-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [অভিসার- বোধিসত্ত্বাবদানকল্পলতা। ]
গল্পটা আরম্ভ হতে পারতো সেই লোকটাকে দিয়ে। আরামবাগের সবুজ রঙের একটা মেসবাড়ির তেতলার কোণার ঘরে থাকা সেই লোকটা। সকাল বেলার ইঁদুর দৌড়ে যখন শহর ব্যস্ততায় জাগতে চায়, তখন ভীড় ঠেলে আরামবাগ থেকে নিউমার্কেটের বাসে ওঠার পর অপরিষ্কার শার্টের যে লোকটাকে আপনি প্রায়ই সহযাত্রী হিসেবে খুঁজে পান-এই গল্পের আরম্ভ হতে পারতো সেই লোকটার কথা দিয়ে। লোকটার সাথে আপনার আরো সাক্ষাৎ হতে পারে নিউমার্কেট ডাক অফিসের করণিকের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে, সাক্ষাৎ হতে পারে অলস বিকেলে লালবাগ দূর্গের বাগানে, সাক্ষাৎ হতে পারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে টিএনটি কলোনীর বাদামের খোসা ছাড়ানো রাস্তায়। লোকটা এমনই। লোকটা এভাবেই মিছিলের একজন হয়ে যায়। লোকটাকে আলোচ্য করে আমাদের গল্প তাই এভাবে শুরু হতে চায়।
অথবা গল্পটার আরম্ভ হতে পারতো অন্য কোথাও। সেটি হতে পারতো বিদ্যুৎহীনতার রাতে গরমে বিপর্যস্ত আরামবাগের লোকেদের খিস্তিখেউড় দিয়ে। এবং অব্যবহিত সময় পর সেই একই এলাকাবাসীর বিস্ময় মিশ্রিত নিচুস্বরের আলোচনা থেকে। যে বিস্ময়ের জন্ম এক অজ্ঞাত আলোক উৎস হতে।...সন্ধ্যা রাত পেরিয়ে গেলেই নিয়মিত এক অনিয়মিত বিরতিতে মেসবাড়িটার তেতলার কোণের ঘরটির জানালায় খেলা করা ঐ আলোর উৎস কোথায় ?? লোকটা কিছু স্বীকার করতে চায় না। লোকটা কেবল হাসে। কিন্তু ঐ সাতবর্ণী আলোর উৎস সম্পর্কে অজ্ঞানতা আপনাকে তবুও পীড়িত করতে থাকলে আপনি উত্তর পেতে পারেন নিউমার্কেট ডাক অফিসে লোকটির সহ করণিক আবদুর রবের কাছে। আলোচ্য, অমিশুক লোকটা একমাত্র আবদুর রবকেই জানিয়েছে তার গোপন কথা। তার রংধনু সংগ্রহের কথা। লোকটা রংধনু জমায়। ... চমকে উঠলেন না কি ?? ডাকটিকিট জমান না আপনি ?? ভিনদেশী মুদ্রা ?? দুষ্প্রাপ্য উপন্যাস ?? তবে রংধনু সংগ্রহে কেন অযথা ধর্মগ্রন্থ বিকৃতির আশঙ্কা ??... সেই আশঙ্কা থাকলেও সেটি সরিয়ে রেখে অপেক্ষমান গল্পটার কাছে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গল্পটা অগ্রসর হতে পারে কোন এক বিকেলে আরামবাগ ফেরতা বাস ধরতে ব্যর্থ লোকটার অলস-উদ্দেশ্যহীন হাঁটা শহীদুল্লাহ হলের সামনের পুকুরঘাটে এসে শেষ হলে। পুকুরের এককোণে শালপ্রাংশু এক নাম-না-জানা গাছের আকর্ষনে লোকটা দীর্ঘক্ষণ অনড় বসে থাকে। লোকটা জেনে অবাক হয়, এবং তার ভাবতে ভালো লাগে এই শহরে এখনো অচিন বৃক্ষেরা আছে, এই শহরের অচিন বৃক্ষে এখনো নীল বর্ণের অজানা কোন ফুলের কুঁড়ি ফোটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের লাইব্রেরীতে দিনদু'য়েক বই ঘেঁটেও অচিন বৃক্ষের পরিচয় আবিষ্কারে ব্যর্থ লোকটা এখন প্রায় বিকেলেই শহীদুল্লাহ হল সংলগ্ন পুকুরঘাটে আসে। লোকটা বোঝে- অচিন বৃক্ষের উপর তার একটা যেন সহজাত অধিকার আছে। সে-ই যেন এই বৃক্ষের একমাত্র অভিভাবক। নতুন রংধনুর সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত প্রায় বিকেলে বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে অচিন বৃক্ষের ফুল ফোটার জন্যে অপেক্ষা করতে করতে তার বেশ লাগে। ফাঙ্গাস সংক্রমণে অচিন বৃক্ষে ফুল আসার অপেক্ষা দীর্ঘতর হয়। লোকটা অপেক্ষা করে যায়। লোকটা যেন নিশ্চিত জানে, অচিন বৃক্ষের ফুল তার জন্যে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসবে।
সংবাদপত্রে খবর আসে, উত্তরের পাহাড়ী শহরের জোড়া-রংধনু দেখা যাচ্ছে আজকাল। রংধনু জমানো লোকটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। রংধনু সংগ্রাহক লোকটা জানে, জোড়া রংধনুর মত দুষ্প্রাপ্য বস্তুটি সংগ্রহশালায় অন্তর্ভুক্ত করতে অতি দ্রুত তাকে উপস্থিত হতে হবে পাহাড়ী শহরটায়। অতএব, ডাক অফিসের বড়কর্তার কাছে ছুটির আবেদন করে। বড়কর্তার আমাদের আলোচ্য, অমিশুক লোকটির প্রতি কোনরকম স্নেহবোধ না থাকায় ছুটির আবেদন নামঞ্জুর হয়। দ্বিতীয় বার। তৃতীয়বারও। লোকটা জানে জোড়া রংধনুর টুকরো- যা সংগ্রহ করা প্রত্যেক রংধনু শিকারীর এক পরম আরাধ্য- সংগ্রহ করবার জন্যে তাকে একমাসের মাঝে উত্তরের পাহাড়ী শহরে পৌঁছতেই হবে। লোকটা তাই চতুর্থবার ছুটির আবেদনপত্র জমা দেয় এবং আবেদনপত্রের প্রসঙ্গস্থলে 'ছুটি' শব্দটি লিখতে গিয়ে তার মনে এক বিচিত্র ভাবের সৃষ্টি হয়। লোকটা হঠাৎ রবীন্দ্রনাথের 'ছুটি' গল্পের ফটিকের চরিত্রের সাথে নিজের সাদৃশ্য খুঁজে পায়। চারপাশের ছোট হয়ে আসতে থাকা শহরে লোকটার শ্বাস থেমে যেতে চায়। লোকটা তাই ছুটির আবেদন করে আবার।
গল্পের ধারাবাহিকতায় আলোচ্য লোকটা নীলক্ষেতের পুরাতন বইয়ের দোকান থেকে মাধ্যমিকের একটা গদ্য সংকলন যোগাড় করে। আরামবাগের তেতলা মেসবাড়ির সেই সন্ধ্যাটি কাটে বারংবার 'ছুটি' গল্প পাঠের মধ্য দিয়ে। লোকটা বুঝতে পারে, সে অথবা মেসবাসীরা, অথবা শহরবাসীরা প্রত্যেকেই, একেকজন ফটিক। তার রংধনু সংগ্রহের জন্যে ছুটি না-প্রাপ্তির আশঙ্কা লোকটাকে চেপে ধরে। সে আশঙ্কা সত্যি হয়। চতুর্থবারেও তার ছুটির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। লোকটা তখন এই শহরে তার একমাত্র বন্ধুজন, সহ করণিক আবদুর রব কর্তৃক তার পঞ্চম আবেদনপত্রটি পরিমার্জিত করে বড়কর্তার দপ্তরে পুনরায় দেয়। লোকটা বোঝে যে তার ফটিকের মতো ছুটি হবে না, লোকটা তাই একটা অলৌকিকের প্রত্যাশায় থাকে। লোকটা তাই শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপ্রান্তে অচিন বৃক্ষতলায় আরেকটা বিকেল কাটায়, একটা ফুল ফোটার আশায় থাকে। ফাঙ্গাস সংক্রমণের আধিক্যে কোন ফুল সে বিকেলেও গাছে আসে না। লোকটা ব্যর্থ হয়ে মেসে ফিরে যায়।
ছুটির আবেদন গৃহীত অথবা প্রত্যাখ্যাত হবার বিজ্ঞপ্তি আশা-আশঙ্কার মাঝে নিউমার্কেট ডাক অফিসে লোকটার কর্মদিবস অতিবাহিত হয়। লোকটা অপেক্ষা করে যায়। এবং, লোকটার বিস্মিত চোখের সামনে সে বিকেলে একটা অলৌকিক ঘটনা ঘটে, শহীদুল্লাহ হলের পুকুর সংলগ্ন অচিন বৃক্ষে ফুল আসে। লোকটা বুঝতে পারে তার ছুটি মঞ্জুর হতে চলেছে। একজন রংধনু শিকারীর শ্রেষ্ঠতম সংগ্রহ উপাদান- জোড়া রংধনু; প্রাপ্তির সম্ভাবনায় লোকটা উত্তেজিত হয়। আরামাবাগের মেসবাড়িতে সেই রাতে লোকটি তাই "আমার ছুটি হয়েছে মা, আমি বাড়ি যাচ্ছি।" এই উক্তি বারংবার নিজের উদ্দেশ্যেই বলে যায়। বলতে তার বড় ভালো লাগে। পরদিন ডাক অফিসের দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে বড়কর্তার ডাক পেয়ে লোকটি তাই বিস্মিত হয় না। বড়কর্তাকেও বিস্মিত বা উত্তেজিত বলে মনে হয় না। বড়কর্তা, নিরুত্তাপ ভাবে, চশমার আড়ালের গম্ভীর চোখের দৃষ্টির সাথে মুখে বলেন যে, লোকটির আর কোন আবেদনপত্র লিখবার প্রয়োজন নেই- কারণ তাকে কোনভাবেই ছুটি দেয়া হবে না। তাকে ছুটি দেয়া যায় না। এই শহরে কখনো কোন লোকেদের ছুটি দেয়া হয় না।
সেই বিকেলে আরামবাগ অভিমুখী বাসগুলোর জন্যে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সারিতে লোকটি অনুপস্থিত থাকে। অবধারিত ভাবে তাকে দেখা যায় তার প্রিয় অচিন বৃক্ষের সামনে, অপলক চোখে অচিন বৃক্ষের নীল বর্ণের ফুল দেখতে থাকা লোকটির নানা কিছু মনে পড়ে। প্রকান্ড একটা ধাউস ঘুড়ি লইয়া উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ, 'তাইরে নাইরে নাইরে না' করিয়া উচ্চৈঃস্বরে স্বরচিত রাগিণী আলাপ করিয়া অকর্মণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদীতীর, দিনের মধ্যে যখন-তখন ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বিনী, সেই-সব দল-বল উপদ্রব-স্বাধীনতা... । লোকটা কিছুতেই বুঝতে পারে না, অচিন বৃক্ষের ফোটা ফুল তবে তার জীবনে কীসের ইশারা দিতে ফুটেছিলো। অথচ সহসা সে বুঝতে পারে। বালকদিগের সর্দার ফটিক চক্রবর্তীর মাথায় চট্ করিয়া একটা নূতন ভাবোদয় হয়...। লোকটা উঠে দাঁড়ায়, লোকটা হাঁটতে থাকে, লোকটা মিলিয়ে যায়।
সকাল বেলার ইঁদুর দৌড়ে যখন শহর ব্যস্ততায় জাগতে চায়, তখন ভীড় ঠেলে আরামবাগ থেকে নিউমার্কেটের বাসে ওঠার পর অপরিষ্কার শার্টের লোকটিকে আজকাল আর দেখা যায় না। বিদ্যুৎহীনতার রাত্রে আরামবাগের মেসবাড়িটার তেতলার কোণের ঘরটির জানালায় আজকাল কোন আলো খেলা করে না। নিউমার্কেট ডাক অফিসে করণিক আব্দুর রব অথবা বড়কর্তা'রা উপস্থিত থাকলেও লোকটা আর কখনো উপস্থিত হয় না। ... লোকটা নিজের ছুটি যেন নিজেই নিয়ে নিয়েছে। গল্পটা এখানে শেষ হয়ে যায়।
অথচ, গল্পের প্রকৃত শেষটা হয় আরো পরে। সেই সমাপ্তির শুরুটা হয় যখন আপনি নীলাঞ্জনপুর নামের ছিমছাম কোন মফস্বল শহরে অবকাশ যাপনে গিয়ে সন্ধ্যারাতে হাঁটতে যান, অথবা উত্তপ্ত ক্লান্ত দুপুরে ময়ূরাক্ষী নদী তীরে কোন অশ্বথ গাছে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নেন- তখন লোকটার সাথে আপনার সাক্ষাৎ হওয়ার মাধ্যমে। লোকটা আপনাকে আশ্বস্ত করে বলবে, সে নিজের ছুটি নিজেই নিয়েছে। লোকটা আপনাকে অচিন বৃক্ষের কথা বলবে, আপনি আকৃষ্ট হবেন। অবকাশ যাপন শেষে আপনি পরিচিত শহরে ফিরে এসে শহীদুল্লাহ হলের পুকুরঘাটে যাবেন, চারপাশের অগণিত বৃক্ষরাজির মাঝে আলাদা করে অচিন বৃক্ষ খুঁজে না পেয়ে আপনি স্থানীয় ছাত্রদের কাছে জানতে চাইবেন অচিন বৃক্ষ কোনটি।...
ছাত্ররা আপনাকে জানাবে, এইখানে এখন কোন অচিন বৃক্ষ নেই। এই শহরে কখনো কোন অচিন বৃক্ষ ছিলো না...
মন্তব্য
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম (শুধু মাঝখানে বউ ডাইকা ভেতরের রুমে নিয়া একটা ইন্ডিয়ান চাল্লু মডেলরে দেখায়া কইলো তারে আমি চিনি কিনা ... এমন ভাব যে আমার মডেলগো লগে হেভি দহরম-মহরম !!!)। তোমারে একদিন বলছিলাম - "অনেক বড় একজন লেখ হোন - এটাই আশা করছি, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর খেতা পুড়ি"। আজও এই কথা কয়া গেলাম। তোমার লেখা আসলেই 'অন্যরকম'।
মিয়া এমন 'পাশবিক' লেখা আসে কেমনে ... মাতাডা পুরাই আউলা ... নগদে প্রিয়।
===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর খেতা পুড়িয়ে যদি মডেলগো লগে দহরম-মহরম করা যেতো... আহা !!!!
থ্যাঙ্কস বস। বেশি বলে ফেলেছেন। ...
নগদে কৃতজ্ঞতা।
_________________________________________
সেরিওজা
এক বাঁও মেলেনা,
দুই বাঁও মেলেনা...
কারো আর ছুটি মেলেনা।
অদ্ভুত সুন্দর গল্প।
লেখালেখিতে কি আরেকটু নিয়মিত হওয়া যায়না?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এই লাইনগুলা পড়বার সময় আমার কেবল মার্ক টোয়েনের কথা মনে পড়তো...
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। আমি কিন্তু নিয়মিতই আছি...
_________________________________________
সেরিওজা
শেষটা এত সুন্দর করে হল...
খুব ভাল।
................................................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
পড়বার জন্যে ধন্যবাদ।
_________________________________________
সেরিওজা
সুপ্রিয় সুহান,
আমি জানি এখন যে কথাটা বলব তাতে তোমার কোন ক্ষতি-বৃদ্ধি হবার সম্ভাবনা কম।উলটো হয়ত বিরক্তি উদ্রেকের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই কথাটা আমার নিজের জন্যেই তোমাকে বলা দরকার। নাহলে একধরনের অপরাধবোধ থেকে যাবে মনে।
কথাটা খুব সাধারণঃ
আমার দৃষ্টিতে তুমি সচলের সব চাইতে প্রতিভাবান গল্প লেখক। আমি কেয়ার করিনা অন্যেরা কী ভাবল না ভাবল। তোমার লেখায় অন্য কারো ছায়া আছে কি না, সেটাও আমি থোড়াই কেয়ার করি (এবং তোমারও তাই করা উচিত)। তুমি যেমন লিখছ, তুমি তেমন লিখে যাও। সময়ের হাত ধরে তুমি একসময় ঠিকই তোমার নিজস্ব চূড়ায় পৌঁছে যাবে।
যখন প্রথাগত ধাঁচের গল্প পড়ে পড়ে ক্লান্ত, তখন ঠিক এই রকমের দুয়ার ভাঙ্গা গল্পের প্রয়োজন পড়ে। কী যে অসামান্য লাগল এইটা পড়ে, কী বলব! জানিনা আগে তোমাকে বলেছিলাম কি না----এমন তুমুল কাব্যগন্ধী তোমার গদ্য যে আমাকে প্রায় গ্রাস করে ফেলে, বিবশ করে ফেলে।
অনেক ধন্যবাদ বস, এমন একটা গল্পের জন্যে। অনেক ধন্যবাদ পাহাড়চুম্বী ক্লেদাক্ততার জঠর থেকে আমাকে এক টানে এই ভুবনডাঙ্গার খোলা ময়দানে হাজির করে দেবার জন্য ।
তোমার জয় হোক!!!!!!
বাপস্...
অনিকেতদা, এমন ভাবে প্রশংসা করলে তো লজ্জা পেতে হয় রে ভাই !!! আপনি যে মন্তব্য করলেন- ভয় পাচ্ছি, ভবিষ্যতে হয়তো অপটু লেখনী আপনাদের অপছন্দ হলে বকা'ই শুনবো।
কেবল কৃতজ্ঞতা ... একরাশ কৃতজ্ঞতা ...
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান- উপরের কমেণ্টটা আসলে আমার করা। তুমি হয়তো জানো না কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে আমি অনিকেত নামে লেখালেখি করি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ওরে দুষ্টু ওডিন---!!
যাক, একদিক থেকে ভালই হল।
জনগন, আমার নামে বরাদ্দ করা সকল গালিগালাজ এখন ওডিনের ঠিকানায় পাঠায়া দেন---হে হে হে --
হ'
আমি আমার অতিনিম্নস্তরের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে কিছু ভালো ভালো কথা ভেবে বের করেছিলাম প্রিয় লেখকের লেখায় মন্তব্য করবো বলে- আর আপনি সেইটা আগেই আরো নিযুতগুন ভালো করে লিখে ফেললে কেম্নে কি??
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
উফফফ...এই সকপাপেটদের যন্ত্রণায় আমার আইপি সহ ব্যান হবার যোগাড়...
এহ, আসছে আরেকজন। বুইঝেন, মডু মহলে কিন্তু আমার হাত অনেকদূর বিস্তৃত।কাজেই, সাধু সাবধান ...
_________________________________________
সেরিওজা
হ্যাহ, আমি এক মডুর অফিসে ডেইলি ডেইলি দিবানিদ্রা দেই...
যেই নামেই লেখালেখি করেন, ১৭টা গোল দিলাম (হুঁ হুঁ বাবা, আমার নাম ধুরন্ধর সামন্ত !!!) ; লাচ্ছি পাওনা আছে আমার...
_________________________________________
সেরিওজা
হুম, অচিন বৃক্ষ শুনলেই মনে হয় এতে নীল ফুলই ফুটবে, কেন মনে হয় কে জানে!!!
আপনি কী ইচ্ছা করেই প্রধান চরিত্রকে ডাকবিভাগের মানুষ বানিয়েছেন? "ছুটি" র সাথে সাথে "পোস্টমাস্টার" গল্পের ছোঁয়া দেবার জন্য? নাকি এটা শুধুই কাকতাল?
গল্পে "দারুণ", তবে নামটা অন্যকিছু হতে পারত
সহমত...
গল্পদা দারুণ। কিন্তু নামটা অন্যকিছু হলে আরো ভালো হতো।
সুহান, পরীক্ষা তো শেষ... এখন হাত পা খুলে নাক ডুবিয়ে গল্প লেখতে থাকেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
@আনন্দী' আপুঃ উম্ম, আমার নিজের সর্বদা মনে হয় অচিন বৃক্ষের ফুল নীলই হবে। অন্যদের মনে হয় না কি, জানিনে...
আর ডাকঅফিসের কথা লেখার সময় আমার 'পোস্টমাস্টার' গল্পের কথা মনে হয়েছিলো সত্য, তবে ওটা ভেবে লিখিনি। নিছক কাকতাল...
নাম কী দেবো সেটা তখনো বুঝে উঠতে পারিনি, এখনো মাথায় কিছু আসছে না... আপাততঃ এই থাকুক, পরে কিছু পেলে বদলে দেবো।
@নজরুল ভাইঃ ধন্যবাদ পড়েছেন বলে।
_________________________________________
সেরিওজা
খুব খুব সুন্দর গল্প। অসম্ভব ভালো লাগলো...
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রম।
_________________________________________
সেরিওজা
ভাল লাগলো
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খেকশিয়ালকে ধন্যবাদ।
_________________________________________
সেরিওজা
অপূর্ব লাগলো। কী বলবো বুঝে উঠতে পারছি না। অনেকদিন আগের এক নীল জ্যোৎস্নায় জেগে ওঠা বুড়া রাজা আর তার বন্ধুর কথা মনে পড়ে, লড়াইয়ের শেষে যারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদতো। মৌলী ছাড়া কেউ যাদের দেখেনি। রাতের বাতাসে যার বাঁশির সুর আসতো সেই না-দেখা পাগলা রাখালকে মনে পড়ে, মনে পড়ে তিরতির করে কাঁপা বেলাশেষের আলো হ্রদের জলে, মনে পড়ে তারায় ছাওয়া আকাশের নিচে অমল আর রাজা, রাজা তাকে তারা চিনিয়ে দেয়। মনে পড়ে উন্মন বাদ্যকর, মনে পড়ে মহুয়ার গল্প। মনে পড়ে চন্দ্রাবতী। মনে পড়ে চিঠি নিয়ে আসছে ডাকহরকরা,পথের পাশে ধানের চারাগুলি খুশি হয়ে মাথা নাড়ছে।
ভালোলাগায় মন ভরে গেল সুহান। আরো লিখুন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার ভাষার উৎপ্রেক্ষা কিন্তু দারুণ মায়াবী !!!
... পড়েছেন বলে ধন্যবাদ।
_________________________________________
সেরিওজা
ভাল্লাগসে
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
থ্যাঙ্কস বস...
বিশ্লেষণ করলে কিন্তু ভালো হইতো...
_________________________________________
সেরিওজা
আমি কোনোদিন এভাবে লিখতে পারবো না।
অফটপিকঃ কিছু শব্দালাপ...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কচু, খুপ্পার্বেন...
অফটপিকঃ ঐ হানেই জবাব দিমু...
_________________________________________
সেরিওজা
মুগ্ধতাকে ছাড়িয়ে যাওয়া একটা গল্প।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
_________________________________________
সেরিওজা
আমি পড়ে অনেক্ষণ হাত গুটিয়ে বসে রইলাম। একটা ভালোলাগার অনুভূতিতে আক্রান্ত হলাম। আমি সেই লোকটার সাথে লেখককে গুলিয়ে ফেলছিলাম বার বার। প্রিয়তে রেখে দিলাম।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ বর্ষাপু...। এবং কৃতজ্ঞতা।
_________________________________________
সেরিওজা
তুই আসলেই শব্দশিল্পী। শব্দ নিয়ে মায়াময় আবেশ তৈরী করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা তোর আছে। মুগদ্ধতাটুকু জানিয়ে গেলাম।
তার্কিক
থ্যাঙ্কুশ রামিন !!!
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান, আমি তীর হারা মুগ্ধতার সমুদ্রে ভাসছি। তোর এই গল্পটা আগের সব গল্প থেকে সুন্দর আর মর্মস্পর্শী হয়েছে।
আসলেই হাঁপিয়ে গেলামরে বন্ধু। ছুটি যে হয় না।
বাক্যহারা মানুষটার কাছ থেকে এক আকাশ শুভেচ্ছা থাকলো তোর জন্য।
---- মনজুর এলাহী ----
আমিও ছুটির অপেক্ষায়,...... পড়ার জন্যে ধন্যবাদ দোস্ত...
_________________________________________
সেরিওজা
তব্দাস্টিক!
থাঙ্কু ভাই !!
_________________________________________
সেরিওজা
দীর্ঘ পরীক্ষা বিরতির পর এমন একটা গল্প! সিম্পলি অসাধারণ!!
১. গল্পের শিরোনাম নিয়ে একটা সেকেন্ড থট্ দিতে পারো।
২. শেষের দুই অনুচ্ছেদ অনেক পাঠকেরই ভালো লেগেছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে "ছুটি"র সাথে "বৃক্ষপুরাণ"কে জোড়া লাগানোর জন্য এই দুই অনুচ্ছেদ - যার দরকার ছিলনা। এই গল্পের পাঠকেরা "লোকটা" মিলিয়ে যাবার পর পরই বুঝতে পারবেন অচিন বৃক্ষ বলে কিছু কখনো ছিলনা।
৩. গুরুদেবের উদ্ধৃতির এই অংশটুকু মনে হয় পরিহার করা যেতঃ
প্রকান্ড একটা ধাউস ঘুড়ি লইয়া উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ, 'তাইরে নাইরে নাইরে না' করিয়া উচ্চৈঃস্বরে স্বরচিত রাগিণী আলাপ করিয়া অকর্মণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদীতীর, দিনের মধ্যে যখন-তখন ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বিনী, সেই-সব দল-বল উপদ্রব-স্বাধীনতা...
৪. তোমার নিজস্ব ভাষা একটু একটু করে তৈরি হচ্ছে। এই ক্রমোন্নতিটা দেখতে ভালো লাগছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১ এবং ৩।
একটু ভাবতে হবে।
২। এই অংশ নিয়ে আমিও একটু সন্দিহান এখনো, যে এটা বাহুল্য কি না।
৪। চেষ্টা চলছে...
ধন্যবাদ এই আলোচনাটার জন্যে। দরকার ছিলো এটা।
_________________________________________
সেরিওজা
দারুণণণণণণণণণণণণণ....
মেম্বররে ধন্যবাদ ...
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান মিয়া আরেকটু নিয়মিত গল্প লেখা উচিত তোমার। অনেকদিন পর লিখছ এবং অনেক ভাল লিখছ তাই একটা বুড়া আঙ্গুল দেখাইলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অনেকদিন পর লিখলাম এবং অনেক ভাল লিখলাম, কিন্তু বুইড়াঙ্গুল দিলেন একটা ?? খেলুম না...
_________________________________________
সেরিওজা
বাহ্! দারুণ লাগলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
থ্যাঙ্কস বস !!!
_________________________________________
সেরিওজা
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর...
_________________________________________
সেরিওজা
আপনে তো মিয়া.......নিজেই একটা প্রভূখণ্ড
স্বপ্নদ্রোহ
বাপ্রে... অনেক ধন্যবাদ জানবেন স্বপ্নদ্রোহ !!!
_________________________________________
সেরিওজা
গল্প নিয়ে তোমার খেলাগুলো আমার খুব পছন্দের। তয় আমার কিছু কথা আছে। কঞ্চিপায় দেখা হলে বলবোনে।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ঠিকাসে... অপেক্ষায় থাকলাম।
_________________________________________
সেরিওজা
ভালো লাগলো খুব। মনে হইলো অসাধারণ! অনেক কিছুই কইতে ইচ্ছা হইতাছে। মগর কমু না। আরো লেখেন।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বাপ্রে, কী না কী কইবেন ...
পড়েছেন বলে ধন্যবাদ।
_________________________________________
সেরিওজা
একবার পড়ছি কালরাতে
আরেকবার পড়লাম আজ সকালে
এই গল্পটা অনেকবার পঠিত হবার দাবী রাখে।
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই, সময় করে দুইবার পড়েছেন বলে...
_________________________________________
সেরিওজা
ভাব ধরে বসেছিলাম। লগিন করবোনা আজ।
কিন্তু এরকম গল্প পড়ে থাকা যায় ভাব ধরে ? অপূর্ব সুন্দর!
শিরোনাম আমার কাছেও ঠিক মনে হয়নি। চর্চিত এবং কিছু আরোপিত।
অন্তত 'রবীন্দ্রনাথের ছুটি গল্প' শব্দত্রয় বাদ দিয়ে শুধু 'ফটিক ও বৃ্ক্ষপুরাণ' দেয়া যেত।কিংবা অন্যকিছু। আসলে আমি নিজেই শিরোনাম নিয়ে প্রচুর সমস্যায় ভুগি। তাই আরো ভালো কিছু মাথায় আসছে না।
আরেকটা কথা বলা ভাবা অথবা বলা হয়তো ঠিক হচ্ছেনা। তবু বলি। আপনার পুরো গল্পটায় ছড়িয়ে আছে একটা কোমল ঠান্ডা মেঘ। এই মেঘে কাটিয়ে ধা্ক্কা খেয়েছি 'শিকারী' শব্দটা পড়ে। এ শব্দটার মাঝে কোথাও না কোথাও একটা নিষ্ঠুরতা আছে। বারবার যখন ভাবতে চাইছি। গল্পলোক রংধনুকে আদর করছে। বিস্মিত তাকিয়ে আছে ঘরময় রংধনুর দিকে। 'শিকারী' ততবার এসে কোন এক ভোগী জমিদারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
'বড়কর্তা' র সাথে একটা 'র' হবে কি?
এতো মায়াময় একটা গল্পে রবীন্দ্রনাথের এতো বড় বড় উক্তি দিয়ে কেন তাকে জবরজং করলেন? আপনার গল্পে শুধু আপনাকেই জানতে চাই সুহান। অন্য কাউকে নয়। রবীন্দ্রনাথ এ গল্পে একটু বেশী চেপে বসেছেন।
এতকিছু বলা শুধুমাত্র মুগ্ধতা থেকে। তারপরো অগ্রহনীয় হলে জানাবেন। বিরত থাকবো ভবিষ্যতে। গল্পের জন্য অভিবাদন জানবেন আবারো।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রানা'পু...
... শিরোনাম নিয়ে আমি আসলে এই গল্পে সন্তুষ্ট নই। তবে যুতসই শি্রোনামও পাচ্ছিলাম না, এখনো পাইনি। পেলে ভবিষ্যতে পালটে দেবার আশা রাখি।
... শিকারী- শব্দের নিষ্ঠুরতা ইচ্ছাকৃত নয়। শব্দ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে বলে মনে হয়, কারণ কিছু শব্দ মনে হচ্ছে আরোপিত বলে মনে হচ্ছে পাঠকের কাছে (নীচে হিমু ভাই দেখলাম একই রকমের মন্তব্য করেছেন।)। খেয়ালে রাখলাম বিষয়টা...
... বড়কর্তা এর পরে অবশ্যি 'র' হবে- টাইপো ওটা। ধরতে পারিনি...
... গল্পটার ধারণা আমার মাথায় এসেছিলো গল্পগুচ্ছ আরেকবার চোখ বুলানোর সময়, রবির কিরণে চোখ ধাঁধিঁয়ে লেখা বলেই মনে হয় বুড়ো মানুষটি এ গল্পে এতটা প্রকট...
... মন্তব্যের আলোচনার জন্যে আবার ধন্যবাদ।
_________________________________________
সেরিওজা
- সাবাস প্রিয় গল্প লিখিয়ে।
এরকম নিজেকে নিজেই ছুটি দেয়া, গণ্ডি পেরিয়ে সামনে চলা, নিজের ভূবন খুঁজে বের করার গল্প আরও পড়তে চাই সুহান।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাঙ্কস এ লট ধুগো'দা...
আপনার কথায় সাহস পাই...
_________________________________________
সেরিওজা
গল্পটা খুব ভালো লেগেছে।
তবে কিছু কিছু শব্দ গল্পের বর্ণনাকে সামান্য ভারি করে ফেলেছে। যেমন "সাতবর্ণী", "সহকরণিক" ... পড়তে গেলে এই শব্দগুলোর ওপর এসে চোখ আটকে থাকে কিছুক্ষণের জন্য।
পড়বার জন্যে ধন্যবাদ হিমু ভাই...
কিছু শব্দে মনে হয় পাঠকের সমস্যা হচ্ছে- ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো সতর্ক থাকার...
_________________________________________
সেরিওজা
দারুণ! খুবই ভালো লাগলো গল্পটা (তোমার জন্য এ আর নতুন কী! তুমি তো এরকম ভালো গল্পই লেখ সবসময়)
ধন্যবাদ...
ইয়ে, বিডিয়ারদের কিন্তু বিচার হৈতেসে , মিথ্যা প্রশংসা আইনে আপ্নেরে ঢুকায়া দিমু ভাবতেসি...
_________________________________________
সেরিওজা
গল্পটি পড়তে বেশ ভালো লাগলো সুহান
-------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধন্যবাদ, অভিনেত্রী মহাশয়া...
_________________________________________
সেরিওজা
ওরে, অসাধারণ হইসে।। তারা দাগানোর ক্ষ্যামতা নাই। তয় তারাডা রইলো। পরে এক সময় ডিভিডিত রাইট কইরা দিয়া দিমুনে।।
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
খুশি হলুম, বেমালুম, দোস্তো !!!
_________________________________________
সেরিওজা
নতুন মন্তব্য করুন