হুমায়ূন আহমেদের কোন একটা লেখাতে ঘটনাটা পড়েছিলাম। খুঁটিনাটি মনে নেই, মনে আছে মূল অংশটা।
লেখক হুমায়ূন গিয়েছেন নেত্রকোণায়- কোন এক নাটকের শুটিং করতে। এক পর্যায়ে শুটিং বন্ধ করতে হলো। কেননা স্থানীয় লোকেরা বিরাট এক মিছিল বের করেছে। সেই মিছিল একটু পরপর গগণবিদারী হাঁক দিচ্ছে, " ম্যারাডোনাকে বিশ্বকাপ ... ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও !!! "
কৌতূহলী হুমায়ূন মিছিলের একজনের কাছে জানতে চাইলেন, "ভাই, ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ জিততে পারেন নাই- এটা একটা আন্তর্জাতিক ইস্যু। বাংলাদেশের মানুষ এইটা নিয়ে মিছিল করলে কী কোন লাভ হবে ??"
... উত্তর এলো- " আমরা নেত্রকোণার মানুষ। লাভ-ক্ষতি বিবেচনা করণ আমাগো কাম না। আমাগো কাম ম্যারাডোনার লাইগ্যা মিছিল করা !!! "
চার বছর আগের কথা। উপরতলার চাচীকে আক্ষেপ করতে শুনলাম। চাচা নাকি গতকাল রাতে ভাত খান নাই, সকালে নাস্তা না করেই অফিসে গেছেন। কারণ কিছু না, ব্রাজিল গতরাতে ফ্রান্সের কাছে হেরে গিয়ে বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে।
মনে পড়ে যাচ্ছে, ২০০২ সালে খবরের কাগজের ভেতরের দিকের অংশের একটি মফস্বল সংবাদ। তের বছরের কিশোর আত্মহত্যা করেছে বাবার উপর অভিমান করে, বাবা ছেলেকে গালমন্দ করেছিলেন তুর্কি ফুটবলার উমিত দাভালার অনুকরণে মোহিকান ছাঁটে চুল কাটায়।
চাঁদা তুলে বুয়েটের হলে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকা টানানোর সিদ্ধান্ত হলো চোখের সামনেই। ঠাস বুনোটের ঢাকা শহরের আকাশছোঁয়া হাইরাইজ এপার্টমেন্টগুলোর ছাদ থেকে আজকাল যানজটের সাথে সাথে দেখা যায় নানা রঙের পতাকা। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড-ফ্রান্স-জার্মানী-ইতালী। নীলক্ষেতের মোড়ে প্রতিবন্ধী যে ভিক্ষুক গড়াগড়ি দিচ্ছে ফুটপাথে, পতাকা শোভা পাচ্ছে তার সাথেও। জরিপে এসেছে, বিশ্বের মোট পুরুষ-মানুষের শতকরা ৮০ ভাগের বর্তমান প্রধান আলোচ্য বিষয় একটাই। মহিলারা পিছিয়ে নেই এখানেও। অলিভার নিউভিল, পাওলো মালদিনি, ডেভিড বেকহামের পর এখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর কাকা'র ক্রেজ।
... বললে বিশ্বাস করবেন, সৃষ্টি জগতের সবচেয়ে যুক্তিবাদী প্রাণী মানুষের এইসমস্ত কাজকর্মের অন্তরালে রয়েছে ৬৯ সেমি পরিধি আর ৪৪০ গ্রাম ওজনের একটা চর্ম গোলক মাত্র ??
বিশ্বাস করছি। কারণ, ৬৫০ কোটি মানুষের ভারে পিষ্ট পৃথিবীতে সর্বজনবোধ্য একমাত্র যে ভাষাটি- সেই 'ফুটবল' নামের ভাষায় অচিরেই পর্দা তুলতে যাচ্ছে 'দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ', রহস্যের মহাদেশ আফ্রিকায় !!!
বিশ্বকাপের গ্রুপঃ
এবারের দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে দেখা যাবে সবচেয়ে প্রচলিত ৩২ দলের ফরম্যাটটাকেই। আটটি গ্রুপে বিভক্ত দলগুলোর মাঝ থেকে সেরা ১৬ টিকে বেছে নিয়ে শুরু হবে নকআউট পর্ব। এখান থেকে হারলেই বিদায়। এরপর ক্রমান্বয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল এবং ফাইনাল।...
প্রথমে আসুন, একটু চোখ বুলিয়ে নেই কোন গ্রুপে রয়েছে কোন দেশ। কাদের উত্তরণের সম্ভাবনা রয়েছে 'করুন অথবা মরুণ' পর্বে।
গ্রুপ এ = দক্ষিণ আফ্রিকা, উরুগুয়ে, মেক্সিকো, ফ্রান্স। [ফ্রান্সের পরবর্তী পর্বে যাওয়া দেখা যাচ্ছে একরকম নিশ্চিত। দ্বিতীয় স্থানের জন্যে উরুগুয়ে এবং মেক্সিকোর লড়াই হবে তুমুল। মেক্সিকোকে একটু এগিয়েই রাখছি। তবে সকল হিসাব মিথ্যা করে চমক দেখাতে পারে স্বাগতিক দঃ আফ্রিকাও।]
গ্রুপ বি = আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া, দঃকোরিয়া, গ্রীস। [আর্জেন্টিনা এবং নাইজেরিয়াই মূলত পরের পর্বে যাওয়ার দাবীদার। দঃকোরিয়াকে চমক দেখাতে হলে ভালো পরিশ্রম করতে হবে।]
গ্রুপ সি = ইংল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, আলজেরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। [ইংল্যান্ড এই গ্রুপে পরিষ্কার ফেভারিট। দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকবে মূলতঃ আমেরিকানেরা।]
গ্রুপ ডি = জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সার্বিয়া, ঘানা। [শক্তির বিচারে জার্মানি পরিষ্কার এগিয়ে। অবশিষ্ট তিনটি দলের যে কেউই পরের রাউন্ডে যাবার সামর্থ্য রাখে।]
গ্রুপ ই = নেদারল্যান্ড, জাপান, ক্যামেরুন, ডেনমার্ক। [অঘটন না ঘটলে নেদারল্যান্ড এবং ক্যামেরুন যাচ্ছে পরবর্তী পর্যায়ে।]
গ্রুপ এফ = ইতালি, প্যারাগুয়ে, নিউজিল্যান্ড, স্লোভাকিয়া। [ইতালি এবং প্যারাগুয়ের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত প্রায়।]
গ্রুপ জি = ব্রাজিল, পর্তুগাল, আইভরী কোস্ট, উত্তর কোরিয়া। [উত্তর কোরিয়া বাদে বাকি তিনটি দলই বিশ্ব ফুটবলে সমীহ জাগানো। এই বিশ্বকাপের 'গ্রুপ অফ ডেথ' বলা হচ্ছে এই গ্রুপটাকেই। এই গ্রুপ নিয়ে তাই কোন অনুমান না করাই শ্রেয় !!]
গ্রুপ এইচ = স্পেন, চিলি, হন্ডুরাস, সুইজারল্যান্ড। [সবকিছু ছক কেটে চললে স্পেন এবং চিলি যাচ্ছে পরের রাউন্ডে।]
বিশ্বকাপের দাবিদারঃ
দিস্তা দিস্তা কাগজ উড়িয়ে পৃথিবীর বাঘা বাঘা সমালোচক-সাংবাদিক-বিশ্লেষকেরা প্রতিদিন খুঁজে বেড়াচ্ছেন ২০১০ সালের দঃআফ্রিকা বিশ্বকাপের দাবিদারকে।
বিশ্বকাপের স্পষ্টঃ ফেভারিট, স্পেন। বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন এই দলটির কাগজকলমে বিশ্বকাপ না জেতার কোন কারণই নেই। স্ট্রাইকার, মিডফিল্ডার, ডিফেন্ডার মায় গোলকীপার পর্যন্ত সবগুলো পজিশনেই স্পেনের রয়েছে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়েরা। কোন এক কোচ তো মন্তব্যই করে বসলেন কিছুদিন আগে, 'স্পেন এবার দুটো স্কোয়াড নামাতে পারে বিশ্বকাপে, এবং দুটো স্কোয়াডই হবে বিশ্বকাপের দাবিদার।' কাজেই দীর্ঘ ঐতিহ্যের ফুটবল ইতিহাস নিয়েও কখনো বিশ্বকাপ না জেতা স্প্যানিয়ার্ডেরা এবার আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। প্রতিপক্ষ কেবল ইতিহাস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যে প্রায় প্রতিবারই হট ফেভারিট দলটিকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে !!! কাজেই ইতিহাসের এই অংশটুকু ভুল হলেই এবার বিশ্বকাপ স্পেনের হবে- এবং সত্যিকারের ফুটবল সমর্থকেরা নিশ্চয় এতে তৃপ্তি পাবেন...
বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই অন্যতম ফেভারিট দল থাকে ব্রাজিল, ব্যতিক্রম হয় নি এবারো। ৯৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কার্লোস দুঙ্গাকে কোচ করে ব্রাজিলিয়ানেরা স্বপ্ন দেখছে হেক্সা শিরোপা জয়ের। জোগো বনিতো নামের শৈল্পিক ঘরানার ফুটবল থেকে দূরে সরে এসে দুঙ্গা বানিয়েছেন একটা পরিশ্রমী দল, যাদের সকলেই কর্মঠ এবং কার্যকারিতায় যথেষ্ট দক্ষ। কনফেডারেশন্স কাপ এবং কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নেরা তাই বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার।
৮৬ বিশ্বকাপের পরে কাপ জয়ের আশা করছে এবার আর্জেন্টিনাও। আর্জেন্টাইনদের ফুটবল দেবতা ডিয়েগো ম্যারাডোনা এই দলের কোচ। চিরকালীন পাগলামীকে সঙ্গে করে দল নির্বাচনে মূলতঃ নিজের ইচ্ছাকেই প্রাধাণ্য দিচ্ছেন তিনি। বাছাইপর্বের বৈতরণী পার হতেই ঘাম ঝরে গেছে এই দলটির। তারপরেও আক্রমণভাগের একগুচ্ছ ধারালো খেলোয়াড় নিয়ে ম্যারাডোনা স্বপ্ন দেখছেন বিশ্বকাপ জয়ের এবং স্বপ্ন দেখছে এই দলের অগণিত সমর্থক।
ইটালি এবং জার্মানি- পরিসংখ্যান বলে ব্রাজিলের পরে এরাই বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল। মার্সেলো লিপ্পির ইতালি এবং জোয়াকিম লো'র জার্মানি দল এবার আহামরি কিছু নয়। বিশেষ করে দলনেতা মাইকেল বালাককে ইনজুরির কারণে হারিয়ে জার্মানি পড়েছে বেশ নাজুক অবস্থায়। তবুও বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্সের পারদ বরাবরই উর্ধ্বমুখী, এই কারণেই ফেভারিটদের তালিকায় রাখা তাদের।
সম্ভাব্য সেরা দলটিকে নিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড। বরাবরই তারা বিশ্বকাপের সমীহ জাগানিয়া শক্তি। তবুও ঠিক কাপ জয়ের দাবিদার তাদের কাউকেই বলা যাচ্ছে না। বড় কোন অঘটন ঘটাতে না পারলে এবারো কাপ ছাড়াই ফিরতে হবে এই দলগুলোকে।
প্রায় প্রতিটা বিশ্বকাপেই তাক লাগানো পারফরম্যান্স দেখা যায় কোন ছোটো দলের। এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আফ্রিকায়, কজেই আফ্রিকান দলগুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বড় দলগুলো। নিজেরা কাপ জিততে না পারলেও কাপ জয়ের দাবিদার বড় কোন দলকে সরিয়ে দিতে পারে এই আফ্রিকান দলগুলো। বিশেষভাবে চোখ রাখতে হবে আইভরি কোস্ট, ক্যামেরুন এবং ঘানার উপরে।
বিশ্বকাপের তারকাঃ
প্রতি বিশ্বকাপ জন্ম দেয় নতুন কোন তারকা। ইতিহাসের পাতায় নিজেকে ধরে রাখতে ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় উপলক্ষ হলো বিশ্বকাপ। পেলে-ম্যারাডোনা-ক্রুইফ-বেকেনবাওয়ার স্মৃতিতে আছেন বিশ্বকাপের কারণেই। নিতান্ত সাধারণ মানের খেলোয়াড় এই সাত ম্যাচের পারফরম্যান্সে যেমন চলে যেতে পারেন গ্রেটদের কাতারে, তেমনি দুনিয়া কাঁপানো পারফরম্যান্সে মাঝের চার বছর ক্লাব পর্যায়ে মাঠ মাতিয়েও খুব সাধারণ বলে গণ্য হতে পারেন সেরা খেলোয়াড়টিও।
ছোট দলের বড় খেলোয়াড়দের কথাই বলে নিই আগে। আইভরি কোস্টের দিদিয়ের দ্রগবা, ঘানার মাইকেল এসিয়েন, উরুগুয়ের ডিয়েগো ফোরলান, দঃকোরিয়ার পার্ক জি সুং এবং ক্যামেরুনের স্যামুয়েল ইতো- এদের দিকে কেবল তাঁদের দেশই তাকিয়ে নেই; বিশ্বকাপের দর্শকেরাও তাকিয়ে আছে ফুটবলের খাতিরে।
ফ্রান্সের ফ্রাঙ্ক রিবেরি, নেদারল্যান্ডের আরিয়েন রোবেন হতে পারেন বিশ্বকাপের অন্যতম তারকা।
বিশ্বকাপের সবচেয়ে দুর্ভাগা ব্যক্তিটি হতে পারেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রজন্মের দারুণ এক খেলোয়াড় হয়েও তিনি খেলবেন পর্তুগাল দলে। রোনালদো যদি পারেন এই দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ জিততে তবে ইতিহাসে বড় রোনালদোর পাশে বসবেন তিনি অনায়াসে।
স্টিফেন জেরার্ড থাকা সত্বেও ইংল্যান্ড সমর্থকদের সবচেয়ে বড় ভরসা ওয়েইন রুনি। ইংরেজেদের 'রুনালদো' সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর ক্লাব পর্যায়ের ফর্ম কতটা দেখাতে পারেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপভাগ্য নির্ভর করছে তার ওপরেই।
ব্রাজিল দলের অপেক্ষাকৃত মিডিওকারদের ভীড়ে চোখ রাখুন কাকা, রবিনহোর উপরে। লুইস ফ্যাবিয়ানোও হয়ে উঠতে পারেন এই বিশ্বকাপের পরে বড় তারকা।
তারকার অভাব নেই স্পেন দলে। ডেভিড ভিয়া, ফার্নান্দো তোরেস, ইকার ক্যাসিয়াস, জেরার্ড পিকে, কার্লোস পুয়োল, সেস ফ্যাব্রিগাসের বিশাল তারকা খচিত লাইনআপে আলাদা করে চোখ রাখুন আন্দ্রেই ইনিয়েস্তা এবং জাভি হার্নান্দেজের ওপর। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় তারকা হবার যোগ্যতা রয়েছে এই দুই স্প্যানিশের মাঝে।
...এবং দঃআফ্রিকা বিশ্বকাপের আগেই সবাই বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকার তকমাটা এঁটে দিয়েছে লিওনেল মেসির উপরে। বছর দুয়েক ধরে ক্লাব পর্যায়ে এই আর্জেন্টাইনের যা পারফরম্যান্স, তাতে স্বয়ং ম্যারাডোনা পর্যন্ত নিজের সেরা ফর্মের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন এই মেসিকে। কিন্তু সর্বকালের সেরাদের মাঝে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করার বিকল্প নেই- এটা নিশ্চয় বোঝেন মেসি নিজেও। অতএব ২০০৬ সালের জিনেদিন জিদানের পারফরম্যান্সটা যদি মেসি দেখাতে পারেন এই বিশ্বকাপে, তবে অনেকদিন ধরে মনে রাখার মত এক ফুটবলারকে পেয়ে যাবে দর্শক।
বিশ্বকাপের টুকিটাকিঃ
দঃআফ্রিকা বিশ্বকাপের ভেন্যু সর্বমোট ১২টি। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে জোহানেসবার্গে।
বিশ্বকাপের মাস্কটের নাম 'জাকুমি'। সবুজচুলো এই চিতাবাঘের নাম নেওয়া হয়েছে 'জা' এবং 'কুমি' শব্দদয় থেকে। জা- বলতে দক্ষিণ আফ্রিকা বোঝায় এবং আফ্রিকান ভাষায় কুমি শব্দের অর্থ 'দশ'। জাকুমি ধারণ করছে এই বিশ্বকাপের মূলমন্ত্র, যেটি হলো, "Zakumi's game is Fair Play."
বিশ্বকাপের এবারের বলের নাম 'জাবুলানি'। জুলু ভাষায় এই শব্দের অর্থ- সকলের আনন্দের জন্যে। এডিডাসের প্রস্তুতকৃত এই বলে রয়েছে এগারটি ভিন্ন ভিন্ন রঙ, যেটি প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের এগারোজন খেলোয়াড় এবং আফ্রিকার প্রধাণ এগারটি ভাষার।
বিশ্বকাপের চমৎকার থিম সংটি গেয়েছেন সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান গায়ক কে'নান।
... এবং শেষকথাঃ
পুরোনো একটা উক্তি মনে পড়ে গেলো। "তিনটা জিনিস পৃথিবীতে সবাই চেনে। কোক, যিশু আর ফুটবল !!! " অতিরঞ্জন হতে পারে কিছুটা, তবে কথাটা সত্য বটে। পৃথিবীর সকল মানুষকে একই ভাবে আনন্দ দানের জন্যে ফুটবলের বিকল্প কিছু আর আছে কি ?? এমন একজন দুর্ভাগাও কি আছেন, যিনি শখের বশে পাড়ার ফুটবলে হলেও ঐ চামড়ার গোলকে দুয়েকটা লাথি কষান নি ??...
বিশ্বকাপ মানে তাই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার জার্সি পরে রাস্তায় জটলা করা, বিশ্বকাপ মানে চাঁদা তুলে নতুন টিভি, বিশ্বকাপ মানে পাড়ার ছাদে হরেক রঙের পতাকা, বিশ্বকাপ মানে চায়ের কাপে গলাগলি-গালাগালি, বিশ্বকাপ মানে আড্ডায় টেবিল চাপড়ানো, বিশ্বকাপ মানে প্রাণের বন্ধু সাথে বিচ্ছেদ- এমন কী বিশ্বকাপ শুরুর আগেই !!!!
... এতো গেলো সাধারণ মানুষের কথা। বিশ্বকাপ কিন্তু কাকা-রোনালদো-মেসি'দের কাছেও বিশেষ কিছু। বিশ্বকাপের আরেকটা মানে যে পেলে-ম্যারাডোনাও !!! ওই সারিতে নাম বসিয়ে অমর হতে হলে রাস্তা কোথায় আর কাকা-রোনালদো'দের ???...
অমরত্বের হাতছানি আর বিশ্ব জুড়ে আবেগের ঢেউ বইয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ এই শুরু হলো বলে। প্রস্তুত বিশ্ববাসী। মাঝে আর মাত্র কয়েকটা দিন...
ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হবে, প্রতিবারের মত এবারেও আমার একই ভবিষৎবাণী। ব্রাজিল যদি ঠিক করে ওরা কাপ নেবে না তবে অন্য কেউ নিতে পারে।
(আমি জানিও না কোন টিম কীরকম খেলে, এই ভবিষৎবাণীর পিছে কোন যুক্তি নেই, ব্রাজিল নিয়ে অনেকটা নেত্রকোনার মানুষের মতই অবস্থান আমার)
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইটালির কাপ ইটালির কাছেই থাইকপে। যাইতে দিতান্ন।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ভাইজান ইতো তো ঘানার না ক্যামেরুনের। আপনার লেখাটা পড়ে ভাল্লাগছে।
অনিচ্ছাকৃত ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ায় ধন্যবাদ বিবেক ভায়া। ঠিক্কর্লাম।
_________________________________________
ফুটবল নিয়ে একসময় তুমুল আগ্রহ ছিলো। স্কুলে ফুটবল খেলে পা ভেঙ্গেওছিলাম! এখন আর আগ্রহ পাইনা। টিভিতেই সবচেয়ে বড় অনাগ্রহ আসলে!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বেশ গোছানো লেখা।
গ্রুপভিত্তিক বিশ্লেষণে এসে থমকে গেলাম,খানিক তাড়াহুড়ো করা হয়েছে বলে মনে হল আমার। বিশেষ করে,এক লহমায় কোন একটা দলের পূর্বাপর নিরীক্ষণ না করে পরের রাউন্ডে তুলে দেওয়াটা খানিকটা অফুটবলীয় সুলভ তো হয়েছেই।আর ,শুধু এ অংশটুকু নিয়েই আলাদা একটা অনুপুঙ্খ লেখা দেওয়া যেত।
ফেভারিটদের নিয়ে প্রেডিকশন মোটামুটি নির্মোহ,তবে ইংল্যাণ্ড নিয়ে আরেকটু বেশি আলাপ করা যেত মনে হয়,শত হলেও ক্যাপেলো যখন কোচ।
যাই হোক ,য়াশা করি ,এই লেখার পর বিশ্বকাপ নিয়ে কাঁপাকাঁপি সচলেও শুরু হয়ে যাবে।আর ছোট্ট করে আমার নিজের মতটুকু জানিয়ে রাখি ,কাপ উঠতে যাচ্ছে সেলেকাও বা আলবিসেলেসদের ঘরেই।
অদ্রোহ।
এক লহমায় কোন একটা দলের পূর্বাপর নিরীক্ষণ না করে পরের রাউন্ডে তুলে দেওয়াটা খানিকটা অফুটবলীয় সুলভ তো হয়েছেই।আর ,শুধু এ অংশটুকু নিয়েই আলাদা একটা অনুপুঙ্খ লেখা দেওয়া যেত।
হককথা। তাড়াহুড়োর কারণও মনে হয় ধরতে পেরেছিস। বড়সড় বিশ্লেষণ করে লিখলে পোস্টের আকার যা হবে, সেটা বিবেচনাতেই আর বেশি প্যাঁচাইনি। তবে, বিশ্লেষণ করলেও মনে হয় প্রায় প্রতিটা গ্রুপের ক্ষেত্রেই তুই আমার সাথে একমত হবি।... যাকগে, এই নিয়ে তবে তোর একটা আলাদা পোস্ট দাবি করলাম। সেই ক্ষেত্রে সচলের পাঠকেরা আমাদের সাথে প্রেডিকশনগুলাও শেয়ার করতে পারে।
_________________________________________
একটা গেইমিং শুরু করা যায়। লোকজন একটা টিম ঘোষণা করবে। টিমের খেলোয়াড়রা যে দলে আছেন, সে দল জিতলে খেলোয়াড় পিছু ১০ পয়েন্ট। সেই খেলোয়াড় গোল দিলে ৫০ পয়েন্ট। এভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। প্রথম রাউন্ড পর্যন্ত নতুন দল খোলা যাবে, কিন্তু একবার খুলে ফেললে আর পাল্টানো যাবে না, ওটাকে নিয়েই শেষমেশ খেলতে হবে।
গোণাগুণতি হাতে করতে হবে। কেউ গুণতে ভুল করলে শুধরে দেয়া হবে, কিন্তু বারবার ভুল করলে ডিসকোয়ালিফায়েড।
খেলবেন নাকি?
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
আসলেই দারুণ হয় তাহলে ,হিমু ভাইয়ের প্রস্তাবে দুই হাত তুলে রাজি।
তবে কিছু কথা আছে,যেমন একটা দল যেহেতু এগার জন মিলে,আর গোল করা মূলত স্ট্রাইকারদের কাজ,তাই গোলকীপার,ডিফেন্ডার,মিডফিল্ডারদের পয়েন্টের জন্য আলাদা ক্রাইটেরিয়া ঠিক করা যেতে পারে।নাহলেএগার জনই স্ট্রাইকার নিতে হয় যে !!
অদ্রোহ।
খেলতে আপত্তি নাই। তয় নিয়মটা খুব প্যাঁচাইল্লা বইল্যা মনে হৈতাসে। আরেকটু খোলাসা করা দরকার...
আর পয়েন্টের পরিমাণ কমানো হোক । এতো বেশি পয়েন্ট হিসাব করা মুশকিল, পরে ডিস্কোয়ালিফাইড হয়া যামু...
_________________________________________
এরকম একটা গেম থেকেই ইয়াহু কোম্পানীর জন্ম। তবে খেলাটা ছিল আমেরিকান ফুটবল।
হিমু ভাই যে কন্সেপ্টটার কথা বললেন সেটাকে বলে "ফ্যান্টাসী ফুটবল" ... অনেক ওয়েবসাইটেই খেলা যায়, আলাদা করে নিয়ম-কানুন বানানো বা পয়েন্ট হিসাব রাখার কোন দরকারই নাই ...
যেমন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই ফ্যন্টাসী ফুটবল নামে আলাদা অংশ আছে ... সেখানে গিয়ে টিম সিলেক্ট করে ইপিএলের ফ্যন্টাসী খেলা যায় ... টিম সিলেক্ট করা ছাড়া আর কোন কাজই নাই ... বিস্তারিত নিয়ম-কানুন চট করে জেনে নিতে ক্যাডেটকলেজব্লগের এই পোস্টটা দেখতে পারেন ... মোটামুটি সব জায়গাতেই এই টাইপ রুল ফলো করা হয় ...
গুগল করে দেখলাম ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ নিয়েও ফ্যান্টাসি খেলার এমন অনেক সাইট আছে ... এদের যে কোন একটা, যেমন ইএসপিএন-সকারনেট বা ইউরোস্পোর্টসে গিয়ে একটা প্রাইভেট লীগ বানায়ে নিয়ে শুরু করা যায় ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
সবাই এক জায়গায় না খেললে তো মজা নাই।
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
ইশতিয়াক কিন্তু ইতিমধ্যেই সচলদের জন্য ফিফা ডট কমের ফ্যান্টাসী ফুটবলে একটি প্রাইভেট লীগ আয়োজন করেছে! ও ব্যস্ত থাকাতে হয়ত এখনো পোস্ট দেয় নি, কিন্তু অচিরেই দেবে! আপাতত শুধু এখানে রেজিস্ট্রশন করে রাখুন এবং নিজের টিমের পছন্দমত একটা নাম দিয়ে রাখুন! বাকীটা ইশতিয়াক বলবে......
এখানে সচলরা সবাই একসাথেই খেলতে পারব!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
আরে আমাকে এই আইডিয়া ইশতিই দিয়েছে!
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
নিচে কিংকু যা বলল, সব কিছুই এখানে বিদ্যমান! প্রাইভেট লীগে তো নিজেদের মধ্যে খেলা যাবেই, মূল লীগেও খেলে জিততে পারলে গাড়ী-বাড়ী পুরস্কার পাওয়া যাবে!
যাই হোক, প্রাইভেট লীগের রেজাল্ট সচলে এমবেড করা যাবে কিনা আমি জানি না! করতে পারলে সেটা ফাটাফাটি ব্যাপার হবে!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ইশতি ভাইয়ের পুরো পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। আমি গত সিজনের আগের সিজন অবধি ইয়াহু ফ্যান্টাসী লিগ খেলেছি, ৯৯ পার্সেন্টাইলের ওপরেই ফিনিশ করেছি তার আগের চারবার। তবে এখন স্কিল আর নেই।
আপনারা কি সবাই রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন ?? মানে ইশতি ভাইয়ের ফুটবল লীগ কি এই সাইটেই খেলতে হবে ??
_________________________________________
সেটাই হবে ... আমরা যে কোন একটা সাইট সিলেক্ট করবো, তারপর সেখানে কেউ একজন একটা প্রাইভেট লীগ ক্রিয়েট করবে ... ওয়েবসাইটের নাম এবং লীগের আইডি সবাইকে একটা পোস্ট দিয়ে জানায়ে দেয়া হবে ...
তখন বাকিরা সেখানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবে, টিম বানাবে, তারপর সেই প্রাইভেট লীগে জয়েন করবে ...
প্রাইভেট লীগের সুবিধাটা হচ্ছে, ওভারঅল ranking এর পাশাপাশি ঐ লীগের মধ্যে কার পজিশন কত সেটা দেখা যাবে ... ধরেন, ওভারঅল ঐ ওয়েবসাইটের সব প্লেয়ারের মধ্যে আপনার পজিশন ১০০০, সুহানের ২০০০, আর আমি লাড্ডাগুড্ডা ৩০০০ ... কিন্তু সচলের প্রাইভেট লীগে দেখাবে আপনি ফার্স্ট, সুহান সেকেন্ড, আমি থার্ড ... বুঝা গেল?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
চাল্লু! ঐ রেজাল্টটা আমরা সচলে এমবেড করতে পারবো না? মানে এমন এক্টা সাইট কি পাওয়া যাবে যেটা প্রাইভেট লীগের রেজাল্টটা এমবেড করার ব্যবস্থা করে রেখেছে? ডিসপ্লেটা সচলে না হলে তো মজা নাই।
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
সেইটা ঘাটাঘাটি করে দেখতে হবে, আমার আইডিয়া নাই ...
বিকল্প হিসাবে রেজাল্টের স্ক্রীণশট নিয়ে কোন একটা পোস্টে লটকায়ে দেয়া যায়, এই স্টাইলে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
তুমি আমি নাহয় সিরাতুল মুস্তাকিমে চল্লাম, কিন্তু ধূসর গোধূলি তো ফটোশপ জানে ...
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
- দেখ, ব্যক্তিগত আক্রমন করবি না কৈলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
- সার্বিয়ান মেয়েদের ফটুকঅলা কোনো সাইট ঠিক্কৈরেন। নাইলে ধুগো ইন্টারন্যাশনালের কোনো কের্দান-কর্মী-কলাকুশলী কেউ আপনাদের লীগে ফুটবল খেলতে যাবে না, হুঁ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ধুগোদা, সার্বিয়ান মাল ছাড়েন... ব্রাজিলের ছাম্বার জন্যে বিশেষ পোশাক পরিহিত হুরগুলারে দেইখ্যাও কি আপনার দিল ধকধক লাগে না ?? আর ইটালিয়ান শর্টস্পড়ুয়াগুলানও তো মন্দ না...
_________________________________________
এক শব্দে যদি লেখাটা সম্পর্কে বলতে চাই----> "তুমুল!!"
এক শব্দে যদি প্রিয় দল সম্পর্কে বলতে চাই----> "আর্জেন্টিনা !!!"
এক শব্দে যদি প্রিয় খেলোয়াড় সম্পর্কে বলতে চাই----> "মেসি !!!!"
এক শব্দে কাপ বিজয়ী দল সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করতে চাই----> " আর্জেন্টিনা ছাড়া অন্য যে কেউ ----"
দাঁড়ান, দাঁড়ান, এইটা তো ঠিক এক শব্দে বলা হল না।
হুমম, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিততে পারবেনা---এইটার কষ্ট এক শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব না---
তবুও আমার সকল শুভ কামনা ঐ পাগলা কোচ আর তার এগারো জনের জন্যে!
বাংলদেশে দলের ক্রিকেট খেলা ছারা অন্য খেলার প্রতি আমার তেমন কোন আগ্রহ নাই! কিন্তু এই লেখাটা পড়ে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়লো।
আমার মত অনাগ্রহী পাঠককেও ধরে রাখার ক্ষমতা আছে লেখাটির মাঝে।
এই হল আমার ভার্সান -
গ্রুপ এ = ফ্রান্স ও উরুগুয়ে, মেক্সিকোর সম্ভাবনা আছে। দঃ আফ্রিকার কোনো সম্ভাবনা নেই যদি না কোনো দু'নম্বরি হয়।
গ্রুপ বি = গ্রীসকে খারাপ টিম মনে হয়েছে। নাইজেরিয়া-দঃ কোরিয়ার মধ্যে আমি কোরিয়াকেই সমর্থন করব (কেন জানি মনে হয় ওরাই উঠবে)। তবে দঃ আফ্রিকায় আগে খেলার অভিজ্ঞতা নাইজেরিয়ানদের কাজে আসবে, কাগজে কলমেও তারাই এগিয়ে তবে আর্জেন্টিনা যাবেই।
গ্রুপ সি = স্লোভেনিয়াকে আমি মার্কিনিদের থেকে এগিয়ে রাখছি তবে সমর্থন করব মার্কিনিদের। অন্য দেশ অবশ্যই ইংল্যান্ড।
গ্রুপ ডি = জার্মানি অঘটন ছাড়াই উঠবে, সার্বিয়া আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে আমি সার্বিয়াকে কিছুটা এগিয়ে রাখব। তবে এই গ্রুপটাও টাফ ...
গ্রুপ ই = অঘটন না ঘটলে নেদারল্যান্ড ও ডেনমার্ক উঠবে, পরের চান্স জাপান/ক্যামেরুণ খুবই ক্ষীণ।
গ্রুপ এফ = আমার কাছে এটা অন্যতম শক্ত গ্রুপ, স্লোভাকিয়া, প্যারাগুয়ে ও ইতালি - যে কেউ যেতে পারে। আমার ঘোড়া ইতালি ও স্লোভাকিয়া।
গ্রুপ জি = অজ্ঞাত কারণে আমার বদ্ধ ধারণা ব্রাজিল আর পর্তুগাল হাসতে হাসতে উঠে যাবে।
গ্রুপ এইচ = স্পেন এবং চিলি যাচ্ছে পরের রাউন্ডে, বাকিদের আশা ক্ষীণ।
আমার প্রেডিকশনও একদমই এইরকম, তবে গ্রুপ সি তে স্লোভেনিয়ার চেয়ে আম্রিকার চান্স বেশি বলে মনে হয় ...
আর এসিয়েন সুস্থ থাকলে গ্রুপ ডি তে ঘানা শক্ত ফাইট দিবে ... তবে ভিদিচ-ইভানোভিচের সেন্ট্রাল ডিফেন্স পেয়ারিং সার্বিয়াকে আগায়ে রাখবে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
তুমি শিউর সুহান, কে'নান-এর ভার্শানটা ওয়ার্ল্ড কাপ থিম সং? কারণ, ওটা সাউথ অ্যাফ্রিকান টিমের থিম সং। আর, অনেক দেশের পপুলার আর্টিস্টদের সাথে কে'নান গেয়েছে, এমনকী ন্যান্সি আজ্রাম-এর সাথেও মিডল ইস্টের মার্কেট ক্যাপচার করার জন্য।
অফিসিয়াম থিম সং শাকিরা'র গাওয়া। অরিজিনাল ভার্শন ক্যামেরুনিয়ান একটা গান।
আমি ফিফা'র ওয়েবসাইটেই দেখেছিলাম, এখন খুঁজে পাচ্ছি না। তবে এই লিংকটা দেখতে পারো।
আর এই হচ্ছে, শাকিরা'র গানটাঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
- আপনের "ওক্কা ওক্কা- এ্যাঁ এ্যাঁ" চলে না। কী লিংক দিলেন!
তার চেয়ে এইটা দেখেন। শাক্কু আফার হিস্পানিক প্যানপ্যান- এক্কেরে অরিজিন্যাল।
আর এইটা আফার নাঁকি সুরের আংরেজীঃ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
আওফাও ল্যাপটপে ওরকম হবেই। আমি এখনও ক্লীয়ারলি দেখলাম।
এই পার্টটা এখন যোগ করলামঃ খুব ''এসপানয়োল'' শোনা হচ্ছে, না? তাইলে লিসেন টু ''ড্যাডি ইয়্যাংকি''। ওয়ার্ল্ড কাপের অনেকগুলো গানের মধ্যে এইটা খুব পপ্যুলার এখনঃ
তবে ড্যাডি ইয়্যাংকি-কে চিনি অন্য কারণে। ডিসি-তে রিভার ক্রুজে আমরা সবাই পাগলের মতো নেচেছিলাম ওর '' লা গ্যাসোলিনা'' শুনে। ভাষা যে গানের স্বাদ নেওয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না আসলে, সেটার প্রমাণ ছিলো ১৪০টি দেশের ২০০র-ও বেশী স্কলারদের একসাথে নাচ! রেগেটন রুলস!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
- আররে, এই "লা গাস্সোলিনা" তো সেইরকম পপুলার গান ছিলো এইখানেও। বার, ক্লাব, পার্টিতে এই গান তো জাতীয় সঙ্গীতের মতো বাজছে একটা সময়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
এইখানে আসলে আমি ঠিক নিশ্চিত হতে পারছি না। গুগলাইয়া দেখেন। শাকিরার গানের কোন লিঙ্ক আসে না, ওয়ার্ল্ডকাপ থিম সং হিসেবে কে'নানের গানটাই আসে। তবে- আলাদা করে শাকিরার নাম যোগ করে দিলে তাঁর গানের লিঙ্ক আসে। উভয়ক্ষেত্রেই বর্ণনায় লেখা থাকে যে এটাই থিম সং...
তবে আমি শুনলাম শাকিরার ওয়াকা ওয়াকা গানটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাইবার জন্যে। থিম সং কে'নানেরটাই...
_________________________________________
ফিফা শাকিরার গানটাকেই অফিসিয়াল সং হিসাবে সিলেক্ট করেছে। শাকিরার প্রতিক্রিয়া আর ব্লগগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখতে পারেন।
আমি শিউর হয়েই বলেছি। নীচে দেখো নিঃসংগ গ্রহচারী লিঙ্ক দিয়েছেন (ফিফা'রটা এখনও খুঁজে পেলাম না)। অনেকে বাংলাদেশে কনফিউজড দেখে ঠিক করে দিলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ধন্যবাদ সুহান এই পোস্টটির জন্য! এখনো যদি বিশ্বকাপ নিয়ে আলাপ না হয়, তাইলে আর কখন হবে? আমি টেনশনে এখন থেকেই আর কোন কাজ করতে পারছি না - খুবই খারাপ অবস্থা!
যাই হোক, বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে এবারের বিশ্বকাপ জেতার ফেভারিটরা ক্রমানুসারেঃ
১। স্পেন
২। ব্রাজিল
৩। ইংল্যান্ড
৪। আর্জেন্টিনা
৫। নেদারল্যান্ডস
৬। ইটালী
আর, আমার কথা বলি - যদি আর্জেন্টিনা এবার ফাইনাল খেলে, খেলাটা সম্ভবত আমি দেখব না! খেলাটা দেখার সময় আমার হার্ট-এটাক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে!
শুধু একটা ডায়লগ চোথা মেরে মনের অবস্থাটা প্রকাশ করছিঃ
''আই অ্যাম গেটিং দ্য BUZZ......আই অ্যাম কিপিং মাই ফিংগারস ক্রসড এন্ড আই অ্যাম সেভিং মাই TEARS.....লেটস জাস্ট হোপ ইট উড বি TEARS অফ জয়''!
ভ্যামোস আর্জেন্টিনা!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
এডিডাসের প্রস্তুতকৃত এই বলে রয়েছে এগারটি ভিন্ন ভিন্ন রঙ, যেটি প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের এগারোজন খেলোয়াড় এবং আফ্রিকার প্রধাণ এগারটি ভাষার।
লেখাটা পড়ে অনেক চিন্তা করলাম, অনেক ভাবলাম। শেষমেশ বুঝলাম বয়স হইছে আমার! কোনো খেলোয়াড়কেই চিনতে পারলাম না! কারো নামও বের হলো না মাথা থেকে। স্বভাবসিদ্ধভাবে বিশ্বকাপের আগে একটা বিশ্লেষণ দাঁড় করানোর চেষ্টা দিলাম, পারলাম না। হায়, স্মৃতি তুমি বেদনা!
ব্রাজিল কাপ নিবে, এইটা আমিও (তাসনীম ভাইও বললেন) নেত্রকোনা'র গাইড়া সামসুর মতো কোপ দিয়া গাইড়া বসলাম। অনাদায়ে, সকল সাপোর্ট যাবে সার্বিয়ার দিকে। (কারণ, সার্বিয়ান মেয়েরা দেখতে মাশাল্লা সেইরকম সুন্দরী হয়। বিপক্ষ গোল পোস্টের পিছনে তিন-চার জনকে খাড়া করায়ে দিলেই সার্বিয়া ডাইরেক্ট ফাইনালে। ক্যামনে? কারণ বিপক্ষের গোল কিপার বল আটকানোর চেয়ে পেছন ফিরে সার্বিয়ান ললনাদের দিকে তাকিয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করবে!)
গান তো একটা দিলেন, ডেভিড বেজবল না কি যেনো নাম। শালায় হিস্পানিক ভাষায় কে' নান (রুটি)র সাথে নেচে-কুদে আমারে প্যানিক বানায়ে থুয়ে গেলো। তার চেয়ে এইটা শোনেন (আই মিন দেখেন)-
(নিন্দুকে বলে এইটা নাকি আমার 'উনি')
অডিওটা এইখানেঃ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
তোর উনি হিসাবে ন্যান্সি আজরামে হাঁ ভোট মেরে গ্লাম। কেন, বুঝতেই তো পাল্লি। ক্যালেণ্ডারে দাগ দিয়া রাক্তেসি। শুভস্য শীঘ্রম।
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
- পরের 'উনি'র দিকে চায়া থাকতে থাকতে তো চোখে চাল্লিশা ফালায়া দিলি দোস্ত। এইবার নিজের বাগদত্তারে ঘরে তোল, গুলাবী বংশধর তো বেহেশতের দরোজায় অবস্থান ধর্মঘট শুরু কইরে দিছে। আর তো সহে না...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
''নিন্দুক'', না? খুশিতে দাঁতের বারান্দা বের করে বলতেসে, আবার ডায়ালগ! দেখো ছেলে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
"চাঁদা তুলে বুয়েটের হলে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকা টানানোর সিদ্ধান্ত হলো চোখের সামনেই।" - গত বিশ্বকাপে বুয়েটের তথাকথিত উজ্জ্বল (!) ছাত্ররা খেলা দেখার বাহানায় পরিক্ষা দিলনা এবং নিজেদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হল প্রভস্টকে জিম্মি করার মত জঘন্য কাজ করে। এই কারনে বুয়েট বিবিসি এর খবরে আসে। ভাগ্যিস এবার পরিক্ষা নাই ( আমি এই তথ্যের ব্যপারে ১০০% নিশ্চিত না)।
এবারের কাপ জিতবে ব্রাজিল বা ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপের এটিই অফিসিয়াল থিম মিউজিক ভিডিও।
vimeo.com/10085362
কেউ শাহাদুজ্জামানের ‘কয়েকটি বিহ্বল গল্প’-বইয়ের বিশ্বকাপ, পরীক্ষা পিছানো ইত্যাদি নিয়ে গল্পটা পড়েছিলেন?
দেশে লাখো লাখো টাকা নষ্ট হয় পতাকায়, অবমানিত হয় পতাকা আইন আর বাংলাদেশের পতাকা, সময়, শ্রম, কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় অমূল্য, তবু্ও অবশ্যই বিশ্বকাপ দেখবো। আর, রক্তাক্ত এবং অশ্রুসিক্ত হবো অনিকেতের মতো ।
উন, দুস, ত্রেস, ওলে, ওলে, ওলে...
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
সুহান দোস্ত, ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। গোছানো লেখা।
@রব্বানী ভাইঃ এবার আর এই সময়ে পরীক্ষা নাই। তবে রাতে খেলা দেখে পোলাপাইন সকালে ক্লাশ করবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
দারুন পোষ্ট! টিমগুলার এনালাইসিস ভাল লাগছে।
যে যাই বলুক ভাই, আর্জেন্টিনার সোনার কাপ চাই!
আমি বরাবরই ফুটবল উপভোগ করি, ৯০টা মিনিট কি উত্তেজনায়ই না কাটে! ছোটভাইটা যখন কাছে থাকত, তখন একসাথে প্রিয় টিমের পতাকা তুলতাম(সে বেশ আগের কথা), রাত-বিরাতে খেলা দেখতে বসে যেতাম। এখনো দেখব, হোক একাই, দেখবই, ব্রাজিলের একটা খেলাও মিস দিব না। অন্য খেলাগুলোও যথাসম্ভব দেখার চেষ্টা করব।
লেখা খুব ভাল লেগেছে। তবে বিশ্বকাপের প্রেডিকশান নিয়ে আসলে এত জোর দিয়ে কিছু বলা যায় না। যেকোনো দলই সামর্থ্য রাখে ভালো করবার।
"ফ্যান্টাসী ফুটবল" নিয়ে একটা কথা শেয়ার না করে পারলাম না। গত সপ্তাহে আমার কাছের দুজন মানুষ সিঙ্গাপুর ঘুরে এলো ইএসপিএনের সৌজন্যে "নক আউট কাপ" এ টিম বানিয়ে। সাথে আকর্ষনীয় প্রাইজমানি তো ছিলই।
বেশ কিছু দলের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ইনজুরির কারণে এখনো বিশ্বকাপ নিয়ে সংশয়ের মাঝে আছেন,তাই দল নিয়ে আগ বাড়িয়ে এখনই কিছু বলার লোভ আপাতত সামাল দিচ্ছি।তবে কোচদের ব্যাপারে খানিকটা মনে হয় আলোকপাত করা যায়।
ইংল্যান্ডকে নিয়ে তৈরি হাইপকে আমি অন্যান্য বারের মত এত চটজলদি নাকচ করে দেবনা শুধুমাত্র ক্যাপেলোর কারণে। ক্যাপেলো আসলেই একজন মাস্টার ট্যাকটিশয়ান,এবং গতবারের সভেন গোরান এরিকসনের চাইতে তাকে আমি বেশ ভালই এগিয়ে রাখব। তার স্কোয়াড ও প্লেয়ার সিলেকশন দেখেই আমি নিশ্চিত ,উনি জানেন উনি কী করতে যাচ্ছেন।
অন্যান্য কোচদের মধ্যে লিপ্পি এবং দেল বস্কের নাম আলাদাভাবে বলতেই হয়।লিপ্পির এই ইতালি নিয়ে সবাই বেশ সন্দিহান,তবে এই দলের সবচে বড় সুবিধা হল কোচ তার প্লেয়ারদের ভালমতই চেনেন,চার বছরের বেশি সময় ধরে একটা দলের দায়িত্বে থাকা চাট্টিখানি কথা তো আর নয়।
দেল বস্কও বেশ ভাল কোচ,স্পেনের স্কোয়াড দেখে ওনাকে ধীরে চলো নীতিতেই বিশ্বাসী বলেই আমার মনে হল। এতগুলো প্রতিভাকে একসাথে সামাল দেওয়া এবং তাদের যূথবদ্ধ করার কাজটা তিনিও ভালই জানেন।
অবশেষে ম্যারাডোনা আর দুঙ্গা। এই দুজনকে নিয়ে এত মাতামাতি হয়েছে যে নতুন করে বলার আর কিছু নেই।কোচ হিসেবে আপাতদৃষ্টিতে দুঙ্গা তুলনামূলকভাবে পরিণত,এটুকু বলে রাখি,বাদবাকি আলাপ পরে হবে।
অদ্রোহ।
লেখা ভালো হইছে।
আর তাসনীম ভাইয়ের মতো করে কই... ব্রাজিল ছাড়া আর কিছু নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ লেখা সুহান।
তবে বিচার মানলেও, তালগাছ ব্রজিলের।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিচার মানলেও, তালগাছ ব্রজিলের!
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
পড়বার এবং মন্তব্য করবার জন্যে সকলকে ধন্যবাদ।
... বুঝলাম- ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরে আমি একা আক্রান্ত নই।
আসেন, দিন গুণি...
_________________________________________
চমৎকার লেখা, সুহান। অপেক্ষায় আছি বিশ্বকাপ শুরু হবার।
বাড়িতে বাড়িতে, ছাদে, নানান দেশের পতাকা উড়ানো আমি একেবারেই সাপোর্ট করি না। জার্সি পরে বিভিন্ন দলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা মানা যায়, এটা গ্রহণযোগ্যও। কিন্তু এভাবে পতাকা উড়ানোটা কেমন যেন দৃষ্টিকটূ লাগে।
স্রেফ কৌতূহল থেকে জিজ্ঞেস করি, আমার জানা নাই জন্য, এভাবে অন্য দেশের পতাকা উড়ানো বিষয়ে কি সরকারি কোনও আইন বা বিধিনিষেধ আছে? আমাদের দেশে বা বাইরের অন্য কোনও দেশে?
আচ্ছা, পোস্টের নাম "আফ্রিকাতে, বিশ্ব মাতে" হলে কেমন হতো?
উম্ম, পতাকা উড়ানো দোষের নাকি এটাতো বলতে পারি না... তবে বাইরের দেশে খেলা হলেও কিন্তু গ্যালারীতে অনেক দেশের পতাকাই দেখা যায়। সেগুলো অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বদেশী দর্শকদের বহন করে আনা...
... খুব ভালো হতো। দাঁড়ান, ব্যক্তিগত ব্লগে ঐ নামেই দিচ্ছি ...
_________________________________________
এই নামটাও জব্বর হয়েছে।
আর লেখা তো এক নিমিষেই পড়ে ফেলার মত। চমৎকার।।
মন্তব্য
অনেক খুঁটিনাটি জানলাম, লেখার ধরনটাও ভাল লাগলো ।
একদম সত্যি কথা ।
''চৈত্রী''