্প। এক হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বৃদ্ধকে নিয়ে মিডিয়া আর রাজনৈতিক দলগুলোর মাতামাতির গল্প। সেই বৃদ্ধ- বাংলাদেশের শেষ জীবিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের গল্প। একরাশ লজ্জার গল্প।

সংকলনের শেষ গল্পটি - "ম্যাগনাম ওপাস"। স্বল্পজ্ঞানে জানতাম, ম্যাগনাম ওপাস হলো কোন শিল্পীর সৃষ্ট কালজয়ী শিল্পকর্ম। গল্পে সেই অর্থেই এর ব্যবহার দেখি। এ গল্প রকিব নামের বন্ধুহীন যুবকের, চা-য়ের দোকানে যার সাথে পরিচয় হয় পাঁচ বছর আগে সমালোচকদের কারণে অজ্ঞাতবাসে যাওয়া গল্পকার আনিস চৌধুরীর ও রমা নামের আকর্ষণীয়া যুবতীটির। আনিস চৌধুরী গল্পের জগতে ফিরে আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি- তার ম্যাগনাম ওপাস রচনার পর। কিন্তু আনিস চৌধুরীর গল্প জানার জন্যে মরিয়া রমার সাথে রকিবের সম্পর্কের এই জটিলতা কী হতে উদ্ভূত- সেটা জানতে এগোতে হয় গল্পের সাথে সাথে।

০৩।

"ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প " সংকলনের প্রচ্ছদে ব্যবহৃত চমৎকার আলোকচিত্রটি আরেক অগ্রজ সচল মেহদী হাসান খানের তোলা। দেখতে দারুণ সংকলনটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮০। বাঁধাই বেশ ভালো। শস্যপর্ব প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে পাঠসূত্রের স্টলে। মূল্য সুলভ, ৭৫ টাকা। মাহবুব আজাদের "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প " পড়ে আশাহত হবার সম্ভাবনা কম। কাজেই পড়ে ভালো লাগবে আশা করি।

০৪।

একুশে বইমেলা ফুরোবার পূর্বে সচলদের প্রকাশিত কোন বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখবো না বলে মনঃস্থির করেছিলাম। কিন্তু প্রবাসী সচলদের অনেককেই নতুন বইগুলো হাতে না পাওয়ায় আক্ষেপ করতে দেখে সাহস করে লিখেই ফেললাম। কারো কাছে এতে অপঠিত বইয়ের আমেজ ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে হলে দুঃখিত। স্বনামধন্য সচল রিভিউয়ার অতন্দ্র প্রহরী বা অন্য কেউ অচিরেই বইমেলায় প্রকাশিত অন্যান্য সচলদের বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া দেবেন বলে আশা রাখি।

পরিশেষে মাহবুব আজাদের জন্যে শুভকামনা। আপনার ম্যাগনাম ওপাস এখনো আমরা দেখিনি, দেখবার আশায় রইলাম।


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে সুহান। হাসি

বইটার দুইটা গল্প পড়ছি মাত্র। বাকিগুলা পড়ে আবার মন্তব্য করব।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মূল্যবান মতামত দিয়া সমৃদ্ধ করেন জলদি...

_________________________________________

সেরিওজা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সংকলনের কয়েকটা গল্পের নাম শুনেই পুরো ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে। ধারণা করছি বাকীগুলোও সেইরকম গল্প!

রিভিউ সুন্দর হয়েছে সুহান।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হ পিপিদা, সেইরকমই বটে...

_________________________________________

সেরিওজা

সুরঞ্জনা এর ছবি

'নিদপিশাচ' এর ভাষা অস্থিতিশীল মনে হয় নি একদম।
মানুষের গল্প মনে হয়েছে। কল্পনার ভাললাগা, বাস্তব ভাললাগায় পরিণত হবার গল্প মনে হয়েছে।
সব গল্পই চমৎকার বইটাতে।
.....................................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই মন্তব্যের জবাব প্রথমে দিচ্ছি। ...

আপনার মন্তব্য পড়ে পোস্টের নিদপিশাচ গল্পের অংশটা আরেকবার পড়লাম। ধারণা হতে পারে, এখানে "অস্থিতিশীল" শব্দটা নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার হয়েছে। তা নয়। যুৎসই প্রতিশব্দ কী হতে পারে ?? উম্ম, এক্সপেরিমেন্টাল ?? ... মানে পরীক্ষামূলক ?? হিমু ভাইয়ের নিয়মিত বাক্যবিন্যাসের চেয়ে ভিন্ন ধারার বলেই বললাম।

সব গল্প আসলেই চমৎকার।

_________________________________________

সেরিওজা

সুরঞ্জনা এর ছবি

হাসি
................................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

সুহান - আমার কাছে 'নিদপিশাচ' এই সংকলনের সবচাইতে দুর্বল গল্প, কিন্তু সেটা বাক্যবিন্যাস বা ভাষার কারণে নয়, ঘটনার উপস্থাপনার কারণে। আমার বরং ভাষা বা বর্ণনাটুকুকেই এই গল্পের সবচাইতে শক্তিশালী উপাদান মনে হয়েছে।

আপনার কাছে এক্সপেরিমেন্টাল লেগেছে? একই লেখা একেকজনের কাছে যে কী করে, কী করে একেক রকম ভাবে পৌঁছায়, ব্যাপারটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং!

এটা কিন্তু আপনার মূল্যায়নের কোন সমালোচনা না, আপনার পাঠ-প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া মাত্র হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার্তো উপস্থাপনা ভালোই লাগ্লো স্নিগ্ধাপা। বরং ভাষা এক্সপেরিমেন্টাল বলে মনে হলো, কারণ লেখকের যে জাতীয় ভাষারীতি পড়তে আমরা অভ্যস্ত- এ গল্পের প্রথমাংশ ঠিক সে রকম ছিলো না। পরে অবশ্য খেয়াল করে থাকবেন- পরিচিত ভাষারীতিতে লেখক ফিরে এসেছেন...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

হেহে!তুমিও পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখছো দেখি!!! তবে আমার চেয়ে তোমারটাই ভাল হইছে।

আমিও হিমু ভাই বলেই প্রতিক্রিয়া লিখি নাই । লেখার চেষ্টা করছিলাম । করতে গিয়ে দেখি বার বার ব্যক্তি হিমু সামনে চলে আসছিল । তাই প্রতিক্রিয়া লিখতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছিলাম ।

প্রহরী ভাই রিভিউ দিক, আশায় আছি।
আমার প্রতিক্রিয়া হয়ত জানাব, সচলে অথবা ব্যক্তিগত মেইলে ।

তবে বটম লাইন হচ্ছে বইটি ভাল লেগেছে, আমাকে ভাবিয়েছে ।

আমার মতে যারা যারা রিভিউয়ার তাদের উচিত বই মেলা থাকতে থাক্তেই সমালোচনা/আলোচনা করা । এতে পাঠক বই গুলোতে আগ্রহ পাবে। ফলে উপকৃত হব আমরা, পাঠকরা। এই সব লেখকগণ লেখায় আরো বেশি মনোযোগী হবার কারণ খুঁজে পাবেন ।

বোহেমিয়ান

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কথা ঠিকাছে...

_________________________________________

সেরিওজা

নৈষাদ এর ছবি

রিভিউ ভাল লাগল সুহান। ব্যাপক অর্থে (খুঁটিনাটিতে না গিয়ে) রিভিউর সাথে একমত পোষণ করি। (ভাবছিলাম সচলের লেখা বই গুলির রিভিউ আসছে না কেন।)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চেষ্টা করলে আপনিও কি দুচার্টা রিভিউ দিতে পারেন্না নৈষাদদা ?? দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

অদ্রোহ এর ছবি

স্বীকার করতে কুন্ঠা নেই ,বইমেলায় পারতপক্ষে আমি এক্সপেরিমেন্ট করার ধারেকাছ দিয়ে যাইনা ,আরো পষ্টাপষ্টি করে বললে ,নতুন লেখকের বই খুব একটা কেনা হয়না ।

প্রিন্ট দুনিয়ায় মাহবুব আজাদ নতুন লেখক ,তবে আমাদের মত ব্লগখোরদের কাছে তিনি মোটেই নতুন নন ।পকেটের মর্মন্তুদ অবস্থা সত্ত্বেও "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প " কিনতে আমি তাই দুবার ভাবিনি।

এবার গল্পগুলো নিয়ে খানিকটা বলি ।

পুরনো বাড়ি গল্পটি দিয়ে বইয়ের শুরু ।লেখককে আমি ধন্যবাদ দেব এমন একটা গল্প প্রথমেই পাঠকের সামনে হাজির করার জন্যে। গল্পটি আবর্তিত হয়েছে বালক টুলুকে ঘিরে ,টুলুর চোখে আমরা দেখতে পাই স্মৃতিকাতর হাসানকে ।তের বছর কাটানো বাড়িটির প্রতি এক অদ্ভুত ফ্যাসিনেশন হাসানকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে ।গল্পটি শেষতক এক তীব্র বিষাদে আচ্ছন্ন করে আমাকে ,সম্ভবত টুলুকেও।

সেতু সঙ্কট ও তোমার ঘরে বাস করে কারা লেখকের অবিশেষণসম্ভব উইটে ভাস্বর ,কতকটা ডার্ক হিউমারেও । তবে লেখকের এই সক্ষমতা এই ব্লগ সূত্রে আমাদের অবিদিত নয় ।

নিদপিশাচ আক্ষরিক অর্থেই একটি অনন্য গল্প । লাস্যময়ী স্বাগতাকে ঘিরে নাসিমের উদ্ভট কল্পনাকে ঘিরে গল্পের শুরু ,কিন্তু অনেকটা আলটপকা স্যাডিস্ট পরিতোষবাবু তার সর্বগ্রাসী ছায়ায় গল্পটিকে কব্জা করে ফেলেন ,নাসিমকেও ।গল্পটি বোধ হয় যতটা না ফ্যান্টাসিনির্ভর ,তার চেয়েও বেশি মনোদৈহিক ।

বিলুপ্তি আগেই পড়া ছিল ,না হলে অবধারিতভাবে এটিই আমাকে নাড়া দির সবচে বেশি ।কি নির্লিপ্তভাবেই না আমাদের জাতিগত অন্তসারশুন্যতাকে লেখক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ।হতে পারে এ এক অলীক সময়ের কাহিনী ,হতে পারে তা লেখকের কল্পনাপ্রসূত ,কিন্তু একদিন যে এরকম হবেনা ,তা কি কেউ হলফ করে বলতে পারে ?

ম্যাগনাম ওপাস বইয়ের শেষ গল্প ,রকিব ,রমা ও লেখক আনিস চৌধুরীর ত্রিভুজ কেমিস্ট্রি এই গল্পের উপজীব্য ।রমা ও রকিব নিজেদের মধ্যে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ,ইন্তু মজার ব্যাপার হল নাটাইটা লেখক আনিস চৌধুরীর হাতে ,আর দুজন মানব মানবীর সনাতনী সম্পর্কের চাইতে নির্বাসিত লেখকের মহাকীর্তির রহস্যই শেষে প্রকট হয়ে ওঠে ।

অদ্রোহ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মিনি রিভিউ এর জন্যে ধন্যবাদ দোস্ত...

_________________________________________

সেরিওজা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়লাম।
এখন বইখানা পড়ার অপেক্ষায়। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পইড়া লান...

_________________________________________

সেরিওজা

হিমু এর ছবি

রিভিউয়ের জন্যে সুহানকে ধন্যবাদ। অনেক উদার বিশেষণপ্রয়োগে সংকুচিত বোধও করছি।

যে কোন বইয়ের রিভিউ আসলে পাঠকের সামগ্রিক পাঠঅভিজ্ঞতার একটা ফালি হিসেবে এলে সেটার আকর্ষণ বাড়ে। একটা বই কিন্তু কেবল নিজেকেই পাঠকের মনে স্থাপন করে না, সেখানে আগে স্থাপিত যা কিছু, সেখানেও কিছু পরিবর্তন আনে। অন্য বই, অন্য পাঠ, অন্য চিন্তার কথাও রিভিউতে আসা উচিত। কেবল তা-ই নয়, আসা উচিত পাঠকালীন পরিবেশের কথা। এই যে চলন্ত ট্রেনের মৃদু ঝাঁকুনি, ঝুকঝুক শব্দ, সেগুলি সুহানের এই রিভিউতে অনুপস্থিত। আরো অনুপস্থিত গল্পগুলোর সূক্ষ্ম ত্রুটি, যা হয়তো প্রথম পাঠে বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঠিকমতো চোখে পড়ে না। নাহলে অনেক পাঠকের চোখে রিভিউকে কেবল একজন নিকটজনের উৎসাহবাণী মনে হতে পারে, যা রিভিউয়ার আর লেখক দু'জনের জন্যেই গ্লানিকর হয়ে দাঁড়ায়। যা কিছু চোখে পড়ে মনে হয়েছে, উঁহু, এটা এমন কেন ... সেগুলোর কথাও রিভিউতে চাই।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভালো লাগ্লে সে গল্পের দোষ আমার চোখে পড়ে না যে...

বাকি অংশে রজার্দ্যাট বস...

_________________________________________

সেরিওজা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ওরে সুহান, বোহেমিয়ান
লজ্জা পেলুম বড়োই, দেখো
তাকিয়ে আমার দু'কান দেঁতো হাসি (যদিও দাঁত দেখাচ্ছি)

জানি না হিমু ভাইয়ের বইটার রিভিউ লেখা আদৌ হবে কি না। উনি হুমায়ূন আহমেদ না যে, পড়লাম আর ঝটপট একটা কিছু লিখে ফেললাম। যে কারণে শিমুল ভাইয়ের 'অথবা গল্পহীন সময়' নিয়ে আজও কিছু লেখার সাহস করে উঠতে পারিনি, জানি না হিমু ভাইয়ের বইটার ক্ষেত্রেও সেই একই পরিণতি হবে নাকি।

চমৎকার রিভিউ। অন্যান্য সচলদের বইগুলো নিয়েও লিখে ফেলো হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপ্নে অনেক পাকিবাজ (এটা ভুল বানান নয়, দলছুটীয় টাইপো) হয়ে যাচ্ছেন দিন্দিন। সীমান্ত রক্ষায় এতো ৎতপর (!) হলে চলে ?? আমি ঝানি আপনে অলসতা কর্তেসেন।:D

এবার জলদি জলদি "কাঠের সেনাপতি"র রিভিউটা লিখে ফেলেন...

_________________________________________

সেরিওজা

অনিন্দ্য এর ছবি

"বিলুপ্তি"র মত ছোটগল্প বাংলা সাহিত্যে খুব বেশি লেখা হয় নি,এটা আমি নিশ্চিত।
"তোমার ঘরে বাস করে কারা" পাঠককে হাসাবে,এ ব্যাপারেও খুব একটা সন্দেহ নেই।
বাকিগুলো পড়া হয় নি।

হিমু অথবা মাহবুব আজাদ যেই হোন না কেন,একদিন বাংলা সাহিত্যের শীর্ষ সাহিত্যিকদের কাতারে তার নাম উচ্চারিত হবে,এই আশা করি।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বাকি গল্পগুলো পড়ে মতামত শেয়ার করবেন আশা রাখি।

_________________________________________

সেরিওজা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বাকি গল্পগুলো পড়ে মতামত শেয়ার করবেন আশা রাখি।

_________________________________________

সেরিওজা

অনিকেত এর ছবি

এই বইটা নিয়ে আমার মাত্রাতিরিক্ত রকমের কৌতুহল।

কৌতুহলের মূল কারণ--গল্পকার আমাদের চেনা ব্লগার হিমু। বহুদিন থেকেই আমাদের দাবী ছিল তার বই বের করার। অবশেষে এইবার আমাদের দাবী জয়যুক্ত হয়েছে।

প্রবাসে পড়ে থাকার অনেকগুলো অভিশাপের মাঝে একটি হচ্ছে বইমেলায় উপস্থিত না হতে পারা। এবার সচলায়তনের অনেক লেখকের বই বেরিয়েছে।এঁরা সবাই আমার কাছে প্রিয় লেখক। তাই খুব ইচ্ছে করে তাদের বইগুলো নিজের হাতে নিই। সবার অলক্ষ্যে বইয়ের পাতায় নাক ডুবিয়ে নতুন বইয়ের মাতাল করা ঘ্রাণ নিই। ইচ্ছে করে নিজের বাসার বারান্দায় ইজি চেয়ারটাতে কাত হয়ে বসে ভাঁপ ওঠা চায়ে চুমুক দিতে দিতে বইগুলোর মাঝে ডুবে যাই ----

সে তো আর হবার নয়। তাই এই বুক রিভিউগুলোই এখন আমার একমাত্র ভরসা। প্রথমেই ভাল কথা গুলো সেরে নিই। সুহানের গদ্যরীতির আমি বিশাল ভক্ত। তার গল্প বলার ভঙ্গিমার আরো বড় ভক্ত। কাজেই সে যখন রিভিউ লিখতে বসে তখন সেটা যে চমৎকার হবে সে নিয়ে কোন সন্দেহ থাকে না। ভাল রিভিউর বৈশিষ্ট্য হল, রিভিউ পড়ে সেই বইটা/সিনেমাটা পড়ার/ দেখার আগ্রহ জেগে ওঠা। হিমুর বইটা নিয়ে এমনিতেই আগ্রহের কমতি ছিল না। সুহানের রিভিউ-র গুণে আগ্রহটা একেবারে প্রাণ সংহারী রূপ নিয়ে নিল।

একটু অতৃপ্তিও অবশ্য রয়ে গেল। হিমু যেমন ইতমধ্যেই মন্তব্যে বলেছে, তেমনি আমারও ধারণা সুহান হয়ত আরো একটু 'ক্রিটিক্যাল' হতে পারত তার আলোচনায়। তাতে বইটার রিভিউ আরো জীবন্ত হয়ে উঠত সন্দেহ নেই। কিন্তু মনে হয় বইটা পড়ে রিভিউকার নিজেই মুগ্ধতার আবেশ কাটিয়ে বেরুতে পারেন নি।

হিমু'র গল্পগুলো তো আসলে এমনি মন্ত্রমুগ্ধকর হবার কথা---!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ অনিকেতদা !!

... সচলের লেখকদের বইগুলোর প্রতি আমাদের একটু বাড়তি ভালোলাগা কাজ করবে- এ মনে হয় স্বাভাবিক। তবে, বাড়িয়ে বলছি না- গল্পগুলো আসলেই চমৎকার...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

'বিলুপ্তি' গল্পটা আমি বেশ আগে পড়েছিলাম ফেসবুকে শান্তনুর দেয়া লিংক থেকে! গল্পের নামটা ভুলে গিয়েছিলাম, কিন্তু রিভিউটা পড়ে গল্পটা আবার মনে পড়ে গেল। অসাধারন একটা ছোট গল্প!

মজার ব্যাপার হচ্ছে, আজকের দিনের আগে পর্যন্তও আমার ধারনা ছিল যে এই গল্পটা শান্তনুরই লেখা দেঁতো হাসি

কাকুল কায়েশ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আশা করি বাকি গল্পগুলোও আপনার ভালো লাগবে কাকুলদা ।

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা বই নিয়ে অনেকেই পাঠপ্রতিক্রিয়া দিতে পারেন। বিশেষ করে বইটির লেখক যদি হন আমাদের মাঝেরই কেউ একজন। একেকজন বইটি পড়ে একেক রকম ভাবে লেখকের অনুভূতির সাথে পরিচিত হবে। তাই অনুরোধ করবো সুহান পাঠ প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেলেছে বলে অন্য কেউ দিবেন না, এমনটা ভাববেন না যেনো।

যাঁরা পড়েছেন, তাদের সবার অনুভূতিটাই আমার সাথে ভাগাভাগি করুন, আসুন। শুধু মাহবুব আজাদ কেনো, বাকি সচলদের বই সম্পর্কেও আসুন জেনে নিই, মিলিয়ে নিই আমাদের পাঠপ্রতিক্রিয়া।

যখন সবার পাঠপ্রতিক্রিয়া জানা হবে, তখন আমরা লেখকদেরকে দেখতে চাইবো পাঠকের কাঠগড়ায়, তাঁর আপন দর্পণের সামনে। তিনি নিজে একটা রিভিউ দিবেন তাঁর নিজের বইটির। তখন আমরা সেটা মিলিয়ে নেবো সবার পাঠ প্রতিক্রিয়ার সাথে।

একটি বইয়ের লেখক যে ব্লগের একজন লেখকের মতোই কাছের সেটাই আমরা প্রমাণ করবো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

অন্যকথাঃ মন্মেজাজ ভালা মনে অয় ওস্তাদ ?? বিশ ইউরো ফিরত পাইসেন্নি ??

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা মারাত্মক টাইপো আছেরে চৌহাইন্যা। *আমার'এর জায়গায় হবে *আমাদেরআমাদের সাথে ভাগাভাগি করুন, আসুন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সুহানের পরিমিত রিভিউ ভাল লাগলো। সব কিছু বলে দেয়ার দোষ থেকে মুক্ত এ রিভিউ।

হয়তো পরে বিস্তারিত আবার বলবো।
এখন এটুকু বলি - 'ম্যাগনাম ওপাস' গল্পটি বাংলা ছোটোগল্পে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেবে এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী। ব্লগের গল্প বা ব্লগারদের লেখা গল্প কোনো কালকে অতিক্রম করতে পারে কিনা, সে সংকট সংশয়ে - 'ম্যাগনাম ওপাস' ব্যতিক্রম হয়ে থাকলো।

এ গল্পটির জন্যই লেখক মাহবুব আজাদকে তিন উল্লাস বলা যায়!!!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

তিন উল্লাস ??? !!!!!

হাহাহা... sHIMUl ভাই আসলেই নেতা... !!!

_________________________________________

সেরিওজা

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

রিভিউ উত্তম জাঝা!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

থ্যাঙ্কু...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

রিভিউ সুন্দর হয়েছে সুহান। গল্পগুলো অসাধারণ। তবে সবচেয়ে আকর্ষনীয় গল্প হিসেবে আমি 'সেতু সংকট'কেই বেছে নেব। এই গল্পটি যে কাউকেই চিনিয়ে দিতে পারবে গল্পকারের সামর্থ।
প্রচ্ছদের ছবিটি মেহেদি ভাইয়ের এক অসাধারণ কীর্তি। মেহেদি ভাই, অসংখ্য শুভেচ্ছা! উত্তম জাঝা! (তালিয়া) গুরু গুরু

---- মনজুর এলাহী ----

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার বাজি 'বিলুপ্তি' তে দোস্ত...

পড়েছিস বলে ধন্যবাদ।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

'বিলুপ্তি' অনেক সুন্দর গল্প। অনেকটা থ্রিলার গতিতে এগিয়ে নেয়া গল্পটির আয়তন ও বিস্তৃতি বিশাল। ভবিষৎ সময়ের সম্ভাব্য এক ভয়ঙ্কর সত্যকে নিপুন আবেগী সুরে তুলে ধরা হয়েছে পাঠকের সামনে। এই গল্পটির আবেদন অনস্বিকার্য। এ গল্পের প্রতিটি অংশে পাঠক অনুভব করে ভিন্ন ভিন্ন আবেগের- রোমাঞ্চ, ক্রোধ, হাসি এবং হতাশা এনং পরিশেষে এক অশনি ভয়ধরানো অনিশ্চয়তা।
অন্যদিকে 'সেতু সঙ্কট', সীমিত পরিসরে এক অনবদ্য গল্প। বাংলাদেশের এক নৈস্বর্গীক রুপের পুজোতে শুরু করা গল্পটি হুট করেই নেমে আসে এক রুঢ় বাস্তবতার সামনে। স্বার্থপর স্বাপদদের পদচারণার ভারে পাঠকের মনও হাহাকার করে ওঠে ঝিনুকের জন্য। সমাপ্তিতে, নিরব আত্মসমর্পণ দাগ কেটে যায় পাঠকের মনে। মস্তিষ্কের কোন এক অংশে নিউরোনগুলো বুঝিবা সংগঠিত হয়ে ওঠে প্রতিবাদের জন্য।

ভালোলাগাটা নিজস্ব দৃষ্টিভংগীর ব্যপার। আর কেন সেতু সঙ্কট এতোটা আচ্ছন্ন করেছে আমাকে তা তো এখন বুঝতেই পারছিস।

---- মনজুর এলাহী ----

হিমু এর ছবি

নিজের ঢোল পিটাতে বিব্রত লাগলেও বারবার পিটাচ্ছি। বই প্রকাশ উপলক্ষে চিকাব্লগে দুইটা পোল খুলেছি। যাঁরা বইটা পড়েছেন তাঁদের মতামত আশা করবো।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

যে-কারণেই হোক, হিমুর এ গল্পগুলো ব্লগে আমার পড়া হয়নি থরোলি। নিশ্চয়ই সেটা ভালোই হ'লো। বইটা ঘরে নিয়ে রেখেছি; যখন পড়বো, অনেক তাড়িয়ে তাড়িয়ে সস-এ চুবিয়ে রসিয়ে রসিয়ে পড়বো।
আর বই না পড়ে রিভিউ পড়তে আমারও অস্বস্তিই হয়। হয়তো এই রিভিউটা যে বই না প'ড়েও পড়ছি, সেটার অন্যতম কারণ এটাও যে এই রিভিউ তুমি লিখেছো।
আরো সমৃদ্ধ নিশ্চয়ই হ'তে পারতো, তবে অ্যাপ্রোচ-গতভাবে ঠিকই আছে। আর, বই যেহেতু এখনও পড়িনি, সুতরাং অন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে আর এখনই ঢোকার এখতিয়ার বা মূর্খতা রাখি না। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।