পেলে, ম্যারাডোনা, প্লাতিনিকে খেলতে দেখিনি কখনো। যা দেখেছি আজ পর্যন্ত- তাতে আমার স্থির বিশ্বাস, ফুটবল নামের বস্তুটাকে নিয়ে রোনালদিনহোর চেয়ে বেশি কিছু করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। কারো পক্ষেই নয়। "বলই আমার গার্লফ্রেন্ড।", ২০০৬ বিশ্বকাপের ঠিক আগে ফর্মের চূড়োয় থাকা রোনালদিনহোর উক্তিটা ঠিক এরকম ছিলো না ?? ... বল নিয়ে কী করেননি রোনালদিনহো ?? অবিশ্বাস্য- অলৌকিক সব মুভ। সে রকম অগণিত দৃশ্যের একটা এখনো পর্যন্ত চোখে একটা দৃশ্য ভাসে। উড়ন্ত ক্রস ধরতে ছুটতে থাকা রোনালদিনহো বুঝলেন বলটা তার পেছনেই পড়বে। মুহুর্তে তিনি নিজের গতি কমালেন। ছোটবাচ্চাদের উঁচু টেবিলের উপর দাঁড় করিয়ে আমরা যেমন পিঠ পেতে দিয়ে তাদের ঘাড়ে তুলি, ঠিক সেইভাবে আলতো করে পিঠ পেতে ঘাড়ের ঠিক নীচের অংশটা দিয়ে তিনি বলটা রিসিভ করলেন। এরপর ছুটন্ত অবস্থায় বাম পা'টা বাংলা দ' অক্ষরের মত বাঁকা করে পিঠ বেয়ে গড়িয়ে নেমে যেতে থাকা বলটা মাথার উপর দিয়ে নিয়ে আসলেন নিজের সামনে। ছুটলেন আবার। ... সেকেন্ড দুয়েকের একটা দৃশ্য। আমার কাছে রোনালদিনহোর ক্যারিয়ারের হাইলাইটস।
একটা ফুটবল ম্যাচে একজন ফুটবলারের ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠতম পারফরম্যান্সও দেখেছিলাম ২০০৬ এর বিশ্বকাপে। ব্রাজিল বনাম ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল। একজন খেলোয়াড়ই যেনো খেললেন মাঠজুড়ে। বাকি ২১ জন দর্শক। চোখে ভাসে সেই ম্যাচের একটা দৃশ্যও। আলতো করে 'তিনি' একটা ৩৬০ টার্ন নিলেন, সামনে পেলেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কাকা'কে। শিল্পীর এক আলতো ভলিতে বল নিয়ে গেলেন কাকার মাথার ওপর দিয়ে তার পেছনে। তিনি- গত ৫০ বছরে ইউরোপের নির্বাচিত সেরা খেলোয়াড়,ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের একমাত্র পুরুষ মডেল- জিনেদিন ইয়েজিদ জিদান।
১৯৮৭ সালে আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির লিওনেল আন্দ্রেই মেসি'র সম্পর্কে এরকম বলার মত করে কোন বিশেষত্ব নেই। রোনালদিনহোর মত বল নিয়ে অবিশ্বাস্য কারিকুরি তিনি তেমন আহামরি কিছু করতে পারেন না। শিল্পীসম সৌন্দর্য্যতেও জিদানের তুলনায় তিনি অনেক পিছিয়ে। বরং নিন্দুকেরা বলে তার মানবীয় দূর্বলতা অনেক। ডান পায়ে জোরালো শট নেই, ফ্রী-কিকে তিনি একদম সাধারণ, উচ্চতায় খাটো বলে হেডও দিতে পারেন না ভালোভাবে।
তবুও গেটাফের বিপক্ষে স্প্যানিশ লীগে মাঝমাঠ থেকে ৫ জনকে কাটিয়ে নিয়ে এসে ম্যারাডোনাকে মনে করিয়ে দেয়া সেই গোল, অথবা ২০০৮ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে শাখতার দোনেৎস্ক এর মাঠে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ০-১ এ পিছিয়ে থেকে মেসি মহিমায় ২-১ গোলে বার্সেলোনার জয়, অথবা এই মৌসুমেই আবুধাবিতে কনফেডারেশনস কাপে মাঠে নামার ৪০ সেকেন্ডের মাঝে গোল দিয়ে ধারাভাষ্যকারকে 'ইয়োহান ক্রুইফ, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, জর্জি বেস্ট- হু ক্যান বি কম্পেয়ার্ড উইদ দিস আমেজিং লিটল ম্যান ???' বলতে বাধ্য করা- এসবের কিছুই নয়, আজকের মেসি বন্দনার একটাই ছুতো, ১০ ঘন্টা আগে স্পেনের ন্যু-ক্যাম্পে ৪-১ গোলে বার্সেলোনার (পড়ুন, মেসির) আর্সেনাল বধ। আজ কেবল এই ম্যাচ নিয়েই কথা বলবো।
সেমিফাইনালে যেতে হলে ড্র করলেই চলে বার্সেলোনার। কিন্তু কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে মাঠে নামেননি বার্সার বহু যুদ্ধের যোদ্ধা রক্ষণভাগের পিকে এবং পুয়োল। শুরু থেকেই তাই বার্সেলোনার নিয়মিত সুন্দর পাসিং ফুটবলের পরিবর্তে আমরা সাবধানী বার্সেলোনাকে পাই, অতিরিক্ত সতর্কতার খেসারত বার্সাকে তাই দিতে হয় ১৮ মিনিটেই এক গোল হজম করে। আর্সেনাল শিবিরে উল্লাস, স্তব্ধ বার্সেলোনার মাঠ ন্যু-ক্যাম্প... এবং প্রস্তুত লিওনেল মেসি।
লখিন্দরের বাসর ঘরের ফুটো ছিলো। আর্সেনালের সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা চার ডিফেন্ডারের মাঝে সেই ফুটো বের করা তার চেয়েও কষ্টের হওয়ার কথা। দুই মিনিট পরেই ডানপ্রান্ত থেকে আড়াআড়ি ভাবে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তৃতীয় আর চতুর্থ ডিফেন্ডারের মাঝের এক অদৃশ্য ফুটো দিয়ে শট নিলেন মেসি। হতভম্ব দর্শকদের সাথে সাথে গোলরক্ষক আলমুনিয়াও নড়ে উঠতে পারলেন না। গোল !!! মেসি ১- আর্সেনাল ১।
৩৭ মিনিটের মাথায় আবার সেই মেসি। মাঝমাঠ থেকে নিজেই থ্রু বল বাড়ালেন বাঁ প্রান্ত থেকে উপরে উঠতে থাকা এরিক আবিদালকে। আবিদালের ক্রস বার্সেলোনার স্ট্রাইকার আর আর্সেনালের ডিফেন্ডারদের জটলার মাঝ থেকে ফেরত আসতে আসতেই মেসি দৃশ্যপটে। চিপ করে বল জড়ালেন জালে। মেসি ২- আর্সেনাল ১ ।
আর্সেনালের নিস্তার নেই। চার মিনিট পর, ৪১ মিনিটের মাথায়, আবার...। আবার মেসি। ৮৬ বিশ্বকাপে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চিপ করে অদ্ভূত এক গোল দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা, রেকর্ড ক্লিপে দেখেছি। সেই দৃশ্যের যেনো পুনরাবৃত্তি দেখলাম ২৪ বছর পর, আরো গতিময় ফুটবলে। বল পেয়েই বিনা বাঁধায় ছুট, ছুটতে ছুটতেই এক অবিশ্বাস্য দৃষ্টিনন্দন চিপ, আলতো করে, ফুটবলের সবটুকু সৌন্দর্য্য নিয়ে মেসির হ্যাট্রিক গোল !!! মেসি ৩- আর্সেনাল ১।
মোটামুটি নিষ্প্রাণ সেকেন্ড হাফের শেষভাগে এসে ৮৭ মিনিটের মাথায় আর্সেনালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকলেন ঐ আর্জেন্টাইন যাদুকরই। তিনজনের ঐ জটলার মাঝে থেকে বল কীভাবে বের করলেন তিনি, সে এক রহস্য। বারে নেয়া প্রথম শট ঠেকিয়ে দিলেন গোলরক্ষক। এবং ফিরতি শট তার পায়ের ফাঁক দিয়েই জালে জড়ালেন মেসি। মেসি ৪- আর্সেনাল ১ !!!
আগ্রহীরা ম্যাচের হাইলাইটস দেখতে পারেন এখান থেকে। তবে এটা ইংরেজী কমেন্ট্রি নয়। কেউ সেটার লিঙ্ক মন্তব্যে জুড়ে দিলে খুবই ভালো হয়।
লেখার শেষে এসে আবার ফিরে যাই প্রথমে। সেরা কে ?? রোনালদিনহো, না জিদান ?? ... ভ্যাট!! এর কোন উত্তর হয় না। যাদুকর আর শিল্পীর মাঝে তুলনা হয় কখনো ?? রোনালদিনহো ফুটবলের যাদুকর আর জিদান ফুটবলের শিল্পী। প্রশ্ন ওঠেই, জাদুকর নন, শিল্পীও নন- মেসি তবে কী ??
...মেসি, মর্ত্যের মানুষের সবটুকু সীমাবদ্ধতাকে সাথে করে ফুটবলের ঈশ্বরদের প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে যাওয়া সদ্য কৈশোর পার করা এক তরুণ, যে আমাদের পাশের বাড়ির ছেলেটির মতই আপন, মেসি- আমাদের, ফুটবল ভালোবাসিয়েদের ভালোবাসার মানুষ।
মন্তব্য
-মটকু রোনালদোর কথা না বলায় দুঃখ পাইলাম এই বেটার মত গোল করার ক্ষমতা কারো ছিলো বলে আমার মনে হয় নাই। জাতীয় দল অথবা ক্লাব সব কয়টাতে সে সেরা ছিলো।
-আমার কাছে সেরা সেই মটকু রোনালদো আর জিদান। দেশের জন্যে ভালো খেলতে না পারলে আসলে মূল্যটা একটু কম। রোনালদিনহো সেরা ছিলো ২০০৪-০৫। কিন্তু রোনালদিনহো ব্রাজিলের হয়ে তেমন কিছুই করতে পারে নাই তার সেরা সময়ে। বরং ২০০২-এ যখন সে তারকা ছিলো না তখন অনেক ভাল খেলছে ব্রাজিল দলে।
-রিকুলমে ঠিক তার উল্টা। ক্লাবে পারফরমেন্স তেমন ভাল না কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে সে অন্য যে কারো চেয়ে ভালো খেলে।
-এই বিশ্বকাপই বলে দিবে মেসি রোনালদো-জিদান পর্যায়ের "গ্রেট" হবে। নাকি আরেকজন খেলোয়ার যে তার সবকিছু ক্লাবের জন্যে দেয়।
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
মটকু রোনালদো অবশ্যই অল টাইম গ্রেট প্লেয়ারদের একজন ... আর স্ট্রাইকার হিসেবে গত বিশ-ত্রিশ বছরের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরা ...
তবে জিদান-রোনালদিনহো-মেসির খেলার সাথে মটকু রোনালদোর নাম না আসার কারণ সম্ভবত খেলার স্টাইলের ভিন্নতা ... মটকু ছিল পারফেক্ট স্ট্রাইকার, গোল দেয়াই একমাত্র কাজ, দক্ষ শিকারী ... জিদান-রোনালদিনহো-মেসি সেই তুলনায় একটু শিল্পী টাইপ আরকি, গোল দেয়ার পাশাপাশি প্রচুর গোল বানায়, বল পায়ে নিয়ে অনেক কারিকুরি করে যেটা দেখতে ভালো লাগে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
রোনালদো সাইন্সের স্টুডেন্ট। একুরেসি লেভেল ভালো কিন্তু কাট্টাখোট্টা লাগে।
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
-মটকুর কিছু ইউটিউব ভিডিও দেখলাম!! হের পায়ের কাজ আর দৌড় ! একলগে ৩-৪টারে নাচায় গোল দেওয়া কম নাকি
-তয় জিদানের সাথে রোনালদিনহো অথবা মেসির ( আপাতত ) তুলনা কর্তে আমার আপত্তি আছে। জিদান সর্বকালের সেরাদের একজন। রোনালদিনহো খেলছে তার সেরাটা ২-৩ বছর। তার পর সে প্রায় ফুরায় গেছে। এখন তার পারফরমেন্স নিয়মিত না। মেসির হাতে সময় আছে অনেক। তাই এখনই তারে জিদানের সমান গ্রেট বলতে আপত্তি আছে। তয় বর্তমানে সে সেরা যোজন যোজন মাইলের ব্যবধানে সন্দেহ নাই
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
১) মটকুর সবচে অবাক করা বিষয় ছিল ওর ক্ষিপ্রতা ... এইরকম পাহাড়ের মত শরীর নিয়া ডিফেন্স লাইনের মাঝ দিয়ে এইভাবে ছুটে বের হইতো কিভাবে আমি এখনো বুঝি না ...
২) জিদানের সাথে রোনালদিনহো বা মেসির তুলনা করতেসি না ... জিদান গ্রেট, রোনালদিনহো বা মেসি কেউই গ্রেট খেলোয়াড়ের পর্যায়ে যেতে পারে নাই; রোনালদিনহো আর পারবেও না, মেসির চান্স আছে ...
ব্যাপারটা এমন, রোনালদিনহোকে জিদানের মত গ্রেট মনে করি কি? উত্তরঃ না ...
কিন্তু, রোনালদিনহোকে স্কিলের দিক দিয়ে সর্বকালের সেরাদের একজন হিসাবে মানি কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রামছাগলটা এসে সমস্যা হয়ে গেসে, ইউটিউবে এখন আর মটকুর কোন ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায় না ...
বেশ কিছুক্ষণ খুঁজে এই ভিডিওটা পাইলাম, মটকুর যে কোন আলোচনায় তার একটা গোলগুলির একটা ভিডিও থাকা ফরজ ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
দেখেন, আমিও কিন্তু কিংকু ভাইয়ের কথাটাই বলবো। আমি কিন্তু দাবি করিনা রোনালদিনহো 'গ্রেট'- কিন্তু এটা নিশ্চিত, _"ফুটবল নামের বস্তুটাকে নিয়ে কেউ রোনালদিনহোর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে না।"
অন্তঃত আমি দেখি নাই। ভবিষ্যতে দেখবো নাকি জানিনে... আশা করি না।
_________________________________________
সেরিওজা
রোনালদিনহো বস মানি। তয় মিডফিল্ডে বলের কাজে সেরা আমার দেখা সেরা জিজু! তার উপরে কেউ নাই। ব্যাটা ২০০৬ এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলরে যেমনে নাচাইলো আমার মতো পাড় ব্রাজিল সমর্থকও হা করে চায়া ছিলাম!
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
রিপিটেড মন্তব্য ঘ্যাচাং মাইরো।
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
-সহমত
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
উপরওয়ালারে ধন্যবাদ জীবদ্দশায় লিওনেল মেসির খেলা দেইখা যাইতে পারছি, নইলে বেহেশ্তে গিয়া অবসরে ইউটিউবে কী দেইখা স্মৃতিকাতর হইতাম??
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মেসিকে নিয়ে একটা পোস্ট দিব ভাবছিলাম গত এক মাস ধরে, দেয়া হয় না কারণ কি লিখব ভেবে পাই না ... মেসির খেলার বর্ণনা দেয়া আমার মত কাঠখোট্টা ব্লগারের পক্ষে সম্ভব না, সুহান দারূণভাবে কাজটা করে দেয়ায় অনেক অনেক ধন্যবাদ ...
মেসি সম্পর্কে আমার মতামতও সুহানের মতই ... বল নিয়ে অমানুষিক সব কারিকুরির কথা চিন্তা করলে এগিয়ে থাকবে রোনালদিনহো, একই সাথে ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফরম্যন্সের কথা চিন্তা করলে জিদান; আর বল পায়ে নিয়ে বিদ্যুৎবেগে একের পর একজনকে কাটিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মেসির তুলনা শুধুই মেসি ...
মেসি সম্পর্কিত যেকোন আলোচনায় দুইটা ব্যপার উল্লেখ না করলে আলোচনা অসমাপ্ত থেকে যাবে ... প্রথমটা, মেসির শৈশবের অসুস্থতা ... বারো বছর বয়সে আর্জেন্টিনার নিওয়েল ওল্ড বয়েজের জুনিয়র টিমের খেলোয়াড় মেসির শরীরে হরমোন ডেফিসিয়েন্সি ধরা পড়ে ... চিকিৎসকদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তার শারীরিক উচ্চতা থেমে যাওয়ার কথা ছিল সাড়ে চার ফুটে ... একমাত্র চিকিৎসা হরমোন থেরাপি, যার জন্য প্রতি মাসে বেশ বড় অংকের ডলার প্রয়োজন ... মেসির পরিবারের পক্ষে এই খরচ চালানো ছিল অসম্ভব ... এই অবস্থায় স্প্যানিশ ক্লাব এফসি বার্সেলোনার এক স্কাউটের মাধ্যমে মেসির খেলা নজরে আসে তৎকালীন ইয়ুথ টীম কোচ কার্লোস রেক্সাচের ... রেক্সাচের চেষ্টায় বার্সেলোনা নিজেদের ইয়ুথ টীমে মেসিকে নিয়ে নেয়, তার চিকিৎসার ভার নেয়, তার পুরা পরিবারকে বার্সেলোনায় নিয়ে আসে আর তার বাবাকে সম্ভবত ক্লাবেই কোন একটা চাকরি যোগাড় করে দেয়া হয় ... মাত্র পাঁচ বছর পরই বার্সেলোনার মেইন টিমের হয়ে অভিষেক হয় মেসির ...
দ্বিতীয়টা, মেসির বিনয় ... মাত্র বাইশ বছর বয়সে অবিসংবাদিতভাবে পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাওয়ার পরও মেসির কথাবার্তা, লাইফস্টাইল অস্বাভাবিক রকম স্বাভাবিক ... টুথাউজ্যান্ডসেভেন-এইট সীজনে ম্যান ইউর হয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিয়াল্লিশ গোল দেয়ার পর সদম্ভ উক্তি "আমিই পৃথিবীর সেরা, দ্বিতীয় সেরা, তৃতীয় সেরা" ... তার পরের বছরই আটত্রিশটা গোল দিয়ে বার্সাকে সব জেতানোর পরও মেসির মুখ বন্ধ, সেরা খেলোয়াড় কে হবে সেটা নিয়ে সাংবাদিকদের হাজার খোঁচানোর পরও মুখ খুলতে নারাজ ... এই সীজনে আজকের খেলার পর মেসির গোল ঊনচল্লিশটা, এখনও অন্তত দশটা খেলা বাকি ...
মেসির সামনে আপাতত একমাত্র চ্যলেঞ্জ বার্সার ফর্মকে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে রিপ্রডিউস করা ... এই বিশ্বকাপে সেটা হবে কিনা বলা মুশকিল ... আর্জেন্টিনার খেলার স্টাইল বার্সার চেয়ে আলাদা; কোচ হিসাবে ম্যারাডোনা গার্দিওলার মত দক্ষ না; আর আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডে জাভি-ইনিয়েস্তার অর্ধেক মাপের কোন খেলোয়াড়ও নাই বলের যোগান দেয়ার জন্য ... তবে আশার কথা হচ্ছে মেসির বয়স মাত্র বাইশ, এখনো হাতে অনেক সময় আছে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এই কমেন্ট যোগ করায় বিশাল ধন্যবাদ ।
_________________________________________
সেরিওজা
কয়টা ভিডিও দেই ...
এইটা আজকের ম্যাচ, আর্সেনালের সাথে চার গোলের চারটাই মেসির ...
এইটা গত চোদ্দই মার্চ, স্প্যানিশ লীগে ভ্যালেন্সিয়ার সাথে, মেসির হ্যাট্রিকঃ
এইটা তার তিন দিন পর, চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নক আউট রাউন্ডে জার্মান ক্লাব ভিএফবি স্টুটগার্টের সাথে, মেসির দুই গোলঃ
আর এটা তার চার দিন পর, মার্চের একুশ তারিখ, স্প্যানিশ লীগে জারাগোজার সাথে, আবার হ্যাট্রিকঃ
আর এইটা তিন বছর আগে স্প্যানিশ কাপে গেটাফের সাথে, "ম্যারাডোনা-টাইপ" গোলঃ
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ছোটবেলায় প্রচুর পুলাপানকে ফুটবল খেলা শিখিয়েছি। মেসি যে তার কোনটা ঠিক ঠাহর করতে পারছি না। যাই হোক, শিষ্যদের এমন খেলা দেখলে গর্বই হয়!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এখন অবধারিতভাবে যে প্রশ্ন দুটি সামনে চলে আসে ,সেটা হল
১. বর্তমানে মেসিই কি সবার সেরা ?
২. এখনই ম্যারাদোনা -পেলেদের কাতারে এখনই মেসিকে ফেলে দেওয়া কতটুকু সমীচীন ? মেসিই কি এই পর্যন্ত মর্ত্যধামের সেরা খেলোয়াড় ?
প্রথম প্রশ্নের জবাবে প্রায় সবাই একবাক্যে হ্যাঁ বলবে ,আমিও এর ব্যতিক্রম নই ,কিন্তু কথার পিঠেও কিছু কথা থাকে ।শেষ পর্যন্ত খেলাটা কিন্তু এগার জনেরই ,আর তাই জাভি ইনিয়েস্তাদের মেহনতও কোন অংশে কম নয় ।যতই মেসি অতিমানবিক খেলুক ,এর পেছনেও রসদ লাগে ,আর জাভি ইনিয়েস্তারা সেই কাজ কিন্তু বেশ সুচারুভাবেই পালন করেছে ।এখন আমার দেখার খায়েশ ,্বিশ্বকাপে মেসি কি করে । সেখানে তার মর্জিসই বলের যোগান সে পাবেই ,এটা হলফ করে বলা যায়না ,ফর্মেশনও বার্সার চেয়ে আলাদাই হবে ।সবচে বড় কথা ,একজন প্লেমেকারের অভাবে আর্জেন্টিনা খাবি খাবেই (বাছাইপর্বই এর অকাট্য প্রমাণ) ,তাই মেসি তখন জোয়ালটা কিভাবে কাঁধে তুলে নেয় ,সেটা দেখতে আমি মুখিয়ে আছি ।
২.প্রথম কথা ,ব্যক্তিগতভাবে আমি তুলনা টুলনা খুব একটা পছন্দ করিনা ,কারণ সবারই ইউনিক স্টাইল আছে ,কিন্তু তাই বলে তুলনা থেমে থাকেনা ।আমি বলব ,মেসিকে ওই পর্যায়ের কিংবদন্তী হওয়ার পথটা এখনও দিল্লি দূর অস্ত ।তবে হ্যাঁ ,বিশ্বকাপে চুমোটা খেতে পারলেই কেবল এই তুলনাটা হালে পানি পাবে ,আর আমি মনে করি ,এবারই তার সবচে ভাল সুযোগ ।
যাই হোক ,আপাতত সামনে এল ক্লাসিকোর বৈতরণি পার হতে হবে ,বলাই বাহুল্য কাজটা প্রচণ্ড দুরুহ ,আর এই ম্যাচই হতে যাচ্ছে এবারের লা লিগার ভাগ্য নিয়ন্তা ,তাই রিয়াল ছেড়ে কথা কইবে না ,আমার নিজের মতামত মেসি তার ক্যারিশমা দেখাবে ,কিন্তু রিয়াল শেষ হাসি হাসবে ।
অদ্রোহ
খুব খুব চমৎকার একটা লেখা হইসে সুহান মিয়া।
এইটা মেসির ফ্যান পেজে পোস্ট করে আসো
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কমবয়েসে আর্জেন্টিনার সর্মথক ছিলাম। এখন অবশ্য আর নাই। তবে, স্মৃতিকাতরতা বলে কথা।
আপনার পোস্টটি উদ্দীপক, শৈল্পিক এবং সুগ্রথিত।
লেখাটা পড়ে দাঁড়িয়ে গেলো...ইয়ে, গায়ের লোম।
প্রায় পড়ে যাচ্ছিলো...মানে..চোখের জল।
ভিজেই গেলো বোধহয়...উমম..চোখের কোনা।
---মহাস্থবির জাতক---
(তবে আর্জেন্টিনা,
কাপ পাবে না)
আমি আজকে খেলা দেখতে দেখতে চিন্তা কর্তেসিলাম, বিশ্বকাপে যদি বার্সাকে নামিয়ে দেয়া যেত, তাইলে কেমন হত?
আর্জেন্টিনার গরুগাধাগুলোর সাথে পড়লে মেসির কি অবস্থা হয় সেটা তো সবাইই জানি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সেই ছিয়াশি সালে মেক্সিকোতে মারাডোনার খেলা দেখে বড় হইসি। গভীর রাতে টিভির সামনে বিস্ময়কর এক যাদুকর মোটামুটি একাই বিশ্বকাপটা জিতে নিল। সেই সময় আমরা যারা মারাডোনাকে দেবতা মানতাম, তারা গত ২৪ বছর ধরে অধীর আগ্রহে বসে আছি, কবে আর্জেন্টিনার সুদিন ফিরবে। অনেক ফল্স এলার্ম গেলো এর মধ্যে - গত বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে কামবিয়াসো'র সেই লেজেন্ড গোল আর ৬-১ বিজয়ের পরে ভাবসিলাম হয়তো এইবার। পরে অবশ্য অল্পের জন্য জার্মানির কাছে হেরে গেলো।
এই সিজনে মেসির খেলা দেখে মনে হয় - হয়তো এইবার মেসি-হিগুয়াইন-রা সেই ২৪ বছরের কুফা ভাঙ্গতে পারবে।
মারাডোনা বা পেলে'র সমান কাতারে যদি যেতে হয়, তাহলে মেসি-কে অবশ্যই বিশ্বকাপটা অন্তত একবার জিতে নিতে হবে। সেটা এইবার হোক বা সামনে কোন এক বার। ওর বয়স এখনো ২২ - অন্তত আরো ২টা বিশ্বকাপ খেলতে পারবে ইন্জুরি না হলে - এই ভরসা করা যায়। পেলে বিশ্বকাপ জিতেছেন ৩বার। মারাডোনা জিতেছেন ১বার, ফাইনালিস্ট আরেকবার। কিন্তু যেই একবার জিতেছেন - সেটা বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা ইন্ডিভিজুয়াল পারফরমেন্স হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত। মেক্সিকোতে তিনি ছিলেন একাই একশো। এরপরে জিদান-ও ১বার জিতেছেন, ১বার রানার-আপ। তিনিও অল-টাইম গ্রেটেস্ট-দের লিস্টে আছেন, কিন্তু ঠিক পেলে-মারাডোনার সমকক্ষ হিসাবে পুরোপুরি স্বীকৃত নন।
আমার মনে হয়, মেসি যেই খেলা দেখাচ্ছে এই বয়সে, তাতে একজন মারাডোনা-কেও ও ধরে ফেলতে পারবে। কিন্তু ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রফিটা জিতলে তবেই। বার্সেলোনার সাথে যদি ৫টা ইউরোপিয়ান কাপও জিতে, তারপরেও সেটা একটা বিশ্বকাপ ট্রফির অভাব পূরণ করতে পারবেনা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
মন্তব্যে (Y)। একেবারে মনের কথা সব বলে দিয়েছেন সুবিনয়'দা।
মেসি এই বার পারবে কিনা বলা কষ্টকর, তবে সে যে পারবে এই ব্যাপারে আমি আশাবাদি।
এই বিদেশে একা একা বসে খেলা দেখায় কোন আনন্দ নেই। খেলাগুলো আবার এখানকার সময়ে হয় দিনে। দিনে আবার ফুটবল খেলা দেখে শান্তি পাওয়া যায় নাকি।
দেখা যাক। দেখতে দেখতে তো এসেই গেল বিশ্বকাপ।
এইবারেও আসুক আর্জেন্টিনা জার্মানির সামনে...মেসি-টেসি সব ফুটা কইরালামু মুহাহা...
যা বলার এখানে বলে দিয়েছি।
তাই আমি মেসি-রে ভাল পাইনা
লেখার জন্য
কালকের খেলা দেখতে দেখতে অনেক চিল্লাইছি। এখন গলা ব্যথা।
মেসির খেলা দেইখা যেমন আরাম পাই, ঠিক তেমন আরাম পাইলাম লেখাটা পইড়া, তাই ৫ তারা দাগাইলাম। আর কিংকংরে ধন্যবাদ মেসির ইতিহাস জানানোর জন্যে। মেসি সেরা কিনা সেই বিতর্কে যাবার যোগ্যতা বা জ্ঞান আমার নাই, তবে আর্জেন্টিনার কোয়ালিফাইং এর কথা মনে পড়লে ডর লাগে দিলে। ব্যক্তিগতভাবে মেসিরে সেরা মনে করি, তবে মুকুট চাইলে তারে বিশ্বকাপে চুমা দিয়াই নিতে হবে। পিষ্যা ফালারে মেসি এই বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ দলগুলারে।
সুহান মিয়ারে অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইটা একটা ইতিহাসের বড় একটা আপসেট হবে যদি মেসি কখনো বিশ্বকাপ না পায়, তবে এইটা ঠিক যে এবার না পাবার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ- কারণটা হলো কোচ। ম্যারাডোনার মত আবেগী লোকেরে দিয়ে এই যুগে ভালো কোচিং আশা করা যায় না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি- আরেকটা বড় আপ্সেট হচ্ছে মালদিনির মত একটা খেলোয়াড় কখনো বিশ্বকাপ পায় নাই, অথচ সর্বকালের সেরা দল করলে সেইখানে তার আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি...
_________________________________________
সেরিওজা
আর্জেন্টিনার জিততে হইলে মেসিরে নিজেই জিতাইতে হবে...ম্যারাডোনা যেভাবে নিজেই জিতে নিসিলো...
ভাই, ম্যারাডোনার যুগ আর এই যুগে পার্থক্য আসে। আগে কেউ ডীফেন্ডিং রে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতো না- এখন নেয়। আগে লোকজন ফার্স্ট টাইম চার্জ কর্তো, এখন আপনি দুইজেনেরে কাটাইবেন- তিন নাম্বার জন আপনারে ফেলায়া দিবো...
এখন ব্যক্তিগত দক্ষতার সাথে ট্যাকটিকাল একটা ব্রেন পেছনে দরকার...
_________________________________________
সেরিওজা
এটাই হচ্ছে পরম সত্যি কথা। এখন খেলা আগের চেয়ে অনেক টাফ।
যাই হোক, ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে এতটা অবজ্ঞা করা উচিত হবে না। উরুগুয়ের সাথে বাছাই পর্বের শেষ খেলাটাতে ম্যারাডোনার ট্যাকটিকস সফল ছিল। সুতরাং ম্যারাডোনার ট্যাকটিকাল ব্রেন নাই, এটা সত্যি কথা নয়।
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
মেসির যদি বিশ্বকাপ জিতাইতে পারে সেইটা হবে চরম বিস্ময় কারন আজ পর্যন্ত সেরা ফর্মে থাকা কোনো খেলোয়াড় বিশ্বকাপ জিতাইতে পারে নাই। অন্তত শেষ ১০-১২ বছরের হিসাব তাই বলে। ৯৮ বিশ্বকাপে রোনালদো, ২০০২ বিশ্বকাপে জিজু, ফিগো, ২০০৬ বিশ্বকাপে রোনালদিনহো। এরা কেউই ক্লাবের সেরা ফর্মটা দিতে পারে নাই বিশ্বকাপে। বরং ৯৮ ও ২০০২ এ জিজু ও রোনালদোর উপর এত চাপ ছিলো না তাই পারছে জিতাইতে। এইবার রোনালদিনহোকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে পারে। পুরানো চাল ভাতে বাড়ে বলে একটা কথা আছে না!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
লেখা এবং মন্তব্য উপভোগ করলাম। কিন্তু সবার বিশাল বিশাল মন্তব্য দেখে নিজের মন্তব্য করতে ডর কর্তেছে
নাহ মেসিরে নিয়া তোমার লেখাটারে ভালু পাইলাম সুহান মিয়া
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ফুটবল খেলা ভালোভাবে বোঝার আগে থেকেই আর্জেন্টিনা আর ম্যারাডোনার ভক্ত আমি। লেখায় ৫ তারা ....উৎপাত শুভ্র ফেল
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ভাইয়া জিদানের চেয়ে উচ্চাসনে অন্য কোন খেলোয়াড়কে এতো শীঘ্রই স্থান দিয়েন না, কষ্ট লাগে!
ফাটাফাটি লেখা!!
আমি আর্জেন্টিনার কড়া ভক্ত। সবকিছু জেনে শুনেই। জানি এবারো হয়ত ভরাডুবিই ঘটতে চলেছে আমার প্রিয় এ দলটার। কিন্তু তারপরও আমি এদের সাথেই আছি। আগের বারের চেয়ে বরং একটু বেশি সাহস নিয়ে
কারণ--মেসি!!
আমি জানি যে এই ছোট ছেলেটার কাছে প্রত্যাশা এখন আকাশচুম্বি। বয়েস ২২ হলেও শিশু-মুখের এই ছেলেটি ইতোমধ্যেই পেরিয়ে এসেছে কষ্ট-ক্লেশের সমুদ্র।
তার জন্যে আমার একটাই প্রার্থনা থাকবে, অন্য কিছুর কথা না ভেবে নিজের খেলাটা খেলে যাও,বস। বাকী সব তখন তোমার বশ হবে!!
সুহানকে আবারো ধন্যবাদ এমন চমৎকার একটা লেখার জন্যে!!
পোস্ট পড়ে আজকেই প্রথম মেসির খেলা দেখলাম
তবে এইবার ওয়ার্ল্ড কাপে আফ্রিকান কোন টিমকে আগে সাপোর্ট করুম। তাপ্পর মেসি
ফুটবল কী?
প্রশ্ন দেইখা মুমুফার কথা মনে হইলো। তারে মিস্করি
লেখায় জাঝা...
বিশ্বকাপে জিদানের সেই ম্যাচ দেখে [ব্রাজিলরে হারানোর] মনে হইছিলো এরচেয়ে ভালো খেলা সম্ভব না কারো পক্ষে। রোনালদিনহোতে আমি ব্যাপক মুগ্ধ।
এখন আর খেলা দেখা হয় না। এই পোস্টে কিংকুর দেওয়া লিঙ্কগুলো দেখে একটু মেসিজ্ঞান পাবো আশা করি...
অপেক্ষা করে আছি বিশ্বকাপের। তবে এটা সত্যি... টেন্ডুলকার যেমন সব পেয়েও বিশ্বকাপের আক্ষেপ... তেমনি... বিশ্বকাপ হাতে না তুললে বেইল নাই কোনো খেলোয়াড়ের
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ লেখা! মেসি তো মেসি-ই!!!
নতুন মন্তব্য করুন